জীববিজ্ঞান, ডারউইনিজম ও ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের যুক্তিধারা
- মুসা আল হাফিজ
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪৭
জীব ও জীবনে আমরা দেখি এক ডিজাইন, বহুস্তর ডিজাইন। বর্ণের বৈচিত্র্যে তা শিল্পিত, বিন্যাসের পরিমিতিতে তা ঋদ্ধ, প্রয়োজনের আবেদনে তা সংহত। ডিজাইন সৃষ্টির সর্বত্র, রূপে তার বহুত্ব, স্বরূপে আছে ঐক্য, যৌথতা। জীববিজ্ঞানের তথ্যনির্ভর কাঠামোগুলোর ব্যাখ্যা আছে তার গড়নে, রূপে ও স্বরূপে। আকারে ও আচারে। প্রাণ ও প্রকৃতির জটিল চিত্রে ও চরিত্রে এই ডিজাইনকে পাঠ করা যায়, প্রত্যক্ষ করা যায়। কারণ তার সর্বত্রই স্বাক্ষর আছে বুদ্ধির, বিচক্ষণতার।
একটি বৃক্ষে, একটি ফুলের স্বভাব ও প্রভাবে, একটি ফলের উদ্ভব ও পরিণতিতে বুদ্ধি ও বিচক্ষণ পরিকল্পনার স্পষ্ট স্বাক্ষর মুদ্রিত। সেই স্বাক্ষর আরো জ্বলজ্বল করে প্রাণ ও প্রকৃতির সর্বত্র; মানুষে-পশুতে, দেহের সংগঠনে ও ক্রিয়ায়। অঙ্গব্যবস্থাপনা ও মনোগঠনে।
পৃথিবীকে আমরা যে জীবনের অনুকূল অবস্থায় পাচ্ছি, এখানে যেমন পরিকল্পনা কাজ করছে, তেমনি জীবনের যে আনুকূল্য একটি বীজে ও শস্যে, সেখানেও আছে পরিকল্পিত কারুকাজ। সেই কাজ দেখা যায় কী বাতাসে, কী আকাশে, কী ইন্দ্রে, কী সমুদ্রে। মানুষ বা অন্য প্রাণীর একটি খাবারের কথা ভাবুন। সেখানেও রচিত আছে স্পষ্ট পরিকল্পনার প্রপোজাল!
সৃষ্টির পেছনে বৌদ্ধিক নকশার কারণগুলো তাত্তি¡কভাবে পরীক্ষিত। এগুলো জীববিজ্ঞানের প্রতিটি ধাপে সুস্থিরভাবে মুদ্রিত। এগুলো প্রতিটি জীব ও জীবনে নিশ্চিতভাবে দৃশ্যমান ও ক্রিয়াশীল। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর সতত সক্রিয়তা আমরা দেখি, উদযাপন করি, এবং এর ফলে এরই মধ্যে যাপন করি জীবনধারা। শুধু ব্যক্তিবিশেষ নয়, সব ব্যক্তি, সব মানুষ ও প্রাণীই আছে এই ধারার মধ্যে।
জীব ও জীবনের এই ডিজাইন ডারউইনের ঘটনাচক্রে বিবর্তননির্ভর ব্যাখ্যাগুলোর বিরোধিতা করছে প্রত্যহ। কারণ প্রতিটি জীব ও জীবন পরিকল্পিত রূপায়ণের সাক্ষ্য দিচ্ছে। পরিকল্পিত শৈলী নিয়েই তারা দৃশ্যমান। পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় সব জীবন যাপনশীল, মরণশীল।
সৃষ্টির সর্বত্র আছে নকশা। সে বলছে নকশাকারের কথা। জীবনের সর্বত্র আছে পরিকল্পনা। সে বলছে পরিকল্পনাকারীর কথা। সেই নকশার নির্মাতা ও সেই পরিকল্পনাকারীর চিহ্ন ও আলামত সৃষ্টির সর্বত্র, জীবনের সর্বত্র, প্রাণের সর্বত্র, প্রাণ ধারণের সর্বত্র। চমৎকারভাবে সুবিন্যস্ত জগতে আর প্রতিটি সজীব বস্তুর গঠনকৌশলে উদ্দেশ্যপূর্ণ শিল্প রয়েছে। শিল্পে আছে এর শিল্পীর প্রচ্ছন্ন অটোগ্রাফ। সৃষ্টিতে বিদ্যমান এ নকশাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে জীববিদ্যা, গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান।
এই শিল্প, পরিকল্পনা ও নকশা নিছক কোনো তত্ত্ব নয়, সে সব কিছুকে সম্ভব করেছে। আকাশ ও ভূমির বিন্যাসে সুষ্ঠু পরিকল্পনা না থাকলে সম্ভব হতো না জীবন ধারণ। আমাদের গঠনে, খাদ্যব্যবস্থাপনায়, প্রাণের বিস্তারে পরিকল্পিত প্রকৌশল না থাকলে সম্ভব হতো না কারো জীবনযাপন।
সেই নকশা ও পরিকল্পনাকে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে বৈজ্ঞানিক যুক্তির তিনটি ধারায়।
সেগুলো হচ্ছে ১. ক্রমহ্রাসমান জটিলতা (irreducible complexity), ২. বিশদভাবে ব্যাখ্যাজনিত জটিলতা (specified complexity), ৩. নৃতাত্ত্বিক নীতিমালা। (the anthropic principle)
প্রথম যুক্তিপ্রবাহে আপনি দেখবেন সৃষ্টির সর্বত্র জটিলতা হ্রাস করার ব্যবস্থাপনা। একক শৃঙ্খলার হাত সবকিছুকে পরস্পরের সহযোগী করে তুলছে। একটিকে মিলিয়ে নিচ্ছে অপরটির সাথে। পারস্পরিক প্রতিক্রিয়াগুলোকে পরস্পরের প্রতি অবদানে পরিণত করছে। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মৌলিক কাজে অবদান রাখছে। সমুদ্র অবদান রাখছে বাষ্পে, বাষ্প অবদান রাখছে বৃষ্টিতে, বৃষ্টি অবদান রাখছে ভূমির সজীবতায়, সজীবতা ও উর্বরা অবদান রাখছে তৃণে ও শস্যে, তৃণ ও শস্য অবদান রাখছে প্রাণীদের জীবনধারণে। এসব অবদানের মধ্যে ক্রিয়াশীল আছে বহু উপাদান। প্রতিটি উপাদানও এই সহযোগিতা সমূহকে সম্ভব করে তোলার অনুকূলে কাজ করছে। যেন একটি সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা। একই কমান্ডে কাজ করছে। প্রতিটি কমান্ডের সাথে যুক্ত আছে আরো অগণিত কমান্ড। সেগুলোও কাজ করছে মৌলিক শৃঙ্খলার পক্ষে, মূলীভূত কমান্ডের আওতায়।
পারস্পরিক অবদানের যথার্থতা এবং সেগুলোর ঘূর্ণায়মান অবস্থা ও চক্র একটি অমোঘ পদ্ধতি নিশ্চিত করছে। যা শুধু এক পদ্ধতি নয়, সব পদ্ধতির পদ্ধতি। কারণ পদ্ধতিও এই শৃঙ্খলার ফসল, এই শৃঙ্খলার ব্যাখ্যা।
সাধারণ অর্থে জীবন হলো একই ধরনের একত্রিত জিনিসের বিভিন্ন দিকের সমন্বয়ে গঠিত এক ব্যাপার, যার একটি অন্যটির উপকারে আসার জন্য একে অপরের ওপর নির্ভরশীল।
বিবর্তন এখানে আছে। এটি জৈবনিক শৃঙ্খলার অংশ। এখানে কিছু এলোমেলো পরিবর্তন হয়। যা বিবেচনার একটি দিক মাত্র। কিন্তু এটি জীবনব্যবস্থার সুশৃঙ্খল বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় বহু উপাদানে গঠিত উন্নয়নের অনুষঙ্গী হতে পারে না। কিন্তু ডারউইনবাদ মনে করেন, বিবর্তনতত্ত্বে নিহিত আছে জীবজগতের সব জটিলতার ব্যাখ্যা। কিন্তু এ ব্যাখ্যা কি আমরা পাই? পাই না।
নমুনা হিসেবে মানুষের চোখের কথাই ধরা যাক। চোখ খুবই উপকারী একটি বিষয় বা পদ্ধতি বিশেষ। চোখের মণি, চোখের স্নায়ু এবং দৃষ্টিনির্ভর বহিরাবরণ বাদ দিলে যা থাকে, তা হলো অসম্পূর্ণ ও অসুস্থ এক চোখ, যা মানুষের দেখতে পারার অনুকূল নয়, বরং প্রতিকূল। জীবনের শৃঙ্খলার একটি বিপরীতমুখী বিষয়।
এখন চোখ যদি বিবর্তিত হয়ে তার নানা অংশ বাদ দেয় বা বদলায়, দর্শন সম্ভব থাকবে না আর। মানুষ ও প্রাণীদের দেখাকেই তা অসম্ভব করবে বা প্রতিকূলতার দিকে নিয়ে যাবে। ফলে আপনি যখন জীবনকে সম্ভব রাখার কথা বলছেন, তখন ডারউইনীয় বিবর্তনবাদ এখানে জীবনের বিপরীতে কথা বলছে। জীবনের শৃঙ্খলার একটি অংশের বিরুদ্ধে সে আপনাকে নিতে চাইছে।
কিন্তু এই বিরুদ্ধতা শুধু চোখের প্রশ্নে নয়, প্রতিটি অঙ্গ ও শৃঙ্খলার প্রশ্নেও খাটে। সেই শৃঙ্খলা জারি থাকার মানে হলো ডারউইনিজম জারি না থাকা। এ বিন্যাস নিজেই প্রমাণ করে প্রাকৃতিক বাছাই প্রক্রিয়ার ডারউইনীয় ব্যাখ্যার অযথার্থতা। কারণ চোখকে তার কাজ করতে হলে চোখের সাথে জড়িত সব অংশকে একই সময়ে উপস্থিত থেকে কাজ করতে হবে। এখানে বিবর্তন ও বাছাই সেই উপকারী পদ্ধতি ও ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করবে মাত্র।
এর মানে হলো জীবনের উপকারী পদ্ধতি ও ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের জীবন চলমান। বিবর্তন ও প্রাকৃতিক বাছাইয়ের ফলে আমাদের ফুসফুস যথাস্থানে যায়নি, নাসিকা আপন স্থান পায়নি, মস্তিষ্ক আপন ক্রিয়া লাভ করেনি। এটি হয়েছে অনাদি ডিজাইনের ফলে, যা জীবনকে পরিকল্পনা করেছে আমাদের জন্য।
দ্বিতীয় ধারায় বিশদভাবে ব্যাখ্যাজনিত জটিলতা বা specified complexity হলো একটি যুক্তিপ্রক্রিয়া, যা দেখায় বিবর্তনবাদ দেহব্যবস্থাপনার সংগঠন ও ইন্দ্রিয়জ ক্রিয়াসমূহের বিশদ ব্যাখ্যা করতে পারে না। কেননা মানুষ ও প্রাণীদের দেহস্থাপত্যে দেখা যায় নির্দিষ্ট জটিল নমুনা বা নকশা, যা কাজ করছে কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা ইন্দ্রিয়ের সাথে। এই নকশা ও ইন্দ্রিয়ের যৌথতা না থাকলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্রিয়া যথাযথ হতো না। যথোচিতভাবে তার ক্রিয়া ও পরিচালনার সাথে অঙ্গের কাঠামোগত বিন্যাস যেন পরস্পরের সহযোগী। অঙ্গের এ বিন্যাসের উৎপত্তির পেছনে কী ব্যাখ্যা? এমন যথোচিত শারীরিক স্থাপনা ও ইন্দ্রিয়-সহযোগের এমন যৌথতা বিবর্তনের এলোমেলো প্রক্রিয়ায় সম্ভব নয়। কারণ তাতে আছে জটিল আকার ও ব্যবস্থাপনা, যা জটিল হয়েও যথাযথ। সূক্ষ্ম হয়েও পরিপূর্ণভাবে সুশৃঙ্খল। প্রকৃতির খেয়ালে বিবর্তনের ফলে এমনটি হয়ে গেছে, তা সুন্দর কল্পনা হতে পারে, বাস্তবতা হতে পারে না।
একটি ঘরে এক ডজন কলম, কাগজ ও এক ডজন কুকুর রেখে দিলে কাগজে অনেক কিছুই আঁকাআঁকি হতে পারে। কিন্তু ভ্যান গগের ছবি বা জয়নুল আবেদীনের সুন্দর চিত্রকর্ম তৈরি হবে না। এগুলো হবে এলোমেলো কালির বিস্তারণ। কোথাও কতগুলো যন্ত্রপাতি রেখে দিলে সেগুলো বিবর্তনের ধারায় বিমান হয়ে উঠবে না। একশত বানর আর একশত কম্পিউটার কোথাও রেখে দিলে বানররা হয়তো কি বোর্ডে কিছু লিখেও ফেলতে পারে। কিন্তু তা জালালুদ্দীন রুমীর কবিতা বা শেকসপিয়রের নাটক অথবা টলস্টয়ের উপন্যাস হয়ে উঠবে না। তা হবে না, কারণ এসব কবিতা, নাটক বা উপন্যাসে আছে জটিল বিন্যাস ও পরিকল্পনা। কিন্তু একটি কবিতা, নাটক বা উপন্যাসের চেয়ে কোটি কোটি গুণ বেশি সুবিন্যস্ত মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর দেহ। জীববিজ্ঞান এ জটিলতা ও সূ²তার সামনে বিস্মিত। এটি কিভাবে সম্ভব কোনো পরিকল্পনা ছাড়া? এটি কিভাবে সম্ভব বিন্যাসকারী ছাড়া?
নৃতাত্ত্বিক জটিলতা বা the anthropic principle বৈজ্ঞানিক সেই আলোচনাপদ্ধতি, যা দেখায় আমাদের বসবাস করার জন্য এই জগৎ ও মহাবিশ্ব অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো- গোছানো অবস্থায় বিরাজমান। পৃথিবীর ওপর প্রবহমান বাতাসের উপাদানগুলোর অনুপাত যদি সামান্যতম পরিবর্তিত হতো, তাহলে পৃথিবীর ওপর থেকে অনেক প্রজাতি খুব দ্রুতই অস্তিত্বহীন হতো। আবার যদি পৃথিবী সূর্যের খুব কাছে অথবা অনেক দূরে থাকত, তাহলেও পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেত অনেক প্রজাতি, বিলুপ্ত হয়ে যেত অগণিত জীব-জাতি। পৃথিবীতে বসবাসরত সব প্রাণ ও প্রাণীর অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ঠিক যে বিন্যাস দরকার, সেই বিন্যাসই আছে পৃথিবীতে। তাদের উন্নয়নের জন্য এবং সঠিকভাবে জীবন ধারণের জন্য যে বহুমাত্রিক আয়োজন দরকার, সব কিছুই এখানে থরে থরে সজ্জিত। এটি লক্ষ্যহীন ঘটনাবলির ফলে বিবর্তনের ফসল হতে পারে না। ধেয়ে আসা পরিবর্তন ও ঘটনাচক্রের বাছাইয়ের ফলে এই পৃথিবীর বিদ্যমান অবস্থান অসম্ভব।
সৃষ্টির সর্বত্র যে বুদ্ধিদীপ্ত পরিকল্পনা ও নকশা, তা যে প্রজ্ঞাপূর্ণ স্রষ্টা ও বিচক্ষণ সৃষ্টিকর্মের দাবি করে, একজন হিন্দু, একজন খ্রিষ্টান, একজন ইহুদি সেই স্রষ্টায় বিশ্বাসী। যদিও বহুত্ব, ট্রিনিটি, ঈশ্বরের পিতৃত্ব ইত্যাদির ধারণা সেখানে উপস্থিত। কিন্তু কোনো ধর্মে বিশ্বাসী নন, এমন বহু বিজ্ঞানীও বুদ্ধিদীপ্ত নকশার সত্যতা স্বীকার করেন, বিবর্তনবাদে আস্থা নেই তাদের। তারা সৃষ্টির সর্বত্র বিদ্যমান বিচক্ষণতার উৎসগুলো অনুমান করতে চান নিজেদের মতো করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হতবিহ্বল হয়ে যান। তারা নিজেদের আলোচনায় ঈশ্বরকে হাজির না করার ব্যাপারে সতর্ক। কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত নকশার কথা বললে নকশাবিদের অস্তিত্ব ও পরিচয় সম্পর্কে বলতে হবে। এটি না বললে তত্ত¡টা পূর্ণতা পায় না। ফলে তাদের কেউ কেউ এমনও দাবি করেন যে, অন্য গ্রহ থেকে আসা কোনো সৃষ্ট প্রাণী এই পৃথিবী গঠন করেছে। অবশ্য তারা এই অন্য গ্রহ থেকে আসা প্রাণী সম্বন্ধে তেমন কোনো আলামত দিতে পারেন না, কোনো প্রমাণ তাদের হাতে নেই। তাই তাদের কোনোরূপ বিশ্বাসযোগ্য বক্তব্য সামনে আসে না। যা আসে, তা নিছক অনুমান। চাঁদের বুড়ির সুতা কাটার গল্পের মতো। তারাও দিন শেষে ডারউইনের অনুমানের দূরবর্তী আত্মীয় হয়ে ওঠেন। কারণ তারা নিখিলের শৃঙ্খলাকে বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু মহান আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলিতে গিয়ে দিক-চিহ্ন হারিয়ে ফেলেছেন। এখানে বিজ্ঞান কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এটি বস্তুজগতের ঊর্ধ্বের বাস্তবতা। এখানে দরকার ওহির পথনির্দেশ। ইসলাম তাই ওহির সত্য ঘোষণা করে। বলে, স্রষ্টার অস্তিত্বের জন্য জীবজগতের সব কিছু একেক চিহ্ন বা লক্ষণ। সব সৃষ্টিতে নিহিত বিন্যাস, শৃঙ্খলা ও ক্রিয়াশীলতা হচ্ছে তার আয়াত বা নিদর্শন। সর্বত্রই প্রতিফলিত হচ্ছে তার প্রজ্ঞা। সেই প্রজ্ঞাবান স্রষ্টার পরিচয় ও স্বরূপ বর্ণনায় ইসলাম খুবই সোচ্চার। সেই বর্ণনা তাওহিদের ভিত্তির ওপর এত সুদৃঢ় ও সুস্পষ্ট, যা কোনো মুসলিমের বিশ্বাসকে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর স্রষ্টা বিশ্বাস থেকে সুস্পষ্টভাবে স্বতন্ত্র করে তোলে। ইসলাম বিশ্বজগৎ ও জীবনের নকশাকারীর পরিচয়দানে কোনো দ্বিধা বা অস্পষ্টতা রাখেনি। ফলে জীববিজ্ঞান ও সৃষ্টিতত্ত্বের একজন সত্যসন্ধানী গবেষককে বস্তুর ঊর্ধ্বে সত্যের মুখোমুখি হবার জন্য ইসলামের কণ্ঠস্বর শুনতে হয়।
লেখক : কবি, গবেষক
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা