১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর নিয়ে জয়শঙ্করের মন্তব্যকে কিভাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা

নাম না করেই পাকিস্তান এবং চীনকে বার্তা পাঠিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। - ছবি : বিবিসি

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের পাকিস্তান সফরকে কেন্দ্র করে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। ইসলামাবাদে আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) ২৩-তম কাউন্সিল অব হেডস অব গভর্নমেন্ট সামিটে বুধবার ভাষণ দেন তিনি।

সেখানে নাম না করেই চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) ইস্যুতে দুই দেশকেই বার্তা দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সরাসরি নিশানা না করেই জানিয়েছেন, ‘আঞ্চলিক অখণ্ডতা’ এবং ‘সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধার’ মাধ্যমেই প্রকৃত অংশিদারিত্ব সম্ভব।

পাকিস্তানে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে চীন এবং পাকিস্তান দুই দেশকেই দেখা গেছে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের বিষয়ে আশাব্যাঞ্জক কথা বলতে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের প্রতি জয়শঙ্করের এই বার্তা।

চীন এবং পাকিস্তানকে পরোক্ষভাবে সমালোচনা করে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন আঞ্চলিক সংযোগের উদ্যোগ গ্রহণের সময় সকল দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করতে হবে। এখানে ‘এক তরফা এজেন্ডার’ কোনো জায়গা নেই। একইসাথে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কেও ভারতের বার্তা এসসিও-র মঞ্চে তুলে ধরেছেন তিনি।

তবে বাকযুদ্ধে না গিয়ে সিপিইসি ইস্যুতে পাকিস্তান ও চীনের দিকে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত বিশেষভাবে অর্থবহ বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

একদিকে পাকিস্তানের গণমাধ্যম যেমন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যকে কিছুটা হলেও ‘নরম সুর’ বলে আখ্যা দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে তার বক্তব্য এসসিও মঞ্চের পরিপ্রেক্ষিতে ‘স্পষ্ট এবং যথাযথ’।

জয়শঙ্করের ভাষণ সম্পর্কে পাকিস্তানি সাংবাদিক ইফতিখার ফিরদৌস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘এসসিও-তে (এস জয়শঙ্করের) দেয়া ভাষণ শুনে মনে হয়েছে, সেখানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রত্যাশিত আগ্রাসন ছিল না। এমনকি যেমনটা আশা করা হয়েছিল, তার ধারে কাছেও যায়নি।’

করাচিতে ভারতের কনসাল জেনারল হিসেবে কাজ করছেন কূটনীতিক রাজীব ডোগরা। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, ‘ভারত ইসলামাবাদে দ্বিপক্ষীয় সম্মেলনে যায়নি। এসসিও সম্মেলনে গেছে। সেখানে সৌজন্য রক্ষা করেছে এবং ভারতের অবস্থানের কথা তুলে ধরেছেন জয়শঙ্কর। তা সে সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে হোক বা চীন-পাকিস্তানের ইকনমিক করিডোরের বিষয়ে।’

অন্যদিকে, ‘দ্য ইনস্টিটিউট অফ স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ’ ইসলামাবাদের গবেষক মোহাম্মদ ফয়জল মনে করেন, ভারত একাই যে সৌজন্য দেখিয়েছে তেমনটা নয়। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘সৌজন্য পাকিস্তান এবং ভারত দুই দেশই দেখিয়েছে। কোনো একটা দেশ নয়।’

কী বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রায় নয় বছর পর ভারতের এই পাকিস্তান সফর শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। এই সফরকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সাথে সৌজন্যের করমর্দন এবং সাক্ষাৎকে ঘিরেও কম আলোচনা হয়নি। তারই মাঝে নাম উহ্য করে পাকিস্তান এবং চীনের উদ্দেশে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্তা নজর কেড়েছে।

ওই মঞ্চে চীনের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোডের প্রশংসা করতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে বলতে শোনা গেছে, ‘চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। আমি মনে করি এই প্রকল্পকে সংকীর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিৎ নয়। শুধু আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়ালেই হবে না। ইউরেশিয়াকেও সংযুক্ত করতে হবে।’

এদিকে, শুরু থেকেই বেল্ট অ্যান্ড রোডের বিরোধিতা করে আসছে ভারত। কারণ এরই আওতায় চীন-পাকিস্তানের সিপিইসি প্রকল্প পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে যাবে। ভারত এই পদক্ষেপকে তার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলেই চিহ্নিত করে এসেছে।

ওই প্রসঙ্গ টেনে এনে এসসিও সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘শুধুমাত্র আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমেই অংশীদ্বারিত্ব হতে পারে, একতরফা এজেন্ডার মাধ্যমে নয়। নিজেদের স্বার্থের জন্য সুবিধাজনক নীতির মাধ্যমে এসসিওর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ হতে পারে না। বিশেষত আন্তর্জাতিক স্তরের বাণিজ্য ও ট্রানজিটের ক্ষেত্রে।’

একইসঙ্গে তিনি সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ টেনে আনতে ভোলেননি। তিনি বলেছেন, ‘সীমান্তের কার্যকলাপকে যদি সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, তাহলে বাণিজ্য, শক্তি প্রবাহ, যোগাযোগ এবং মানুষের পারস্পরিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে তার উৎসাহ জোটানোর সম্ভাবনা কমই থাকে। যদি বন্ধুত্বের অবনতি ঘটে থাকে এবং প্রতিবেশী সত্ত্বায় ফাঁক পড়ে, তাহলে আত্মসমীক্ষার কারণ এবং সমাধানের প্রয়োজনও রয়েছে।’

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য স্পষ্ট হলেও তিনি সরাসরি ‘বাকযুদ্ধ’ এড়িয়ে গিয়েছেন বলেই মনে করছে পাকিস্তানের বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই দাবি, কিছুটা হলেও ‘সুর নরম’ ছিল জয়শঙ্করের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাকে ‘আক্রমণাত্মক’ ভূমিকাতে দেখা যায়নি।

কেন পাকিস্তানের নাম নয়
সিডনি থেকে মোহাম্মদ ফয়জল বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘কোনো রকম আক্রমণাত্মক ভূমিকাতে না দেখতে পাওয়ার কারণ স্পষ্ট। এটা তেমন মঞ্চ ছিল না। ভারত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য ইসলামাবাদে যায়নি, গিয়েছিল সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে।’

ভারতের বিশেষজ্ঞরা আবার মনে করেন, নিজেদের অবস্থান আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে পিছুপা হননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং লেখক রাজীব ডোগরা বলেন, ‘আমার মনে হয় জয়শঙ্কর ভারতের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। চীন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর নিয়ে ভারত প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে এসেছে। বলেছে যে এটা দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। এসসিওর মঞ্চেও তিনি একই কথা বলেছেন এবং যেভাবে বলেছেন কূটনৈতিক স্তরে ঠিক সেইভাবেই তো বলা উচিৎ।’

তিনি আরো বলেন, ‘এসসিওর মঞ্চে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে জয়শঙ্কর যে বক্তব্য পেশ করেছেন, তাও যথাযথ। কারণ এটা আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং এসসিওর মৌলিক নীতির মধ্যে সন্ত্রাসবাদের সাথে মোকাবিলার বিষয়টা রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ভারত এবং কানাডার সম্পর্কের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মাথায় রেখেই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সাথে আর তিক্ততা বাড়াতে চাইছে না ভারত। ওই কারণেই সরাসরি আক্রমণ করেনি এমন জল্পনাও শুরু হয়েছে।

এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ডোগরা বলেন, ‘ভারত এবং কানাডার সম্পর্কের সমীকরণ আলাদা। পাকিস্তানের সাথে ভারতের সমীকরণ আলাদা। কানাডার সাথে সম্পর্কের কারণে ভারতের সুর নরম এমনটা ভাবার কোনো কারণ আছে বলে আমার মনে হয় না।’

এদিকে পাকিস্তানের গণমাধ্যম এই বিষয় নিয়ে একটু বেশিই মাতামাতি করছে বলে মনে করেন ফয়জল। তার কথায়, ‘ভারত-কানাডার সম্পর্কের অবনতির কারণে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উন্নতি হবে, এমনটা তো নয়। কালই যদি ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়, তাহলে ভারত কি পাকিস্তানের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করবে? আমার মনে হয় ভারত-কানাডার সম্পর্ককে এখানে টেনে আনাটা যুক্তিযুক্ত নয়।’

চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর
সিপিইসি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মোহাম্মদ ফয়জল। পাকিস্তান এবং চীনের সম্পর্ক তার গবেষণার বিষয়।

তার মতে, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যকে তেমন গুরুত্ব দেয়ার কারণ রয়েছে বলে আমার মনে হয় না। তিনি নতুন এমন কিছু বলেননি, যা আগে বলা হয়নি। চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর সম্পর্কে ভারতের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করেছেন এসসিও মঞ্চে। তখনই এই বিষয়ের গুরুত্ব থাকতো, যদি জয়শঙ্করকে চীন বা পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে দেখা যেতো।’

প্রসঙ্গত, সিপিইসি প্রথম থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, বিতর্কেরও। চীন এবং পাকিস্তান দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই করিডোর এবং বিশেষ কারণে ভারতের কাছেও। বিশেষজ্ঞদের মতে চীনের ‘আগ্রাসনকে’ মাথায় রেখে সে দেশের সাথে পাকিস্তানের নৈকট্য ভারতের কাছে উদ্বেগেরই বিষয়।

মানব রচনা ইন্সটিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডিজ-এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক উপমন্যু বসুর গবেষণার বিষয় ‘সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ’ এবং ‘কনফ্লিক্ট স্টাডিজ অ্যান্ড ফরেন পলিসি অ্যানালিসি’।

তিনি বলেছেন, ‘সিপিইসি নিয়ে ভারত প্রথম থেকেই নিজের আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানিয়ে এসেছে এবং তার কারণও স্পষ্ট করেছে। ভারতের মতো দেশ যারা নিজের সার্বভৌমত্ব নিয়ে বরাবর গর্ব করে এসেছে, তার কাছে এই করিডোর যে গ্রহণযোগ্য নয়, তা-ও নির্দিষ্টভাবেই বরাবর বলা হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান নিজেদের অবস্থান সুনির্দিষ্ট করে জানিয়েছে যে তারা শি জিন পিংয়ের উদ্যোগকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে। এটা ভারতের কাছে এবং দিল্লির কূটনৈতিক মহলের কাছে একটা বড় ইস্যু।’

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক
সাম্প্রতিক এই সফর কেন্দ্র করে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি দেখা যেতে পারে কিনা, সেই নিয়েও বিস্তর আলোচনা হচ্ছে।

পাকিস্তানের সাবেক কূটনীতিক মাসুদ খালিদ টোয়েন্টিফোর নিউজকে বলেন, ‘জয়শঙ্করের পাকিস্তানে আসা ইতিবাচক এবং আমরাও তাকে স্বাগত জানিয়েছি। ২০১৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান এসসিও-এর সদস্য হয়। ভারত এসসিওকে বয়কট করতে পারে না।’

তিনি জানিয়েছেন, জয়শঙ্করের সফর নিয়ে পাকিস্তানে ব্যাপক প্রচার হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছিল, দুই দেশের মধ্যকার বরফ গলে যাবে। যদিও জয়শঙ্কর স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তিনি দ্বিপক্ষীয় সফরে যাচ্ছেন না।

এই বিষয়ে ফয়জল বলেছেন, ‘এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে কোনো নতুন দিশা দেবে কিনা যদি জানতে চাওয়া হয়, তাহলে আমি বলব, না। তার কারণ, ভারত যদি এসসিও সম্মেলনে পাকিস্তানে প্রতিনিধি না পাঠাতো, তাহলে আন্তর্জাতিকস্তরে ভুল বার্তা যেতো। ঠিক ওই কারণেই প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। এখানে দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতি হবে এমনটা আমার মনে হয় না।’

তবে ডোগরা মনে করেন, আশার আলো যে একেবারেই নেই, তা নয়। সৌজন্য নৈশভোজে গিয়ে ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে তার সদর্থক বার্তা।’

তবে দুই দেশের সম্পর্কের নিরিখে এখনই যে বড়সড় কোনো পদক্ষেপ সম্ভব নয়, তাও জানিয়েছেন। তার মতে, ‘ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো বিষয়ই বরাবর গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। তার কারণ অতীতের সঙ্ঘাত এবং কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের বক্তব্য। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার চাইতে ভুল বোঝাবুঝি বেশি রয়েছে এমনটা বলা যায়।’

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দুই দেশের মধ্যে যেকোনো পদক্ষেপকে ঘিরেই ব্যাপক প্রত্যাশা থাকে এবং তা সফরের শুরু থেকেই। সাম্প্রতিক সফরকে ঘিরেও ছিল। আমার মনে হয়, জয়শঙ্করের এই সফরকে কার্যকরী স্তরে রাখা এবং প্রত্যাশাকে বাস্তবের সাথে বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্তটা সঠিক। প্রথম থেকেই বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে যে এটা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নয়, এসসিও সম্মেলন।’ সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement