বনজঙ্গলের গল্প
- জয়নুল আবেদীন
- ০৪ মার্চ ২০২৩, ২০:৫৯
(শেষ পর্ব)
অঙ্কুরোদগমের সময় পাথরটি হয়তো স্যাঁতস্যাঁতে ছিল। চেয়ে দেখেন, মূল কাণ্ড পাথরের উপর বসে থাকলেও শিকড়গুলো অক্টোপাসের মতো পাথরকে জড়িয়ে ভূমিতে প্রবেশ করেছে। গাছ বীজ থেকে বের হওয়ার পর প্রথম প্রয়োজন পানি। বীজ থেকে প্রথম অঙ্কুরিত চারাটি প্রথম প্রয়োজন মেটালো কী করে?
আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর আগে অনেকে জানত না যে, গাছেরও প্রাণ আছে। শুধু প্রাণ নয়, গাছের চোখসহ আছে অনভূতি, আছে স্নেহ-মমতা ভালোবাসাও। আমাদের বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন যেভাবে শৈশবে আমাদের আগলে রাখেন সেভাবে বড় গাছও আগলে রাখে শিশুগাছকে। কোনো চারাগাছ খাদ্য ও আলো-বাতাসের অভাবে মরতে বসলে পাশের বড়গাছ শিকড় পাঠায়। নিজের গোড়া থেকে শিকড় পাঠিয়ে চারাগাছের গোড়ার সাথে সংযুক্ত হয়ে খাদ্য সরবরাহ করে। আলো-বাতাসের জন্য চারাগাছকে সম্ভাব্য সুযোগ করে দিতেও চেষ্টা করে।
জঙ্গলের নির্জন পথ। নির্জন পথে হাঁটছি আর ভাবছি। মাঝে মধ্যে এক-দু’জন নারী-পুরুষ; সাথে কুকুর। সাইকেল। দুদিকে বন। কোথাও ঘন কোথাও হালকা গাছপালা। কোনো কোনো গাছের চূড়া বনের মাথা ছাড়িয়ে চলে গেছে আকাশে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসার বেঞ্চসহ রয়েছে লাইটপোস্টও। যেখানে সেখানে পাথরসহ উঁচু-নিচু পাহাড়ি জঙ্গল। এক স্থানে দেখি, ছোট্ট জলাভূমি। জলাভূমির উপরে কাঠের সাঁকো। সাঁকোর বামদিকে ছোট্ট জলাশয়। জলাশয়ে একজোড়া পাতিহাঁস। পেছনে ঘন জঙ্গল। লোকজন বাড়িঘর নেই, পাতিহাঁস এলো কেমন করে! সুন্দর হাঁসদম্পতি জলে ডুব দিয়ে কী যেন খাচ্ছে। কী খাচ্ছে হাঁস দুটো? দেখার জন্য এগিয়ে যাই। জলাশয়ের পাড়ে ঘাসের উপর বসি। নির্ভয়ে মাথা পানির নিচে ডুবিয়ে লেজ উপরে তুলে খাবার খুঁজছে হাঁসজুটি। একটুও ভয় পাচ্ছে না। পোষা হাঁস ভয় পাবে কেন? ছবি নেয়ার জন্য তাক করতেই সতর্ক হয়। খাওয়া বন্ধ করে কী যেন ভাবে। মনে হয়, নিরাপদ মনে করছে না। আরো কাছে যেতেই উড়াল দেয়। চিলের মতো উপরে উঠে চলে যায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। আমাকে হতভম্ব হতে দেখে মল্লিকা-
-আব্বা, এসব বুনোহাঁস। বনে বাস করে। খাদ্যের সন্ধানে এক জলাশয় থেকে আরেক জলাশয়ে উড়ে বেড়ায়।
-বুনোহাঁস! কী তেলতেলে চর্বিযুক্ত। ইচ্ছে করলে ধরতে পারতাম। ঢিলা দিয়ে মারতেও পারতাম।
-চর্বিযুক্ত পাখি দেখলেই আমাদের রসনা সিক্ত হয়ে পড়ে। সামাল দিতে পারি না। উদরস্ত করার চিন্তা করি। একবারও ভাবি না, পৃথিবী নামক গ্রহটি মানুষের একার নয়। গাছপালা এবং পশু-পাখিরও। আম্মা আপনাকে ছেড়ে গেছে, আপনার কাছে কেমন লাগে! দু’টি হাঁস থেকে একটি হাঁস খেয়ে ফেললে অন্য হাঁসটির কেমন লাগবে? মহাকাব্য রামায়ণ লেখার মূল উৎস ছিল এক জোড়া হাঁস। একজোড়া হাঁস থেকে এক শিকারি একটি হাঁস শিকার করেছিল। শিকারির তীরে হাঁসের বুকের রক্তে হ্রদের পানি লাল হয়ে গিয়েছিল। মুমূর্ষু হাঁসের পাশে হাঁসির কান্না দেখে প্রেমের বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল দস্যু রত্নাকরের। সেই উপচেপড়া প্রেম থেকে রচনা করেন মহাকাব্য ‘রামায়ণ’। দস্যু রত্নাকরের নাম হয় মহাকবি বাল্মিকী।
-তোমার কথাই ঠিক, আমরা জিহবা সংযত করতে পারি না। এক সময় আমাদের গাঁয়ের দক্ষিণের বিলে শত প্রকারের পাখি আসত। নানা রকমের বকসহ শীতকালে পাখির মেলা জমত। ৮-১০ কেজি ওজনের ধনেশ পাখিও দেখেছি। ধনেশ পাখিকে আমরা বলতাম, কাচিচোরা। মাঠ ভরে যেত সাদা বকে। ঝাঁক ঝাঁক সাদা বক কলাই ক্ষেতে হেঁটে হেঁটে পোকামাকড় খেত। গাছে ছিল শত প্রকারের পাখি। কলসির মতো উল্টে থাকত বাবুইয়ের বাসা। বর্ষার শুরুতেই ধানের ক্ষেতে টুলুপ টুলুপ ডাকত কোড়া পাখি। এখন সব শেষ। সব শেষ করেছে আমাদের রসনা।
-এ কারণেই আমরা প্রকৃতির তোপের মুখে আছি। প্রকৃতির গজব করোনা কী লণ্ডভণ্ড করে গেল আমাদের। এ দেশের মানুষ টেরই পায়নি।
জঙ্গল দেখা অসমাপ্ত রেখেই চলে আসি। নাঈম ছুটি নিতে পারছে না, তাই থাকতে পারেনি আমাদের সাথে। আমি ও মল্লিকা বন দেখেছি, জানতে পারে নাঈম। পরদিন নাঈমের ছুটি। নাঈমের গাড়ি আছে। অফিসের গাড়ি। গাড়ি করে রত্নি (Rottny) নিয়ে যাবে। সেখানে কৃত্রিম ঝরনা, যাওয়ার পথে ঘন জঙ্গলসহ হাজার বছরের পুরোনো গাছও দেখা যাবে।
-এই জঙ্গলের চেয়েও বড়?
-সেসব জঙ্গলের তুলনায় এটি কোনো জঙ্গলই নয়। তাপমাত্রার তারতম্য ও ভৌগোলিক অবস্থানভেদে বিশ্বে রয়েছে নানা রকমের অরণ্য। নানা রকম অরণ্যের মধ্যে সরলবর্গীয় বনভূমির অর্থনৈতিক গুরুত্ব খুব বেশি। উত্তর গোলার্ধের ৫০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৬৫ ডিগ্রি অক্ষাংশেই সরলবর্গীয় বনভূমির অবস্থান যার মধ্যে রয়েছে সুইডেন। সুইডেনে এমনো বন আছে যেখানে আজো মানুষের হাত পড়েনি। বাংলাদেশ থেকে তিনগুণ বড় দেশটির দুই-তৃতীয়াংশের অধিক বন। বন-জঙ্গলের দেশ সুইডেন। যেদিক তাকাবেন সেদিকেই বন।
ওক, বিচ, এলম ও বিস্তৃত পাতার গাছ শুধু ডালভেন নদীর দক্ষিণে জন্মে। যতদূর জানা যায়, কাঠের মধ্যে শক্ত, সুন্দর, নান্দনিক, টেকসই ও দামি ওক (Oak). যাদের মালিকানা বা নিয়ন্ত্রণে ওক গাছ রয়েছে তারা ওকগাছের জন্য গর্ববোধ করে।
প্রকৃতি সুইডিশ জীবনধারায় বড় ভূমিকা রাখে বন। বর্তমানে সুইডেনে ৩০টি জাতীয় উদ্যান রয়েছে, যার সব ক’টি বিনামূল্যে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। বেশ কয়েকটি পার্কে দর্শনার্থী কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে পার্কের ইতিহাস ও প্রকৃতি সম্পর্কে তথ্যের পাশাপাশি রয়েছে নির্দেশিত পদচারণা এবং প্রদর্শনীর ব্যবস্থা, যাতে একজন দর্শনার্থী দর্শনকালে সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে। জাতীয় ছাড়া ব্যক্তি মালিকানাধীন উদ্যানও আছে। সুইডেনে প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন হেক্টর উৎপাদনশীল বনভূমি রয়েছে। সুইডিশ এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি ১.১ মিলিয়ন হেক্টর ভূমির মালিক। এ ছাড়াও রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিও। ব্যক্তিগত বন মালিকদের মালিকানাধীন-প্রধানত পরিবার বা ব্যক্তি। আনুমানিক এক-চতুর্থাংশের মালিক বনায়ন কোম্পানি ও এক-চতুর্থাংশের মালিকানা অঞ্চল, পৌরসভা, চার্চ অব সুইডেন, ফাউন্ডেশন বা অ্যাসোসিয়েশনের। রাস্তা-ঘাট, ছোট ছোট বাড়ি, পাড়া-মহল্লা, শপিংকমপ্লেক্স, শহর, পৌরসভা, খেলার মাঠ, হ্রদ ইত্যাদি বাদে গোটা দেশটিই বন। জাতীয় ও ব্যক্তিমালিকানাধীন কয়েক ডজন বনের মধ্যে এড ফরেস্ট, অ্যাবিস্কো, টাইরেস্তা, টিভেডেন ন্যাশনাল পার্ক ও ডালবি সুপরিচিত।
রতিœ যাওয়ার পথে মাঝখানে নেমে একটি জঙ্গলে প্রবেশ করেছিলাম। জঙ্গলটি কাঁটাযুক্ত মনে হলেও সাবধানে হাঁটা চলার জন্য রয়েছে সরু পথ। হাজার বছর কলহ-বিরোধের দেশ। এমন ঘন কাঁটাযুক্ত বন ছিল বলেই অত্যাচারিত পক্ষ আত্মগোপন করে বাঁচতে পেরেছে। দূরে চিতার মতো পোড়া কাঠ দেখে নাঈমকে উদ্দেশ করে-
-ওই খানে চিতার মতো পোড়া কাঠ মনে হচ্ছে?
-জি না, চিতা নয়। বারবিকিউ প্লেস।
-এমন দুর্গম স্থানে বারবিকিউ প্লেস!
-অনেকের বাড়িতেই বারবিকিউ প্লেস আছে। তার পরও তারা বাইরে, বিশেষ করে বন-জঙ্গল ও পাহাড়ের দুর্গম স্থানে বারবিকিউ করতে পছন্দ করে। বারবিকিউ প্লেস যত দুর্গম তত মজা।
সুউডিশদের মজার কাহিনী শুনতে শুনতে পৌঁছে যাই পুরোনো বৃক্ষের বনে। মূল সড়ক থেকে বাম দিকে মোড় ঘুরে গাড়ি থামে। দু’দিকেই বন। নতুন কোনো গাছ চোখে পড়ে না। একেকটি গাছ যেমন মোটা তেমনি উঁচু।
তুলনা করার জন্য আমি রাস্তার বাম পাশে একটি গাছের গোড়ায় দাঁড়াই। সামনে বাম দিকের রাস্তা দিয়ে কিছু দূর গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যাই। ডান দিকে বনের ভেতরে অনেক বেশি মোটা আরো কয়েকটি গাছ। রাস্তার দিকে লাল ফিতা টানিয়ে রেখেছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন বনে এ রকম লাল সিগন্যাল টানানো থাকে। তার পরও বড় মোটা গাছটির আকার আয়তন ও বয়স জানার জন্য মন উসখুস করছিল। কী করে পরিমাপ করি? সাথে গজ ফিতা স্টেপ কিছুই নেই। হাতের বাও দিয়ে পরিমাপ করার জন্য নাঈমকে গাছের কাছে যেতে বলি। নাঈম লাল ফিতা ডিঙিয়ে নিচে পড়ে থাকা মরা ডালপালা ও আবর্জনা সরিয়ে গাছের গোড়ায় পৌঁছতে সক্ষম হয়।
নাঈম দু’হাত ছড়িয়ে বাও মেপে জানায়, গাছের বেড় ১৮ থেকে ২০ ফুট। কয়েক গজ দূরে আরো একটি গাছ মরার মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে। মরার মতো দাঁড়িয়ে থাকা গাছের বেড় ২০ ফুটের বেশি বই কম হবে না। বাম দিকের জঙ্গলের ভেতর এরকম কয়েক ডজন গাছ। সামনেই জলবিদ্যুতের প্লান্ট। একদিকের হ্রদ থেকে যে খাল দিয়ে পানি নদীতে নামে সে খালে বাঁধ দিয়ে কৃত্রিম জলবিদ্যুৎ তৈরির প্লান্ট। সম্পূর্ণ প্লান্ট পাথর আর কাঠের তৈরি। কৃত্রিম জলপ্রপাত সৃষ্টি করে যেই চাকাটিকে ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় সেই চাকাটিও কাঠের। পাশেই কয়েক শ’ বছর আগের পাথরের নির্মিত একটি ঘর। ঘরে লোকজন নেই; বৈদ্যুতিক প্লান্টও বন্ধ। জলপ্রপাতের পানির পতন বন্ধ নেই। উপর থেকে নিচের দিকে পানির পতনের গর্জন বহুদূর থেকে শোনা যায়। রাত-দিন সগর্জনে অবিরত নামছে পানি। সেখানে জলাশয়ের পাশেও প্রকাণ্ড কাণ্ডের কয়েকটি গাছ দেখেছি। দৈত্যাকারের গাছগুলোর সঠিক বয়স জানা না গেলেও কোনো গাছের বয়সই হাজার বছরের কম হবে না।
বাসার পাশের জঙ্গলের নাম টেলিবোর্গ ফরেস্ট। বাসার বারান্দায় বসেও মাঝে মধ্যে দেখা যায় হরিণ, খরগোশ, শিয়াল ইত্যাদি বন্যজন্তু। খাদ্যের খোঁজে মাঝে মধ্যে বন ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে। বন্য জানোয়ার বনে দেখার মজাই আলাদা। এক সকালে সবাই বারান্দায় বসা। দৃষ্টি বনের দিকে। দু’-চার মিনিট পরপর দু’একটি সাইকেল আরোহী ছাড়া বাইরে লোকজন নেই বললেই চলে। এমন সময় একটি বিড়াল বন থেকে বের হয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে আমাদের দিকেই আসছিল। বিড়ালটি আমাদের দিকে আসছে। ছবি তোলার জন্য প্রস্তুতি নিতেই পেছন থেকে একটি সাইকেল আসে। সাইকেলের শব্দ শুনেই বিড়ালটি ব্যাঙের মতো কয়েক লাফে চলে যায় বনে।
তাই পরপর তিন দিন গেছি জঙ্গলে। প্রথম দিন আমি আর মল্লিকা। কিছুই বুঝতে পারিনি। বুনোহাঁসের ছবি তুলেছি। পরের দু’দিন আমার সাথে ছিল আনিকা। আনিকার জন্ম বাংলাদেশে, শিক্ষা ও বেড়ে ওঠা লন্ডনে। ছবি তোলায় ভালো হাত আছে। এক সকালে বনের পাশে রাস্তায় চোখ পড়তেই দেখি, বিড়ালের মতো একটি খরগোশ একেবারে কাছে চলে এসেছে। মাঝে মধ্যে হরিণও চলে আসে বনের বাইরে। বনের হরিণ দেখার সাধ অনেক দিনের। আমার সাথে শর্তসাপেক্ষে জঙ্গল দেখতে রাজি হয় আনিকাও।
সাইকেল চলার পথ থেকে সরু পায়েচলা পথ চলে গেছে বনের গভীরে। মন চাইছে আরো গভীর বনে প্রবেশ করতে। সাথে আনিকা। হোক ব্রিটিশ মেয়ে, যদি ভয় পায়, কিংবা যদি ঘটে কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা! তাই তিন পা এগোই- এক পা পেছাই। আনিকা ভয় পায় কি-না জানতে চাই-
-তোমার ভয় করে না?
-ভয় করবে কেন?
-ভয়ঙ্কর জঙ্গল!
-জঙ্গল ভয়ঙ্কর হয় না, ভয়ঙ্কর হয় মানুষ। মানুষই জঙ্গলকে ভয়ঙ্কর করে রাখে।
-হিংস্র প্রাণী ও সাপ?
-সুউডেন শীতপ্রধান দেশ। শীতপ্রধান দেশে সাপের উপদ্রব নেই বললেই চলে। টেলিবোর্গ অগভীর ও পরিকল্পিত জঙ্গল। এটিকে পার্কও বলা চলে। আমি আগেও সুইডেন এসেছি। সুউডেনের মেয়েরা অপরাপর দেশের মেয়েদের চেয়ে বেশি সুন্দর। তার পরও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে না বললেই চলে।
আনিকার কাছ থেকে ভরসা পেয়ে আরো গভীর বনে যাই। গিয়ে দেখি, সুন্দর বারবিকিউ প্লেস। ঘন লতাপাতাবেষ্টিত বসার স্থান।
-লন্ডনের চেয়েও সুন্দর ও নিরাপদ দেশ সুইডেন।
তোমার কথা ঠিক। আমাদের দেশে আইন করেও বন্য পশুপাখি সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না আর এখানে আইন না করেও বনে অবাধে বিচরণ করে পশুপাখি।
আমি যে এলকায় আছি সে এলাকার নাম ভক্সজো। আটটি মিউনিসিপালিটি এলাকা নিয়ে ক্রোনোবার্গ কাউন্টি। এর রাজধানী ভক্সজো। ভক্সজোর অভিজাত এলাকার নাম এভাডল। ঢাকার গুলশান বনানীর মতো রাজধানীর অভিজাত ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের বাড়ি এখানে। ভূমধ্যসাগরের মতো বৃহত্তম লেক। স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ পানি। লেকের চারপাশে বাড়ি। প্রত্যেক বাড়িতে জলপথের জন্য স্পিডবোট আর স্থলপথের জন্য রয়েছে দামি গাড়িসহ ক্যারাভ্যান। বাড়ির সামনে লেক, পেছনে রাস্তা। মাঝে সবুজ মাঠ। মাঠ ছেয়ে রয়েছে ফুলে ফুলে। রাস্তায় সাবধানী ড্রাইভিংয়ের জন্য স্পিডব্রেকার। লেকের মধ্যে ছোট ছোট দ্বীপ। এককথায় ভূস্বর্গ। বিকালটা কাটিয়েছি লেকের পাড়। (ইউরোপের চার দেশ ১৪০ পৃষ্ঠা থেকে ১৫৪ পৃষ্ঠা সংক্ষিপ্ত)
তথ্য সূত্র : "Boreal Forests of the World - SWEDEN - FORESTS AND FORESTRY". www.borealforest.org. Retrieved 8 April 2017.
লেখক : আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক
E-mail : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা