রাষ্ট্র সংস্কারের সূত্র-প্রস্তাব
- মুসা আল হাফিজ
- ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৭
জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দুনিয়ার ইতিহাসে মুক্তির জন্য আত্মদানের আরেকটি বড় অধ্যায় তৈরি হলো। বিশ্বের পটভূমিতে বাংলাদেশের আসল চৈতন্যের আরেকটি সবল উপস্থিতি দেখলাম। এই ঘটনা ঘটিয়েছে সম্মিলিত জনগণ। এই জনগণ থেকেই সমাজ-রাষ্ট্রের ভাঙা ও গড়ার আসল সংগ্রাম শুরু হয়। রক্তনদী পার হয়ে আসা তারুণ্যের প্রবল প্রাণশক্তিতে জ্বলন্ত ও উদ্ভাসিত একটি অভ্যুত্থানের পর এই প্রশ্ন অত্যন্ত জরুরি যে, কিভাবে আমরা রাষ্ট্র, সমাজ গঠনের প্রশ্ন আনব, কিভাবে আমরা জনগণ, সমাজ ও রাজনৈতিকতাকে ঐতিহাসিক ও দার্শনিকভাবে পরিচ্ছন্ন করে তুলব? এই আলাপটা বেশির ভাগই লিগ্যাল-পলিটিকাল হলেও, আমাদেরকে কথা তুলতে হবে দার্শনিক ও নৈতিক জায়গা থেকে। সেই কথার কয়েকটি সূত্র আজ হাজির করতে চাই।
১। ইতিহাসের তাওফিকে আমরা এমন একখানা পটভূমি পেয়েছি যে, আমাদের বুদ্ধিকে আমরা চাইলে আগের সব জঞ্জাল থেকে মুক্ত ও পরিষ্কার করে পেশ করতে পারি। আল্লাহর এত বড় নেয়ামতকে আমাদের হেদায়েতের কাজে লাগাতে পারি। কথা বলতে পারি শুরু থেকেই এবং আমাদের সহজাত প্রকৃতির বিশদ স্পষ্টতার মধ্য দিয়ে সময়ের সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন মীমাংসা করতে পারি।
মানুষ সামাজিক ও ঐতিহাসিক সত্তা। খালি চোখে দুনিয়ার মানুষরা এই কারণে প্রকৃতির সঙ্গে তার ভেদ খোঁজায় মগ্ন হয়। এই দুনিয়ায় আধিপত্য কায়েমকারী জ্ঞান, চিন্তাভাষ্য কিংবা রাষ্ট্রগুলো মানুষকে মানুষের সহজাত প্রকৃতি বা অন্তর্নিহিত সত্তা থেকে আলাদা করতে চায়। তাকে নিজের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। এই বিচ্ছিন্নকরণের মধ্য দিয়ে তাকে স্বাধীন করার গল্প শোনায়। রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে মানুষকে তার নিজস্বতা থেকে পলায়নে উদ্বুদ্ধ ও বাধ্য করে। আধুনিক রাষ্ট্র তার সব সরঞ্জাম দিয়ে মানুষের প্রকৃতির ওপর শাসন চালায় এবং মানুষের প্রবৃত্তিকে লাগামহীন করতে চায়। পাশ্চাত্যের ইতিহাসের ভেতর ‘রাষ্ট্র’ যে চরিত্র নিয়ে বিকশিত হয়েছে, তা মানুষকে ধরাধাম থেকে বিচ্ছিন্ন করে বোঝে। রাষ্ট্র যে চরিত্র নিয়ে প্রকৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, সেই চরিত্র ভেঙে দিতে হবে। মানব প্রকৃতি ও নিখিলের সাথে এই যুদ্ধে মানুষ জেতে না। প্রকৃতি জয় আর কথিত স্বাধীনতার ভড়ং এর মধ্যে আত্মতুষ্ট হয় মাত্র। এই আত্মতুষ্টির নাম উন্নয়ন নয়। বস্তুত প্রকৃতিজয় পরিভাষাটিই আত্মঘাতী।
আমাদের জনগণও এই বিদ্যমানতার মধ্যে আছেন। এখানকার শাসকশ্রেণী এই কনটেক্সটের মধ্যে নিজেকে প্রকৃতি থেকে আলাদা ভাবতে শিখছে। তারা নিজেদের কর্তৃত্ব ছাড়া ভাবতে পারে না। সব কিছুর ওপর তাদের আইন লাগে, শাসন লাগে। প্রকৃতির ওপরও এই খোদাগিরি তাকে করতে হবে।
মানুষ প্রকৃতির অংশ এবং প্রাকৃতিক বাধ্যবাধকতার মধ্যেই তার জীবন নিমজ্জিত। প্রকৃতির অন্য কিছুই তার থেকে ভিন্ন নয়, বিচ্ছিন্ন নয়। সে অন্য সব কিছুর ওপর নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব খাটাবে, এটা তার কাজ নয়। সে এর খলিফা বা কল্যানী ব্যবস্থাপক, সুরক্ষার জিম্মাদার। আধুনিকতা ও আধুনিক রাষ্ট্রভাবনার মূলে এই দায়িত্ব অনুপস্থিত। এই অনুপস্থিতির অভিশাপ মানুষকে তার প্রকৃতির বিরুদ্ধে নিয়ে যায় এবং সে নিজের সাথে নিরন্তর যুদ্ধে এক সময় এত দূর চলে আসে যে, শেষ অবধি তার মধ্যে পাওয়া যায় কেবল প্রবৃত্তিকে, দেখা যায় প্রকৃতি উধাও।
ফলে তার হাতে জ্ঞানব্যবস্থা ও জ্ঞানভাষ্য। তার হাতে রাষ্ট্র ও ক্ষমতা। সে মালিক-মুখতার হতেই চাইবে। তার ভেতরে বসবাস করে একজন ফেরাউন, সে বলছে আমি প্রভু। সে প্রবৃত্তির লাগামহীন চর্চা করে বলবে, আমি সফল, নরক করে দিয়েছি সবার জীবন! তার মানে কী দাঁড়াচ্ছে, পশ্চিমের ইতিহাস থেকে জন্ম নেয়া রাষ্ট্রদর্শন আমাদের বিপ্লবকে অর্থবহ করতে পারবে না। বরং নিজেদের ইতিহাস থেকে বের করে আনতে হবে রাষ্ট্রদর্শন। যার সাথে অবশ্যই থাকবে আন্তর্জাতিকতার যোগ। আন্তর্জাতিক পরিসরে বিদ্যমান রাষ্ট্রভাবনা ও রাজনৈতিক চর্চাগুলোর অর্থবহ ও ফলপ্রসূ অভিজ্ঞতার সাথেও মিথস্ক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।
২। দুনিয়ায় মানুষ তার প্রকৃতির মধ্যেই আছে। এই প্রকৃতি থেকে তাকে সরাবার চেষ্টা ও প্রকল্প থাকতে পারে। কিন্তু শেষ বিচারে তাকে সেখান থেকে সরানো অসম্ভব। মানুষের প্রকৃতি একই সাথে দিব্য, আবার এই জগতপ্রকৃতিও দিব্য। মানুষ ও মহাবিশ্ব হচ্ছে খোদার খোলা কিতাব। মানুষ ও মহাবিশ্বের সব প্রকৃতিই আল্লাহর গুণাবলির নানা প্রকৃতির সাথে যুক্ত। মানুষের কলবের মধ্যেই তার ফিতরাত বা প্রকৃতির ছিপ লাগানো। তার জীবন, ভাবনা ও আচরণের সুস্থতা এই স্বভাবের ওপর দাঁড়ানো। মানুষ আমানতদার, মানুষ আমানতহরণকারীও, মানুষ অনুগত, মানুষ বিদ্রোহীও। মানুষ ত্যাগী ও লোভী, সুরক্ষাপ্রয়াসী ও খুনি, ইনসাফকারী ও জালেম, স্বেচ্ছাচারী ও শৃঙ্খলাপ্রবণ। অর্থাৎ সমস্ত বৈপরীত্য নিয়েই মানুষ।
এই হচ্ছে বাস্তবতা। যেসব দার্শনিক মানুষের মধ্যে নেতিবাচকতার প্রাধান্য দেখেন, আমরা তাদের সাথে একমত নই। ইতিবাচকতাই মানুষের প্রকৃতিতে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে এবং সেগুলোই মানুষের আসল প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ সালিম ফিতরাত বা সুস্থ প্রকৃতি তার সত্তার মধ্যেই মুদ্রিত। এটি যখন সামষ্টিক চেতনাবোধে উপনীত হয় এবং সুস্থতার প্রাবল্য সামাজিকভাবে নিশ্চিত হয়, তখনই আদর্শ ও উন্নত সভ্যতা মাথা তুলে দাঁড়ায়। রহমত ও উলফত বা করুণা, দয়া, প্রেম ও সম্প্রীতি তখন বিজয়ী হয়। যা ইনসাফকে প্রতিষ্ঠা দেয়। জগতব্যবস্থার সহজাত স্বাভাবিকতা ও ভারসাম্য একেই কামনা করে। কারণ জগতব্যবস্থার মর্মমূলে আছে রহম, প্রতিপালন ও কল্যাণের নীতি, এই সত্য আল্লার আরশে আজিম লিখে দেয়া।
অর্থাৎ মানুষকে রাষ্ট্রনামক কোনো মূর্তি বানিয়ে নিজেকে মূর্ত করবার দরকার নাই। ব্যাপারটা এমন নয়, যে মানুষমাত্রই খারাপ বিষয়াসয়ের বাণ্ডিল, তাকে রাষ্ট্র ও শাসনের মাধ্যমে পশু থেকে মানুষ করতে হবে, এই ভ্রান্তির রশি হবস বা মেকিয়াভেলির মতো দার্শনিকের হাতে থাকলেও এটা ভুল। বরং এই মানুষই নিজের ও নিজেদের শাসক। সে একমাত্র আল্লার কাছেই জবাবদিহি করে। কেননা আল্লাহই আহকামুল হাকিমিন। তিনি তার বাণীবাহকের ব্যবস্থাপনায় দিশানির্দেশ করেছেন। মানুষ এর আলোক-সহযোগে নিজেদের সম্মিলিত মতামত ও চিন্তার অনুশীলন করবে। রাষ্ট্র এখানে শাহেনশাহী করবে না, সে মানুষের চিন্তা, আচরণ, উচ্চারণের ওপর যথেচ্ছ খোদাগিরি করতে পারবে না। যখন রাষ্ট্রকে অবাধ ও অনবরত কর্তৃত্ব দিতে থাকেন, তখন রাষ্ট্রের চালক হয়ে বসে থাকা শাসকগোষ্ঠীই মূলত এর চর্চা করে। তারা ও তাদের অলিগাররা স্বৈরাচারী আচরণের ধারা ও প্রথা তৈরি করে। মানুষের মূল্য হয় নামমাত্র। ফলে ক্ষমতাকে শাসকশ্রেণীর হাত থেকে সম্মিলিত মানুষের দিকে বিস্তৃত করতে হবে।
৩। এই মানুষ, যাকে তিনি নিজ দিব্যতা দিয়ে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন সে খলিফা। খলিফা হওয়ার মধ্য দিয়ে মানুষ দুনিয়াবি সব প্রতিষ্ঠানের সার্বভৌমত্বের ঊর্ধ্বে। খলিফা হিসেবে সে যখন শর্ত পূরণ করবে, তখন সে সর্বপ্রকার জুলুম, বেইনসাফি ও শয়তানের বিনাশকারী। এই মানুষ হাজির হয়েছে দুনিয়ার সমস্ত কিছুর চেয়ে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও মহিমা নিয়ে। এই খলিফা হাজির হয়েছে আল্লার জিজ্ঞাসার মধ্য দিয়ে। আল্লাহ তাকে হাজির করে, নিজের ইচ্ছা, প্রেম ও রবুবিয়্যতের প্রতিনিধিত্বকে হাজির করেছেন। আল্লাহর ইচ্ছা অদৃশ্য, জাহেরে অনুপস্থিত। খলিফা মানুষের উপস্থিতি অনুপস্থিতির উপস্থিতি। তার ইচ্ছা ও ফিতরতের সাক্ষাৎ সাক্ষ্য। ফলে মানুষের সত্য মূর্ত হবে আল্লাহর সত্যকে মূর্ত করার মধ্য দিয়ে। আল্লাহর সত্য হলো তার প্রেম প্রতিপালন ও অন্যান্য গুণাবলী থেকে বিকশিত ব্যবস্থাপনার অনুবর্তিতা। সেই সত্য কেবল আল্লাহর কেতাবে নিহিত আছে, তা নয়। সৃষ্টিজগতের সর্বত্র আছে। প্রকৃতির সর্বত্র আছে। যা প্রতিফলিত হয় প্রাকৃতিক স্বাভাবিকতায়, ইতিহাসের স্বাভাবিকতায়, মানবকর্মের স্বাভাবিকতায়। কিন্তু এসব বিষয়ে যা যা ঘটে, তাকে আমরা কিভাবে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক বলে শনাক্ত করব? সেটা করব দুই আইনের সম্মিলনের দিকে তাকিয়ে। এই সামঞ্জস্য প্রতিফলিত হবে আইন, বিচার, শাসন ও সমাজদর্শনে।
৪। আমাদের বুঝতে হবে মানুষ, বিশেষার্থে ‘জনগণ’-ইতিহাসের একমাত্র জাহের কর্তাশক্তি। কেননা এই মানুষের ওপরে সৃষ্টিজগতে কোনো ক্ষমতা বা শাসক নাই। আল্লাহর খলিফা হওয়ার কারণে মানুষই ইতিহাসের কর্তাশক্তি। আমরা হেদায়েতের ওপর চলি, ইতিহাসের সদর রাস্তায় এবং একই সময়ে বৈপ্লবিক রূপ নিয়ে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে হাজির হই। শরিয়ার এজতেহাদি বিষয়সমূহ ওহির প্রিন্সিপলসকে অবলম্বন করে অগ্রসর হয়। এই অগ্রসরমানতা আমাদের প্রাকৃতিক বিকাশেরই বিভিন্ন ‘অবস্থা’। ইজতেহাদ এমন চলমানতা, যা যেকোনো পরিবর্তনের মধ্যে আপনাকে বর্তমান রাখে। আধুনিক, উত্তরাধুনিক, ঔপনিবেশিক-উত্তর ঔপনিবেশিক যেকোনো কালপর্বে মানুষ ও প্রকৃতির সহজাত সত্য ও স্বাভাবিকতাকে অবলম্বন ও ধারণের জন্য যে জ্ঞান ও চিন্তাশৃঙ্খলা, তা সরবরাহ করে সে। ফলে যেকোনো স্থানিক বাস্তবতা বা কালিক বাস্তবতায় মিথস্ক্রিয়াসমূহকে বিচারের অগ্রসর ও টেকসই উদ্ভাবনী প্রয়াস চালানোর দরোজা উন্মুক্ত রেখেছে ইসলাম। সেই সব বিচার কোনোভাবেই কালের স্বভাব ও চরিত্রের মাত্রাসমূহে ভুলে থাকা যাবে না। স্থানিকতার স্বভাব ও মাত্রাসমূহকে উপেক্ষা করা যাবে না। এর মানে পরিষ্কার। আল্লাহর কর্মের যে ফিতরাত বা সুন্নাত জগতশৃঙ্খলার প্রকৃতিসমূহকে পরিচালনা করে, তার সাথে আল্লাহর কালাম বা কোরআনে প্রতিফলিত ফিতরাত বা শরিয়তের সামঞ্জস্য প্রশ্নাতীত। কিন্তু মানুষের সহজাত প্রকৃতি থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করার ফলে যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তা থেকে উত্তরণের পথ খোলা রয়েছে। সঙ্কটের মূলে যেহেতু পশ্চিমের ইতিহাস থেকে জন্ম নেয়া জীবনের প্রান্তিক দর্শন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা, তাকে তাই পরিষ্কার করতে হবে।
৫। ২০২৪ এর অভ্যুত্থান আপাতত আমাদের সামনে রাষ্ট্রের যে বিনির্মাণের সুযোগ নিয়ে হাজির হয়েছে, তা হলো সাংবিধানিক ও কাঠামোগত রূপান্তর। আমরা রাষ্ট্র বলতে সর্বোচ্চ দুইটা ব্যবস্থা নিতে পারি : এক. রাষ্ট্র হবে বুর্জোয়া ডেমোক্র্যাটিক। যাকে বলা হয় গণ-অভিপ্রায়ের সার্বভৌম রূপ। আমরা যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষার একটা দলিল লিখতে পারি, জনগণের জন্য একটা গঠনতন্ত্র বানাতে পারি, তাহলে আমরা ঐতিহাসিকভাবে অন্তত রাষ্ট্রকে নিজেদের কর্তাসত্তার রূপে রূপ দেয়ার সুযোগ পাবো। দুই. আমরা এই রাষ্ট্রকে এমন একটা ‘পর্যায়’ প্রদান করতে পারি, যার মধ্যে জনগণ-সামষ্টিক ও রাজনৈতিক অর্থেই তার রেভুলেশনারি স্পিরিট রিমেইন করার ক্ষমতা সম্পন্ন থাকবে। সে চাইলেই তার ঐতিহাসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক বিকাশের সফরের মধ্য দিয়ে নিজেকে সর্বদাই রাষ্ট্র হিসাবে কায়েম করার সুযোগ পাবে।
কিন্তু এটা কোনো শেষ গন্তব্য নয়। আমাদেরকে পশ্চিমের ইতিহাস থেকে জন্ম নেয়া রাষ্ট্রচিন্তার হেজিমনিমুক্ত হতে হবে। ঔপনিবেশিক আইনের রিভিউ করে আইনব্যবস্থার নবগঠন নিশ্চিত করতে হবে। সমস্ত কিছুর লক্ষ্য হবে আদল-ইনসাফ। যা জনআকাঙ্ক্ষা ও গণচেতনা ও সামাজিক স্বভাবকে গঠনের মধ্য দিয়ে ফিতরাত বা প্রকৃতির সেই স্বাভাবিকতার গন্তব্যে উপনীত হবে, যেখানে আমরা সব কিছুকে দাঁড় করাব সত্য ও সর্বজনীন কল্যাণের সহজাত শৃঙ্খলার ওপর।
লেখক : কবি, গবেষক
72.alhafij@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা