১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

অশান্ত মণিপুর, আরো ৬ থানায় আফস্পা জারি

অশান্ত মণিপুর, আরো ৬ থানায় আফস্পা জারি - ছবি : সংগৃহীত

গত কয়েক দিনে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের মণিপুর রাজ্য। জিরিবাম, পশ্চিম ইম্ফল, বিষ্ণুপুরসহ একাধিক জেলায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যজুড়ে ছয়টি থানা এলাকায় নতুন করে চালু করা হল ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ বা আফস্পা)।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম ইম্ফলের সেকমাই ও লামসাং, পূর্ব ইম্ফলের লামলাই, বিষ্ণুপুরের মইরাং, কাংপোকপির লেইমাখং এবং জিরিবাম থানা এলাকায় নতুন করে আফস্পা চালু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মাসের শুরুতেই মণিপুরে ছয় মাসের জন্য বর্ধিত হয়েছিল আফস্পা-র মেয়াদ। ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবামসহ ১৯টি থানা এলাকা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই এই আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এবার আরো ছয়টি থানায় বলবৎ হলো সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন। ওই ছয়টি এলাকাকে ‘অশান্ত অঞ্চল’ বলে অভিহিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছয়টি থানা এলাকায় নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই পদক্ষেপ।

গত ৭ নভেম্বর গভীর রাতে জিরিবাম জেলার জাইরন গ্রামে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতিকারী। সারা রাত ধরে চলে লুটপাট, অত্যাচার এবং দুষ্কৃতিকারীদের তাণ্ডব। গ্রামের অন্তত ১৭টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। স্বামীর সামনেই ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দেয়া হয় তিন সন্তানের মা এক মহিলাকে। অভিযোগ, হামলা চালিয়েছিল মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাম্বাই টেঙ্গল এবং ইউএনএলএফের যৌথ দল। ওই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত জিরিবাম জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে গ্রামবাসীরা। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন কুকি, জোমি, মার গোষ্ঠীর নেতারা। মেইতেই গ্রামগুলোতেও হামলা শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেয়া হয় ঘরবাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার রাত থেকে কার্ফু জারি হয় জিরিবাম জেলায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পূর্ব ইম্ফল জেলার থামনাপোকপি, সাবুংখোক এবং সানসাবিসহ বিভিন্ন এলাকাও।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই মণিপুরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর যৌথ দল।

১৯৮০ সাল থেকেই আফস্পা-র আওতায় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ‘অশান্ত অঞ্চল’ বলে অভিহিত করা হয়ে এসেছে। ২০০৪ সালে থাংজাম মনোরমার ধর্ষণ ও হত্যার পর ব্যাপক প্রতিবাদের জেরে ইম্ফলের কয়েকটি জায়গায় আফস্পা আইন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
ক্ষমতা গ্রহণের পর শুরুতেই যেসব কাজ করবেন ট্রাম্প আইন মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনে গৃহীত কার্যক্রম দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ইংল্যান্ডের সিরিজ জয় সরকার ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে অগ্রগতি করছে : অর্থ উপদেষ্টা কুষ্টিয়া ষ্টেডিয়ামের নাম ‘শহীদ আবরার ফাহাদ ষ্টেডিয়াম’ সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার ২০২৫ সাল নাগাদ বন্ধ হবে : রিজওয়ানা হাসান ‘আমার সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল’ দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবনতি ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ৩ মাস বন্ধ থাকার পর চালু হচ্ছে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন রাজধানীতে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে প্রবাসী চিকিৎসক নিহত

সকল