০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন - নয়া দিগন্ত

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির আকস্মিক মৃত্যুর পর নির্ধারিত অল্প দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিধান রয়েছে। সে হিসাবে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৮ জুন অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদিত ছয় প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রার্থীদের নিবন্ধন ৩০ মে থেকে ৩ জুনের মধ্যে শেষ হয়েছে। অভিভাবক পরিষদ কম সময়ের মধ্যে দ্রুত যাচাই শেষ করেছে, ১২ জুন থেকে যথারীতি প্রচারণার কাজও চলছে যা ১৮ জুন পর্যন্ত চলবে।

প্রার্থী হওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি, একজন সাবেক বিচার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আমির-হোসেন গাজিজাদেহ হাশেমি, বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আরেক কট্টরপন্থী, তেহরানের মেয়র আলী রেজা জাকানি। জালিলি (৫৮) ইরানের পারমাণবিক আলোচনা দলের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন সিনিয়র পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি একজন পিএইচডিধারী। ইমাম সাদিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডিগ্রিধারী পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব। তিনি তার আপসহীন রক্ষণশীল অবস্থানের জন্য বিখ্যাত। প্রাক্তন আইআরজিসি জেনারেল গালিবাফ (৬৩) এবং বর্তমান সংসদের স্পিকার, তার সামরিক এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার জন্য পরিচিত। একমাত্র সংস্কারপ্রবণ প্রার্থী, পেজেশকিয়ান (৬৯) স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং তাব্রিজ ইউনিভার্সিটি অব মেডিক্যাল সায়েন্সের চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি একজন প্রশিক্ষিত কার্ডিয়াক সার্জন। পুরমোহাম্মাদি (৬৪), আশির দশকে ‘ডেথ কমিশনে’ তার ভূমিকার জন্য কুখ্যাত, উপ-গোয়েন্দা মন্ত্রী হিসেবে তার অতীতের কর্মের কারণে মেরুকরণকারী ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। গাজিজাদেহ হাশেমি (৫৩) বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফাউন্ডেশন অব মার্টিয়ার্স অ্যান্ড ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্সের প্রধান এবং একজন ইএনটি সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারজুড়ে একটি রক্ষণশীল অবস্থান বজায় রেখেছেন। বেশ কয়েকটি মেয়াদে সংসদে মাশহাদ এবং কালাত নির্বাচনী জেলার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি মাশহাদ ইউনিভার্সিটি অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস থেকে মেডিক্যাল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তেহরানের মেয়র, জাকানি (৫৮) রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বিখ্যাত। তিনি নিউক্লিয়ার মেডিসিনে পিএইচডিধারী। তিনি পারমাণবিক চুক্তির স্পষ্টবাদী সমালোচক এবং বাধ্যতামূলক হিজাবকে অস্বীকারকারী মহিলাদের ওপর দমননীতির সমর্থনকারী রক্ষণশীল শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। রাইসি প্রশাসনের মধ্যে থেকে আসা অনেক প্রার্থীর একমাত্র ব্যাখ্যা হলো, তারা কেবল রাইসির পরিকল্পনা চালিয়ে যেতে চান।

প্রার্থিতা নিবন্ধনের সময়, সড়কমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশই একমাত্র প্রার্থী যিনি এক পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিলেন। পরে আবিষ্কৃত হয় যে, এটি ২০২১ সালে তার সরকারের শুরুতে রাইসি যে পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করেছিলেন তার একটি অনুলিপি মাত্র। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদপত্রে লেখালেখি ও সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

রাইসির মন্ত্রিসভার বেশ কিছু মন্ত্রী এবং তার প্রধান কর্মচারীরা তাদের প্রার্থিতা নিবন্ধন করেছিলেন। কেন তারা জোট গঠন করতে পারেননি এবং একক প্রার্থী উপস্থাপন করতে পারেনি তা নিয়েও ইরানে বড় সমালোচনার ঢেউ বইছে। মজলিসের ডেপুটি স্পিকার ড. আলী নিকজাদ ও তার ভাই আকবর নিকজাদ তাদের প্রার্থিতা নিবন্ধন করেছিলেন একে অপরের এক ঘণ্টার মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা প্রশ্ন করেছেন, একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কি এমন একটি বিষয়ে কথা ওঠেনি বা দেখা সাক্ষাতে কথা হয়নি? ইরানে রাজনৈতিক বিভাজন কি সত্যিই এতটা প্রশস্ত এবং গভীর?

সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির প্রতি আনুগত্য করে আলেমদের এমন একটি সংগঠন অভিভাবক পরিষদের প্রার্থীদের অনুমোদন দেন। বিদেশী বিশ্লেষকরা ইরানের এসব নির্বাচনকে ধর্মতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের কারচুপির নির্বাচন বলে থাকেন। বর্তমান অংশগ্রহণকারীদের ভোট দেয়ার জন্য ইরানি জনগণ কম অংশগ্রহণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

পুরুষ তালিকায় সিনিয়র সরকারি ব্যক্তিত্ব রয়েছে যেমন কট্টরপন্থী সাইদ জালিলি যিনি সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে আলী খামেনির প্রতিনিধি, বর্তমান সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবাফ এবং একজন ‘সংস্কারবাদী’ সংসদ সদস্য মাসুদ পেজেশকিয়ান। কলাম লেখাকালীন সময়ে ইরানি টিভিতে দুই প্রার্থীর রেকর্ড করা বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে। পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ-বাঘের গালিবাফের সাক্ষাৎকারও প্রচারিত হয়েছে। দু’জনেই পররাষ্ট্রনীতি, পারমাণবিক ইস্যু বা হিজাবের কোনো উল্লেখ ছাড়াই অর্থনীতি ও অন্যান্য বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। একমাত্র অনুমোদিত ‘সংস্কার’ প্রার্থী পেজেশকিয়ান ‘জনগণ ও সরকারের মধ্যে বিভাজন’কে একটি প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পেজেশকিয়ান জোর দিয়ে বলেন, তার সরকার নতুন কোনো অর্থনৈতিক কৌশল ও নীতি প্রবর্তন করবে না; বরং প্রশাসনিক ব্যবস্থার সংস্কার করে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করে বিদ্যমান উন্নয়ন পরিকল্পনা দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। পেজেশকিয়ান দেশের প্রদেশগুলোর মধ্যে সম্পদ ও সম্পদ বিতরণে ন্যায়বিচারের অভাবের সমালোচনা করেছেন এবং বেসামরিক কর্মচারীদের জীবনযাত্রার উন্নতি, বিশেষজ্ঞ এবং অভিজাত কর্মীদের ওপর নির্ভর করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কাক্সিক্ষত স্তরের জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের পরিবেশের উন্নতি ও স্থিতিশীল করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। পেজেশকিয়ান ‘নব্য-রক্ষণশীল’ পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ-বাঘের গালিবাফ এবং সাবেক পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলিসহ পাঁচজন কট্টরপন্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এবারের নির্বাচনের প্যাটার্নটি ২০২১ সালের নির্বাচনের মতো। ওসময় আহমাদিনেজাদ এবং লারিজানিকে প্রত্যাখ্যান বা অযোগ্য করা হয়েছিল এবং শুধু একজন দ্বিতীয়-মধ্যপন্থী প্রার্থীকে নির্বাচিত করার লক্ষ্য সামনে রাখা হয়েছিল। তিনি ইবরাহিম রাইসি, ওটি ছিল কম ভোটার উপস্থিতির নির্বাচন। ভোটদান ছিল ৫০ শতাংশের নিচে এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ৪৫ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।

ইরানের অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন এখন সম্ভবত প্রাক্তন পারমাণবিক আলোচক এবং পশ্চিমের সাথে একটি চুক্তির বিরোধী জালিলি এবং গালিবাফের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে যাকে আরো নমনীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যাই হোক না কেন, পশ্চিমাদের সাথে সম্পর্কের ইস্যু এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ভাগ্য সুপ্রিম লিডার আলী খামেনির এখতিয়ারে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আহমাদিনেজাদ, সাবেক পার্লামেন্ট স্পিকার আলী লারিজানি এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এসহাক জাহাঙ্গিরিসহ বেশ কিছু উচ্চ-প্রোফাইল ব্যক্তিত্বকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। স্পষ্টবাদী আহমাদিনেজাদ এবং লারিজানির মতো হেভিওয়েটদের অযোগ্য ঘোষণা জনসাধারণের মধ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এবং নির্বাচনে অনীহা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। ইরানিরা আহমাদিনেজাদকে ‘আধুনিক ওমর’ বলে থাকেন। তিনি তার রাজনীতি, প্রজ্ঞা ও ইরানের পরমাণুশক্তিধর দেশ হওয়ার জন্য বিখ্যাত। লারিজানি শান্ত প্রকৃতির ও মেধাবী। অনেকেই মনে করেছিলেন এইবার চূড়ান্ত সিঁড়িতে তিনি পৌঁছাবার পথ খুঁজে পাবেন।

গালিবাফ এবং জাকানিকে খামেনির আদর্শ প্রার্থী হিসাবে অনেকে মনে করেন। তাদের ভিন্নমত দমনে ট্র্যাক রেকর্ড আছে এবং উভয়ই অভিজ্ঞ আইআরজিসি পরিচালক। তবে এই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। একজন সর্বোচ্চ নেতা হিসাবে তিনি সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চান। সুপ্রিম লিডার আলী খামেনি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনো প্রার্থীর সমালোচনা, কুৎসা রটনা করা নিষিদ্ধ করেছেন।

ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল ১২ সদস্য নিয়ে গঠিত, প্রত্যেকে দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গার্ডিয়ান কাউন্সিল, অভিভাবক পরিষদ বা সাংবিধানিক পরিষদ নামে পরিচিত। ফার্সিতে বলা হয় শূরা-ই নেগাহবান। এটি সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক ১২ সদস্যের কাউন্সিল যা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা এবং প্রভাব রাখে। এই পরিষদ আইন প্রণয়নে ভেটো ক্ষমতা, পার্লামেন্ট বা ইরানি মজলিস কর্তৃক পাস হওয়া আইনে ভেটো দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন। ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা এবং প্রভাবের কারণে বেশ সমালোচনার মুখোমুখি হয়। যেমন স্বেচ্ছাচার, আইনি যুক্তি বা বাস্তব প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে জয়ী সংস্কারপন্থী প্রার্থীদের বহিষ্কার ইত্যাদি।

অনলাইন জরিপে দেখা গেছে, পেজেশকিয়ান ১৬ হাজার ৫০০ ভোটের মধ্যে ৬৭ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। একই জরিপে গালিবাফ ও জালিলি উভয়েরই ১৩ শতাংশের কম ভোট রয়েছে। পেজশকিয়ানের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা ভালো, কিন্তু তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর কী হবে তা নিয়ে উদ্বেগ আছে। তিনি একমাত্র সংস্কারপন্থী অন্যরা সবাই হার্ড লাইনার, তথাপি তাদের মধ্যে কোনো মেরুকরণ হয়নি। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ নেতার পছন্দের লোক রয়েছেন, তবে গতবারের মতো এখনো প্রকাশ্যে কোনো মত দেননি।

গত নির্বাচনকে অনেকে বিতর্কিত বলেছেন। বলা হয়, ইবরাহিম রাইসিকে নির্বাচিত করার জন্য খামেনির ইচ্ছা প্রবলভাবে কাজ করেছে।

বিশিষ্ট ইরানি সাংবাদিক শরিয়তমাদারি বলেছেন, ‘মানুষ রাইসির মতো কাউকে খুঁজছে এবং এমন কাউকে ভোট দেবে না যার ধারণা সাবেক রাষ্ট্রপতি থেকে আলাদা।’ নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে, এই প্রচারণা খামেনির পছন্দকে প্রতিফলিত করে কি-না তা পরিষ্কার নয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এই প্রথম ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সময় খামেনিকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে তাদের সম্ভাব্য মিথষ্ক্রিয়ার ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট বা প্রার্থী নির্বাচনে বিশ্লেষকরা নানা মতামত দিচ্ছেন।

রাইসির মৃত্যুর পর রাজনৈতিক পটভূমি উন্মোচন করবেন নাকি রাইসির প্রতিকৃতি হিসেবে রাজনৈতিক শুদ্ধীকরণ চালিয়ে যাবেন তা আবারো খামেনির ওপর নির্ভর করছে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement
দিল্লি জামে মসজিদ নিয়ে হিন্দুসেনার দাবি কক্সবাজার সৈকতে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের তৈরি রোবট দানব যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান গ্রেফতার সাভারে দাফন করা ব্যক্তিই হারিছ চৌধুরী তদন্ত প্রতিবেদনসহ আমু-কামরুলকে ১৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেশের ৬৯ কারাগারের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৭ : কারা মহাপরিদর্শক আমরা হিন্দু-মুসলমান একসাথে লড়াই করে দিল্লির দাসত্বকে খান খান করে দেবো : রিজভী আজমির শরিফ : খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহের ইতিহাস জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া ও আমেরিকার বাকবিতণ্ডা ‘শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে গেছে’ পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ১২ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

সকল