জাতীয় পার্টির গৃহবিবাদ
- মীযানুল করীম
- ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩৬
জাতীয় পার্টির গৃহবিবাদ আবার শুরু হয়েছে। আমার এক আত্মীয় আলেম ছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টিকে বলতেন জাতীয় পাট্টি অর্থাৎ তিনি হালকা করে দেখতেন। তার সেই কথা সত্যি হচ্ছে। পার্টিতে দেবর ভাবীর ঝগড়া বারবার ঘটছে। এটি নিছক ঝগড়া নয়। আসলে রাজনৈতিক মতভেদ থেকেই এই বিবাদ।
বলা হতো, জি এম কাদের ভারতপন্থী এবং বাবলু তার সাগরেদ। জি এম কাদের হচ্ছেন দলের প্রধান এবং সংসদের বিরোধী দলের নেতা। মরহুম জিয়া উদ্দীন বাবলু ছিলেন দলের মহাসচিব। এখন রওশন এরশাদ জি এম কাদেরের চেয়ে নিজেকে ভারতপন্থী হিসেবে বেশি প্রমাণ করছেন। রওশন এরশাদ এবারের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তার আস্থাভাজনরাও অংশ নেননি। রওশন এরশাদের ছেলে ‘রাহগির মাহিআল এরশাদ’, মশিউর রহমান রাঙ্গা, ফখরুল ইমাম প্রমুখ নির্বাচনে অংশ নেননি। রাঙ্গা দলের মহাসচিব ছিলেন অতীতে। অপর দিকে, জি এম কাদের অংশগ্রহণ করেন নির্বাচনে। তিনি নিজে রংপুর থেকে এবং স্ত্রী শেরীফা কাদের ঢাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, জি এম কাদেরের স্ত্রীর মনোনয়ন নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে প্রথমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাননি। পরে স্ত্রীর মনোনয়ন নিশ্চিত হলে তিনি সাগ্রহে অংশগ্রহণ করেন। আবার বলা হয়, তিনি বিএনপির সাথে লিয়াজোঁ বজায় রাখছিলেন। জি এম কাদের নাকি নির্বাচনের সময় দলের মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুসহ দলীয় প্রার্থীদের খোঁজ খবর নেননি। এই অভিযোগে শফিকুল ইসলাম সেন্টুসহ দলের অনেক নেতাই বিগড়ে যান।
ইতোমধ্যে রওশন এরশাদ জি এম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে দল থেকে অব্যাহতি দেন। তারা বলেন, দলের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রওশন এরশাদ কাউকে অব্যাহতি দিতে পারেন না। সব মিলিয়ে রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের দ্বন্দ্ব এখন চরমে। তবে ইতঃপূর্বে এমনটি বারবার ঘটেছে। পরে মিটমাট হয়ে গেছে। বর্তমান বিবাদও মিটে যাবে আশা করা যায়। এটি জাতীয় পার্টির চরিত্র। এ নিয়ে বাইরের মাথাব্যথার দরকার নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা