২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তলানি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অর্থনীতির

তলানি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অর্থনীতির - নয়া দিগন্ত

প্রথমেই আসুন, আমরা দেখি দেশের অর্থনীতি কি আসলেই তলানিতে? অর্থনীতিবিদরা অনেক কিছুই আগাম বলতে পারেন। কিন্তু অর্থনীতির কতটা উত্থান হবে বা তলানিতে যাবে, তা বলতে পারেন না। আমাদের অর্থনীতি এখনো শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো হয়নি। তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ‘তলানিতে’ বলা কতটা যৌক্তিক? বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর গত বছরের ৬ নভেম্বর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভায় বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। তার মতে, আর তো নিচে নামার পথ নেই। তিনি তার ৩৬ বছরের সরকারি চাকরিজীবনে এর চেয়ে সঙ্কটাপন্ন সময় আর দেখেননি। এর পরই তিনি যুক্তি দেখালেন, অর্থনীতি যেহেতু তলানিতে, তাই এর পরের ঘটনার অর্থই এই তলানি থেকে উত্থান। কোনো গবেষণা ছাড়া গভর্নরের এমন মন্তব্য করা কতটা যৌক্তিক সে প্রশ্ন আসতেই পারে। অনেক বিশেষজ্ঞেরই মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তো মন্দাই শুরু হয়নি, তলানি তো তারও তলে। অবশ্যই বাংলাদেশ এখনো শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের পর্যায়ে যায়নি। আর্থিক খাতের অবস্থা ধনিক তুষ্টির কারণে অবক্ষয়িত ও শোচনীয়। কিন্তু এতে সব অর্থনীতি তলানিতে গেছে বলা দায়িত্বশীল মন্তব্য কি না সে প্রশ্ন অনেক মহলেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বললেন, অর্থনীতি তলানিতে। অথচ তার মাত্র কয়েক দিন আগে গত মেয়াদের বিদায়ী অর্থমন্ত্রী বললেন, দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় আছে। যারা এই ভালো অবস্থা দেখতে পান না, তারা ভালো অর্থনীতিবিদ নন। গভর্নরের ‘তলানি’ বক্তব্যের পর অর্থমন্ত্রীর আর কোনো মন্তব্য পাওয়া গেল না। গভর্নর তার কর্মজীবনে এমন সঙ্কট চোখে দেখেননি এ কথা সরকারবিরোধী দল ও রাজনীতিকরা লুফে নিয়েছেন। কোনো কোনো দল এ কথা তাদের ওয়েবসাইটেও দিয়েছে। বিশেষ করে ‘অর্থনীতি তলানিতে’ কথাটি তাদের বড় ভালো লেগেছে। গভর্নর অবশ্য তার কথার ব্যাখ্যা দিয়েছেন অন্যভাবে। তার মতে, রাজস্ব ঘাটতি এ দেশের চিরস্থায়ী ব্যাপার। চলতি হিসাবেও বেশি সময়েই ঘাটতি থাকে। কিন্তু আর্থিক খাতের ১৫ বিলিয়ন ডলারের উদ্বৃত্ত রাতারাতি দুই বিলিয়ন ডলারের ঘাটতিতে পরিণত হওয়া গভর্নর জীবদ্দশায় দেখেননি। আমরাও দেখিনি এ রকম মাত্র এক বছরে ১৭ বিলিয়ন ডলারের ধস।

গভর্নর এ জন্য যে কারণগুলোর ওপর দায় চাপিয়েছেন তা হলো- যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান নীতি সুদহার, দেশের নির্বাচন ও বিদেশী বিনিয়োগের দ্বিধা, ট্রেড ক্রেডিটের প্রতিকূলতা ও বিদেশী সহায়তার অর্থছাড়ে কষানি। নির্বাচন দেশে আগেও হয়েছে, কিন্তু এভাবে রিজার্ভ খালি হয়ে যায়নি। ট্রেড ক্রেডিট কোনোকালেই ভারসাম্যকে ধসিয়ে দিতে কোনো বড় কারণ হয়নি। বিদেশী সহায়তার অর্থছাড়ের কষানি বা নরমায়ন কখনো রিজার্ভের বড় উপাদান নয়।

প্রকৃত সমস্যাটি হয়েছে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কারণে। কারণ তারা বাংলাদেশের কম সুদের বাজারে পড়ে থাকবে কেন। দেশী ধনিক তুষ্টির স্বার্থে দীর্ঘদিন সুদহারের ক্যাপ ধরে রেখে অর্থমন্ত্রী যে যুক্তিই খাড়া করুন না কেন, বিদেশীরা এই নতুন তত্ত্বে বিশ্বাস আনতে পারেননি। গভর্নরও এই ক্যাপ বেশ কিছু দিন গুরুবাক্যের মতো শিরোধার্য করে রেখে অবশেষে ক্যাপ তুলে দিয়েছেন। তবে, ট্রেজারি বিলের হাওলায় আরেক অদৃশ্য ক্যাপের জন্ম দিয়েছেন, যার কোনো দরকার ছিল না। নীতিতে সততা থাকা প্রয়োজন। সদিচ্ছার অভাবে অজুহাত বাড়ে। অর্থমন্ত্রী বা গভর্নর কেন বুঝতে পারেননি, সুদের হারের একটি সর্বব্যাপ্ত শক্তি আছে। তা না হলে সুদের হার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হাতিয়ার হতো না। আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ইতিহাস মানে সুদের হারের ইতিহাস। ইদানীং অবশ্য বাংলাদেশের সুদহার বাড়ানো হয়েছে, সঙ্কোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা দেয়া হয়েছে, নতুন করে টাকা না ছাপানোর কথা বলা হয়েছে, তবে অর্থনীতির যা হওয়ার ইতোমধ্যে হয়ে গেছে।

এতক্ষণ আমরা অর্থনীতির তাত্ত্বিক অবস্থার কথা বললাম। এখন আসুন দেখি তথ্যগতভাবে অর্থনীতির অবস্থা কী। প্রথমেই বলতে হয়, দেশের অর্থনীতির উৎপাদনের অন্যতম ফ্যাক্টর পুঁজি। পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ নিয়ে শিল্পকারখানা গড়ে তুলেন, সেই পুঁজিবাজার বেশ ক’বছর যাবত আইসিউতে; কোনোরকম কোরামিন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে দেশের বিনিয়োগ খাত স্থবির হয়ে পড়েছে।

ব্যাংকিং সেক্টরও আইসিইউতে যাওয়ার অপেক্ষায়। ননপারফরমিং ঋণ কাগজ-কলমে এক লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা হলেও প্রকৃত হিসাবে প্রায় চার লাখ কোটি টাকা। বেশ কিছু ব্যাংক বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকগুলো ক’বছর পরপর মূলধন শেষ করে আর সরকার ট্যাক্স পেয়ারের টাকা দিয়ে বাজেট থেকে পুঁজি সহায়তা দিয়ে থাকে। মাত্র সোয়া ৪০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশে ৬১টি ব্যাংক স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। রাজনৈতিকভাবে দেয়া চতুর্থ প্রজন্মের ১৩টি ব্যাংকের প্রায় সবগুলোই দুর্বল। সাথে পুরনো কিছু ব্যাংকও রয়েছে। এসব ব্যাংকের মালিকরা এতই শক্তিশালী যে, তারা ব্যাংকের রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেয়। সাড়া পৃথিবী যখন সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করছিল তখনো তাদের হস্তক্ষেপে দেশে নয়-ছয় সুদের হার বহাল ছিল। ডলারের বিপরীতে সব দেশের মুদ্রা যখন অবমূল্যায়ন হচ্ছিল তখনো বাংলাদেশের মুদ্রা ৮৫-৮৬ টাকায় জোর করে আটকিয়ে রেখেছিল। এখন সব কিছুই পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে; সুদের হার বেড়েই চলেছে, মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়ে চলেছে, তবে বড্ড দেরি হয়ে গেছে, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে।

মুদ্রাস্ফীতি সরকারি হিসাবে প্রায় ১০ শতাংশ হলেও বাস্তবে অনেক বেশি। মধ্যবিত্ত, নিন্মমধ্যবিত্ত এবং সীমিত আয়ের লোকদের নাভিশ্বাস উঠছে বাজারে গিয়ে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্যালাইন দিয়ে ২০ বিলিয়ন ডলারে ধরে রাখা যাচ্ছে, অথচ ২০২১ সালেও রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার এবং তখনকার প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারলে এখন রিজার্ভ ৬০-৬৫ বিলিয়নে থাকার কথা। কোটির উপরে জনসংখ্যা বিদেশে কাজ করলেও মানিলন্ডারিংয়ের কারণে ডলার দেশে আসছে না। ২০-২৫ শতাংশ আমদানি কমালেও রিজার্ভ বাড়ছে না। রফতানি প্রকৃত অর্থে তেমন বাড়ছে না।

দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকায়। বিপুল এ ঋণের মধ্যে সাত লাখ ১৬ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নিয়েছে সরকার। আর বিদেশী উৎস থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। প্রতি বছরই বিপুল অঙ্কের ঘাটতি রেখে বাজেট ঘোষণা করছে সরকার। এ বাজেট ঘাটতি পূরণ করতেই দেশী-বিদেশী উৎস থেকে ঋণ বাড়াচ্ছে সরকার।

সরকারকে এখন আর ঋণ দেয়ার সক্ষমতা নেই দেশের ব্যাংক খাতের। এ জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে ট্রেজারি বিল-বন্ড বিক্রি না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই সরকারকে ঋণের জোগান দিয়ে যাচ্ছে। গত পাঁচ বছরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের নেয়া ঋণের ৯২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অনেক ব্যাংকে তারল্য সঙ্কট; টাকা ছাপিয়ে মিটানো হচ্ছে। একদিকে সঙ্কোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়, অন্যদিকে টাকা ছাপিয়ে তারল্য সঙ্কট মিটানো হয়, ফলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতির মিসমেস রয়েছে। বাড়ছে সরকারি ঋণপ্রবাহ, অন্যদিকে কমছে বেসরকারি ঋণপ্রবাহ। ফলে বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে, উৎপাদন কমে যাচ্ছে, কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে যা দেশের মুদ্রাস্ফীতিতে প্রভাব ফেলছে।

পরিশেষে বলতে হয়, দেশের অর্থনীতির সব সেক্টরে বেহাল দশা। স্বাধীনতার পর দেশের অর্থনীতি এতটা সঙ্কটে পড়েনি। এই সঙ্কটের বিভিন্ন কারণ থাকলেও দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাব অন্যতম। এই সঙ্কটের কারণে দেশে বিদেশে সরকার সমালোচনার মুখে পড়ছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যাংকিং ব্যবস্থা সাউন্ডনেসে ১৪১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০তম। গ্লোবাল ইকোনমির গবেষণা মতে, বিশ্বের ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় ১৩৬ দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান ৮৫তম, যা ২০০৯ সালের তুলনায় ২২ ধাপ পিছিয়েছে। প্রভাবশালী তিনটি রেটিং এজেন্সি বাংলাদেশের ঋণমান যেভাবে হ্রাস করেছে, নেতিবাচক সঙ্কেত দিয়েছে। এ সবই দেশের অর্থনীতির জন্য অশনিসঙ্কেত। সুতরাং ঘুরে দাঁড়াতে হবে যেকোনোভাবে, অন্যথায় দেশে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা এমনকী দুর্ভিক্ষ লেগে যেতে পারে।

অর্থনীতি ঘুরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা যেভাবে
সব সেক্টরে রাজনীতিকরণ, অঘোষিত একদলীয় শাসনব্যবস্থা কার্যকরের ফলে সুশাসন না থাকা এবং এর ফলে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট এখন সর্বজনস্বীকৃত। ফলে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসা কঠিন মনে হচ্ছিল সব মহলের, অথচ বেশ সবলভাবেই ক্ষমতায় এসেছে; যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ছে সরকার। ফলে সরকারের কার্যক্রমের দেশী-বিদেশী ব্যাপক সমালোচনার মুখে সরকার হয়তো চিন্তা করছে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দেয়ার। যার প্রতিফলন দেখা যায় অর্থনীতির বিভিন্ন নীতি সংস্কারের মধ্য দিয়ে, যারই বহিঃপ্রকাশ নিম্নলিখিত কার্যক্রমে।

ব্যাংকিং সেক্টর রক্ষায় দুর্নীতি ও রাজনীতিমুক্ত করে সুশাসনের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সবল ব্যাংকের সাথে দুর্বল ব্যাংক একীভূত করে ব্যাংক রক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সঙ্কোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা এবং সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্যাংকের মালিকদের জন্য পারিবারিক পরিচালকের সংখ্যা এবং তাদের মেয়াদ কমিয়ে পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিচালক হওয়ার যোগ্যতায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর সিইওকে মন্দ ঋণ আদায়ের নীতিমালা, ক্ষমতা এবং কড়া নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আমদানি ২৪ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। বিদেশভ্রমণ, বিলাসদ্রব্য আমদানি কমিয়ে ডলারের উপর চাপ কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য রেমিট্যান্সের উপর ইনসেন্টিভ বাড়িয়ে ২ থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আইএমএফ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। মেগা প্রজেক্ট হাতে নেয়া বন্ধ করে বৈদেশিক ঋণের উপর চাপ কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। টাকা ছাপিয়ে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ নেয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনা হয়েছে।

দেশের জ্বালানি খাত পুরোটাই আমদানি-নির্ভর হয়ে পড়েছিল। দেশের তেল-গ্যাস অন্বেষণ এবং উত্তোলনের কোনো খবরই শুনা যায়নি গত দশকে। সেখানেও পরিবর্তন এনে গ্যাস খুঁজে পাওয়ার খবর আসছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে গ্যাস-নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে গ্যাসের উপর চাপ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে বিভিন্নভাবে চেষ্টা হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠার যা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে, সংশয় হলো- সরকারের এই নির্বাচনের পর পর ক্ষমতা পাওয়ার উৎফুল্লে এই প্রচেষ্টা সাময়িক নাকি টেকসই হবে। অধিকন্তু, অর্থনৈতিক সঙ্কট এতটাই বেশি যে, এই সামান্য উদ্যোগ যথেষ্ট না-ও হতে পারে; বরং অর্থনীতির সব সেক্টরে আরো বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত অর্থব্যবস্থা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা হলেই সম্ভব দেশের অর্থনীতির সঙ্কট কাটিয়ে উঠার। উল্লেখ্য, বিশ্বের অর্থনৈতিক সঙ্কট অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে যা বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে ইনশা আল্লাহ।

লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement