হোলে আর্টিজানে হামলা ও বাংলাদেশ
- ড. এ কে এম মাকসুদুল হক
- ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:২১
গত পয়লা জুলাই হোলে আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার আট বছর পূর্ণ হলো। এটি ছিল দেশের ইতিহাসে এ ধরনের সবচেয়ে বড় হামলা। বাংলাদেশসহ ইতালি, জাপান ও ভারতের মোট ২২ নিরীহ মানুষ নিহত হয় ওই হামলায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। সাতজনের বিচার কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা, তাদের বেড়ে ওঠা এবং নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ার চক্রাকার প্রবাহটি বিশ্লেষণের দাবি রাখে।
বর্তমানে জঙ্গি সন্ত্রাসী শব্দের সমার্থক। এখন জঙ্গিবাদ বলতে বোঝায় সন্ত্রাসবাদ চরমপন্থা বা উগ্রবাদ। অর্থাৎ কোনো মত, পথ, আদর্শ বা ধর্মের পথে চরমপন্থা অবলম্বন করা। যেমন- ধর্মের নামে উগ্রতা বা ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে উগ্রতা ইত্যাদি।
‘জঙ্গি’ শব্দটি ফার্সি শব্দ, যেটি মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের মাধ্যমে জানা যায়। সে সময় যেকোনো যোদ্ধাকে জঙ্গি বলা হতো। মধ্যযুগে ইসলামের ইতিহাসের যুদ্ধগুলো নিয়ে কাব্যচর্চার প্রচলন ছিল। বিশেষ করে ‘কারবালা’র যুদ্ধ এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে প্রচুর কাব্যরচিত হয়েছে। ওই সব কাব্য ‘জঙ্গনামা’ নামে পরিচিত।
বৈশ্বিক জঙ্গিবাদ : বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানে বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের একটি যোগসূত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশ্বে দু’টি বড় ঘটনায় দুই দফা জঙ্গিবাদের ঢেউ ওঠে। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান দখল করে নেয়। প্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র এ সুযোগে আফগানিস্তানকে রুশ সেনাদের বধ্যভূমি বানানোর পরিকল্পনা করে, যেভাবে তাদের সেনারা ভিয়েতনামে কচুকাটা হয়েছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিআইএ’ আফগানিস্তানে এ সোভিয়েত বাহিনীর প্রতিরোধের দায়িত্ব নেয়। তারা সারা বিশ্ব থেকে যুদ্ধে মুসলমান যুবকদের রিক্রুট করে নিয়ে আসে। এদের কমিউনিস্ট ও নাস্তিকদের বিরুদ্ধে জিহাদে উদ্বুদ্ধ করে। সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে দেয়। পরিণতিতে ১০ বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পরাজিত হয়ে বিপর্যস্ত সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ে। সুখের বাঁশি বাজিয়ে মার্কিনিরাও আফগানদের নিজেদের ভাগ্যের উপরে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। মার্কিনিদের প্রিয়পাত্র আফগানিস্তানে জেহাদিদের পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সৌদি ধনকুবের ওসামা বিন লাদেন তখন ‘আল-কায়দা’ নামের সংগঠন তৈরি করে বৈশ্বিক জিহাদে দ্বিগুণ উৎসাহে প্রস্তুতি নিতে থাকেন। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আফগানিস্তানে জিহাদ করতে আসা যোদ্ধারা নিজ নিজ দেশে ফিরে গিয়ে নিজেদের মতো করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমে সংগঠিত হতে থাকে। ফলে নব্বইয়ের দশকে বিশে^র বিভিন্ন মুসলিম দেশে যার যার মতো করে বৈশি^ক জিহাদ শুরু হয়। পরে ২০১১ সালে মার্কিনিরা লাদেনকে কমান্ডো অভিযানে গুপ্তহত্যা করলে আল-কায়েদার বৈশি^ক প্রভাব কমে আসে।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রাচ্যে। ২০০১ সালে নিউ ইয়র্কে টুইনটাওয়ার হামলার পর মার্কিন বাহিনীর নেতৃত্বে আফগানিস্তানে পশ্চিমা বিশে^র বহুজাতিক বাহিনী প্রবেশ করে। আফগানিস্তানে ‘লাদেনের ঘাঁটি’ রয়েছে অজুহাতে সর্বাত্মক আক্রমণ চালায়। আফগানিস্তান দখলের পর মার্কিনিরা ২০০৩ সালে ইরাকে হামলা করে। ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের মজুদের ‘অজুহাতে’ মার্কিন নেতৃত্বে বহুজাতিক বাহিনী ইরাকে প্রবেশ করে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। প্রেসিডেন্ট সাদ্দামকে বিচারিক হত্যা করা হয়। এ সময় ইরাকে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ক্ষমতার ভারসাম্য বিনষ্ট হয়। ফলে ইরানের সমর্থনে ইরাকের শিয়া সম্প্রদায় শক্তিশালী হয়ে ওঠে। অনেকে মনে করেন, এতে উদ্বিগ্ন মার্কিনিরা শিয়া তথা ইরানের প্রভাব ঠেকাতে সাদ্দাম হোসেনের ভেঙে যাওয়া সশস্ত্র বাহিনীর সুন্নি সম্প্রদায়ের সৈন্যদের সুসংগঠিত করে শিয়াদের বিরুদ্ধে দাঁড় করায়। ইরাকের একজন ইমাম আবুবকর আল বাগদাদীকে এর নেতৃত্ব দেয়া হয়। এ বাহিনী দ্রুত ‘আইএসআইএস’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বৈশি^ক খেলাফত প্রতিষ্ঠার জিহাদ শুরু করে। অল্পদিনে সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল অঞ্চলজুড়ে ‘আইএস’ খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবি করে। সারা বিশে^র মুসলিম সম্প্রদায়ের উগ্রপন্থী গোষ্ঠী আবারো উৎসাহিত হয়। আইএসের সাথে সংযুক্ত হয়ে যার যার দেশে খেলাফত প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। ২০১১ সালে এ ধাপের উগ্রবাদী ঢেউয়ের সূচনা হয়। ‘আইএস’ ২০১৪-১৫ সালে ব্যাপক প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। কিন্তু ২০২০ সালে আবারো মার্কিনিরা বাগদাদীকে গুপ্ত কমান্ডো অভিযানে হত্যা করলে ‘আইএসের’ প্রভাব স্তিমিত হয়ে আসে।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ : বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের উত্থান-পতনের সাথে বাংলাদেশেও এর ঢেউ এসে লাগে। প্রথম ঢেউ আসে নব্বইয়ের দশকে। আফগান ফেরত জিহাদিরা দেশে গোপনে সংগঠিত হতে থাকে। নানা সময়ে কিছু গুপ্ত হামলা করলেও ২০০৫ সালে প্রকাশ্যে ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের মেনিফেস্টো প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়। এ সময় তৎকালীন বিএনপি সরকার এদের ওপর ক্র্যাকডাউন চালায় এবং শীর্ষ দুই নেতা বাংলা ভাই ও শায়েখ আব্দুর রহমানের বিচারে ফাঁসির রায় হয়। পরবর্তীতে ১/১১-এর সরকার তাদের ফাঁসি কার্যকর করলে এ দফা জঙ্গিবাদের ঢেউ স্তিমিত হয়ে আসে।
দেশে জঙ্গিবাদের দ্বিতীয় ঢেউ আসে ২০১৩ সালে। নানা কর্মকাণ্ড চালানোর পর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা করে ২০১৬ সালের পয়লা আগস্ট গুলশানের হোলে আর্টিজান রেস্টুরেন্টে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা! জঙ্গি হামলাবিরোধী পদক্ষেপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমান্ডো হামলা পরিচালনা করে এসব জঙ্গির কয়েকজনকে হত্যা এবং বাকিদের জীবিত গ্রেফতার করে। এরপর দেশজুড়ে আরো কিছু জঙ্গিবিরোধী কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হতে থাকে। এ সময়ে সরকারের জঙ্গিবিরোধী ১৫টি অভিযানে ‘নব্য জেএমবির’ ৬৪ সদস্য নিহত হয়। এর মধ্যে ‘আল-বাগদাদির’ মৃত্যুর পর আইএসের প্রভাব কমতে থাকলে আমাদের দেশেও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসতে থাকে।
দেশীয় জঙ্গিবাদের বৈশিষ্ট্য : সময়ের পরিক্রমায় এ দু’টি দফায় যেসব জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছিল তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কিছু ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। সাধারণভাবে সব জঙ্গির বয়স ১৫-৩০ এর মধ্যে ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফার জঙ্গিদের মধ্যে বেশ কিছু ব্যতিক্রম দেখতে পাওয়া যায়। এ দফায় অনেকে ছিল বিশ^বিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট। তারা আইটিতে ও কারিগরিভাবে দক্ষ এবং সচ্ছল ও ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। তারা ছিল মানসিকভাবে অত্যন্ত ধীর-স্থির ও উৎসর্গীকৃত প্রাণ। গোষ্ঠীটির আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের সাথে যোগাযোগ ছিল বলে প্রতীয়মান হয়। জঙ্গিবাদবিরোধী সংস্থা ‘সিটিটিসির’ গবেষণায় উঠে এসেছে : প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই জঙ্গিদের এমন সদস্য সংখ্যা ১ দশমিক ৬ শতাংশ, মাদরাসা পড়–য়া ২৩ শতাংশ, সাধারণ শিক্ষিত ৭৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ২ দশমিক ১ শতাংশ। এসব জঙ্গিগোষ্ঠীর কার্যক্রম দেখে আপাত দৃষ্টিতে বোঝা যায় : ১. তাদের উদ্দেশ্য হলো যেনতেনভাবে খেলাফত প্রতিষ্ঠা বা ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা; ২. লক্ষ্য হলো জোরপূর্বক শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা করা এবং ৩. তাদের কৌশল হলো সশস্ত্র বিপ্লব বা নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে জিহাদ সম্পাদন করা।
প্রকৃত জিহাদের চিত্র : ‘জিহাদ’ একটি আরবি শব্দ। ‘জুহদুন’ নামক ধাতু থেকে এর উৎপত্তি। এর অর্থ নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো। অর্থাৎ জিহাদের অর্থ হলো কোনো কিছু অর্জনে সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। আল কুরআনে যুদ্ধ বুঝাতে ‘কিতাল’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ‘জিহাদ’ দ্বারাও যুদ্ধ বুঝানো হয়েছে।
ইসলামে যুদ্ধের প্রেক্ষাপট : ইসলামে ‘জিহাদ’ বা ‘কিতাল’ হুট করে যার যখন খুশি বা যে কেউ ঘোষণা করতে পারে না। ‘কুরআন-সুন্নাহ’ মোতাবেক যুদ্ধ করার প্রেক্ষাপটগুলো হলো : ১. যখন কোনো জনপদ বা জনগোষ্ঠীর ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হবে; ২. যদি অত্যাচার নির্যাতন করে বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়; ৩. যদি জোরপূর্বক ইসলামী বিশ^াস ত্যাগে বাধ্য করা হয়; ৪. যদি একতরফাভাবে শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করা হয়; ৫. তবে শর্ত হলো যেকোনো ক্ষেত্রে যুদ্ধটি হতে হবে একমাত্র আল্লাহর পথে, কোনো ভূখণ্ড দখল বা ক্ষমতা লাভের জন্য নয়।
যুদ্ধের নীতিমালা : ইসলামে যুদ্ধের জন্য কঠোর মানবাধিকারধর্মী নীতিমালা বেঁধে দেয়া হয়েছে, যেমন : ১. শুধু ময়দানের শত্রুপক্ষের যোদ্ধাকে আক্রমণ করা যাবে; ২. শিশু, নারী, বৃদ্ধ, সন্ন্যাসী হত্যা করা যাবে না; ৩. নির্বিচারে ফল-ফসলাদি ধ্বংস করা যাবে না; ৪. নির্বিচারে পশু-পাখি হত্যা করা যাবে না; ৫. কাউকে পুড়িয়ে মারা যাবে না; ৬. নির্যাতন করে হত্যা করা যাবে না; ৭. গণহত্যা, লুটপাট করা যাবে না; ৮. এলোপাতাড়ি বাড়িঘর, সহায়-সম্পদ ধ্বংস করা যাবে না; ৯. লাশ বিকৃত করা যাবে না এবং ১০. যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা যাবে না; বরং তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সা:-কে কখন যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হয়েছিল : রাসূলুল্লাহ সা: ধর্ম প্রচার করার সাথে সাথে যুদ্ধ শুরু করেননি বা সশস্ত্র বিপ্লব শুরু করেননি। অথচ মক্কায় তিনি ইসলামের দাওয়াত শুরু করার মুহূর্ত থেকে তাঁর ও তাঁর অনুসারীদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। টানা ১৩ বছর চরম নির্যাতন করা হয়। অনেককে হত্যা করা হয়। অথচ তাদের সাথে রাসূল সা: ও তাঁর অনুসারীদের কোনো বৈষয়িক স্বার্থের দ্বন্দ্ব ছিল না। একসময় বিরোধীরা তাঁকেও হত্যার ষড়যন্ত্র করে। ফলে তিনি বাধ্য হয়ে মদিনায় হিজরত করেন। মক্কার সন্ত্রাসীরা তখন মদিনা এবং মুসলমানদের সমূলে ধ্বংস করতে একের পর এক আক্রমণ করে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর পক্ষ থেকে মদিনার প্রতিরক্ষায় যুদ্ধ করার অনুমতি দেয়া হয়। এরপর রাসূলুল্লাহ সা: পুরো ১০টি বছর মক্কার কোরাইশ এবং আরবের অন্য গোত্রগুলোর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষায় প্রতিরক্ষা যুদ্ধ করে যেতে বাধ্য হন। একপর্যায়ে চূড়ান্তভাবে মক্কার কোরাইশদের শত্রুতা নিষ্ক্রিয় করতে মক্কা অভিযান পরিচালনা করেন। বিনা রক্তপাতে মক্কাবাসীকে পরাজিত করে রাসূলুল্লাহ সা: মক্কা ও কাবাঘরকে অবমুক্ত করে বিশে^র তাওহিদবাদীদের ইবাদতের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।
দেশে প্রত্যাখ্যাত জঙ্গিবাদ : বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দুই দফায় এলেও তাদের নেরেটিভ দেশের জনগণ গ্রহণ করেনি; বরং দেশের মুসলিম সমাজ সাধারণভাবে জঙ্গিদের মত ও পথ বর্জন করেছে। সে জন্য এদের নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে সহজ হয়েছে। তবে বিশ^ ব্যবস্থার প্রতি আমাদের সর্বদা নজর রাখতে হবে। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাবলি যেকোনো সময় আরো কোনো উগ্রবাদী গোষ্ঠীর উদ্ভব ঘটাতে পারে। সে সময় সতর্ক না থাকলে নতুন কোনো জঙ্গিবাদের ঢেউ প্রিয় মাতৃভূমিকে আক্রান্ত করতে পারে। সেই সাথে আদর্শিকভাবে মোকাবেলার জন্য বিশুদ্ধ ইসলাম ধর্মের চর্চাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে উন্মুক্ত রাখতে হবে। যেন কোনো ভ্রান্ত বা উগ্র মতাদর্শ সমাজে স্পেস সৃষ্টি করতে না পারে।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
Email : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা