২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

বিজেপি জিতলে ঝাড়খন্ডে এনআরসি!

বিজেপি জিতলে ঝাড়খন্ডে এনআরসি! - ছবি : সংগৃহীত

আসামের পর ঝাড়খন্ড। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আরেক প্রতিবেশী রাজ্যে কথিত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ বন্ধে 'জাতীয় নাগরিক পঞ্জি' তথা এনআরসির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি। আসামে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এনআরসির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তাতে লাভও হয়। বিজেপি ভালোমতোই সে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে। এবং আসামে এনআরসির তালিকা প্রকাশও করা হয়। এবার সেই একই পথে ঝাড়খন্ডেও হাঁটতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

ঝাড়খন্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সে রাজ্যেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি কার্যকর হবে। সোমবার সে রাজ্যে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেন ভারতের মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তার সদর্প ঘোষণা, বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে এনআরসি করা হবে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী বলছেন, 'বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে এসে আধার কার্ড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নানা নথি তৈরি করে ফেলছেন। ভোটার কার্ডও তৈরি হচ্ছে। সেসব রুখতেই রাজ্যে এনআরসি চালু করবে বিজেপি।'

বেআইনি অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গ-বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাসই বদলে দিয়েছে। অবিলম্বে এই তিন রাজ্যে এনারসি করা উচিত। এক বছর আগেই এই দাবি তুলেছিলেন বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবে। ঘটনাচক্রে তিন রাজ্যের মধ্যে দুই রাজ্যে অবিজেপি সরকার চলছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল এবং ঝাড়খণ্ডে সরকার চালাচ্ছে জেএমএম-কংগ্রেস জোট। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও এনআরসিবিরোধী। ঝাড়খন্ডে সামনে নির্বাচনে। তাই এনআরসিকেই হাতিয়ার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

বিজেপির অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা, পাকুর, দেওঘর, জামতারা, সাহেবগঞ্জের মতো জেলায় অনুপ্রবেশ বাড়ছে। যার ফলে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। ঝাড়খন্ড যখন বিহার থেকে আলাদা হলো তখন এর জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ ছিল আদিবাসী। এখন সেটা কমে গিয়েছে ২৪ শতাংশ। যদিও বিরোধীরা বলছে, ভোটের মুখে ফের মেরুকরণকেই অস্ত্র করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement