২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘লাদাখ সীমান্তে সমস্যা মিটেছে’, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতির বার্তা চীনের

বাঁ দিকে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ডান দিকে, চীনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র লিন জিয়ান - ছবি : সংগৃহীত

পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-য় সংঘাতের অবসান ঘটাতে ‘টহলদারির সীমানা’ নির্ধারণের বিষয়ে ভারতের সাথে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে চীন। সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশরি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, মঙ্গলবার চীনা পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র লিন জিয়ান কার্যত সেই সুরেই ‘ঐকমত্যের’ কথা জানিয়েছেন।

জিয়ান মঙ্গলবার বলেন, ‘সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আমরা আলোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক সমঝোতায় পৌঁছেছি। সমঝোতা কার্যকর করতে আমরা ভারতের সাথে যৌথভাবে কাজ করব।’ ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার ব্রিকস গ্রুপভুক্ত দেশগুলো (ভারত, রাশিয়া, চীন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা) শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তারই মধ্যে এই বার্তা এলো বেইজিং থেকে।

উল্লেখ্য, ভারতের পক্ষ থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এলএসি পেরিয়ে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় এলএসি পেরিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছিল চীনা ফৌজের বিরুদ্ধে। উত্তেজনার আবহে ওই বছরের ১৫ জুন গালওয়ানে চীনা হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় সেনাসদস্য।

গালওয়ান-ঘটনার পর থেকেই কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে দফায় দফায় বৈঠক শুরু হয়েছিল। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে চুশুল-মলডো পয়েন্টে দুই সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে এলএসির কিছু এলাকায় ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনাসদস্যদের পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনাসদস্য সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল।

কিন্তু প্যাংগং হ্রদ লাগোয়া ফিঙ্গার এরিয়া, উত্তর-পূর্বে ডেপসাং উপত্যকা, দক্ষিণ পূর্ব লাদাখের ডেমচক -সহ বিভিন্ন এলাকা নিয়ে সমস্যা মেটেনি। এই আবহে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চলতে থাকে। সোমবার জয়শঙ্কর বলেন, ‘পূর্ব লাদাখের এলএসিতে ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ (মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো) প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।’ তিনি জানান, ২০২০ সালের মে মাসের আগে দু’পক্ষের সেনাবাহিনী এলএসসি যে এলাকা পর্যন্ত টহলদারি করতে যেত, সাড়ে চার বছর পরে সেই ব্যবস্থাই পুনর্বহাল হচ্ছে। তবে ‘ঐকমত্যে’র দাবি করলেও ‘তাৎপর্যপূর্ণভাবে’ নির্দিষ্ট করে ২০২০ সালের মে মাসের পরিস্থিতি পুনর্বহালের কথা বলেননি চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement