পাছে লোকে কিছু বলে
- ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ
- ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩২
কবি কামিনী রায় (১৮৬৪-১৯৩৩) সমকালীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় সংশয় সন্দেহের দোলাচলে দেশবাসীর আশা আকাক্সক্ষার গুড়েবালি দেয়া পরিবেশ পরিস্থিতির মানসচিত্র তুলে ধরেন আজ থেকে প্রায় শতবর্ষ আগে লেখা তার ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতায়।
বংশীপুরের বিধুভূষণ ব্যানার্জিদের আট ভাই ও পাঁচ বোনের সংসারে সমস্যার যেন শেষ নেই। একটা না একটা ঝামেলা লেগে আছে। বাড়ির বড় কর্তা বিধিভূষণ আর তার স্ত্রী সুশীলা দেবী কিভাবে সংসারের হাল ধরে আছেন না বলে সবাই বলাবলি করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে নানান ফন্দি ফিকির এঁটে চলেছেন। বোনদের সবার বিয়ে হয়েছে। তাদের ঘরে সন্তান সন্ততির সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। আর আট ভাই তো যে যার মতো বড় করছে তাদের এখতিয়ার ও তালুক। কিন্তু বড়দা ও বৌঠানের ওপর ভাই বোনদের অপ্রকাশযোগ্য অভিযোগ অনুযোগের যেন শেষ নেই। সবার মুখে কুলুপ আঁটা। কেউ কোনো অভিযোগ প্রকাশ্যে আনতে পারে না। বাইরের কারো কাছে বলতে গেলেও খোটা শুনতে হয়। গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত বসন্ত হোক সবসময় একটা ‘ঠাণ্ডা’ যুদ্ধ, অত্যন্ত ঘরোয়া পর্যায়ে বিদ্যমান। ব্যানার্জিদের বাড়ির বাইরে দূরের কথা ঘরের বারান্দা পর্যন্ত নানান নিরাপত্তা আইনের মতো ভয়ে সে ক্ষোভ, নিন্দা ও হিংসা প্রকাশ পেতে পারে না। কারণ তারা বাড়ির বড় কর্তা ও কর্ত্রীর কূটচাল ও চরিত্রের ধারেকাছে ভিড়তে পারে না। বাড়ির বড় কর্তা যতটা না করিৎকর্মা সংসার কূটচালে সুশীলা দেবী তার চেয়ে এক কাঠি সরেস। এর ওপর আছে পারিবারিক বা গৃহপালিত দু’জন মুখপাত্র নান্টু আর বল্টু- তারা শরিকের কারো কোনো কথা মাটিতে পড়তে দেয় না, মুখ ভেংচিয়ে আর টেনেটেনে শব্দ বের করে কথা বলে। নিজেদের কাজের কোনো কথা নেই, কর্তা-কর্ত্রীর পক্ষে সাফাই গাওয়াই যেন তাদের বিধিবদ্ধ দায় ও দায়িত্ব।
বড় সমস্যা ব্যানার্জিদের চার পাশের প্রতিবেশীদের সাথে এ পরিবারের শরিকদের সম্পর্ক সবসময় সমান সখ্যতায় থাকে না। তাদের কারণে ব্যানার্জিদের জমি জমার ভাগাভাগি, পশুপাখি, জলাধার, ধন দৌলত, ধান-চালের শরিকানা দেয়া নেয়া নিয়ে, সংসারের কেন্দ্রীয় আয় উপার্জনের হিসাব কিতাব নিয়ে বাকি সাত ভাই ও পাঁচ বোন পেরে ওঠে না। বিধুভূষণ ব্যানার্জিকে ঘরে বাইরের সবাই বড় কর্তা বলে মানে, আর বড় বৌঠানের প্রতি সবার সম্মান সমীহ সেই তার এ সংসারে আসার দিন থেকে অর্থাৎ ব্যানার্জি বাড়ির বড় বৌ হিসেবে তাকে সবাই ভয় ও প্রেমে অনুকরণীয় বলে মনে করে। কেননা সুশীলা যখন নববধূ হিসেবে এ বাড়ির চৌকাঠ মাড়ায়, সেই থেকে তার মধ্যে ঠাকুরপো ঠাকুর ঝিদের প্রতি টান যেন বেশি ছিল। সবাই তাকে সে মর্মে মর্যাদার আসনে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এখন সেই বৌঠাকুরান তাদের কাছে মায়া মমতাহীন কর্তৃত্ববাদী বলে মনে হয়। ক্ষমতার লোভে, স্বার্থের টানে প্রিয়জনকে কেন যে তিনি দূরে সরিয়ে দিতে তৎপর, শরিকের অন্যদের তা বুঝে আসে না।
বিধুভূষণ-সুশীলার ঘরে যেদিন তাদের বড় মেয়ে নবনীতা মায়ের কোলজুড়ে আলো করে আসে সে দিন ব্যানার্জি পরিবারে প্রবল আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়, এ পরিবারের প্রথম প্রজন্ম নবনীতাকে আজকাল অঘোষিত নেত্রী হিসেবে সবাই যুগপৎভাবে ভয় ও ভয়মিশ্রিত প্রেমে প্রশ্রয় দিচ্ছে।
ব্যানার্জিদের স্থাবর অস্থাবর সহায় সম্পত্তিতে ভাগ বাটোয়ারায় প্যাঁচ লেগে গেছে। আগেকার জমানায় নায়েব বরকন্দাজদের যেভাবে ম্যানেজ করা যেত; এখন সেভাবে তাদের সে অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে না। আগে তহশিল অফিসে নথি দলিল পরচা খতিয়ান একটি কঠোর নিয়ম মেনে মেইনটেইন করা হতো। এখন ভূমি প্রশাসনে বড় কর্তার সংখ্যা যত বাড়ছে, দলিল দস্তাবেশ সংরক্ষণ ও রেজিস্ট্রি, নামজারির পদ্ধতি যত ডিজিটালের পথে রয়েছে তত ম্যানুয়াল ফন্দিফিকির শুরু হয়েছে। বড় কথা দলিল দস্তাবেজে রেকর্ডপত্র যথাস্থানে থাকছে না। একজনের জমি নানাজনের নামে খতিয়ান খুলে দেয়া হচ্ছে। সূত্র বা ধারাবাহিকতা ঠিক রাখার বালাই নেই, সিএস, আরএস, বিএস, জরিপ নামীয় গোত্র গুষ্ঠীভুক্ত করতে গিয়ে, শ্রেণী পরিবর্তনের নামে ঘাটকে আঘাট করা হচ্ছে, সাইলকে সিকস্তি, সিকস্তিকে জলাবন্দী সাব্যস্ত করা চলছে হরহামেশা। এর ফলে সাধারণ রায়ত পড়ছে নানান বিপাকে, ভূমিদস্যুরা সে সুযোগে জমি দখল বেদখল করে চলছে। ইদানীং ভূমিহীনদের খাসজমি বাড়িঘর পাইয়ে দিতে গিয়ে ভূমি কর্তাদের নীলচাষি জমিদারি মনোভাব দেখার মতো। রানীমাতার নামে আরো জমি চাই আরো ঘর বর ও বাড়ি দেয়া চাই। পক্ষ-বিপক্ষের কাছ থেকে টাকা হাতানোর এ স্বাধীন ও অবাধ সুযোগ হাতছাড়া করতে কেউ চায় না।
মানিকখালির হরেন মণ্ডলের এক দাগে পাঁচ বিঘা জমি ছিল শোরা মৌজায়। এসএ খতিয়ান থেকে আরএস খতিয়ানে তোলার সময় তার পাঁচ শরিকের নাম সেখানে ঢুকে পড়ে। হালে বিএস খতিয়ান ও জরিপকালে পাঁচ বিঘার জমি রেকর্ড হয়েছে মোট ১২ জনের নামে। কার কোন অংশ তার চৌহদ্দি বণ্টননামা খতিয়ানে নির্দিষ্ট করা যায়নি। এখন এ ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনের কাছ থেকে রমজান নগরের করিম শেখ সাড়ে চার বিঘা জমি লিখে নেয়। বাকি আধা বিঘা জমি নেয় হরিনগরের নগেন মাঝি। এখন বাকি শরিকদের একজন সুরেন মণ্ডলের থেকে একই দাগে ষোল শতক জমি কিনতে চায় বংশীপুরের শশিভূষণ কাপালী। চতুর এবং চালাক নায়েব পয়সা খেয়ে যাকে তাকে জমির হালনাগাদ খাজনা রসিদ কেটে দিয়েছে। ১২ শরিকের এক শরিক পরানপুরের পরিমল কয়েক শতক জমি বিক্রি করার সময় মামলাবাজ মনসুর মাদবর ফারাজ অংশ হারাহারি সব কিছু মিলাতে গিয়ে দেখে জোতে আসলে জমি নেই। এখন নামজারির মোকদ্দমা (মিস আপিল কেস) আপত্তি দেয়া লাগবে একজনের জমি আরেকজন কিভাবে লিখে দেয়।
নবনীতা ইদানীং আইনজীবী পেশায় নাম লিখে সাতক্ষীরার আদালতে ব্যবহারজীবীর কাজ করে। হরেন মণ্ডলগংদের নামে শর্তের মামলা রজ্জু হয়েছে আদালতে। ওকালতনামায় সই করে সে শশীভূষণ কাপালীর পক্ষে। ‘ন্যায্য পয়সা দিয়ে জমি কিনতে গিয়ে এ কেমন জ্বালায় পড়লুম বাবু’। নবীনতা বললেন, ‘কাকাবাবু আপনি ভাববেন না। এ ধরনের ঝামেলা আমাদের পরিবারেও আছে। আমার কাকু জ্যাঠি পিশিরা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এমন তালগোল পাকিয়েছে যে, অবস্থাটা শুধু বংশীপুরের নয় স্বয়ং তালুক ভাগ বাটোয়ারার মতো ব্যাপার। ব্যানার্জিরা বনেদি মর্যাদাবান রায়ত, তারা জমি বিক্রি করতে যাবে না, জমি বিক্রি করার ইতিহাস তাদের নেই। তবে এ জমি সম্পত্তি সেখানে ব্যক্তির সাময়িক স্বার্থের লোভে নানান উপায় উপলক্ষে এমনভাবে এরে তারে দেয়ার চল চালু হয়েছে যে, হতভাগ্য শরিকদের জন্য পারিবারিক জোতে বা সম্পত্তিতে কোনো অংশ আর মিলবে না।
নবনীতা বিষয়টা একটু বড় পরিসরে ভাবতে বা দেখতে চায়। নবনীতা আইন ও সমাজ বিজ্ঞানের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ব্যানার্জি পরিবারের সম্পদ ও সৌভাগ্য বণ্টন প্রক্রিয়াকে সে একটি গোটা পরগনার সৌভাগ্যকে প্রতিপক্ষের কাছে নানান ফন্দিফিকিরে বিলি বণ্টন বন্দোবস্ত দেয়ার শামিল বলে উচ্চকণ্ঠ হতে চায়। তবে তার এ উচ্চারণ যেন পারিবারিক নিবর্তনমূলক কোনো আচার বিচার নীতি নিয়মের পরিপন্থী বা সাংঘর্ষিক না হয় সে ব্যাপারে তাকে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়। এত কড়াকড়ির মধ্যে ন্যায় ন্যায্যতার সপক্ষে স্বাধীন চিন্তা বা মুক্ত বুদ্ধিবিবেক কিভাবে বিকাশ লাভ করবে- নবনীতা ভেবে কূল পায় না।
ব্যানার্জিদের চারপাশে এক বা একাধিক শক্তিশালী প্রতিবেশী পরিবার। তারা বিধুভূষণদের দুর্বল করতে নিত্যনতুন ষড়যন্ত্রের জাল বুনে চলেছে। ভেতরের শরিকদের ক্ষোভ যন্ত্রণা যত বেড়ে ওঠে বিধু তত শক্তিশালী প্রতিবেশী পরান সরকারের দুয়ারে গিয়ে দাঁড়ায়। নিজের পৈতৃক সম্পত্তি ও স্বার্থ নিজেদের ভাই বোনের দিকে না তাকিয়ে সে একসময় চরম শত্রু ও প্রতিপক্ষ পরান বাবুকে আজ একটু কাল একটু করে দেয়। ব্যানার্জিদের দক্ষিণ সীমানা উন্মুক্ত, বিশাল বনরাজি। এ বনের অংশ পরান ও মুখুজ্জেদের অংশে আছে। মুখুজ্জেদের বনের অংশে ক্ষতিকর কিছু না করে ব্যানার্জিদের বন উজাড় করার এক ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়ে বিধুভূষণ। ভেতর থেকে সমস্যা যত গজায় পরানের সাথে দরকষাকষির শর্ত তত শিথিল হয়ে পড়ে, সে পরানের পুতুলে পরিণত হয়। ব্যানার্র্জিদের পরিবারের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব যত জিইয়ে থাকে পরান বাবুদের তত পোয়াবারো। পরান বাবুর কূটবুদ্ধির শিস্যরা ভিতরে ভিতরে বিধুর প্রতিপক্ষকে অনুকম্পা দেখানোর নাম করে তাদের আরো মারমুখী হতে উৎসাহিত করে। একদিকে বিরোধীদের সহায়তার নাম করে আবার অন্যদিকে বিধুকে তার পাশে থাকার আশ্বাস দেয়। দু’টি ক্ষেত্রে পরানের দখলদারিত্বের ইচ্ছা বেগবান হয়। তবে এ দখলদারিত্ব এখন ভৌতিক নয়, ভূরাজনীতির।
একবার বিধুর শখ হলো বড় একটা মেশিন বসিয়ে কারখানা করবে। ধুমঘাটের কয়ালদের সেই মেশিন আছে। পুরনো মডেলের হলেও দাম বড্ড বেশি। তারা প্রভাবশালী বটে। বিধু দেখল কয়ালদের সাথে দোস্তী পাতাবার এটা একটা বড় সুযোগ। একান্নবর্তী পরিবারে শরিকদের কাউকে কিছু না জানিয়ে সে নিজে নিজে কয়ালদের কাছ থেকে মস্ত মেশিন কিনে ফেলে।
ধুমঘাটের কয়ালরা দেখল মেশিনও বিক্রি হলো আবার বংশীপুরের বিধুদের সাথে হাত মেলাতে পারলে কাজে বা প্রয়োজনের সময় তাকে ব্যবহার করা যাবে। এ যেন হবে ভূরাজনীতির ভায়রা ভাই পাতানো খেলা। ব্যস যে কথা সে কাজ। যৌথ সংসারের সবার মতামত না নিয়ে, আদৌ এ কারখানা কোনো কাজে আসবে কি না তার অগ্রপশ্চাৎ না ভেবে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে কয়ালদের সম্মতি লাভার্থে বিধু মস্ত মেশিন কয়ালরা যে দামে গছিয়ে দিয়েছে তাতে রাজি হয়ে গেল। এখন এ মেশিন কেনা বা কোনো খুত ধরতে আই মিন দুর্নীতির গন্ধ শুঁকতে যাতে কেউ না আসে সে কারণে বিবিবি পরিবারের লাঠিয়াল সর্দার বা তার সাঙ্গপাঙ্গদের তদারকির দায়িত্ব দিলো। এ কাজে কাগজ-কলম ঠিক করে যারা দিলো তাদের হাতে রাখতে বড় বড় পদবিতে এনাম দিয়ে দিলো বিধু -সুশীলারা। এক ঢিলে দুই পাখি মারার এই বুদ্ধিটা সে নিয়েছে পাশের বাড়ির পক্বকেশ পণ্ডিতের কাছ থেকে। পাশের বাড়ির লোকেরা সবসময় চেয়েছে বিধুর সংসার তাদের অনুগত থাকুক। কেননা বিধুর সংসারে আগুন জ্বললে তার আঁচ তাদের ঘরে লাগতে পারে। গ্রাম্য রাজনীতি এমনই মজাদার যে শত্রু মিত্র হতে আর মিত্র শত্রুতে ভোল পাল্টাতে সময় লাগে না। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গের কৌশল সেখানে প্রায়ই প্রয়োগ হয়।
কিন্তু বংশীপুরের ব্যানার্জি পরিবারের অন্য সদস্যদের ভূতভবিষ্যৎ নিয়ে সবাই শঙ্কিত। তারা চেয়ে চেয়ে দেখছে, তাদের এখন পাছে লোকে কিছু বলে এ সংশয়ে তাদের সঙ্কল্প সদা টলটলায়মান, বিধু সংসারের সব সম্পদ সুযোগ সুবিধা নামে বেনামে পরিবারের চরম শত্রুদের এমনভাবে দিচ্ছে যে, একসময় দেখা যাবে তাদের জোতে ভোগ বা বিক্রি করার মতো আর কোনো জমি অবশিষ্ট নেই। ঘোড়ার আগে গাড়ি জোড়ার মতলব নিয়ে সে গোটা সংসার বা পরিবারকে ফতুর করে ফেলছে। পরের প্রজন্ম এসে পাবে একগাদা ব্যর্থতার বাজে তহবিল অগণিত দেনা আর অন্যের করায়ত্তে বন্ধক দেয়া জমি জিরাত। পরশ্রীকাতর প্রতিবেশীদের দাবার ঘুঁটি হয়ে বিধু-সুশীলাগংরা তাদের জন্য স্বস্তির কিছু রেখে যায়নি। বিধু এবং তার সাগরেদরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে হয়তো বাঁচবে; কিন্তু যারা ভেতরে থাকবে সেই বংশীপুরের ব্যানার্জিদের বনেদি পরিবারের দুঃখ দুর্দশা বেড়ে যাবে। যেমনটি তারা জ্যাঠাদের যুগে আগে ছিল। সময়ের অবসরে অনেক স্রোত গড়িয়েছে তাদের খোলপেটুয়া-মাউন্দো নদীতে।
লেখক : সাবেক সচিব, এনবিআরএর সাবেক চেয়ারম্যান
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা