১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
দেশ জাতি রাষ্ট্র

‘জনগণের মন জয় করুন’

‘জনগণের মন জয় করুন’ - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ বিপ্লব পরবর্তী সঙ্কট সময় অতিক্রম করছে। শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণবিপ্লবে পরিণত হয়। বিকারগ্রস্ত স্বৈরতন্ত্রের ধারক শেখ হাসিনা পলায়ন করে জনতার রুদ্র রোষ থেকে জীবন রক্ষা করেন। সমসাময়িক পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি অনন্য সংযোজন। পৃথিবীর তাবৎ ইতিহাসে এ রকম রক্তাক্ত গণআন্দোলনের রেকর্ড বিরল।

বিপ্লব মানেই ‘নিয়ম-কানুন-শৃঙ্খল’ ভেঙে সব কিছু লোপাট করার ইতিহাস। প্রকৃতপক্ষেই এই গণ-আন্দোলন প্রসূত ঘটনাবলি বিপ্লবের সাক্ষ্য দেয়। ১৯৭৯ সালে ইরানের স্বৈর সম্রাট রেজাশাহ পাহলভির মেশিন গানের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল লাখো মানুষ। বাংলাদেশের এই গণবিপ্লবে সহসাই নির্ভীকচিত্তে বুক পেতে দিয়েছে আবু সাঈদরা। শেখ হাসিনার রক্ত পিপাসার জবাব দিয়েছে শপথ দীপ্ত সাধারণ মানুষ। উচ্চারিত হয়েছে, সেই অমোঘ উক্তি- ‘মুক্তি অথবা মৃত্যু’। শিশু, কিশোর, যুবক, শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর এক-কথায় আপামর জনসাধারণ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে গণবিপ্লবকে সফল করেছে। জন আকাক্সক্ষার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বৈরাচার নিপীড়িত একজন মহৎ মানুষ, বাংলাদেশের গৌরব, নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। স্বৈরতন্ত্রের তখতে-তাউস ভেসে গেলেও তার প্রোথিত ১৫ বছরের বিষবৃক্ষ উৎপাটন অতো সহজ নয়। তাই দেখা গেছে প্রতিবিপ্লবী প্রবণতা।

প্রতিবিপ্লব মানেই গণবিপ্লবের বিপরীতমুখিতা। ফরাসি দার্শনিক কদরসে গণমানুষের অর্জিত আকাক্সক্ষাকে ভণ্ডুুল করে দেয়ার পতিত শক্তির ষড়যন্ত্রকে বোঝাতে এ পরিভাষাটি ব্যবহার করেছেন। মার্কসীয় দৃষ্টিতে প্রতিক্রিয়াশীল শ্রেণীর সেসব সক্রিয় কার্যক্রমকে বুঝিয়েছেন যার মাধ্যমে তারা পুরোনো অচল ব্যবস্থার সংরক্ষণ এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠা চায়। বাংলাদেশের ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনটি বিপ্লবের সব গুণাবলি ধারণ না করলেও বিপ্লবী গতি-প্রকৃতি বহন করে। এই তাত্ত্বিক বিতর্কের বাইরে আমরা গণবিপ্লব পরবর্তী পরপর এমন কয়েকটি ঘটনাবলি লক্ষ করলাম যা প্রতিবিপ্লবী বা গণবিরোধী কার্যক্রমের প্রমাণ দেয়। প্রথমত আমরা লক্ষ করলাম শেখ হাসিনা লালিত পুলিশ বাহিনী যাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সতত আনুগত্য প্রকাশ করার কথা প্রকারান্তরে তারা বিদ্রোহ করে বসল। তাদের কাজে যোগদানে তথা শৃঙ্খলা বিধানে প্রফেসর ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হিমশিম খেতে হয়। দ্বিতীয়ত, হাসিনা নিয়োগকৃত আপিল বিভাগের বিচারপতিরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈধতার সঙ্কটে ফেলতে চেয়েছিল। তৃতীয়ত আনসার বিদ্রোহ। সচিবালয় ঘেরাও করে তারা দাবি আদায়ের নামে সরকারকে অচল করতে চেয়েছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের সাহসী সন্তানরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়। শিক্ষার্থীরা রাজপথের শৃঙ্খলা বিধানে যেভাবে এগিয়ে এসেছিল তা এককথায় নজিরবিহীন। দেশের মানুষ তাদের এই ত্যাগ তিতিক্ষার কথা দীর্ঘকাল মনে রাখবে। সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে এসেছিল তারাই যারা গণবিপ্লবের সূচনা করেছে। অবশেষে আনসার বিদ্রোহ মোকাবেলায় আবারো তারা হস্তক্ষেপ না করলে অঘটন ঘটতে পারত।

শিক্ষার্থীদের এই সাহসী ভূমিকায় পরিপূরক হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেমন সক্রিয় ছিল তেমনি সরবে ভূমিকা রেখেছে গণবিপ্লবের ভিত্তিভূমি রচনাকারী রাজনৈতিক দল ও নেতারা। বিপ্লবের বিজয়লগ্নে তথা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথের প্রথম দিন থেকে আজ অবধি রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের সতত সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। এতে জাতীয়তাবাদী শক্তি, ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো ও বাম ধারার অর্থাৎ সব পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি যেহেতু ভবিষ্যৎ নির্বাচিত সরকারের সম্ভাব্য প্রতিনিধি সেহেতু তারাও ছায়া সরকারের ভূমিকা পালন করছে। এতদসত্ত্বেও গণবিপ্লবের অব্যবহিত পরপর কিছু দুঃখজনক ঘটনা ঘটে।

কিছু বিপথগামী লোক কোনো কোনো ক্ষেত্রে লুটপাট চালায়। যে জনগণ বিজয় উল্লাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করে। কী বিস্ময়ের ব্যাপার, তারা ফিরে যাওয়ার সময় হাতে যা পেয়েছে, ঘটি-বাটি-থালা-লাঠি সব কিছু নিয়ে গেছে। জনপ্লাবনের মধ্যেও বিবেকবান মানুষের ভূমিকা ছিল। তারা বাধা দিয়েছে। পরে যখন ছাত্র সমাজ আবেদন জানিয়েছে তখন কেউ কেউ স্ব-উদ্যোগে নিয়ে যাওয়া মালামাল ফেরত দিয়েছে। পরবর্তী কয়েক দিন রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র কিছু দুষ্কৃতকারী লুটপাট চালায়। সন্দেহ নেই কিছু প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার কর্মকাণ্ডও ঘটে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক এই যে, কোনো দল বা গোষ্ঠীর নাম দিয়ে কতিপয় ব্যক্তি কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে চাঁদা আদায় করে।

রাজনৈতিক নেতারা এসব অন্যায় আচরণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করেন। তবে বিপ্লব-পরবর্তী সহিংসতা সীমালঙ্ঘন করেনি। বিপ্লবের পরপরই অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতা সত্ত্বেও ভার্চুয়াল বক্তব্য দেন। তিনি সবাইকে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজয় উদ্দীপ্ত জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেন। প্রতিশোধ এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ না হতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নেতাকর্মীদের ঢাল হিসেবে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ১৯৭১ এবং ২০২৪-এই দুই মুক্তিযুদ্ধেই জনগণের বার্তা একটি। তা হলো- শর্ত দিয়ে স্বাধীনতা হয় না। স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ স্বাধীনতা অর্জন এবং স্বাধীনতা রক্ষায় কোনো শর্ত মানে না। হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার গৌরবকে কালিমাযুক্ত করার ষড়যন্ত্র এরই মধ্যে আবারো শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র উত্তরণের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

ধর্ম-বর্ণ পরিচয়ের কারণে কেউ যাতে নিরাপত্তাহীনতায় না থাকে, সবার আগে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্রোহ ও পলায়নপর পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পুলিশ অপরিহার্য। পুলিশ জনগণের শত্রু নয়; বরং হাসিনা নিরাপদে ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, পুলিশের ভেতরে একটি চক্র ছাড়া বেশির ভাগ পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্য চাকরিবিধি এবং দেশের আইন মেনেই দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে একটি চক্র পুলিশের মনোবল ভেঙে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করতে চাইলে তাকে ধরে আইনের হাতে তুলে দিন। কোনো পুলিশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ নিয়মে অভিযোগ করুন। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দয়া করে নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না। প্রতিহিংসা, প্রতিশোধে লিপ্ত হবেন না। বিচারের ভার নিজ হাতে দয়া করে নেবেন না।

কেবল দৃষ্টান্ত অনুসরণ নয়, নিজেই দায়িত্বশীলতা ও মানবাধিকারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। নৈরাজ্যের পতনে নৈরাজ্য কোনো সমাধান হতে পারে না। প্রশাসনকে সময়োপযোগী করে গড়ে তোলা এখন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দাবি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষ্যে নিয়োগ কিংবা পদোন্নতিতে মেধাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। নাগরিক হিসেবে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হিংসা-প্রতিহিংসা নয়, আসুন সবাই মিলে রাষ্ট্র ও সমাজে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার শপথ গ্রহণ করি। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি দুর্নীতিমুক্ত, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ আমরা গড়ে তোলার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।’

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বাংলাদেশের সুমহান ঐতিহ্য। সুপ্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশীরা কখনোই ঔদার্য, পারস্পরিক শুভেচ্ছাবোধ ও অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা হারাননি। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপর্যুপরি আহ্বান সত্ত্বেও গণমাধ্যমে কিছু নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিএনপি বিভিন্ন অভিযোগে এমনকি নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে বিবাদ-বিসম্বাদে লিপ্ত হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদ এরকম :

ক. ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, লুটপাট ও জবরদখলের অভিযোগ উঠে। বিএনপি তাকে শোকজ করে।

খ. পঞ্চগড়ে বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সদরের মাগুড়া ইউনিয়নের দলুয়া বাজারে আঞ্চলিক সড়কে ওই নেতার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী।

গ. মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে উপজেলায় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে লুটপাট ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে সিঙ্গাইর থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

ঘ. নীলকমল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির নেতৃত্বে শতাধিক লোক ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালায়। হামলাকারীদের তাণ্ডবে চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।

ঙ. খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এবং ২নং কপিলমুনি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ আগষ্টের পর কপিলমুনি বাজারে ডাবলুর নির্দেশনায় শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সিসি টিভি ফুটেজ নষ্ট করার জন্য হার্ডডিস্ক এবং ২০০ মানুষের মোবাইল ভেঙে ফেলা হয়েছে।

চ. খুলনা জেলা বিএনপির সদস্যসহ ছয় নেতাকে লুটপাটের অভিযোগে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে।

ছ. জনপ্রিয় একটি দৈনিকে ‘পরিবহনে চাঁদাবাজির হাতবদল’ শিরোনামে একটি বড় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় গত ২২ আগষ্ট ২০২৪। প্রকাশিত সংবাদে অভিযোগ করা হয়, সরকার পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে। পরিবহন সমিতিগুলোর অফিস এখন বিএনপি নেতাদের দখলে। শুধু পরিবহন খাত নয়, সব সেক্টর থেকে একই অভিযোগ আসছে। বিএনপি নেতারা অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ অস্বীকার করছেন।

এ ধরনের অভিযোগ প্রতি অভিযোগে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপি নেতারা বিব্রত। তারা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন এ ধরনের অন্যায়-অপকর্ম থেকে নেতাদের বিরত থাকতে। এ ধরনের অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি নির্দেশনামূলক বিবৃতি দিয়েছেন। সারা দেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও শুভাকাক্সক্ষীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেছেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের পথ ধরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। সেই নির্বাচনে জনগণের রায় পেতে জনগণের মন জয় করুন। জনগণের বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করুন।’

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com

 


আরো সংবাদ



premium cement