০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

নীরব সাক্ষী ক্রনোবার্গ দুর্গ

নীরব সাক্ষী ক্রনোবার্গ দুর্গ। - ছবি : নয়া দিগন্ত

২৮ এপ্রিল ২০২২, রমজান মাস। সকাল সকাল বের হই। আগের রাতে লন্ডন থেকে আসে আনিকা (নাতনী)। সফরসঙ্গী সেও। আজকে দেখার বিষয় ক্রনোবার্গের দুই দুর্গ। প্রথম দুর্গটি বাসার কাছে। ১৫-২০ মিনিটের হাঁটাপথ। আমি, মল্লিকা ও আনিকা হেঁটে রওনা হই। বিশাল লেক ও টেলিবর্গ দুর্গ দেখতে দেখতে দুপুর গড়িয়ে যাবে। বিকেলে গাড়ি করে নিয়ে আসবে মেয়েজামাই নাঈম। নিয়ে যাবে ক্রনোবার্গ দুর্গে। খালি রাস্তা। দুয়েক মিনিট পরপর দুয়েকজন সাইকেল আরোহী ছাড়া লোকজন নেই বললেই চলে। দূর থেকে নজর কাড়ে ইমারতের কয়েকটি সুউচ্চ চূড়া। যেদিন লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে গেছি, সেদিনও কয়েকবার নজরে পড়েছিল। ইমারতটির নাম টেলিবর্গ ক্যাসেল। পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ ভ্যাক্সজোর টেলিবর্গ ক্যাসেল (Teleborgh Castle). লিনিয়াস ইউনিভার্সিটি এলাকা, সুইডেনের ভ্যাক্সজো শহরের কেন্দ্র থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে ট্রুমেন লেকের কাছে অবস্থিত। শতাধিক একর জমিজুড়ে অসমতল মাঠ। মাঠের উঁচু অংশে পাথরের পাহাড়। পাথরের পাহারের প্রকাণ্ড একটি প্রস্তরখণ্ডের উপর অসাধারণ নির্মাণশৈলীতে পাথরের উপর পাথর বিছিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ইমারত।

মিসরের পিরামিডের মতো, প্রথম বিস্ময়, ভারী পাথরের খণ্ডগুলো উপরে উঠানো হয়েছে কী করে? দ্বিতীয় বিস্ময়, পাহাড়চূড়ায় বহুতল ভবনের পাইলিং করল কী করে? পাইলিং, রড, ঢালাই ছাড়া এত উঁচু ইমারত দাঁড়িয়ে থাকবে কেন? এই ভেবে কোনো কুলকিনারা পাই না মধ্যযুগীয় শৈলী সত্তার। বিভিন্ন উচ্চতায় ইমারতের চারটি চ‚ড়া বহুদূর থেকে দৃষ্টিগোচর হয়। বহুতলবিশিষ্ট ইমারতের সামনে ঠিক মাঝখানে একটি সিঁড়ি। শতধাপ সিঁড়ির অর্ধেক ধাপের পর দুই পাশে দুই সিংহের ভাস্কর্য। সিঁড়িটি উঠে গেছে তৃতীয়তলা পর্যন্ত। সিঁড়ির শেষ মাথায় একটি মাত্র প্রবেশদ্বার। একমাত্র মূল প্রবেশদ্বার ছাড়া ভেতরে প্রবেশের সুযোগ নেই। শত বছরেও দুর্গে পাথরের রঙ অবিকৃত রয়েছে, ধরেনি শ্যাওলা, লাগেনি কোনো ময়লা। মোটা পাথরের নির্মিত একটিমাত্র তোরণ বা প্রবেশদ্বার দেখে সুরক্ষিত দুর্গের সাথে তুলনা করা চলে। মধ্যযুগে ক্রনোবার্গের এই এলাকা ড্যানিশদের হাতে বহুবার আক্রান্ত হয়েছিল। তাই দুর্গের বৈশিষ্ট্যে নির্মিত ইমারতটির আরেকটি পরিচয় টেলিবার্গ দুর্গ। এ দুর্গটি ১৯০০ সালে স্থপতি ফার্ম লিন্ডভাল ও বোক্লুন্ড নির্মাণ করেছিল। নির্মাণ করেছিলেন কাউন্ট ফ্রেডরিক বন্ডে (Bonde). অপূর্ব নির্মাণশৈলীর স্থাপনাটি Bonde তার স্ত্রী আনা কোসকুলের বিয়ের উপহার দিয়েছিলেন। ১৭ বছর পরে এ দম্পত্তি মারা গিয়েছিল। দুর্গটি একটি মেয়েদের স্কুল এবং ভাড়ার আবাসন হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৯৬৪ সালে ভ্যাক্সজো মিউনিসিটি পরিষদ আশপাশের পার্কসহ বন্ডে পরিবারের কাছ থেকে কিনে নেয়। আজ এটি প্রধানত এটি বিনোদন, বিয়ে, সম্মেলন ইত্যাদির কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। টেলিবার্গ ক্যাসেলটি লিনিয়াস বিশ্বদ্যালয়ের কাছাকাছি। লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ও দুর্গের কিছু অংশ ব্যবহার করে। শতাধিক একর জমিজুড়ে অসমান মাঠকে মাঠ না বলে পার্ক বলা উচিত। অসমান মাঠের কিছু অংশে গাছ। শত বছরের পুরনো একেকটি গাছের উচ্চতা আকাশছোঁয়া। গাড়িসহ বাইরে আসা-যাওয়ার পথ। রাস্তার দু’পাশে চেনা-অচেনা নানা ফুল। অচেনা এক প্রকার ফুলগাছ দিয়ে বাগানের কাজও চলে; আবার নিরাপদ দেয়ালের কাজও চলে। মখমলের মতো নরম ঘাসের উপর খোলা আকাশ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে নির্মাণ করে রাখা হয়েছে বসার আসন। সারা দিন বসে কিংবা শুয়ে সময় পার করলেও কোনো বাধা নেই। অনেককে দেখেছি, সপরিবারে খাবার নিয়ে এসে এখানে খেতে। কুকুরসহ শিশুরা মাঠে বল, ব্যাট ইত্যাদি নিয়ে খেলাধুলা করছে। পাথরের পাহাড়ে সরল পাইনের ছায়াপথে নিচে নামতে নামতে সামনে হ্রদ। শত একর আয়তনের হ্রদের নাম ট্রুমেন। টেলিবার্গ ক্যাসেলের পেছন ও বামদিকের ট্রুমেন হ্রদের পানি যেমন স্বচ্ছ তেমনি টলমলে, যাকে বাংলায় বলে কাকচক্ষু। হ্রদের চারপাশে সাইকেল পথ, মাঝখানে পাকা সেতু। সেতুটি যেখান থেকে শুরু সেখানে হ্রদের পাশে প্রকাণ্ড কয়েকটি পাথর। একেকটি পাথরের ওজন কয়েক শ’ টন। পাথর কেটে নিচে নামার সিঁড়ি। সিঁড়িতে পা রেখে নামতে গেলে সামনের সমতল স্থানে বারবিকিউ চুলা। চুলার উপরে লোহার নেট, পাথরের উপর মোটা কাঠ বিছিয়ে বসার জায়গা। একপাশে কয়লা। দেখে মনে হবে এই মাত্র সবান্ধব করে গেছে বারবিকিউ। হ্রদের উপরে ব্রিজ, ব্রিজের উপর দিয়ে দলে দলে সাইকেল আরোহী নারী-পুরুষের চলাচল দেখতে দেখতে কখন যে পশ্চিম আকাশে সূর্য হেলে পড়েছে একটুও টের পাইনি।

ক্রনোবার্গ যেতে নাঈম গাড়ি নিয়ে আগেই হাজির। আধাঘণ্টা গাড়ি চালানোর পরে স্পিডব্রেকার। গাড়ির গতি কমে যায়। গতি কমতে নাঈম বলে-
-এখান থেকে শুরু ক্রনোবার্গের হ্রদ এলাকা। ঢাকার গুলশান-বনানীর মতো ক্রনোবার্গের অভিজাত ব্যক্তিরা হ্রদ এলাকায় বাস করেন।
-হ্রদ এলাকায় আর কয়টি পরিবার বাস করতে পারবে? আমাদের গুলশানের বর্তমান আয়তন ১৭ বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা দুই লক্ষাধিক। গুলশান লেকের পাশে বাস করে কয়েক হাজার পরিবার। ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকা শহরে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করেন সাড়ে ৪৩ হাজার জন।

-ক্রনোবার্গের হ্রদের আয়তন ৫০ বর্গকিলোমিটার। সর্বোপরি এই হ্রদেই ক্রনোবার্গ দুর্গ। সুইডেনের হাজার বছর যুদ্ধের নীরব সাক্ষী ক্রনোবার্গ দুর্গ। ক্রনোবার্গ দুর্গের নামানুসারে প্রদেশের নাম হয়েছে ক্রনোবার্গ।

৫০ বর্গকিলোমিটার! হ্রদের আয়তন শুনে চোখ কপালে ওঠে। ভ্যাক্সজোর অভিজাত এলাকার ভেতর দিয়ে চলছি আমরা। প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে বাগান। বাগানের পাশে দামি গাড়ি, স্পিডবোট ও ক্যারাভান (কাভার্ডভ্যানের মতো, যার ভেতরে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে)। জলপথে ভ্রমণে স্পিডবোট আর স্থলপথে বেড়াতে ক্যারাভান। গাড়ির সাথে ক্যারাভান থাকলে সপরিবারে যেখানে ভ্রমণ করুক না কেন, থাকা-খাওয়ার চিন্তা করতে হয় না। বাড়ির পাশে ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের হ্রদ। মন চাইলে হ্রদে স্পিডবোট ভাসিয়ে...। সুখ আর বিনোদনের জন্য আর কী চাই! হ্রদপাড়ের বাসিন্দাদের ছবির মতো ছোট ছোট বাড়িঘর দেখা শেষ হওয়ার আগেই আমাদের গাড়ি হ্রদের পশ্চিমপাড়ে থামে।

গাড়ি থেকে নেমে সবুজ ঘাসের জমি পার হয়ে হ্রদ। হ্রদ থেকে পাড়ে ওঠা-নামার ঘাট। শক্ত ও মোটা কাঠের নির্মিত ঘাট লম্বা হয়ে চলে গেছে হ্রদে। হ্রদের উপর ছোট ছোট দ্বীপ। দ্বীপের উপর বৃক্ষঘেরা বাড়ি। বাড়ির পেছনে আকাশের দিকচক্রবাল রেখায় হালকা কালো মেঘ। বিকেলের সোনারোদ পড়েছে দ্বীপের বাড়ি ও বৃক্ষের উপর। সোনালি রোদমাখা মায়াবী বাড়ির প্রতিচ্ছবি পড়েছে শান্ত পানির তলদেশে। মল্লিকা ও আনিকাসহ ঘাটের মাথায় দাঁড়িয়ে ওদের উদ্দেশে বলি, ‘ভূস্বর্গ আছে বলে প্রায়ই শোনা যায়। যদি সত্যই ভূস্বর্গ থেকে থাকে, তবে এখানে সেই ভূস্বর্গ’। কাঠের ঘাট থেকে নেমে সাদা ফুলে ভরা ঘাসের উপর বসতে জীবনানন্দ দাশের কবিতার একটু এদিক-সেদিক করে আমার কণ্ঠ থেকে বের হয়ে আসে-
‘তোমরা যেখানে সাধ চ’লে যাও- আমি এই হ্রদের পারে
র’য়ে যাব; দেখিব, প্রকৃতির নিজের হাতে সাজানো খেলা।’

ইফতারের সময় সমাগত হওয়ায় আমার আর রয়ে যাওয়া হলো না। প্রায় ১৯ ঘণ্টা রোজা শেষে ইফতার। অন্য একদিন সকাল সকাল চলে আসব ক্রনোবার্গের হেলগাসজোন হ্রদে- এমন বাসনা নিয়ে সেদিনের মতো উঠতে হলো।

হেলগাসজোন হ্রদের প্রাকৃতির সৌন্দর্য, শান্ত পরিবেশ, বিনোদনের স্থান। নৌভ্রমণ, পাখি দর্শন, ফিশিং, হ্রদের দ্বীপ, দ্বীপের সবুজ গাছে আচ্ছাদিত বাড়িতে বৈকালিক সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্যসহ ক্রনোবার্গ ক্যাসেল ধ্বংসাবশেষ দর্শনে অনেক সময় নিয়ে আসতে হবে।

৪ মে সকালে বের হয়ে পড়ি। সকালে বের হওয়ার কারণ, অন্তর্জালে ক্রনোবার্গ দুর্গের ইতিহাস পড়ে ও দেখে আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল। রাস্তায় চলতে চলতে মল্লিকা বলে-
-আব্বা, আমরা প্রথম যাব কক্সবাজারের কলাতলী।
-কক্সবাজারের কলাতলী!
-কক্সবাজার সমুদ্র¯স্নানের সবচেয়ে ভালো জায়গা কলাতলী। হেলগাসজোন হ্রদে গোসলের জন্য উত্তম স্থানের নাম ইভাডল (Evedal). ইভাডলকেই আমরা বলি কলাতলী। হেলগাসজোন হ্রদে অনেক সুন্দর, বড় ও সবচেয়ে জনপ্রিয় এলাকা ইভাডল। ইভাডলে আছে প্রায় ২০০ মিটার দীর্ঘ কক্সবাজারের মতো বালুকাময় সৈকত, একটি বড় সবুজ প্রান্তর, জাম্পিং টাওয়ার, খেলার মাঠ, বসার বেঞ্চ, শিশু কর্নার, খেলার রাইড, চেঞ্জিং রুম ও টয়লেট। রয়েছে বেশ কয়েকটি পার্কিং স্পেস। এখানে বারবিকিউ এলাকাও রয়েছে। সৈকতের পাশে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, ক্যাম্পিং, হোস্টেল, গলফ ও ক্যাফেসহ অনেক কিছু। এখানে পাওয়া যায় নৌকা ভাড়া, ক্যানো ভাড়া, আছে গলফ কোর্স, অ্যাডভেঞ্চার গলফ, হাইকিং ট্রেইলস, ইনস, রেস্টুরেন্ট, হাইকিং হোম ও ক্যাম্পিং। প্রস্তুত রয়েছে বারবিকিউয়ের সরঞ্জামও। উন্নতমানের হোটেল, সেলফ-ক্যাটারিং কিচেন ও ব্রেকফাস্ট সার্ভিসসহ হোস্টেলটিও যা সারা বছর খোলা থাকে। শীত কমতে শুরু করেছে, ক’দিন পরে লোকে লোকারণ্য থাকবে এলাকাটি।

-শহরের মধ্যে হ্রদ, হ্রদের পানি আবার সাগরের পানির মতো হয় কী করে? আমাদের শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীর পানি পরিষ্কার রাখা সম্ভব হয় না। শহরের পাশে বয়ে যাওয়া নদীতে গোসল করা দূরের কথা, ছিটকে এসে শরীরে লাগলেও চামড়া চুলকায়, ঘা হয়।

-এই হ্রদের পানি সমুদ্রের পানির মতো লোনা নয়, পরিষ্কার ঠিকই। হ্রদের স্থানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উপরে, তাই যেকোনো স্থানের পানি গড়িয়েও নামতে পারে না।
-এখানে দেখছি নদী-নালা, সাগরের চেয়ে উঁচু, ভূমধ্যসাগরের মতো এত বড় হ্রদ, পানির উৎস কী?
-কে বলে এখানে নদী নেই? বরফযুগে বরফে ঢেকেছিল নদী-হ্রদ-পাহাড়। বরফ গলতে শুরু করতে এসব দৃশ্যমান হতে শুরু করে। দৃশ্যমান হয় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬২ মিটার উঁচু হ্রদটিও। উত্তরের মেরু এলাকার বরফগলা পানি দক্ষিণের সাগরে যেতে জন্ম হয় নদী-নালার। এখানকার বড় নদী মরুমসান (Morrumsan)। এটি প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, যার মূলপ্রবাহ চলে গেছে বাল্টিক সাগরে। আর উপনদী পড়েছে এই হ্রদে। হ্রদে বার্ষিক গড় পানিপ্রবাহের পরিমাণ প্রতি সেকেন্ডে ৬ দশমিক ৮ কিউবিক মিটার। এই হ্রদের সাথে সংযোগ রয়েছে আরো পাঁচটি হ্রদের। হ্রদের নিজস্ব পানির উৎস বৃষ্টি, তুষার, গলে যাওয়া বরফ, স্রোত ও ভূগর্ভস্থ পানি।

লেখক : আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক
E-mail : [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement
সাভারে দাফন করা ব্যক্তিই হারিছ চৌধুরী তদন্ত প্রতিবেদনসহ আমু-কামরুলকে ১৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেশের ৬৯ কারাগারের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৭ : কারা মহাপরিদর্শক আমরা হিন্দু-মুসলমান একসাথে লড়াই করে দিল্লির দাসত্বকে খান খান করে দেবো : রিজভী আজমির শরিফ : খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহের ইতিহাস জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া ও আমেরিকার বাকবিতণ্ডা ‘শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে গেছে’ পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ১২ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর দেনার দায়ে শক্ত অবস্থান হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে : প্রধান উপদেষ্টা নতুন মামলায় আনিসুল-ইনু-রাশেদ-পলকসহ গ্রেফতার ৯

সকল