জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্পের শম্বুকগতি
- ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
- ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:৩৫
বাসস্থান মানুষের মৌলিক চাহিদা। পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত উন্নয়ন ও সংস্কৃতিগত উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে সব নাগরিকের জন্য মানসম্মত আবাসন ও পরিকল্পিত গৃহায়নের ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। দরিদ্র, মধ্যম, সীমিত আয়ের গ্রুপ, চাকরিজীবী ও অনগ্রসর মানুষের সাশ্রয়ীমূল্যে আবাসনসুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের জাতীয় গৃহায়ন পরিকল্পনা এক চমৎকার উদ্যোগ। এতে গৃহায়ন সঙ্কট নিরসনকল্পে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বহুতল ভবন ও প্লট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য অথবা ওপেন সিক্রেট তদবিরের কারণে সরকারের জনবান্ধব এ কর্মসূচির সুফল জনগণ পাচ্ছে না। পদে পদে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য, হয়রানি ও অনিয়মের চাপে প্লটগ্রহণেচ্ছু মানুষ উদ্যমহীন হয়ে পড়ছেন। অনেক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী কর্মকর্তা তাদের জীবদ্দশায় আর বাড়ি করতে পারবেন কি না, রীতিমতো সন্দিহান হয়ে পড়েছেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চলমান চট্টগ্রামের সোনাপাহাড় আবাসন প্রকল্পটির গতি চলছে ঢিমেতালে। গ্রাহকের কাছ থেকে কিস্তির টাকাগুলো ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে সময়মতো নেয়ার পরও জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন ও প্লট হস্তান্তর করা হচ্ছে না।
অনেকে কিস্তির টাকা জমা দিয়েছেন, পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়েছে। পুরো এলাকার সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ, মাটি ভরাট, খুঁটি স্থাপন ও বৈদ্যুতিক তার সম্প্রসারণের কাজ অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে।
২০১৫ সালে চট্টগ্রামস্থ মিরসরাই উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য সাইট অ্যান্ড সার্ভিসেস আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ করতে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়। ২০১৬ সালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ১৬৯তম বোর্ডসভার অনুমোদনক্রমে আবেদনকারীদের মধ্যে প্লট, রোড, লেন নম্বর ও জমির পরিমাণ উল্লেখ করে ৯৯ বছরের লিজ দেয়ার লক্ষ্যে বরাদ্দপত্র ইস্যু করা হয়। ২০১৯ সালের জুন মাসের ভেতরে চার কিস্তিতে সমুদয় অর্থ পরিশোধের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে তৃতীয় কিস্তি টাকা পরিশোধের পর প্লট উন্নয়ন প্রক্রিয়া সম্পাদন সাপেক্ষে জমির বাস্তব দখল বুঝিয়ে দেয়ার লিখিত শর্ত থাকলেও চার বছরেও তা প্রতিপালিত হয়নি।
ইতোমধ্যে আবেদনকারীরা ২০১৯ সালের ৯ জুনের মধ্যে সব পাওনা পরিশোধ করেন। সোনাপাহাড় প্রকল্পে ৫, ৪.৬৫, ৩, ও ১.৬৫ কাঠার ১৮৮টি আবাসিক প্লট এবং ০.৫০ কাঠার বাণিজ্যিক প্লট রয়েছে ৯৪টি। সরেজমিন দেখা গেছে, এই প্রকল্পের মূল ফটক, সীমানাপ্রাচীর, মাটি ভরাট, বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন ও তার টানানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে জমি রেজিস্ট্র্রেশন ও প্লট হস্তান্তর না করায় আবেদনকারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কর্তৃপক্ষীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত নকশায় ভুল থাকায় জমি রেজিস্ট্রেশন ও প্লট হস্তান্তর বিলম্বিত হয়েছে। ১০ মাস আগে নকশা সংশোধন করে পুনরায় বরাদ্দপত্র ইস্যু করা হলেও রেজিস্ট্রেশন ও প্লট হস্তান্তর করা হচ্ছে না। বরাদ্দপত্র প্রাপ্ত বেশ কয়েকজন আবেদনকারীর সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তারা জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এই অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা ভাবছেন। ইতোমধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ জোরদার হয়েছে। বরাদ্দপত্রপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, বিচারক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, আইনজীবী, প্রকৌশলী ও ব্যবসায়ীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ। রাউজান পিংক সিটি আবাসিক প্রকল্পের অবস্থাও একইরকম। সরেজমিন দেখা গেছে, পাকা দেয়ালঘেরা প্রকল্পের অভ্যন্তরে রীতিমতো বনজঙ্গল তৈরি হয়েছে। সমুদয় কিস্তি পরিশোধের পরও আবেদনকারীদের প্লট বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে না।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মিরসরাই সোনাপাহাড় আবাসন প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মিরসরাই বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্যের এক সম্ভাবনাময় এলাকা। ইতোমধ্যে এখানে গড়ে উঠছে দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল। উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের সাধুরচর, শীলচর, মোশাররফচর ও পীরেরচর এলাকার ৩০ হাজার একর চরাঞ্চলজুড়ে গড়ে উঠছে দেশের বৃহত্তম এই অর্থনৈতিক অঞ্চল। ২০৩০ সালে পূর্ণাঙ্গভাবে শিল্পশহর চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সমুদ্র উপকূল ঘেঁষে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, নেভি ও চায়না হারবার কোম্পানি সাড়ে ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ করছে। কারখানায় পানি সরবরাহের জন্য দুই একর জমিতে তৈরি করা হবে জলাধার। এক হাজার ৮০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। পুরো কাজ শেষ হলে এখানে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৩০ লাখ লোকের। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এই অঞ্চলে দেশী-বিদেশী শিল্পোদ্যোক্তাদের ৮৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে। সেখানে প্রায় দুই হাজার একর জমিতে বিনিয়োগ করতে চায় বসুন্ধরা, পিএইচপি, কেএসআরএম, বিএসআরএম, ঝেজিয়াং, কুনমিংসহ বিভিন্ন শিল্প গ্রুপ।
এ ছাড়া এক হাজার ৭৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে সামিট চিটাগাং পাওয়ার, ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চায় সিরাজ সাইকেল ইন্ডাস্ট্রি, বিপিডিবি-আরপিসিএল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বিনিয়োগ করতে চায় এক হাজার কোটি টাকা, আরব-বাংলাদেশ ফুড ১০০ কোটি টাকা, গ্যাস-১ লিমিটেড ২০০ কোটি টাকা, ফন ইন্টারন্যাশনাল ২০০ কোটি টাকা, ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা, আরমান হক ডেনিমস ১০০ কোটি টাকা ও অর্কিড এনার্জি ২০০ কোটি টাকা। পিএইচপি স্টিল ওয়ার্কস বিদেশী কোম্পানির সাথে যৌথ বিনিয়োগে সেখানে স্টিল মিল স্থাপন করবে। এই গ্রুপ ৫৬৪ একর জমিতে স্টিল মিলসহ বিভিন্ন খাতে দুই ধাপে ৩২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি, ৫০০ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন। এতে আধুনিক পাল্প অ্যান্ড বোর্ড মিলসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী শিল্প স্থাপন ও ইকোনমিক জোনের উন্নয়নে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। ইতোমধ্যে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ভূমি বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব বিবেচনায় মিরসরাইয়ের সোনাপাহাড় আবাসন প্রকল্পের উপযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষকে ঘিরে দালালচক্র ও দুর্নীতির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়েছে ও তদন্ত শুরু হয়েছে। অপরাধের সাথে যুক্ত অনেককে সাজাও দিয়েছেন আদালত। অনেকে আবেদন করে কোনো প্লট পাননি। আবার অনেক সরকারি কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি একাধিক প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) তথ্য গোপন করে চারটি প্রকল্প থেকে দু’টি ফ্ল্যাট ও দু’টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। বিষয়টি ধরা পড়ার পর গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ তাকে অনুরোধ করেছে, একটি রেখে অন্যগুলো ফেরত দিতে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য (প্রকৌশল ও সমন্বয়) গোপালগঞ্জে তিন কাঠা, খুলনার বয়রায় তিন কাঠা, মাদারীপুরে তিন কাঠা ও কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েছিলেন। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক পরিচালক (ভূমি) নিজের নামে লালমাটিয়ায় একটি ফ্ল্যাট, কুষ্টিয়ায় সাড়ে তিন কাঠার একটি প্লট, কক্সবাজারে স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট নিয়েছেন।
এ ছাড়া ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দুই বোন ও চাচাকে কুষ্টিয়ায় একটি করে সাড়ে তিন কাঠার প্লট নিয়ে দিয়েছেন। তাদের মতো অন্তত ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এভাবে দুই থেকে ছয়টি ফ্ল্যাট বা প্লট জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বরাদ্দ নিয়েছেন। এখন ধরা পড়ার পর ফ্ল্যাট বা প্লটের একটি রেখে অন্যগুলো ফিরিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু বিস্ময়কর হলো- এত বড় ধরনের অনিয়মের সাথে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এ ধরনের সুযোগ দিয়ে কর্তৃপক্ষ অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষা দিচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতেও তারা একই কাজ করবেন। কারণ তারা বুঝে গেছেন, এ রকম জালিয়াতি করলে কোনো শাস্তি হয় না। ধরা পড়লে ফেরত দিয়েই দায়মুক্ত হওয়া যায়।’ তিনি মনে করেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার। পাশাপাশি তাদের বিচারের আওতায়ও আনতে হবে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা একাধিক প্লট-ফ্ল্যাট নিয়েছেন তারা অনৈতিক কাজ করেছেন। তবে কোনো অনিয়ম করেননি। কারণ তারা যখন এসব প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছিলেন তখন একাধিক প্লট-ফ্ল্যাট নেয়ার ব্যাপারে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।’ (সমকাল, ১০ ফেব্রুয়ারি-২০১৬)
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪, ১৯৯৭ সালে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে দলিল জালিয়াতি করে সরকারি জমি বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক যুগ্মসচিব রফিকুল মুহাম্মদকে পাঁচ বছর এবং একজন কেরানি ও একজন টাইপিস্টকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। ২০০৩ সালের ৩০ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন রমনা থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (দ্য ডেইলি স্টার, ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি-২০১৯)।
২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দফতরে সাংবাদিকদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকসহ সেবাগ্রহীতাদের প্রবেশেও বাধা দেয়া হয়। সে সময় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দফতরে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। ‘কেন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না’ জিজ্ঞাসা করা হলে কর্তৃপক্ষের আদেশ রয়েছে বলে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মচারীরা জানান। এক পর্যায়ে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মচারীরা উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্য আচরণ করেন। (নয়া দিগন্ত, ২৩ অক্টোবর-২০১৯)
যদিও সাধারণ মানুষের আবাসনের সমস্যা সমাধানের জন্যই গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এ রকম আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করে, কিন্তু প্লট-ফ্ল্যাটগুলো সাধারণের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে বরাদ্দ না দিয়ে ক্ষমতার সোপানে যুক্ত ব্যক্তিরা নিজেরাই ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়ায় প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়, বঞ্চিত হয় সাধারণজন। অপর দিকে প্রকল্প রেডি হওয়ার পরও প্লট বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে বরাদ্দকৃত প্লট ও ফ্ল্যাটের দখল হস্তান্তর ও জমি রেজিস্ট্রেশনের উদ্যোগ নেয়া না হলে মানববন্ধন ও আন্দোলনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। বরাদ্দপ্রাপ্তদের সাথে আলাপ করে এ তথ্য জানা গেছে। কিছু দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তার অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও সময়ক্ষেপণের কারণে সরকারের জনবান্ধব গৃহায়ন পরিকল্পনাটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গবেষক
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা