২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার অন্তরায় ও করণীয়

সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার অন্তরায় ও করণীয় - নয়া দিগন্ত

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বিশাল নিষ্ক্রিয় বাহিনীর পরাজয় শুধু একটি বাহিনীর পরাজয় ছিল না, ছিল বিশাল ভারতে দীর্ঘকালের ন্যায়পরায়ণ মুসলিম শাসন অবসানের যাত্রা। ১৯৩ বছর ধরে ব্রিটিশের দীর্ঘ অপশাসন, কুশাসন, শোষণ, নির্যাতনে মুসলমানরা দুর্বল হয়ে পড়ে।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর শুরু হয় ভারতবেষ্টিত পূর্ব পাকিস্তানের আরেক এপিসোড। পাকিস্তানিদের শোষণ পীড়নের কবল থেকে অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে আমরা প্রতিষ্ঠা করি লালসবুজ পতাকার নতুন একটি দেশ। দেশটি প্রতিষ্ঠালগ্নে অনেক স্বপ্ন ও আশা নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যা লিখা হয় তা ছিল: ‘সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়েছেন সে ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র ঘোষণা করছি।’

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো তেপান্ন বছর পরও ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা, আমরা এখন আত্মঘাতী খেলায় মত্ত হয়ে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি।

আজ আমরা আলোচনা করব সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা কি ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এ বিষয়ে আমাদের করণীয় নিয়েও কথা বলব।

সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায় হলো :
জাতীয় কোর ভ্যালু বা আদর্শ নির্ধারণে ব্যর্থতা: জাতীয় কোর ভ্যালু একটি দেশের জন্য হৃৎপিণ্ডের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি দেশের নাগরিকদের মধ্যে একতা, নৈতিকতা এবং দায়িত্বশীলতার ধারণা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। জাতীয় কোর ভ্যালু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলা, একতা ও সংহতি বৃদ্ধি, নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নত করা, নেতৃত্বের উন্নয়নে সহায়ক। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা দেশের কোর ভ্যালু বা আদর্শ নির্দিষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছি।

সর্বগ্রাসী মিথ্যার ছড়াছড়ি : মিথ্যা হলো সব অন্যায় ও পাপাচারের উৎসস্থল। বাংলাদেশের সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন পদ পর্যন্ত অধিকাংশ ব্যক্তিবর্গ সারাক্ষণ মিথ্যার আশ্রয় নেন।

সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাব : দেশে যোগ্য ও সৎ নেতৃত্ব বিকশিত হচ্ছে না। কারণ অসৎ নেতৃত্ব সৎ নেতৃত্ব বিকাশের প্রধান অন্তরায়। এভাবে দেশকে পরিকল্পিতভাবে নেতৃত্বশূন্য করা হচ্ছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমনভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে, যার মাধ্যমে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সর্বগ্রাসী দুর্নীতি : দেশটা এখন কিছুসংখ্যক মানুষের কাছে লোভনীয় মাংসের টুকরাতে পরিণত হয়েছে। যে যেভাবে পারছে সেভাবে খাচ্ছে। দুর্নীতি সমাজের নিচের স্তর থেকে উপরের স্তর পর্যন্ত বিদ্যমান থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হয়ে পড়ে।

কৃষি শিল্প ধ্বংসের সম্মুখীন : কৃষিনির্ভর বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য শুরু হয় পানি আগ্রাসন। চালু করা হয় ‘ফারাক্কা বাঁধ’ নামক এক মরণফাঁদ। যার প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ আজ ধ্বংসের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। শুরু হয়েছে মেরুকরণ প্রক্রিয়া।

মূল্যবোধহীন শিক্ষাব্যবস্থা : শিক্ষার অভাব মানুষকে সচেতন হতে বাধা দেয়। অশিক্ষিত জনগণ সহজেই বিভ্রান্তিতে পড়ে এবং নিজেদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে। এজন্যই শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের মাধ্যমে জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন।
স্বার্থান্বেষী রাজনীতি : রাজনীতিকদের ব্যক্তিগত স্বার্থ, ক্ষমতা লিপ্সা ও দলীয় স্বার্থ গণতন্ত্র, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে বড় অন্তরায় হয়ে জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছে।

অধিকার হরণ : সমাজের প্রান্তিক ও দুর্বল জনগোষ্ঠীকে পরিকল্পিতভাবে অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে। এ ধরনের বৈষম্য গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।
অর্থনৈতিক বৈষম্য : ধনী-দরিদ্রের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্য সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক সমতা না থাকার কারণেই সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা হয়নি।
এর পাশাপাশি অসামাজিক কার্যকলাপ, আইনের শাসনের অভাব, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, প্রযুক্তিগত ও ডিজিটাল বিভাজন তথা গণতন্ত্র ও সুশাসনের অভাব একটি বড় কারণ।

ইহুদি ও সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্ত : এই চক্র জনপ্রিয় শাসককে ক্ষমতাসীন হতে দেয় না বা ক্ষমতায় থাকতে দেয় না। পৃথিবীর অনেক দেশেই তারা সংখ্যালঘুদের ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করে ও টিকিয়ে রাখার জন্য সব অনৈতিক কৌশল অবলম্বন করে। ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারতও একই কাজ করছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একচ্ছত্র নেতৃত্ব কায়েমের উদ্দেশে ভারত ছোট জাতি-রাষ্ট্রগুলোকে দাবিয়ে রাখছে। দেশগুলোকে স্বাধীনভাবে এগোতে দিচ্ছে না। বাংলাদেশে তাদের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, পানি আগ্রাসন, বোমাবাজি, তথ্য সন্ত্রাস ও নির্বিচার সীমান্ত হত্যাসহ ভারতের সর্বগ্রাসী কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান।

সঠিক ইতিহাস বিকৃত করা : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে দেশের আপামর জনগণ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী কঠিন এক যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করলেও গোষ্ঠীবিশেষ স্বাধীনতা যুদ্ধের কৃতিত্ব ভারতের হাতে তুলে দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করছে না। জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ও আমাদের মুসলিম জাতিসত্তাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বর্তমান প্রজন্মের ব্রেনওয়াশ করা হচ্ছে।

সাংস্কৃতিক আগ্রাসন : বিশেষ করে সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আগ্রাসন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। এ আগ্রাসন মোকাবেলা খুব কঠিন কাজ নয়। প্রয়োজন শুধু দৃঢ়মানসিকতা আর সঙ্ঘবদ্ধ শক্তি।

ডি-ইসলামাইজেসন : এ দেশের সংখ্যাগুরু নাগরিকের ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করার সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইসলামী মূল্যবোধকে দেশের শত্রুরা সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে গণ্য করে।

ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণকে বিভক্ত করা : দেশে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায় ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা। পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে একটি বিশেষ দলের, বিশেষ মতের, বিশেষ আদর্শের সদস্যদের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করা হয়েছে। ফলে আমাদের সামাজিক ঐতিহ্য একেবারেই ভেঙে পড়েছে।
এমন একটি পরিবেশেও দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে দেশের অধিকাংশ জনগণ সচেতন নন।
এ ছাড়াও আরো কিছু অন্তরায় রয়েছে, যেমন :

১। সৎ যোগ্য ও জ্ঞানী ব্যক্তিদের পরিকল্পিতভাবে সামাজিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

২। আঞ্চলিকীকরণ, আত্মীয়করণ, দলীয় পদ বিক্রিসহ নানাভাবে নিষ্ঠাবান অভিজ্ঞ রাজনীতিকদের বাদ দিয়ে বৈধ-অবৈধ ব্যবসায়ীদেরকে রাজনীতিতে আনা হয়েছে।

৩। সাম্রাজ্যবাদের এজেন্ডা মোতাবেক বিরোধীদলীয় মেধাবী নেতৃবৃন্দকে গুম, খুন, হামলা-মামলার মাধ্যমে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার কারণে নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দিয়েছে।

৪। ভোটারবিহীন ও চক্রান্তমূলক সাজানো নির্বাচনব্যবস্থা চালু করার কারণে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যোগ্য নেতা নির্বাচিত হয়নি, তৈরি হয়েছে কিছুসংখ্যক অর্থ-বিত্ত লোভী রাজনৈতিক ভাঁড়।

৫। ব্যাংকিং সেক্টরে দুর্নীতি, শেয়ারবাজার লুট, যুবক ও ডেসটিনির মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও বৈধ ব্যবসায়ীদের ওপর দলীয় ও পুলিশি হয়রানির ফলে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কোমর ভেঙে গেছে। অথচ প্রতিটি দেশের মধ্যবিত্তরাই হলো দেশের স্থিতিশীলতার প্রধান স্তম্ভ।

৬। সৎ, যোগ্য ও মেধাবীদেরকে প্রশাসন থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ওএসডি করে রাখা হয়েছে। ফলে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশের সম্পদ, সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনা এখন বিলুপ্তির পথে। মেধা ও যোগ্যতাকে অবহেলিত করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

৭। দেশের অর্থ ও সম্পদ মুষ্টিমেয় কিছু আমলা ও রাজনীতিবিদরা কুক্ষিগত করেছে; ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণি বিলুপ্ত হয়ে দরিদ্র নাগরিকের সংখ্যা বেড়েছে।

৮। রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধার অপব্যবহার করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদের ব্যক্তিরা অঢেল অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি থেকে শুরু করে অন্যান্য সব ব্যাংকের অর্থ ও শেয়ারবাজার লুটপাটের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো কার্যকরি পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি।

করণীয় : উল্লিখিত অন্তরায়গুলো দূর করতে হলে প্রথমত দেশবাসীকে হতে হবে ঐক্যবদ্ধ। তারপর স্বাধীনতার চেতনা সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিতভাবে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।

সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ হতে পারে নিম্নরূপ:

মানবিক মূল্যবোধের প্রচার
শিক্ষার মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ শিক্ষা : শিক্ষাক্রমে মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচার সম্পর্কিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে।

স্বাধীন বিচার বিভাগ : বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে যাতে এটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার প্রদান করতে পারে।

সামাজিক আন্দোলন : মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সামাজিক আন্দোলন এবং প্রচারণা চালানো।
সাংস্কৃতিক উদ্যোগ : সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ প্রচার করা।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা
জনগণের অংশগ্রহণ : গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ : স্থানীয় সরকারগুলোর ক্ষমতা ও সম্পদ বাড়াতে হবে যাতে তারা স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।

অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত সহিংসতা প্রতিরোধ : অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

শান্তি ও সম্প্রীতি প্রচার : সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরির জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ আজ নানামুখী সমস্যা এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনে জর্জরিত। স্বাধীন এই দেশটি এখন পরিণত হয়েছে চরম দুর্নীতিগ্রস্ত এক অকার্যকর রাষ্ট্রে। একদলীয় শাসনের যাঁতাকলে দেশ আজ অশান্তির চরম পর্যায়ে। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সুদূর পরাহত। ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব’ রক্ষার প্রয়োজনে সব ধর্ম, বর্ণ ও মতবাদের দেশপ্রেমিক দল ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
ই-মেল: [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement