আর্থিক খাত সংস্কারের রূপরেখা
- ড. মো: মিজানুর রহমান
- ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮
দেশে একটি অবিশ্বাস্য বৈপ্লবিক পরিবর্তন এলো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পতন ঘটল।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পরে ইদানীং চার পাশ থেকে ধ্বংসের যে তথ্য-উপাত্ত সামাজিক ও গণমাধ্যমে আসছে তাতে বিস্ময় সীমা ছাড়াচ্ছে। বিগত সরকার যে কেবল দেশের সম্পদ লুট করেছে তা নয়, দেশের পুরো সিস্টেমটাই ধ্বংস করে গেছে। এরকম পদ্ধতিগত দুর্নীতির নজির বিশ্বে আর কোথাও নেই। আক্ষরিক অর্থে এ ক্ষতির পরিমাপ করা কঠিন। আর্থিক ক্ষতির পরিমাপ করা যাবে; কিন্তু দেশের গভর্নেন্সের মূল পিলার, জবাবদিহি, স্বচ্ছতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বাধীনতার প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেভাবে জঘন্য ও অভিনব কায়দায় ম্যানিপুলেট করা হয়েছে, সে ক্ষতি মাপা কঠিন। আর্থিক ক্ষতি হয়তো একসময় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে, তবে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থার যে ধ্বংস তা পুষিয়ে নেয়া কঠিন হবে।
গত ১৫ বছরের স্বৈরশাসক তিলে তিলে রাষ্ট্রের মৌলিক স্তম্ভ যেমন- আইন, নির্বাহী ও বিচার ব্যবস্থাসহ চতুর্থ স্তম্ভ বিবেচিত গণমাধ্যমকে ব্যাপকভাবে দলীয়করণ করেছে। ফলে এক দিকে যেমন অযোগ্য লোকদের অসৎ বানিয়ে দেশ শাসন করেছে, তেমনি যোগ্য লোকদের ডাম্পিং করেছে। পরিণতিতে এই সরকারের পতনের পর একযোগে রাষ্ট্রের সমস্ত সেক্টরে মাথাগুলোসহ সমস্ত অপরাধী পালিয়েছে। এই মুহূর্তে ওই সব প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দেয়ার মতো লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
১৫ বছরে অর্থনীতি ও ব্যাংকিং সেক্টরের ক্ষতি
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কেবল নড়বড়ে নয়; বরং ধ্বংসপ্রাপ্ত। উন্নয়নের নামে প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ কোটি টাকার দেশী-বিদেশী ঋণ, ১২ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার, দুই লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ এখন এ জাতির ঘাড়ে। শেয়ারবাজার ধ্বংস অনেক আগেই। বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার কমে যাচ্ছে। করোনা মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে প্রবৃদ্ধির হার কমছে। এ হার বাড়াতে বাংলাদেশের মৌলিক তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে আছে টেকসই বিনিয়োগ বাড়ানো, দক্ষতা অর্জন ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন জোগান নিশ্চিত করা। জাতিসঙ্ঘের মানদণ্ডে ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার কথা, সেই সম্ভাবনা কমে আসছে। জিডিপির পুনরুদ্ধার কার্যক্রম অনেকটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। বিদায়ী বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নিচে। এ দিকে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও স্থানীয় মুদ্রার মান কমায় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ডলারের হিসাবে কমেছে। তবে বেড়েছে টাকার হিসাবে।
এ দিকে বাংলাদেশে জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ১২ শতাংশে উঠেছিল। বাস্তবে হয়তো আরো বেশি। মূল্যস্ফীতির হার কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদের হার সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে নিয়ে যাবে। এতে ব্যাংকগুলোরও ঋণের সুদহার বাড়বে। একই সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকের ধার করার খরচ বেড়ে যাবে। ফলে বাজারে টাকার প্রবাহ কমে মূল্যস্ফীতির হার কমে আসবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে।
আর্থিক সূচকে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশ করা জেড-স্কোরে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের প্রাপ্ত নম্বর হলো ৭ দশমিক ১। অথচ নেপাল ও ভুটানের মতো ছোট দেশগুলোর নম্বর ২৭। এমনকি উগান্ডার জেড-স্কোর ১৩ দশমিক ৯; খেলাপি ঋণের হারও ৫ শতাংশের নিচে। বাংলাদেশের খেলাপি ঋণ ১২ শতাংশ। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিং প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ঋণমান ‘বিবি মাইনাস’ থেকে কমিয়ে ‘বি-প্লাস’ করেছে। বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে, সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের ঋণমান কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের ক্রেডিট রেটিং হ্রাসের বিষয়টি বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর প্রভাবে বৈদেশিক সহায়তা ও ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ফলে দীর্ঘমেয়াদে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বিশ্বের বড় ব্যাংকগুলো যেকোনো দেশের ঋণপত্র খোলার আগে সে দেশের ‘কান্ট্রি রিস্ক’ ও ‘ক্রেডিট রিস্ক’ আমলে নেয়। একই সাথে আমলে নেয়া হয় ব্যাংক খাতের জেড-স্কোরকেও। বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের জেড-স্কোরের মতোই কান্ট্রি রেটিংও দুর্বল। ব্যাংক খাতের এ দুরবস্থার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনেক দুর্বল অর্থনীতির দেশের তুলনায়ও খারাপ বাংলাদেশের অবস্থা। ঋণপত্রের গ্যারান্টি বাবদ প্রায় ৪ শতাংশ কমিশন নিচ্ছে বিদেশী ব্যাংকগুলো। যদিও বাংলাদেশের সম-অর্থনীতির অনেক দেশের ক্ষেত্রে কমিশন ১ শতাংশেরও কম। এলসি কমিশন বেশি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। প্রতিযোগী দেশের তুলনায় পিছিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসায়িক সক্ষমতাও।
খেলাপি ঋণের পরিমাণ দুই লাখ ১১ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা বিতরণকৃত ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ। বিভিন্ন মেকানিজম করে এই অবস্থায় আনা হয়েছে, বাস্তব ঋণের পরিমাণ আরো অনেক বেশি। দেশের অর্থ উপদেষ্টা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুষ্টের পালন শিষ্টের দমন করছে। ব্যাংক খাত ভঙ্গুর অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক দুষ্টু ব্যাংক মালিকদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে।
অর্থনীতি মেরামতের রূপরেখা
অর্থনীতির যে ক্ষতি ১৫ বছরে হয়ে গেল তা মেরামতের তাৎক্ষণিক, স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। তাৎক্ষণিক মেরামতের কাজ করে অর্থনীতিকে সচল করতে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে সেগুলো পূরণ করতে হবে যোগ্য জনবল নিয়োগ দিয়ে। আইন ও নিয়ম-কানুন সংস্কার এবং নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যেম অর্থনীতির সংস্কার করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের আস্থায় আসার জন্য এখনই কিছু দৃশ্যমান কাজ করতে হবে। প্রথমেই হাত দেয়া যায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। মূল্যস্ফীতি আপামর জনসাধারণকে স্পর্শ করে, সুতরাং এর মাধ্যমে বেশির ভাগ জনগণ উপকৃত হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পণ্য সরবরাহ বাড়াতে হবে উৎপাদন অথবা আমদানির মাধ্যমে। পাশাপাশি ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরের টাকাগুলো ব্যাংকে আনতে হবে। তবে আপাতত পণ্যের সাপ্লাই চেইন মেরামত করে মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। উৎপাদক থেকে পণ্য ভোক্তা পর্যন্ত পণ্য আসতে পথে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি হয়, যার পরিমাণ পণ্যের দামের একটি উল্লেখযোগ্য হার। পাশাপাশি পণ্যের বাজারে সক্রিয় সিন্ডিকেট কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বাড়ায়। এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। এর জন্য শুরুতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে হাত দিতে হবে।
প্রাথমিকভাবে সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত হলো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কর্মী। সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে পুলিশ। এখন যেহেতু কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় নেই এবং পুলিশ বেকায়দায়, সুতরাং সিন্ডিকেট এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করা সহজ হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি নয়। সুতরাং এই সরকারের পক্ষে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতে পারে; কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপ দিয়ে বাজারমূল্য কমানো কঠিন হতে পারে যদি তাদের আচরণের পরিবর্তন করা না যায়। তবে ওই কলিউসিভ বিহেভিয়ারটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসা যায় তা হলে সম্ভব হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট প্লেয়ারদের সবাইকে একসাথে টার্গেট না করে বরং একে একে টার্গেট করতে হবে।
নতুন আয়কর আইন তৈরি করার পাশাপাশি ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করা দরকার যেন ব্যাংক খাতে সুশাসন সৃষ্টি হয় এবং রাজস্ব আয় বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়। ব্যবসায় থেকে রাজনীতি আলাদা করা যায় কি না সে বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে। গত ১৬ বছরে দেশে বেশ কিছু অলিগারক সৃষ্টি হয়েছে যারা একাধারে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, মিডিয়া নিয়ন্ত্রক থেকে দেশের আইন, বিচার এবং নির্বাহী বিভাগ নিয়ন্ত্রণ তথা সরকারকেই নিয়ন্ত্রণ করেছে।
দেশের রফতানি কেবল গার্মেন্ট ব্যবসার ওপর নির্ভর না করে বহুমুখীকরণ করতে হবে। জরুরি পণ্য ছাড়া বিলাসবহুল আমদানি বন্ধ এবং দেশের শিল্পকে সহযোগিতা দিয়ে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। দেশের জ্বালানি পণ্য উত্তোলনের উদ্যোগ নিয়ে জ্বালানি আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। আমদানি-রফতানিকারকদের ওভার এবং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রাপাচার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রবাসী আয় দেশের অন্যতম নির্ভরতার জায়গা। ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশে জনবল পাঠানো সহজ এবং সস্তা করতে হবে। প্রশিক্ষিত জনগণকে বিদেশে পাঠাতে হবে। ১৬ বছরে সরকারদলীয় প্রার্থীদের অর্থসম্পদ তাদের পূর্বঘোষিত সম্পদ থেকে বহুগুণ বেড়েছে। বাস্তব অবস্থা আরো বিস্ময়কর, চমৎকৃত ও আশ্চর্যজনক। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দুর্নীতিবাজদের সম্পদের বিশ্লেষণ করা। দুর্নীতি দমন কমিশনেরও বিষয়টি নিয়ে কাজ করা দরকার।
ব্যাংকিং সেক্টরের অবস্থা
অর্থনৈতিক সেক্টরের সবচেয়ে বড় ব্যাংকিং সেক্টর। এখানে আধুনিক কায়দায় লুটপাট করা সম্ভব। জমি দখল, বাড়ি দখল, অফিস দখল ইত্যাদিতে যে ঝক্কিঝামেলা রয়েছে আধুনিক জমানায়, সরকারের ছত্রছায়ায় ব্যাংক লুট করা এবং টাকা বিদেশ পাচার করা অনেক সহজ। বাংলাদেশে হয়েছেও তাই। বাহ্যিকভাবে ব্যাংক দখল ২০১৬ সালে শুরু হলেও তার গোড়াপত্তন হয় আরো আগেই। আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার প্রথম পদক্ষেপ ছিল ২০১১ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলোপ করা। ওই বছরেই রাজনৈতিক বিবেচনায় তাদের নেতাদের ৯টি নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়, যার ছয়টি ছিল দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক লুটেরা এস আলম গ্রুপের। শুরু হয় আরো ব্যাংক লুটের মহাপরিকল্পনা, শুরুতে জামায়াতমুক্ত করার নামে দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক দখল করে। পর্যায়ক্রমে আরো অনেক ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স, লিজিং কোম্পানি দখলে নেয়। এসব লুটতরাজে সরকারের ইন্ধন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতা ছিল। ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে ব্যাংকগুলোকে পারিবারিক ব্যাংকে রূপান্তর করা, খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ না করার পথ তৈরি করা, মূলধন লুট হয়ে যাওয়া ব্যাংকগুলো উদ্ধারের নামে জনগণের ট্যাক্সের টাকা প্রদান করা, টাকা ছাপিয়ে লুট হওয়া ব্যাংকগুলোর তারল্য ঠিক রাখা ইত্যাদি তার অন্যতম।
এক কথায় ব্যাংকিং এবং ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরে গত ১৫ বছরে কবর রচিত হয়েছে। এ যেন একটা লুটপাটের রাজত্ব চলছিল। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো ঋণ নেয়া, যেকোনো সময় ইচ্ছামতো নীতি পরিবর্তন করে সুবিধা নেয়া, ঋণের টাকা সরকারের উচ্চ মহল থেকে অনেক নেতার মধ্যে বণ্টন করা, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে সম্পদ গড়া যেন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে ওঠে। সরকারের উচ্চ মহল থেকে শুরু করে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত সব শ্রেণীর নেতাকর্মী পুরো দেশকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলে।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা