২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জাতি যখন বিবেকের কাঠগড়ায়

জাতি যখন বিবেকের কাঠগড়ায়। - ছবি : সংগৃহীত

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজ থেকেই সভ্যতার সৃষ্টি। কৃষ্টি ও সংস্কৃতি একটি সমাজের ধারক ও বাহক। জীবন ও জীবিকার সম্পর্ক ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। জীবিকার সন্ধানে সমুদ্রের তলদেশ থেকে নভোমণ্ডল পর্যন্ত মানবজাতি পরিভ্রমণ করছে। জীবিকা ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হতে পারে। কারো কাছে যে জীবিকা বৈধ, অন্যের কাছে তা আবার অবৈধ। জীবনের নিরাপত্তা ও জীবিকার স্বচ্ছতা প্রভৃতি মিলিয়ে মানুষকে একটি শৃঙ্খলায় আনার জন্যই একটি রাষ্ট্রের প্রয়োজন, যার দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানসহ জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা প্রদান করাসহ ‘মানুষ’ নামে একটি ফ্রেমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রাখা। জীবন-জীবিকার সার্বিক নিরাপত্তা বলতে একজন নাগরিকের সম্মান নিয়ে বাঁচার নিরাপত্তাসহ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, বিনোদন, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা, মত প্রকাশসহ চিন্তা-চেতনা, সংগঠন করা, রাজপথে শোভাযাত্রা, নিজ কাক্সিক্ষত প্রার্থীকে ভোট দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়াসহ যেকোনো প্রকার ভয়-ভীতির ঊর্র্ধ্বে থেকে জীবন ধারণের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার জন্যই রাষ্ট্রের প্রয়োজন। নাগরিকদের মৌলিক অধিকারসমূহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা নেই। ‘কাজীর গরু কিতাবে থাকার মতো, যা প্রকৃতপক্ষে গোয়ালে নেই।’ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ-২৭-এ বলা হয়েছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’ বাস্তবতা কি তাই? বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার অধীনে সব নাগরিক কি আইনের দৃষ্টিতে সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে? রাষ্ট্র কি সংবিধানের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত হচ্ছে? এই দেশে ভিন্নমতের মানুষ কি ভয়-ভীতির ঊর্র্ধ্বে থেকে তাদের মত প্রকাশ করতে পারছে? বাংলাদেশে স্বাধীনতার সুফল কি সবার জন্য সমান দৃষ্টিতে ভোগ করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার? এ সব প্রশ্ন এখন সব স্বাধীনতাকামী মানুষের বিবেকের তাড়নায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য কি শুধু একটি শ্রেণীর জন্য প্রাপ্য? মুখভরা বুলি নিয়ে প্রচার হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধারণাটি কি সবার জন্য প্রযোজ্য? পার ক্যাপিটা ইনকাম বৃদ্ধির আওতায় কি সাধারণ গণমানুষের অংশীদারিত্ব রয়েছে? প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে এক শ্রেণীর মানুষ যারা সরকারি ঘরানার মধ্যে রয়েছে তারাই একতরফাভাবে স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে। সাধারণ মানুষ হারিয়েছে সাংবিধানিক অধিকার। সরকারি অফিস আদালতে ভিন্ন মতাবলম্বীদের কোনো স্থান নেই; বরং সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলে শুরু হয় নানাবিধ বিভ্রান্তি, বলা হয় রাষ্ট্রদ্রোহী, দেয়া হয় পাকিস্তানি রাজাকার বা দালাল উপাধি।
পাকিস্তান আমলেও নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় যেভাবে নাগরিকদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে, সে অবস্থা স্বৈরাচারী পাকিস্তান সরকার আমলেও ছিল না। সরকার যাতে জনগণের অধিকার হরণ করতে না পারে তার জন্য সংবিধানে কিছু রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে ‘স্বাধীন’ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু হালে সেই কথিত স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোও সরকারি দলের একটি অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে। ফলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো কাগজ-কলমে ‘স্বাধীন’ হলেও বিবেকের দিক থেকে স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে না। ফলে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ থাকার শপথ নিয়ে তারাও মানসিক দাসত্ব করে রাষ্ট্রীয় বেতনভাতা, গাড়ি, বাড়ি ভোগসহ সর্বোপরি ক্ষমতা প্রয়োগ করছে যাতে আপামর জনগণের অধিকার রক্ষার কোনো একাগ্রতা নেই।

ভিন্নমতের নাগরিকরা যদি ক্ষমতাসীনদের দাপটে তটস্থ থাকতে হয় তবে সেখানে স্বাধীনতার চেতনা বা গণতন্ত্রের ‘গ’ পর্যন্ত থাকে না। সংবিধানের প্রস্তাবনার তৃতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘আমরা আরো অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।’ কিন্তু সংবিধানের ওই প্রস্তাবনার সফল বাস্তবায়ন কোথায়? প্রস্তাবনায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন। ভিন্নমতের নাগরিকরা কি আইনের শাসনে সুবিধা ভোগ করতে পারছে? আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো কি সব নাগরিককে আইনের দৃষ্টিতে সমান চোখে দেখে? ক্ষমতাসীনরা ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নির্যাতন করে, পিটিয়ে মিথ্যা মামলায় জেলে পুরে রাখে সে অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা কি ন্যায়বিচার পায়? সরকারি কর্মকর্তারা ও পুলিশ ক্ষমতাসীনদের সাথে যে মোলায়েম সুরে কথা বলে অনুরূপ ব্যবহার কি বিরোধী দলের সাথে করে? আমলারা বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের সাথে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের সাথে ব্যবহার করে। মোট কথা, বেতন খায় ১৮ কোটি আপামর জনগণের উপার্জিত অর্থ থেকে, অথচ পারপাজ সার্ভ করে ক্ষমতাসীনদের। কারণ ক্ষমতাসীনদের হাতে রাখতে পারলে টু-পাইস ইনকামে নিরাপত্তা থাকে, কেউ পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় না, দুদকও তখন কাছে আসে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতজন কর্মকর্তা দুদকের আওতায় এসেছে? তবে তারা কি সবাই দুধের ধোয়া তুলসী পাতা? সরকারি কোনো দফতরেই ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না। এমন কি ট্রান্সফার ও প্রমোশনেও কর্তৃপক্ষকে ঘুষ দিতে হয়, যা এখন ওপেন সিক্রেট। এনবিআর বলে, ট্যাক্স আদায়ের টার্গেট পূরণ হয় না। ব্যবসায়ী ও জনগণ ট্যাক্স দিতে চায়, কিন্তু ট্যাক্স অফিসের কর্মচারী ও অফিসারদের হয়রানির কারণে সাধারণ মানুষ কর দিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। ট্যাক্স অফিসে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ না দিলে কর্মকর্তারা করদাতার ওপর মোটা অঙ্কের কর বসিয়ে দেন। ফলে করদাতা জনগণ কর প্রদানের বিষয়ে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, এ দেশের মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম হচ্ছে ‘ক্ষমতার’ পূজা করা, বিবেকের নয়। অর্থাৎ কোনো বিষয় এখন আর মানুষ বিবেক দিয়ে বিচার করতে চায় না; বরং কোনো কথা বললে ক্ষমতাসীন ব্যক্তি খুশি হবে সেভাবেই নিম্ন পদস্থরা প্রতিবেদন দেয়। সত্যকে প্রকাশ করা নয়; বরং কর্তাকে খুশি রাখাটাই যেন এখন প্রশাসনিক সংস্কৃতি। কারণ কর্তার মনোরঞ্জনের ওপরই নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পদোন্নতি ও লাভজনক পদে পদায়ন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যে ক্ষমতায় থাকে তার কোনো সমালোচনা নেই; বরং কার চেয়ে কে বেশি কর্তাব্যক্তির প্রশংসা করতে পারে, সে প্রতিযোগিতাই এখন চলছে। সরকারি বা রাজনৈতিক সভাগুলোও কর্তাব্যক্তির মনমর্জির ওপর সব দায়িত্ব অর্পণ করে সভা সমাপ্ত করে। বিবেক থেকে এমন কোনো প্রস্তাব বা আলোচনার সূত্রপাত করে না যেখানে সভাপ্রধান মাইন্ড করতে পারেন, সমস্যা সমাধানে কোনো তর্ক-বিতর্ক নয়; বরং প্রধান কর্তাব্যক্তির প্রশংসা করা ও শোনার জন্যই যেন মিটিং ডাকা হয়, রাজনৈতিক সাংগঠনিক সভাগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়।

সাদাকে সাদা বলার বা কালোকে কালো বলার মানসিকতা যখন মানুষ হারিয়ে ফেলে তখনই শুরু হয় সামাজিক বিপর্যয়। অন্যদিকে মানসিক রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্তানকে খুন করে নিজে আত্মহত্যার ঘটনাও সমাজে আরো বিপর্যয় ডেকে আনছে। এখন দেখা যাচ্ছে, বস্তিবাসীর সাথে পাল্লা দিয়ে ধনীর দুলাল, দুলালীরা মাদকে আসক্তি হয়ে পড়েছে। সরকার কোনোভাবেই মাদককে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। পত্রিকান্তরে প্রকাশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একটি অংশ মাদক ব্যবসার কারণে কারাবন্দী রয়েছে। টেকনাফের ওসি প্রদীপ ও চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ যদি হয় সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উচ্চপদস্থদের নমুনা, সেখানে মাদকের প্রসার বন্ধ হবে কীভাবে?

রাষ্ট্র একটি শক্তি ও সব শক্তির উৎসই হলো রাষ্ট্র। কিন্তু রাষ্ট্রের কোনো চালিকাশক্তি নেই, রাষ্ট্রকে যারা পরিচালনা করে তারাই রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি। সংবিধান মোতাবেক বাংলাদেশের জনগণই রাষ্ট্রের মালিক। সংবিধানের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘১. প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীনে ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে; ২. জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোনো আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসামঞ্জস্য হয়, তাহা হইলে সে আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।’

সংবিধানে প্রদত্ত নির্দেশনা স্পষ্টই প্রকাশ করে, রাষ্ট্রকে যারা পরিচালনা করেন তাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন মোতাবেক রাষ্ট্র পরিচালনা করা। কিন্তু বর্তমানে যিনি লঙ্কায় যাচ্ছেন তিনিই রাবনের ভ‚মিকা পালন করছেন। ফলে সুবিধায় রয়েছে ক্ষমতাসীনরা এবং ভোগান্তিতে রয়েছে ভিন্নমতাবলম্বীরা, যারা ক্ষমতাসীনদের জি হুজুর-জাঁহাপনা বলে চলতে পারে না। সমাজে ও রাষ্ট্রে তারাই সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত যারা বিবেক থেকে কথা বলে, চামচামিতে মনোনিবেশ করে না। আর যারা বিত্তশালী তারাও সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন অর্থের বিনিময়ে। কারণ যারা ক্ষমতায় আসীন হয় তারাই বিত্তশালীদের পকেটস্থ হয়ে পড়ে।

২০২৩ সালের ২২/২৩ ফেব্রæয়ারি ও ১৫/১৬ মার্চ যথাক্রমে ঢাকা আইনজীবী সমিতি এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হয়ে গেল একতরফাভাবে। বাংলাদেশে একটি প্রবাদ চালু হয়ে গেছে যে- আওয়ামী লীগ সরকারের এই আমলে দিনের ভোট রাতেই শেষ হয়ে যায়। আইনজীবীদের নির্বাচনেও ওই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হয়েছে। তাই ভোটার হওয়া সত্তে¡ও এ নির্বাচনগুলোতে আমি ভোট দিতে যাই না। আইনজীবীদের নির্বাচনও ট্রাক ড্রাইভার সমিতি বা বঙ্গবাজার সমিতির নির্বাচনের মতোই রং বাহারি রঙে দিনে দিনে কুৎসিত আকার ধারণ করছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি জাতির বিবেক। অথচ সে বিবেক এখন ডাকাতের খপ্পরে। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হস্তক্ষেপ করেও এর কোনো সমাধানে উত্তীর্ণ হতে পারেননি। রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি সমিতির প্রতিটি দাওয়াতেই অংশগ্রহণ করেন। আর বিতর্কিত এ নির্বাচনে নির্বাচিতদের দাওয়াত তিনি গ্রহণ করবেন কি না তা সময় বলে দেবে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি তার এই অঙ্গনের ভাবমর্যাদাসহ নিজের ভাবমর্যাদা জনগণের কাছে কিভাবে সমুন্নত রাখবেন তা-ও দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে। সরকারি দল হাটবাজার, মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল কমিটিসহ অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এমনিভাবে নির্বাচন নামক খেলা খেলে দখল করে নিচ্ছে বটে, কিন্তু এর জবাব একদিন না একদিন সরকারকেই দিতে হবে এবং বিগত ইতিহাস তাই বলে। কারণ পাবলিক পারসেপশন বলতে একটি কথা রয়েছে। আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়। তদুপরি এসব অরাজনৈতিক নির্বাচনে রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ রাজনীতির দৈন্যদশার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। সরকারের জনপ্রিয়তা বা জনসমর্থন হ্রাসের ভীতির কারণে সরকার অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছে বলে জনগণ মনে করে। বিন্দু বিন্দু শিশির কণা যেমন সমুদ্র মহাসমুদ্র সৃষ্টি করে, অনুরূপ ছোটখাটো পাপ জমতে জমতে প্রলয় ঘটায়।

লেখক : রাজনীতিক, কলামিস্ট ও আইনজীবী (অ্যাপিলেট ডিভিশন)
E-mail : [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement
সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিহত রাজধানীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় শটগানের ২৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার যশোরে আ.লীগের ১৬৯ নেতাকর্মীর আদালতে আত্মসমর্পণ অন্তর্বর্তী সরকারকে আরো ২ বছর সময় দিতে হবে : ভিপি নুর সতর্ক থাকুন, দেশকে কেউ যেন বিভক্ত করতে না পারে : মির্জা ফখরুল নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে রাবি অধ্যাপক আতাউরকে সাময়িক অব্যাহতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হলেন নাসিমুল গনি রাজশাহীতে রাজপাড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন এনআইডির তথ্য বেহাত, কম্পিউটার কাউন্সিলের সাথে ইসির চুক্তি বাতিল সবার সহযোগিতায় দুর্নীতিমুক্ত ও ক্রিয়েটিভ বাংলাদেশ গড়তে চাই : শিশির মনির

সকল