টানা ৪ দিন ধরে দূষণদাপটে ‘শ্বাসরুদ্ধ’ ভারতের রাজধানী
বদলানো হয়েছে সরকারি অফিসের সময়, গাড়িতেও নিষেধাজ্ঞা- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২০:০১
পর পর চার দিন ভারতের রাজধানী দিল্লির দূষণের চিত্রের কোনো পরিবর্তন হলো না। যত দিন যাচ্ছে দূষণদাপটে ‘শ্বাসরুদ্ধ’ হয়ে উঠছে রাজধানী। শনিবারেও বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) ছিল ৪০০’র উপরে। তারসাথে পাল্লা দিয়ে চলছে ধোঁয়াশার দাপটও। ফলে প্রতিদিনই দৃশ্যমানতা নেমে যাচ্ছে। সড়ক ও বিমান পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।
শনিবারও ঘন ধোঁয়াশার চাদরে মোড়া রাজধানীর বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের তথ্য বলছে, দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ৪০৬। যা ‘অত্যন্ত খারাপ’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। দূষণের দাপটে বাড়ছে কাশি, চোখজ্বালা ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গও।
কোন এলাকায় কী পরিস্থিতি ড্রোনের মাধ্যমে তা নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এমস ও প্রগতি ময়দান এলাকায় ধোঁয়াশার চাদরে মুড়ে রয়েছে। প্রগতি ময়দানে বাতাসের গুণগত মান ৩৫৭। যা ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। দূষণের অন্য ‘হটস্পট’গুলো হলো কালিন্দি কুঞ্জ, ইন্ডিয়া গেট। এখানে একিউআই ৪১৪। যা ‘অত্যন্ত ভয়ানক’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। পরিস্থিতি সামলাতে দূষণের ‘হটস্পট’গুলিতে যান্ত্রিক উপায়ে পানি ছেটানোর কাজও চলছে। কিন্তু দিল্লিবাসীদের দাবি, সরকারের এই প্রচেষ্টাও খুব একটা কাজে আসছে না।
রাজধানীর রাস্তায় যাতে একসাথে অনেক গাড়ি না নামে, তার জন্য সরকারি অফিসগুলোতেও সময় বদলানোর কথা ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। রাস্তায় যান চলাচলও কমবে, তাতে দূষণের মাত্রাও কিছুটা কমবে বলে যুক্তি দিল্লি সরকারের।
ঘোষণা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলো শুরু হবে সকাল ৯টায়। শেষ হবে সাড়ে ৫টায়। দিল্লি সরকারের অফিসগুলো শুরু হবে সকাল ১০টায়, শেষ হবে সাড়ে ৬টায়। আর দিল্লি পুরনিগমের কাজ শুরুর সময় সকাল সাড়ে ৮টায়। শেষ হবে বিকেল ৫টায়।
পরিস্থিতি সামল দিতে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্র্যাপ-৩) চালু করেছে দিল্লি সরকার। যে এলাকায় বেশি যানবাহন চলে, সেখানে নিয়মিত পানি ছিটানো হচ্ছে। দূষণ বৃদ্ধি করতে পারে এমন কাজগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিএস-৩ পেট্রল ও বিএস-৪ ডিজেল গাড়িগুলো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আইন অমান্য করলে ২০ হাজার টাকার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার্তা দেয়া হয়েছে। দিল্লির বাইরে থেকে আসা ডিজেলচালিত ছোট বাণিজ্যিক গাড়িগুলোকে জরুরি পরিষেবা ছাড়া ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা