২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কোটায় ক্ষতি : তদন্তের আগেই রিপোর্ট!

রিন্টু আনোয়ার - ছবি : সংগৃহীত

কোটাসংস্কার আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক প্রাণহানি, সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের কিছু অংশের তদন্তে নেমেছে বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় কমিশন। কিছু অংশ বলতে ১৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতায় ছয়জন নিহত এবং ৫ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তদন্ত করবে এই কমিশন। ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে কমিশনের প্রথম বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তথ্যটি জানিয়েছেন স্বয়ং বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামান। এ সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রমাণসহ ৬ আগস্টের মধ্যে সরাসরি বা ডাকযোগে বা ই-মেলে কমিশনের কাছে পাঠানো যাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঢাকার বাইরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। এর আগে, কোটাসংস্কার আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছয়জন নিহত হওয়া এবং সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানকে দিয়ে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। কমিশনকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার ইউনিট।

বলার অপেক্ষা রাখে না, পুরো ঘটনা না হলেও অনেক কাজ এই কমিশনের। কিন্তু, নানান কথার ফুলঝুরি এবং প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক মহলকে দোষী সাব্যস্তকরণের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির কাজ করে ফেলছে সরকার পক্ষ। সরকার ও সরকারি দলের শীর্ষ পর্যায়, পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর জায়গা থেকেও জোরগলায় বলা হচ্ছে, সহিংসতার যত কাণ্ড জামায়াত-শিবিরই করেছে। সহায়তা করেছে বিএনপি। আর যাবতীয় হুকুম বা নেতৃত্ব এসেছে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি নেতা তারেক রহমানের কাছ থেকে। তদন্তের আর বাকি থাকল কী? প্রশ্ন হলো, তদন্ত কমিটিরই বা এর বাইরে যাওয়া কতটা সম্ভব হবে?

পথে-ঘাটে উচ্চারিত ও আলোচিত এসব প্রশ্ন। বিএনপি এ আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে। সরকার তা মেনে নিয়েছে। আদালতের নির্দেশনাও আন্দোলনকারীদের পক্ষে। অর্থাৎ কোটার বিষয়ে সবার চিন্তাভাবনা একই। কোনো বিষয়ে আন্দোলনকারী, সরকার, বিরোধী দল এমনকি আদালত একমত হওয়ার এমন ঘটনা বাংলাদেশে একেবারে নতুন। সেখানে সমর্থনকারী একটি দলকে দোষী সাব্যস্ত করাও নজিরবিহীন। দোষী সাব্যস্ত করে এরই মধ্যে বিচারের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। বিএনপি নেতাদের সামনে ধরপাকড় করে বিচারের প্রাথমিক কাজ দ্রুতগতিতে চলছে।

জামায়াত নেতাকর্মীদেরও মোটামুটি সাফা করে ফেলা হচ্ছে। আন্দোলনে সমর্থন দেয়া আর নাশকতা যে এক নয়- তা আমল পাচ্ছে না সরকারের কাছে। এসবের মধ্য দিয়ে নতুন করে আরো জটিলতা পাকছে। আসছে পুরনো তিক্ত কথা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল এরই মধ্যে পাল্টা অভিযোগসহ পুরনো কিছু তেতোকথা টেনেও এনেছেন। বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারই নাশকতার মদদ দিয়েছে। এই ধরনের নাশকতা হোক, সমস্যা তৈরি হোক- এটা তারাই চেয়েছে। এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত চট্টগ্রামের আদালতে এক ব্যক্তির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতার নির্দেশে বাসে আগুন দেয়ার কথাও টেনে এনেছেন তিনি। সরকার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিষয়টি বাদ দিয়ে শুধু সরকারি স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা সামনে এনে বিএনপির ওপর দোষ চাপাতে চায় বলেও মূল্যায়ন তার।

এবারের আন্দোলনটি কোটা নিয়ে সূত্রপাত হলেও তা আর কোটাতে ছিল না- তা সামান্য বুঝজ্ঞানসম্পন্ন মানুষও বুঝেছে। এতে জনগণের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে। পুলিশসহ সিভিল প্রশাসনের অ্যাকশন ব্যর্থ হওয়ার পর সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এক অর্থে এটি দমন করতে পারা বা থামিয়ে দেয়া। নিয়ন্ত্রণ নয়, সমাধানও নয়। কোটা আন্দোলন থামাতে গিয়ে সারা দেশে কারফিউ, টানা কয়েক দিন সাধারণ ছুটি, ইন্টারনেট বন্ধ থেকেছে। এর পূর্বাপরে চলেছে প্রাণহানিসহ ধ্বংসলীলা। সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতিতে কত বড় ক্ষত তৈরি হয়েছে, এর জের কতদিন টানতে হবে- দুয়েক কথায় ধারণা করা অসম্ভব।

সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের সাথে একটা মতবিনিময় সভায় শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে ক্ষয়ক্ষতির একটি চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারপ্রধান জানান, বিটিভি ভবনে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের শতাধিক গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। সেখানে আগুন দেয়া হয়েছে। সেতু ভবনে দুইবার আগুন দেয়া হয়। সেখানে ৫০টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কার্যালয়ে হামলা করা হয়েছে। ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশন ভাঙচুর; দিয়াবাড়ি মেট্রোরেলের ডিপোতে হামলা; শনিরআখড়ায় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন ও ভাঙচুর; বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে হামলা ও আগুন; ধানমন্ডির পিটিআইয়ের অফিসে হামলা; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও শতাধিক গাড়িতে আগুন দিয়ে পোড়ানো; মহাখালীর ডাটা সেন্টারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সাবমেরিন কেবল নষ্ট করা হয়েছে। মহাখালী করোনা হাসপাতাল, পুষ্টি ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অধিদফতর, বিআরটিএ ভবনে আগুন দেয়া হয়েছে।

অবস্থাদৃষ্টে এখন হত্যা ও মৃত্যুর বিষয়টি উহ্য রেখে ক্ষয়ক্ষতি জানান দেয়ার এক মৌসুম চলছে। তা ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টদের প্রতিটি খাত থেকে আসছে ক্ষতির ভয়ঙ্কর তথ্য ও চিত্র। শুধু রফতানিমুখী তৈরী পোশাক, বিমান পরিবহন, স্টিল, সিরামিক, সিমেন্ট ও ই-কমার্স খাতেই প্রায় ১৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ সময়ে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।

১৮ জুলাই থেকে সহিংসতা শুরু হলে সে দিন রাতেই বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। এতে ইন্টারনেটনির্ভর সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই বন্ধ হয়ে যায়। সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হলে পরদিন রাত থেকে দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে সরকার। মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। সেই সাথে টানা ৩ দিন সাধারণ ছুটি। বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের কলকারখানা ও যানবাহন চলাচল। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরী পোশাক শিল্প। এর মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, তাদের প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এই খাতের ক্ষতির অঙ্ক প্রায় ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ই-কমার্স খাতসংশ্লিষ্টদের এই খাতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪২০ কোটি টাকা বলে দাবি । করোনার সময়ও এত ব্যাপক ক্ষতি হয়নি বলেও দাবি তাদের। স্টিল খাত থেকে দিনে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি দাবি করে ছয় দিনে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি করা হয়েছে। ইন্টারনেট-সেবা না থাকায় বিমানে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনসেবাও ব্যাহত হয়। সেখানে দিনে অন্তত ৮০০ কোটি টাকার ক্ষতি ধরে ছয় দিনে অন্তত ৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতির অঙ্ক ঠিক করা হয়েছে। সিরামিক খাতে প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি ধরে মোট ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে। সিমেন্টও অর্থনীতির বড় খাত। এই খাতে ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতি দাবি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ৯ হাজার একক কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হয়ে থাকে। প্রতি কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে বন্দরের চার্জ ৪৫ মার্কিন ডলার। এক দিনে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং বাবদ বন্দরের আয় কমেছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ও বাল্ক পণ্যেও প্রায় সমপরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে। ফলে প্রতিদিন বন্দরের আয় কমেছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। গত পাঁচ দিনে এই সংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি টাকা হতে পারে। পাঁচ দিনে বন্দর ও কাস্টমসের ক্ষতি প্রায় ১ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। কিছু খাতের ফাইনাল হিসাব এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সামনে হিসাবের অঙ্ক আরো অনেক গড়াবে, তা নমুনাই বলে দিচ্ছে। বিটিভিরই কমপক্ষে ৮০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অন্তত হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মেট্রোরেল, সেতু ভবন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বনভবন, পরিবেশ অধিদফতরসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি তো এখন প্রাথমিক বা খসড়া পর্যায়ে। এগুলো মেরামত বা সংস্কারে বাজেট-খরচ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, পিডি মহোদয়দের ক্রিয়াকর্ম শুরু হলে দেখা যাবে বাকিটা। কে কিভাবে কার হিসাব মেলাবেন সেই পরের বিষয় তো রয়েছেই। টাকার অঙ্কের বাইরে বাংলাদেশের ইমেজের যে সর্বনাশ হয়ে গেল সেটা উদ্ধার কি টাকা দিয়ে হবে? এর দায় কে নেবে? বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন হচ্ছে, এই পরিস্থিতি কি এড়ানো যেত না? শান্তিপূর্ণ আন্দোলনটি কেন এই পরিণতির দিকে গেল? কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যখন বারবার আলোচনার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন, সরকারের তরফে ইতিবাচক ঘোষণার আশ্বাসের অপেক্ষায় ছিলেন, তখন আদালতের দোহাই দিয়ে সরকার বিষয়টি এড়িয়ে চলার নীতি নিয়েছিল।

ঘটনার পরম্পরা বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘জবাব দেয়ার জন্য ছাত্রলীগ প্রস্তুত’ ঘোষণার পরই মূলত সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ চড়াও হয়। সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। পরে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসছাড়া করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এরপর সেনা অ্যাকশন।

শতাধিক প্রাণহানির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে এখন কেবল রাজনৈতিক মোড়কে টাকার অঙ্কে ক্ষতির হিসাব সামনে আনার পেছনে কোন রাজনীতি ঘুরছে তা বুঝতে হয়তো বেশি দিন লাগবে না। এই নমুনার অঙ্ক কষা, ব্যবসায়ীসহ কোনো কোনো মহলকে প্রণোদিত করার নমুনা মানুষ আগেও দেখেছে। প্রাণহানির তথ্য সামনে আনলে গা জ্বালার আর ক্ষেপে ওঠার বাতিকটাও পুরনো। নতুন করে দেখার অপেক্ষা বিচারবিভাগীয় তদন্তের নমুনা। তাদের ফোকাস কোনদিকে যাবে, প্রাণহানিতে না অন্য কোনো দিকে?

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement
যশোরে আ.লীগের ১৬৯ নেতাকর্মীর আদালতে আত্মসমর্পণ অন্তর্বর্তী সরকারকে আরো ২ বছর সময় দিতে হবে : ভিপি নুর সতর্ক থাকুন, দেশকে কেউ যেন বিভক্ত করতে না পারে : মির্জা ফখরুল নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে রাবি অধ্যাপক আতাউরকে সাময়িক অব্যাহতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হলেন নাসিমুল গনি রাজশাহীতে রাজপাড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন এনআইডির তথ্য বেহাত, কম্পিউটার কাউন্সিলের সাথে ইসির চুক্তি বাতিল সবার সহযোগিতায় দুর্নীতিমুক্ত ও ক্রিয়েটিভ বাংলাদেশ গড়তে চাই : শিশির মনির মিরসরাই পৌরসভার সাবেক মেয়রের ওপর হামলা ‘বিচারের পরেই আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে’

সকল