২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

৪ দেশের মালাবার নৌ-মহড়ায় কোয়াড

৪ দেশের মালাবার নৌ-মহড়ায় কোয়াড - ছবি : সংগৃহীত

এক পক্ষকাল আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ারে ‘ভৌগোলিক অখণ্ডতা’ রক্ষা এবং ‘সম্প্রসারণবাদের’ বিরুদ্ধে কৌশল খুঁজতে মহাবৈঠক করলেন চতুর্দেশীয় অক্ষ (ভারত, আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া) ‘কোয়াড’-এর শীর্ষ নেতারা। আলোচনায় বার বার উঠে এসেছিল 'চীনের মরিয়া অর্থনৈতিক এবং রণনৈতিক আগ্রাসনের' কথা। এর পর আর কালক্ষেপ না করে আজ মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনমে ভারতের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে এই চারটি দেশের দশ দিনের নৌবাহিনীর মহড়া। যার পোশাকি নাম ‘মালাবার নৌ-মহড়া’।

ভারতায় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, প্রথমে বিশাখাপত্তনমের উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে শুরু করে এই মহড়া পৌঁছবে সমুদ্র পর্বে। সাবমেরিনের সাথে যুদ্ধ, সমুদ্রপৃষ্ঠে লড়াই, এয়ার ডিফেন্স এক্সারসাইজের মতো বিভিন্ন জটিল নৌ-অভিযান পরিচালিত হবে এই ১০ দিনে। গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, মাল্টি-পারপাস ফ্রিগেট, সাবমেরিন, যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারসহ ভারতীয় নৌবাহিনীর বিভিন্ন সরঞ্জাম অংশ নেবে এই মহড়ায়।

মালাবার মহড়া যখন শুরু হয়, সেই ১৯৯২ সালে বিষয়টি ছিল নেহাতই দ্বিপক্ষীয় একটি সামরিক বিনিময় মাত্র। তাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের সমুদ্রপথের তাৎপর্য সেভাবে সংযোজিত হয়নি।

ভারতীয় পক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, পরবর্তী সময়ে সমুদ্রপথে চীনের একাধিপত্য যতই বেড়েছে, এক দিকে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো এবং অন্য দিকে ভারত আমেরিকা এবং জাপান ততই জোটবদ্ধ হয়েছে। এর পরে অস্ট্রেলিয়াও এই অক্ষে যোগ দিয়েছে। ফলে কোয়াড এবং মালাবার এসে মিলেছে একই মঞ্চে। অন্য দিকে চীন এবং রাশিয়ার বক্তব্য, মালাবার কার্যত কোয়াডেরই সামরিক রূপ। আমেরিকা তার সহযোগী দেশগুলোকে সাথে নিয়ে সমুদ্রপথে নিজেদের কৌশলগত ঘাঁটি তৈরি করতে চায়।

ভারতীয় পক্ষ দাবি করে, চীন সম্পর্কে গত কয়েক বছর ধরেই নরমে-গরমে বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে ভারতকে। গত বছর অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত একটি বড় মাপের সামরিক মহড়ায় (চীন-বিরোধী) আমন্ত্রিত হয়েও যোগ দেয়নি ভারত। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বড় মাপের সেই সামরিক মহড়াতে যোগ না দিলেও তার এক সপ্তাহের মধ্যেই মালাবার নৌ-মহড়ায় যোগ দিয়েছিল ভারত।

ভারত-সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, মালাবার মহড়া নিয়ে চীন বার বার রক্তচক্ষু দেখিয়েছে, নিশ্চিতভাবে এবারও দেখাবে। সূত্রের মতে, ভারত মালাবার থেকে কখনোই সরে দাঁড়াচ্ছে না তার কারণ, চীনের উপরে একটি নিয়ন্ত্রিত চাপ ধরে রাখতে চাওয়া হচ্ছে। কোয়াডের যৌথ বিবৃতিতে তাই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলা হয়েছে, ‘জাতিসঙ্ঘ সমুদ্র-আইন-সংক্রান্ত সনদে যা প্রতিফলিত হয়েছে, আমাদের সমর্থন বিশেষ করে তার প্রতিই। পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। দক্ষিণ চীন সাগরে একতরফাভাবে সেনাবাহিনী জমায়েত নিয়ে আমরা আশঙ্কায়।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

 


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল