০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্কট প্রসঙ্গে

জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্কট প্রসঙ্গে - ছবি : নয়া দিগন্ত

(শেষাংশ)

বাংলাদেশের বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি সীমান্তের পার্বত্য অঞ্চলজুড়ে বাংলাদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী কোকি চিন আর্মি একটি পৃথক রাজ্যের মানচিত্র প্রকাশ করেছে। আর ভারতের মিজোরামে যে সরকার রয়েছে তাদের সাথে নৃতাত্ত্বিক সম্পর্ক থাকায় পার্বত্য বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সেখানে আশ্রয় পাচ্ছে। মিজোরাম ও মনিপুরের মিজো কুকি চিন গোষ্ঠীগুলোও সংগঠিত হচ্ছে এবং ভারতের সমতলের জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আর মিয়ানমারের চিন অঞ্চল ও আশপাশের সাগাইং ও রাখাইনের বড় অংশে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই অঞ্চলে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের কুকি চিন মিজোরা নিজেদের ‘জো জনগোষ্ঠী’ হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়নবাদী গবেষণায় তাদের ইহুদিদের হারানো ট্রাইবের বংশধারা হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। এর মধ্যে মনিপুর মিজোরাম থেকে অনেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ইহুদি ধর্মে ফিরে গিয়ে ইসরাইলে বসবাস শুরু করেছে। আর এখানে থাকা জো জনগোষ্ঠীর একটি অংশ নিজেদের শিংলুং ইসরাইলি হিসেবে পরিচয় দিয়ে নিজেদের সংগঠিত করতে শুরু করেছে। একই সাথে সাথে জো জনগোষ্ঠী ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কুকি চিন মিলে পুরো অঞ্চলের একটি আলাদা মানচিত্র প্রকাশ করেছে। এখনই তারা জো অঞ্চলকে স্বাধীন করার কথা প্রকাশ্যে না বললেও তাদের বক্তব্যে বিচ্ছিন্নতার স্পষ্ট গন্ধ পাওয়া যায়। ফলে এটি এই অঞ্চলের তিন দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেও বান্দরবানে বেপরোয়া অপারেশন চালিয়ে তাদের উপস্থিতির জানান দিয়েছে।

গণতন্ত্র ও জ্বালানি নিরাপত্তা
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও অবাধ নির্বাচনের যে চেতনা স্বাধীনতার জন্য দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিল সেটি এখন অনেকখানি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। গত তিন মেয়াদে জনগণ ভোট দিতে পারার মতো কার্যকর সাধারণ নির্বাচন বাংলাদেশে হয়নি। এটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে জন ইচ্ছা বাস্তবায়নকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে কি না সে বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে সর্বোচ্চ কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করার আড়ালে এই উদ্বেগজনক প্রবণতাটি লক্ষ করা যাচ্ছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে নিরাপদ রাখতে হলে এসব ইস্যুতে সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিতে হবে। লেখার শুরুতে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সাতটি বিষয়ে নিরাপত্তার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ভাবার বিষয়ে ইউএনডিপির একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়। এসবের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্বস্তিকর অবস্থানে রয়েছে; কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে অবস্থা এখনো উদ্বেগজনক।

এ ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ক্ষেত্র হলো জ্বালানি নিরাপত্তা। বাংলাদেশের নিজস্ব গ্যাসক্ষেত্র থাকলেও তেলের প্রায় পুরোটা আমদানি করতে হয়। এসব তেল মূলত মধ্যপ্রাচ্য থেকে এবং কিছুটা সিঙ্গাপুরের স্পট মার্কেট থেকে আমদানি করা হতো। সরাসরি তেল উৎপাদকদের কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করলে রিফাইনারিতে ২০ শতাংশের মতো মূল্য সংযোজন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে একমাত্র রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানটি দেশের মোট চাহিদার মাত্র ১৫-২০ শতাংশের মতো পূরণ করতে পারে।

নতুন রিফাইনারি স্থাপনে অনেক দেশ বিনিয়োগে আগ্রহ দেখালেও অজ্ঞাত চাপে সেটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। এখন নতুন করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানির আয়োজন হচ্ছে।
অন্য দিকে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎচাহিদার বড় একটি অংশ ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য সঞ্চালন গ্রিড স্থাপন ও আমদানি মূল্য সহনীয় পর্যায়ে ছিল। ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সাথে গোড্ডা কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানির যে চুক্তি হয়েছে তা বাংলাদেশের বিদ্যুৎব্যবস্থার জন্য বিপর্যয়কর হয়ে দাঁড়াতে পারে। গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে এই প্ল্যান্ট থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য বিক্রি মূল্যের চার গুণেরও বেশি পরিশোধ করতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বিঘিœত করতে পারে।

প্রতিবেশী দেশে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার বিষয়টি প্রচার-প্রচারণায় নিয়ে আসার পর এই এজেন্ডা বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এনআরসি বা নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগকে অনেকে এর সাথে সংশ্লিষ্ট বলে বিশ্বাস করেন। এনআরসির নামে ভারতের বাংলাভাষী জনসংখ্যার একটি অংশকে অনাগরিক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে তাদের একধরনের নজরদারিশিবিরে রাখার ব্যবস্থা করা এই চিন্তার অংশ। আসামের পর পশ্চিমবঙ্গে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের কথা বলা হচ্ছে। বিজেপি নেতারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এই সংখ্যাটি দুই কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের বিরোধিতার কারণে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার এটি বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তবে রাজ্যটিতে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটলে এটি হতে পারে বাংলাদেশের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ। ২০২৬ সালে পশ্চিম বঙ্গের পরবর্তী বিধান সভার নির্বাচন রয়েছে। বিজেপি এ সময় রাজ্যটির ক্ষমতায় যেতে নানা পরিকল্পনা করছে।

পরিবেশ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা
পরিবেশ নিরাপত্তাও সার্বিক জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের সাথে ভারতের ৫৭টির মতো অভিন্ন নদী রয়েছে। এসব নদীর পানিবণ্টন প্রশ্নটি এখনো অমীমাংসিত। গঙ্গার পানি বণ্টন প্রশ্নে গ্যারান্টি ক্লজ ছাড়া যে চুক্তি করা হয়েছে সেটি বাংলাদেশের ন্যায্য পানি প্রাপ্তি অসম্ভব করে তুলছে। এখন সেটিও নবায়ন না করার দাবি জানাচ্ছে পশ্চিম বঙ্গ সরকার। তিস্তা নদীর পানিবণ্টন প্রশ্নে চুক্তির বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও সেটি বাস্তবে হচ্ছে না। এখন তিস্তার বর্ষার পানি ব্যবহারের জন্য নেয়া তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাদ সাধছে দিল্লি। বলা হচ্ছে, চীন নয়; ভারতকেই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ দিতে হবে।

ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রত্যাহারের জন্য একটি আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে ভারত। এ নদীর (সাংফো) পানি চীন তার বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য প্রত্যাহারের পর বাকি পানি ভারত এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে পারে। এই অবস্থায় ভবিষ্যতে পরিবেশগত নিপরাত্তা যেমন বড়ভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে তেমনিভাবে দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তাও ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।

অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়ে আরো কিছু উদ্বেগজনক দিক রয়েছে। একটি দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য মুদ্রা ও বাজার প্রবেশ সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশ এবং সামাজিক সূচকগুলো গত কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এখন সে পরিস্থিতি আবার উল্টো দিকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এক দিকে অর্থনীতির রক্তসঞ্চালনকারী হিসেবে বিবেচিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে। বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আর ব্যাংক দখলের সংস্কৃতি এসব প্রতিষ্ঠানকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে গেছে যাতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে চালিয়ে রাখার জন্য মার্জার বা একীভূত করার কথা বলা হচ্ছে। পরিস্থিতি কতদিন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যাবে তা নিয়ে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

এ দিকে বাংলাদেশে ভারতীয় মুদ্রা চালুর ব্যাপারে চাপ দিন দিন বাড়ছে। ভারতীয় রুপিতে আমদানির ঋণপত্র খোলার প্রস্তাবও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নেপালের মতো ভারতীয় মুদ্রা বাংলাদেশে চালু হলে দেশের অর্থনীতির যে স্বাতন্ত্র্য রয়েছে তা ভেঙে পড়তে পারে। ভারতীয় মুদ্রা সমান্তরালভাবে চালু রাখার ফলে নেপালে স্থানীয় মুদ্রা একেবারেই দুর্বল অবস্থায় চলে গেছে। বাংলাদেশেও একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিপর্যয়কর এক অবস্থায় পড়ে যেতে পারে। ভৌগোলিক সার্বভৌমত্ব হারানোর আগে অনেক দেশকেই অর্থনৈতিকভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেখা যায়।

বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়টি এখনো বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে। তবে ভারতের ভোগ্যপণ্যের আমদানিকে একেবারে অবাধ করা হলে স্থানীয় উৎপাদন ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। ভারতীয় পেঁয়াজ, রসুন, ডাল, মুরগি থেকে নানা ধরনের ভোগ্যপণ্য ও প্রসাধনসামগ্রী বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। অন্য দিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তোলা হলেও দেশটির ১০ লাখ নাগরিক বাংলাদেশে অননুমোদিতভাবে কাজ করছে বলে নানা সূত্র থেকে বলা হচ্ছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের সরকার ভারতের বড় কোনো চাপের সামনে অনমনীয় থাকার শক্তি ক্রমেই হারিয়ে ফেলছে। এটি চলতে থাকলে সরকারের সংবেদনশীল নীতি প্রশ্নে যেকোনো হস্তক্ষেপ নতুন সঙ্কটের সূচনা করতে পারে। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ রাখতে হলে এসব ইস্যুতে জরুরি ও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।

সবশেষ; কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ
বাংলাদেশে এখন যে সামগ্রিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক এ কারণে যে, কার্যকর গণতন্ত্রহীনতার যে বিপদ সেটি এখন দরজায় কড়া নাড়ছে ভয়ঙ্কর শব্দে। আমরা এর আগে একাধিক লেখায় কার্যকর গণতন্ত্রের বিদায়ের বিপদ জাতীয় নিরাপত্তাকে কতটা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। গত পাঁচ-ছয় দিনে দুই শতাধিক মৃত্যু এবং অবিরাম কারফিউ সে বিপদের জানান দিচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে সঙ্ঘাত শুরু হয়েছে তার সাথে গৃহযুদ্ধকালের লেবাননের তুলনা করা চলে। এখন সঙ্ঘাতের এক পক্ষ অবিরাম কমপ্লিট শাটডাউনের কথা বলছে, আর অন্য পক্ষ অবিরাম কারফিউর সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে।

সঙ্ঘাত যখন সর্বব্যাপী রূপ নেয় তখন এর পেছনে নানা বৈশ্বিক শক্তি গুটি চালতে থাকে। বাংলাদেশ তেমন এক পরিস্থিতিতে পড়েছে কি না সে আশঙ্কা এখন সবার মধ্যে। বর্তমান শাসনামলে বাংলাদেশের দুই প্রধান অংশীদার চীন ও ভারত প্রভাব বিস্তারে এখন মুখোমুখি অবস্থানে বলে মনে হচ্ছে। গত দেড় দশকে একধরনের সহাবস্থান ছিল দুই আঞ্চলিক শক্তিধরের মধ্যে। এখন এক শক্তি অন্য শক্তির প্রভাব মুছে দিতে চাইছে। সেটি যে সম্ভব নয় তা অনুভবের এখনো অভাব রয়েছে বলে মনে হয় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে।
বর্তমান অস্থিরতার সাথে নেপথ্য সঙ্ঘাতের এই মেরুকরণ চললে কৌশলগত সঙ্ঘাতের ক্ষেত্রভূমিতে পরিণত হওয়ার যে আশঙ্কা আমরা করেছিলাম সেটি বাস্তবে রূপ নিতে পারে। বাংলাদেশের সরকারের সামনে ভেনিজুয়েলার মাদুরো মডেল বা কিমের উত্তর কোরিয়া মডেল অথবা বাশার আসাদের সিরিয়া মডেল সামনে থাকতে পারে। এসব মডেল চ্যালেঞ্জের মুখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে শাসকদের সহায়তা করে; কিন্তু এর বিনিময়ে আসে মৃত্যু আর মৃত্যু এবং দেশের মানুষের দুর্বিষহ জীবন। এ সময়ে সঙ্ঘাতের অবসান সংলাপ ও সহনশীলতার মাধ্যমে হতে পারলে সেটি হবে সবচেয়ে কল্যাণকর সমাধান। তা না হলে এ জন্য জনগণের নিরাপত্তা, সুখ-শান্তি সবকিছুর মূল্য গুনতে হবে। সব পক্ষের মধ্যে নিশ্চয়ই শুভবুদ্ধির উদয় ঘটবে বলে আমরা প্রত্যাশা করতে পারি।

mrkmmb@gmail.com

 


আরো সংবাদ



premium cement
এ সরকার জনপ্রত্যাশার কী করবে? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন : তাজুল ইসলাম চিফ প্রসিকিউটর আবুধাবির কারাগার থেকে দেশে ফিরেছেন ১৪ বীর কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা : কনস্টেবল গ্রেফতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তগুলো যৌক্তিক : ফখরুল ‘একটি চক্র জামায়াত আমিরের বক্তব্য নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে’ অস্ত্র জমা দেয়নি শামীম ওসমান ও গাজী পরিবার এবি পার্টির উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া নিয়ে বিতর্কে মন্ত্রণালয়ের দুঃখ প্রকাশ আশুলিয়ায় শ্রমিক দলের সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫ রূপগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা

সকল