২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি ভারত সরকার

বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি ভারত সরকার - ফাইল ছবি

বাংলাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা দিয়েছে ভারত সরকার। নতুন করে ওই তালিকায় নাম উঠেছে পাঁচটি ভাষার। তার মধ্যে রয়েছে বাংলাও। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই স্বীকৃতি আদায়ের জন্য চেষ্টা করছে তার সরকার। ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে ওই দাবির সপক্ষে গবেষণাপত্রও পাঠানো হয়েছে। ওই দাবিই মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। অন্য দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, আপামর বাঙালিকে এই পুরস্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে জল্পনা, ২০২৬ সালের রাজ্য বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।

ভারতের রাজনীতির বৃত্তে যারা ঘোরাফেরা করেন, তাদের একাংশের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ করেছে ভারত সরকার। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনের মধ্যে ১২টি পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। তার আগে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির শীর্ষ নেতারা ২০০টি আসন পাবেন বলে দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত ৭৭টি আসন পেয়েছিল পদ্ম-শিবির। ২০২৬ সালে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন। রাজনীতির কারবারিদের ওই অংশের মত, সেই ভোটে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এখন থেকে বাঙালি জনতাকে কাছে টানতে চাইছে বিজেপি। সেই কারণে বাংলাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র এই স্বীকৃতি।

শুক্রবার রাতে মমতা এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে বাংলাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র এই স্বীকৃতি সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন। তিনি লিখেছেন, ‘অবশেষে বাংলাকে ধ্রপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত সরকার। এই খবর ভাগ করে নিতে পেরে দারুণ খুশি।’ এর পরেই তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই স্বীকৃতি ‘ছিনিয়ে’ আনার চেষ্টা করছে তার সরকার। এই সংক্রান্ত গবেষণার তিনটি খণ্ড পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। মমতা লিখেছেন, ‘আমাদের এই গবেষণা সমন্বিত দাবি মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। আমরা অবশেষে ভারতের ভাষা সংস্কৃতির শিখরে পৌঁছেছি।’

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অবশ্য এই স্বীকৃতিকে দুর্গাপুজা উপলক্ষে বাঙালির জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার বলেই মনে করছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা বাংলা ভাষাকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতে, বাঙালিদের জন্য এটা ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’। একটি ‘স্ক্রিনশট’ও তিনি শেয়ার করেছেন। সেখানে জানানো হয়েছে, তামিল, সংস্কৃত, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম, ওড়িয়ার সাথে ধ্রুপদী ভাষার তালিকায় জুড়ল বাংলা, মারাঠি, পালি, অহমিয়া এবং প্রাকৃত।

কোনো ভাষার ইতিহাস বা প্রাপ্ত নথির বয়স যদি ১,৫০০ থেকে ২০০০ বছর হয়, আদি ভাষা এবং সাহিত্যের সাথে বর্তমানের ভাষা এবং সাহিত্যের ফারাক যদি স্পষ্ট হয়, তবেই সেই ভাষাকে ধ্রুপদীর স্বীকৃতি দেয়া হয়। এই স্বীকৃতি পেলে সেই ভাষা নিয়ে গবেষণা এবং সাহিত্য চর্চার জন্য বিশেষ অনুদান দেয় ভারত সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলাদা বিভাগ বা কেন্দ্র গঠন করা হয়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ওই ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেলে তাতে লেখা প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, শিলালিপি, এবং দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থসমূহ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগী হওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ভাষাকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ বাড়ে। ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক, গবেষক ও ভাষাবিদদের জন্য বিশেষ পুরস্কার ও সম্মাননার ব্যবস্থাও করা হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল