০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

সুখে আছি ঢাকা শহর

সুখে আছি ঢাকা শহর। - ছবি : সংগৃহীত

সবাই যখন দেশোদ্ধারে ঠিক তখনই নজর যায় বিবিসির নিউজ শিরোনাম- High pollution hits Bangladesh capital. গত ১৪ জানুয়ারি ভোরে, The Daily Star Bangla ওপেন করতেই, ‘বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ২০০ (একিউআই) স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়।’ চীনের উহান ২১৮ স্কোর নিয়ে শীর্ষস্থান ও ভারতের কলকাতা ১৯৩ স্কোর নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে।’

আমার বাসা ঢাকার বাইরে হলেও কোম্পানির কাজে প্রতি শনিবার ঢাকা আসতে হয়। শনিবার বন্ধের দিন। যানবাহন ও লোকজনের চাপ কম। তাই কিছুটা স্বস্তিতেই ছিলাম। গত ৭ জানুয়ারি শনিবার। সন্ধ্যা ৬টার পর পরীবাগ থেকে বের হয়ে গুলিস্তানের গাড়ি খুঁজছিলাম। আমি ছিলাম রাস্তার পশ্চিম পাশে। মেট্রোরেল নির্মাণের কারণে রাস্তার দুই পাশে দু’দিকের গাড়ি চলাচলের সঙ্কীর্ণ পথ। মাঝখানে বন্ধ। সঙ্কীর্ণ পথের পাশ দিয়ে হাঁটাচলা ঝুঁকিপূর্ণ। কাছাকাছি ফ্লাইওভার না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই হাঁটছিলাম। এক দিকে সন্ধ্যার বিদঘুটে অন্ধকার; অন্যদিকে গাড়ির হুইসেল, কুয়াশা, ধোঁয়াসহ ধুলাবালুর পরিমাণ এত বেশি ছিল যে, সামনের কিছুই মালুম হচ্ছিল না। উপরের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রঙিন নামফলক দেখে এগোচ্ছিলাম। অনেক ঝুঁকি নিয়েই রাস্তার পূর্বপাশে আসি। বারডেমের সামনে এসে সিএনজি পাই। সিএনজি জিপিওতে পৌঁছার আগেই ট্রাফিক সিগন্যালে অস্বাভাবিক বিলম্ব। বিলম্বের কারণ, কোনো এক ভিআইপি। ভিআইপিদের প্রয়োজন শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে এ সিগন্যাল।

১৪ তারিখ শনিবার। গত সপ্তাহের মতো প্রায় একই সময়ে আমি গুলিস্তান। বাসের টিকিট কেটে লাইনে। উৎসব বাসের লাইন চলে গেছে জিপিওর কাছাকাছি। ঘণ্টাখানেক পা পা করে এগিয়ে অল্পের জন্য পূর্ণ হয়ে যায় আগের বাসটি। এখন যে গাড়ি আসবে সে গাড়ির সামনের সারির যাত্রী আমি। ফুরফুরে মুড নিয়ে বাদাম চিবুচ্ছিলাম। সময় পার হচ্ছে। গাড়ির নামগন্ধও নেই। দেখতে দেখতে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে বায়তুল মোকাররমের এই বাসচত্বর। পুলিশ এসে উঠিয়ে দেয় লাইন; বন্ধন ও উৎসব উভয় বাসের টিকিট করা কয়েক শ’ যাত্রী যার মধ্যে রয়েছে বর্ষীয়ান নারী-পুরুষ ও শিশু। এই কারবালার হাহাকারের মধ্যেই জানা যায়, কোনো না কোনো ভিআইপির নিরাপত্তার জন্য রাস্তা খালি করা হচ্ছে। পুলিশের নির্দেশে লাইন ভেঙে সবাই ছুটে রাস্তার দক্ষিণ পাশে। দক্ষিণ পাশে যানজট আগেই লেগেছিল। জটের মাধ্যেই কয়েক শ’ যাত্রী খুঁজছে কাঙ্ক্ষিত গাড়ি। পুলিশের নির্দেশের সাথে সাথে আমার ফুরফুরে মুড ও বাদাম চিবানো থেমে যায়! মনে পড়ে এ অবস্থায় টাকা খোয়ানোর কথা। কাঁধে ব্যাগ, হাতে ঘড়ি, চোখে চশমা, পকেটে মোবাইল ও টাকার কথা ভুলে জানের মায়া ত্যাগ করে আমিও ছুটছি। জটের মধ্যে একটিমাত্র বাস, কয়েক শ’ যাত্রী, শুরু হয় যুদ্ধ যে যুদ্ধে সবচেয়ে অযোগ্য বর্ষীয়ান নারী-পুরুষসহ শিশুরা।

Bangladesh capital.-এর নিত্যনৈমিত্তিক চিত্র। High pollution-হলো নানা কারণে বাতাসে ধূলিকণাসহ শ্বাসের অযোগ্য কার্বন-মনোঅক্সাইড, নাইট্রোজেন-ডাই অক্সাইড, সালফার-ডাই অক্সাইডের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া। তার মধ্যে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, আবাসিক বর্জ্য, মোটরযান, শিল্পপ্রতিষ্ঠান তো আছেই। এক কোটি দুই লাখের অধিক বসবাসরত শহরের মানুষ এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কত দিন যুদ্ধ থাকতে পারবে? এই যুদ্ধেও সবচেয়ে অযোগ্য বর্ষীয়ান নারী-পুরুষসহ শিশুরা।

এই চিত্র ঢাকা ছাড়া আর কোথাও চোখে পড়ে না। কয়েক মাস আগে ইউরোপের কয়েক দেশ ঘুরে এলাম। এক সময় ইউরোপের যেসব দেশ মনুষ্য বাসের অযোগ্য ছিল এখন সেসব দেশই সুখ-শান্তির দেশ। সুখ-শান্তির কারণ খুঁজে বের করতে গিয়ে অনেক কারণের মধ্যে প্রথম দু’টি কারণ, ছিল সাইকেল ও রিসাইকেল।

সাইকেল : ‘সব দিক দিয়েই বাহন হিসেবে এগিয়ে রয়েছে সাইকেল। ইউরোপের যেসব দেশ সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন সাইকেল তার মধ্যে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, নেদারল্যান্ডস আমস্টারডাম, ফ্রান্সের প্যারিস ও মালমো (সুইডেন) এগিয়ে। আমরা মনে করি, এখানকার মানুষের প্রধান বাহন সাইকেল। দূরপাল্লা ছাড়া নারী-পুরুষ সবাই সাইকেল ব্যবহার করে। বাড়িতে নামী-দামি গাড়ি থাকতেও সাইকেলই প্রিয় বাহন। সুইডেনে সাইকেলের রাস্তা আলাদা। যেখানে প্রধান রাস্তা ক্রস করতে হয় সেখানেও সাইকেল স্বাধীন। চলন্ত বাস ও ট্যাক্সি থেমে যায় সাইকেল রোডে সাইকেল দেখলে। সব বয়সের নারী-পুরুষ আরোহণ করে সাইকেলে। এক কথায়, সাইকেলের স্বর্গরাজ্য সুইডেন।
এ দেশের মানুষের সুখ-শান্তির সূচনা সাইকেল থেকেই। প্রথমত, সাইকেল পরিবেশবান্ধব। দ্বিতীয়ত, সাইকেল চালানো উত্তম ব্যায়াম। তৃতীয়ত, আরামদায়ক। চতুর্থত, সাশ্রয়ী পরিশেষে বহনসহ সহজে রক্ষণযোগ্য। দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারে গাড়ি থাকা সত্ত্বেও তারা সাইকেল চড়ে বিদ্যালয়ে করে। ৭০-৮০ বছর বয়সের মহিলারাও সাইকেল চালায়। শরীর ঠিক রাখার জন্য ট্যাক্সি মালিকরাও সাইকেল চালায়। সুইডেনের ভ্যাক্সজো এলাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সাইকেলে আসা-যাওয়া করে। ভার্সিটি এলাকাসহ প্রত্যেক অফিস আদালতেও রয়েছে সাইকেল পার্কিংয়ের জন্য আলাদা স্থান। কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শত শত শিক্ষার্থী সাইকেল চড়ে ক্লাস করে। আমরা মনে করি, সুখের প্রথম কারণই পরিবেশবান্ধব সাইকেল।

প্যারিসের ব্যস্ততম রাস্তার দৃশ্য দেখে লিখেছিলাম, ‘আমাদের ঢাকা রিকশা আর ট্যাক্সির শহর। এই দুই প্রকারের যান মাঝে মধ্যে শহরকে অচল করে ফেলে। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীও সাইকেলে করে আফিস করেন বলে জানা যায়। মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক সাইকেল ও মেট্রোরেল তার প্রধান এবং প্রিয় বাহন। এ কারণেই তাদের চলাচলের সময় রাস্তা বন্ধ থাকে না। অচল হওয়া থেকে বাঁচার জন্য অনেক ব্যস্ত রাস্তায়ই রিকশা বন্ধ। তার পরও রক্ষে নেই। ট্যাক্সিতে ট্যাক্সিতে অচল হয়ে পড়ে রাস্তা। এই দৃশ্য ইউরোপজুড়ে নেই। আছে, এরকম স্কুটি আর সাইকেল চালকের দৃশ্য। বিদেশে ট্যাক্সি সস্তা। রিকন্ডিশন ট্যাক্সি আরো সস্তা। সামান্য জমা দিয়েই সহজ কিস্তিতে ট্যাক্সি কিনতে পাওয়া যায়। তার পরও এখানকার নারী-পুরুষের কাছে স্কুটি আর সাইকেলই অধিক পছন্দ।’

সাইকেলের পরের স্থান স্কুটি বা চালকহীন রিকশা। দাঁড়িয়ে থাকে পথের উভয় পাশে। রিকশার কাজ করে। রিকশার বারকোড নাম্বারের সাথে যাত্রীর মোবাইলের নাম্বার মেলালেই মোটর সচল হয়। চলতে থাকে মাইলের পর মাইল। ভাড়া নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই নেই ঝগড়া-ফ্যাসাদও। মোবাইলের বারকোড মেলানোর সাথে সাথে আদায় হয়ে যায় রিকশার ভাড়াও। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রধান বাহন সাইকেল।

রিসাইকেল :
রিসাইক্লিং ‘WTE পদ্ধতি, যার অর্থ Waste to energy. আবর্জনা থেকে শক্তি। সুইডেনে তার দেশের বিভিন্ন আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্পের আবর্জনা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়। সুইডেনে এ ধরনের ৩২পি প্লান্ট রয়েছে। সুইডেনের প্রথম নজর পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে। এখানে পরিবেশ নষ্টকারী বর্জ্য বলতে কিছু নেই। রিসাইক্লিং পদ্ধতিতে সমাজের সব ত্যাজ্য দ্রব্য ও বর্জ্য ব্যবহার উপযোগী হয়ে আবার ফিরে আসে সমাজে। প্রাণী দেহের সবচেয়ে নিকৃষ্ট বর্জ্য দিয়ে তৈরি হয় বায়ুগ্যাস। মার্সিডিজ কোম্পানির বাসগুলোও বায়ুগ্যাসে চলে। গ্যাস তৈরির জন্য কোনো এক সময় সুইডেনে ময়লা-আবর্জনার সঙ্কট দেখা দিতে পারে।

বায়োগ্যাস :
সুইডেন পা রাখার পর যে বিষয়টি আমাকে বিস্মিত করেছে সে বিষয়টি হলো এ দেশে বর্জ্য বলে কোনো বস্তু নেই।
আমাদের কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট যে বর্জ্য (প্রাণীর মল) সে বর্জ্য দিয়ে তৈরি হয় সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বায়োগ্যাস। সুইডেনের রাস্তায় সারাদিন যে মার্সিডিজ গাড়িগুলো চলে সে গাড়িগুলোর জ্বালানি বায়োগ্যাস। Recycling পদ্ধতিতে যেখানে জৈবিক বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস তৈরি হয় সে কারখানাটা দেখতে চেয়েছিলাম। দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করতেই মল্লিকা বলে, আব্বা, এই কারখানাটা লোকালয় থেকে বেশ দূরে জনবিরল এলাকায়। প্রথম দিন আমরা যখন বড়শি ফেলছিলাম (লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বদিকের জলাশয়ে) সেখান থেকে জঙ্গলের ভেতরে আপনাকে একটি ফ্যাক্টরি দেখিয়েছিলাম। জঙ্গলের ওপর দিয়ে ফ্যাক্টরির উপরের অংশ দেখা যায়। সেটিও বায়োগ্যাস কারখানা। নির্জন পথে অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা বায়োগ্যাস ফ্যাক্টরির কাছে পৌঁছি। কোনো লোকজনের সাড়াশব্দ নেই। গেটে লেখা আছে Biogas veriges Smartaste branstle Biogas fram Alvesta Biogas Denna produkt. বায়োগ্যাস ফ্যাক্টরি দেখে ফেরার পথে, বায়োগ্যাস সম্পর্কে একটি প্রচলিত কথা আছে। ‘বর্জ্য’ বলে কোনো বস্তু নেই। নেপোলিয়ন যদি বলতে পারে, ‘অসম্ভব’ শব্দটি শুধু বোকার অভিধানে দেখা যায় তবে সুইডেনও বলতে পারে বর্জ্য বলে কোনো শব্দও অভিধানে থাকতে পারে না। কারণ বর্জ্যরে আভিধানিক অর্থ ‘বিভিন্ন উৎস থেকে আসা যেসব পদার্থ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কাজে আসে না তাকে বর্জ্য বলে।’ কাজে আসে না এমন কিছু পদার্থ বিশ্বে নেই। তাই, বর্জ্য শব্দও অভিধানে থাকা আবশ্যক নয়। আমরা যা বর্জ্য বলি তা অন্য কোনো মূল্যবান বস্তুর কাঁচামাল। জটিল জীবাণু প্রক্রিয়ায় জৈব পদার্থের অবক্ষয়ের মাধ্যমে বায়োগ্যাস তৈরি হয়। জবপুপষরহম প্রক্রিয়াটি প্রকৃতিতে ঘটে আসছে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে।

Recycling is the process of converting waste materials into new materials and objects. The recovery of energy from waste materials is often included in this concept. The recyclability of a material depends on its ability to reacquire the properties it had in its original state. Wikipedia প্রক্রিয়াটি প্রকৃতিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটতে থাকার উত্তম উদাহরণ, শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া। শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় প্রাণীর বর্জ্য গ্রহণ করে উদ্ভিদ আর উদ্ভিদের বর্জ্য গ্রহণ করে প্রাণী। এই পরস্পর বর্জ্য আদান-প্রদানের বিষয় সৃষ্টির শুরু থেকে শুরু হলেও কেউ জানত না। বিশ্বে কোনো বস্তুই ফেলনা নয়। স্রষ্টা নিজেই বলেছেন, ‘পার্থিব জীবনে একজনকে আরেকজনের ওপর সমুন্নত করি যাতে একে অপরের দ্বারা সেবা নিতে পারে।’ (সূরা আয যুখরুফ, আয়াত-৩২)

-এ দেশে মানুষ নেই, বায়োগ্যাসের জন্য প্রতিদিন এত উপাদান-উপকরণ কিভাবে আসে?
আমাদের বাসার সামনে রয়েছে একটি সুন্দর ছোট্ট কাঠের ঘর। এই কাঠের ঘরে বাসিন্দারা পরিবারের বর্জ্য ফেলে। পরিবারের বর্জ্যকে ১১টি ভাগে ভাগ করা হয়। কাগজ প্যাকেজিং, প্লাস্টিকের প্যাকেজিং, গ্লাস থেকে শুরু করে খাদ্যের বর্জ্য, ইলেকট্রনিক্স থেকে স্ক্র্যাপ মেটাল পর্যন্ত উৎসগুলো বাছাই করা হয়। যেমন
১. গ্লাস, অবর্ণিত; ২. গ্লাস রঙিন; ৩. ফ্লুরোসেন্ট বাতিসহ অন্যান্য আলোর উৎস; ৪. মেটাল; প্যাকেজিং; ৫. কাগজ প্যাকেজিং; ৬. প্লাস্টিক প্যাকেজিং; ৭. অবশিষ্ট বর্জ্য; ৮. ছোট ব্যাটারি, ৯. সংবাদপত্র।

কাঠের ঘর থেকে সময়মতো মিউনিসিপ্যাল কোম্পানির গাড়ি এসে বর্জ্যগুলো নিয়ে যায়। বর্জ্য সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি হয়। অন্য দিকে যদি বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও পুনঃব্যবহারের মাধমে একটি ভালো উপায়ে পরিচালিত হয়, তবে বর্জ্যটি আমাদের পরিবেশের ওপর কম নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বর্জ্য নতুন উপকরণ, উৎপাদন ও শক্তি নিষ্কাশনে একটি সম্পদ হিসেবে পরিচালিত হতে পারে।

আমাদের ভক্সজো এলাকার বর্জ্য জল শোধনাগার, সুন্ডেট এ, নিকাশি ময়লা এবং সংগৃহীত খাদ্য বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপন্ন হয়ে থাকে। একজন নাগরিক যখনই খাদ্যের বর্জ্য সংরক্ষণ করেন তখনই তিনি একটি জীবাশ্ম জ্বালানি মুক্ত পৌরসভার লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখেন। প্রতিটি নাগরিক নিজেদের জন্য এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিষ্কার বায়ুতে বাস করতে চায়। একজনের খাদ্যের বাহ্য বর্জ্য থেকে আমরা যে গ্যাস উৎপাদন করতে পারে তা দিয়ে একটি সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি চার কিলোমিটার চলতে পারে। শহরের বাসগুলো এসব বায়োগ্যাস দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে।

গত দুই শনিবারের শনির দশা মনে পড়তেই মনে পড়ে ঈশ্বর গুপ্তের ‘রাতে মশা দিনে মাছি/এই নিয়ে কলকাতায় আছি’ ব্যঙ্গ উক্তির কথা। ঈশ্বর গুপ্তের সুরে সুর মিলিয়ে আমারও বলতে ইচ্ছে করছিল যানজট দূষণ অষ্টপ্রহর সুখে আছি ঢাকা শহর।

লেখক : আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক

E-mail : [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement