২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩০, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

বিশ্বের ১১০ কোটি তীব্র গরিব মানুষের ২৫ কোটি ভারতেই!

বিশ্বের ১১০ কোটি তীব্র গরিব মানুষের ২৫ কোটি ভারতেই! - ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে দারিদ্রের ছবিটা এখনো কতখানি ভয়ানক, ফের তা তুলে ধরল জাতিসঙ্ঘের পরিসংখ্যান। ভারতের পরিস্থিতি যে আশঙ্কাজনক, দেখাল সেটাও। তাদের প্রকাশিত দারিদ্র সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে ১১০ কোটি মানুষ তীব্র গরিবির অন্ধকারে ডুবে রয়েছেন। তার অর্ধেকই মূলত পাঁচটি দেশের। যার মধ্যে সকলের আগে ভারত। এখানে অতি গরিব মানুষ ২৪.৪০ কোটি। পাকিস্তানে ৯.৩০ কোটি, ইথিওপিয়ায় ৮.৬০
কোটি, নাইজেরিয়ায় ৭.৪০ কোটি, কঙ্গোতে ৬.৬০ কোটি মানুষ রয়েছেন এই তালিকায়। মোট দরিদ্র মানুষের প্রায় অর্ধেকই (৫৮.৪০ কোটি) শিশু।

তবে আফগানিস্তানে সেই হার ৫৯%। ওই ১০০ কোটি ছাড়ানো মোট গরিবদের প্রায় ৪০% সংঘর্ষে জর্জরিত এবং কম শক্তির দেশগুলোর বাসিন্দা বলেও জানিয়েছে রিপোর্ট।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে ওই রিপোর্ট তৈরি করেছে ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) এবং অক্সফোর্ড পভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ। সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে গরিবদের ৮৩ শতাংশই গ্রামাঞ্চলে বাস করেন। একই সংখ্যক গরিব মানুষ দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশে সহারা মরুভূমির দক্ষিণের দেশগুলোর বাসিন্দা।

জাতিসঙ্ঘ ও অক্সফোর্ড মিলে এই বহুমাত্রিক দারিদ্র সূচক (এমপিআই) প্রকাশ করে ২০১০ সাল থেকে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জীবনযাত্রার মান-সহ ১০টি মাপকাঠির নিরিখে রিপোর্ট তৈরি হয়। এ বছর ১১২টি দেশের ৬৩০ কোটি মানুষকে নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে। তার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে দারিদ্র সূচক।

দুই প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, এই রিপোর্টে সংঘর্ষপূর্ণ অঞ্চলের দারিদ্র নিয়ে সমীক্ষার উপরেই বেশি জোর দেয়া হয়েছে। কারণ, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে ২০২৩ সালেই বিশ্বজুড়ে সামরিক সংঘর্ষ হয়েছে বেশি। সংঘর্ষ, বিপর্যয় ও আরো কিছু কারণে ১১.৭০ কোটি মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছেন। ইউএনডিপি দফতরের ডিরেক্টর পেড্রো কনসেইসাও বলেন, 'সামরিক সংঘর্ষের নিরিখে এমপিআই সূচক এই প্রথম তৈরি করা হয়েছে। যা বলছে, সংঘর্ষের সঙ্গে সমান তালে গরিবি কিভাবে বেড়েছে।’ তিনি জানান, 'দেখা গিয়েছে, ৪৫.৫০ কোটি বহুমাত্রিক ভাবে দরিদ্র মানুষ সংঘর্ষপূর্ণ অঞ্চলে বাস করেন। তারা পুষ্টি, শিক্ষা, খাবার পানি ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাওয়ার ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ অঞ্চলের দরিদ্রদের থেকে ৩-৫ গুণ বেশি বঞ্চিত।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement