১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহারে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ মণিপুর রাজ্য সরকারের

বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহারে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ মণিপুর রাজ্য সরকারের - ছবি : বাসস

ভারতের মণিপুর রাজ্যে বাড়তে থাকা সহিংসতার ভেতর সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছে রাজ্য সরকার।

আজ রোববার দ্য হিন্দু, এনডিটিভিসহ বেশ কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।

মণিপুরে চলমান অস্থিরতাকে ‘জাতিগত সহিংসতা’ হিসেবে অভিহিত করেছে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মণিপুরে গত বছরের মে মাস থেকে হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি সম্প্রদায় এবং খ্রিস্টান-সংখ্যাগরিষ্ঠ কুকি সম্প্রদায়ের মাঝে সহিংসতা চলমান আছে। সহিংসতার কারণে অন্তত ২২০ জন নিহত ও আনুমানিক ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

গতবছর সহিংসতা শুরুর পর একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন (১৯৫৮) জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। সর্বশেষ ১৪ নভেম্বর রাজ্যের ছয়টি থানায় এই আইন জারি করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শনিবার মণিপুর সরকারের যুগ্ম সচিবের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, মণিপুরের মন্ত্রীসভা ১৫ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন পুনর্বহালের প্রসঙ্গে আলোচনা করেছে। রাজ্যের যে ছয়টি থানায় এই আইন জারি করা হয়েছে, তা পর্যালোচনা ও প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা, কারফিউ জারি
গত সপ্তাহে মণিপুরের জিরিবাম জেলায় পুলিশের সাথে সশস্ত্র সংঘর্ষে ১০ সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহী নিহত হয়। এরপর গত গত মঙ্গলবার মেইতেই ত্রাণ শিবির থেকে তিন শিশুসহ ছয়জন নিখোঁজ হন। গতকাল শনিবার এই ছয়জনের লাশ পাওয়া গেলে আবার বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মণিপুর।

দ্য স্টেটসম্যানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার বিক্ষুব্ধ জনতা অন্তত তিনজন মন্ত্রী ও ছয়জন এমএলএর বাসভবনে হামলা করে। এনডিটিভি জানায়, মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাসভবনেও আক্রমণের চেষ্টা চালানো হয়। তবে এসব হামলায় কোনো রাজনীতিবিদের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবারের সহিংসতার পর আবার কারফিউ জারি করেছে রাজ্য সরকার, বন্ধ করে দিয়েছে ইন্টারনেট সেবা।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement