২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মিডিয়া কাভারেজ পাওয়ার ক্ষুধা

মিডিয়া কাভারেজ পাওয়ার ক্ষুধা - ছবি : সংগৃহীত

বিগত কয়েক মাস ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে আসছেন তাদের দলের প্রতি মিডিয়া বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রথম উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিরোধী পক্ষের সাথে সাথে সরকারি দলের বক্তব্য নেওয়া উচিত মিডিয়ার। বিরোধী দলের ছোটখাটো নেতা কী করেছে তা নিয়ে মিডিয়া ব্যস্ত। অথচ আমাদের নেতাদের নাম আসে না। তাদের সাত আটজনের কাভারেজ দেয়ার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নাম আসে। আবার সেটা ত্রিশ সেকেন্ড দিয়েই শেষ। বিরোধীরা মিথ্যাচার বিষোদগার করে। তারা তা ক্লেইম করতে পারে। তাদেরটা তাদের দিন। কিন্তু আমাদেরও মতামত আছে। সেটাও দিন।’ এ অবস্থায় দেশে মূল্যবোধের অকল্পনীয় অবক্ষয় হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এই বিষয়টি আমাদের মনে হয় তাদের সাথে আলাপ করা উচিত মন্তব্য করে তিনি দলের লোকদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন, গণমাধ্যম কী আচরণটা করছে?

বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এক দলীয় সভায় তিনি এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর থেকে তিনি সোচ্চার হয়ে বলে যাচ্ছেন ‘উপযুক্ত কাভারেজ পাচ্ছেন না’। তার মতে, বিরোধীদের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের খবর আসছে না। পুলিশের ওপর নির্যাতনের ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে না। এরপর তিনি মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সাথে বসে সমান সুযোগ পাওয়ার দাবিটি তাদের কাছে উত্থাপনও করেছেন। আওয়ামী লীগ মিডিয়া কাভারেজ পাচ্ছে না এমন অভাববোধ দলটির ইতিহাসে এর আগে কখনো দেখা যায়নি। বরং সবাই জানে আওয়ামী লীগ সর্বদাই বাংলাদেশী মিডিয়ায় প্রাপ্য কভারেজ তুলনামূলক বেশি পেয়ে থাকে। তাদের সাফল্য প্রচার করতে প্রায় সব মিডিয়া মুখিয়ে থাকে। একই সময় তাদের ত্রুটি বিচ্যুতি আড়াল করে তাদের প্রতিনিয়ত ছাড় দেয়। মিডিয়া দলটির প্রকৃত সমর্থন শক্তির চেয়ে বেশি করে উপস্থাপন করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে আওয়ামী লীগের প্রতি মিডিয়া পক্ষপাতদুষ্ট। তাই মিডিয়া বঞ্চনার কথা উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদকের এভাবে কৃপা আদায়ে নিরুপায় চেষ্টা নজিরবিহীন বিরল ঘটনা।

এদিকে অনেকে মনে করে, সরকার ও রাজনীতিতে আজকে চরম দেউলিয়া অবস্থার জন্য বাংলাদেশের মিডিয়ারও দায় রয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুট, প্রশাসনে চরম অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্য, উন্নয়ন খাতে বিপুল দুর্নীতি ও মুদ্রা পাচার ঘটতে পেরেছে পাহাদারের অর্পিত দায়িত্বটি মিডিয়ার পালন করতে না পারার জন্য। হঠাৎ করে একদিনে দেশের চরম সর্বনাশ হয়নি। বছরের পর বছর এসব হয়েছে। মিডিয়া প্রথম থেকে অনিয়মের খবর দিলে পরিস্থিতির এত অবনতি হতো না। বর্তমান সরকারের আমলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বলতে কিছু ছিল না। বরং প্রকাশ্যে ঘটা অন্যায় অনিয়মের খবর তারা এড়িয়ে গেছে। দেশের ভেতরে সংঘটিত সব বড় বড় অপরাধ এসেছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। তাদের সাথে ছিল সামাজিক গণমাধ্যম। এখন দেশের গণমাধ্যম যেসব অনিয়ম দুর্নীতির খবর দিচ্ছে তা বাধ্য হয়ে। এ খবর না দিলে দেশের মূল ধারার সংবাদ মাধ্যম অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। মূলত সামাজিক মাধ্যমে আসা খবরের ফলোআপ পাওয়া যায় মূল ধারার সংবাদমাধ্যমে। অর্থাৎ খবরটা না দিলে আসলে পাঠকের কাছে তার অবস্থানই থাকে না। মিডিয়ার দায়িত্ব ছিল সব অন্যায় অনিয়ম ও অপরাধের খবর অগ্রিম প্রকাশ করে দেয়া। সেটা তারা করেনি বা করতে পারেনি। বলতে হবে প্রথমে তারা করেনি পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে। পরে তারা করতে পারেনি সরকার এসব প্রকাশ পছন্দ করে না বলে। যেসব সংবাদ সরকার ও সরকারের ঘনিষ্ঠরা পছন্দ করে না তা প্রকাশ করার মাশুল অনেকে দিয়েছেন। এজন্য অনেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের কথা বলেন। মূলত এই আইন পাস হয়ে আসার আগে থেকে মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমের ওপর চরম চাপ দেয়ার নীতি কার্যকর ছিল।

সরকার স্বেচ্ছাচারী হলে কোনো ধরনের আইনেরও প্রয়োজন হয় না। সেটা দেশে দেখা গেছে। মোট কথা হচ্ছে পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার কারণে সঠিক সময় এই সরকারের প্রতি সতর্কতা সঙ্কেত না বাজিয়ে মিডিয়া ভুল করেছে তারই ফলস্বরূপ পরে মিডিয়াকে ভুগতে হয়েছে। তাকে অনেকটাই স্বাধীনতা হারাতে হয়েছে। স্ব-আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ার কারণ অনেক অনিয়ম লুটপাটই সবার কাছে সামাজিক মাধ্যম সূত্রে স্পষ্ট হয়ে গেছে। মানুষের মুখে মুখে সেগুলো চাউর হয়ে গেছে। এসব খবর আর গোপন করে রাখা যাচ্ছে না। বর্তমান সরকারের শুরু থেকে মিডিয়া পক্ষপাত মুক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করলে পরবর্তীতে তাদের সরকারি চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে হতো না। সেটা না হলে আমাদের অর্থনৈতিক রাজনৈতিক এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হতো না। এই অবস্থায় মিডিয়ায় উপযুক্ত কাভারেজ না পাওয়া নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের অসন্তুষ্ট হওয়াকে কিভাবে বুঝব আমরা। তিনি যদিও সরকারি দলের নেতাদের কাভারেজ দেওয়া হচ্ছে না এবং মিথ্যা ভুল খবর প্রকাশের কথা উল্লেখ করছেন। দৈনিক সংবাদপত্রের খবর প্রকাশের ধারা দেখলে ওবায়দুল কাদেরের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে না। এখনো আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ মিডিয়া কাভারেজ পায়। তাদের সরকার তার চেয়েও বেশি কাভারেজ পায়। অন্যদিকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সব বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ। তারা খবর প্রকাশের বাইরে গিয়ে সরকারের পক্ষ হয়ে জোরালো অ্যাক্টিভিজমও করে। এর ভূরি ভূরি নজির প্রতিদিন টিভি চ্যানেলের সংবাদ ও সম্পাদকীয় থেকে দেখানো যাবে।

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া বিএনপির গণসমাবেশের খবর উপস্থাপনা আমরা একটু দেখি। এ খবরটি বিবিসি ও আল জাজিরা দিনের আন্তর্জাতিক সংবাদ হিসেবে কাভারেজ দিয়েছে। বিবিসি বাংলা মাধ্যম প্রতিদিন বাংলাদেশের খবর দেয়, বাংলাদেশীদের জন্য। ইংরেজি ভার্সনে আন্তর্জাতিক খবর হিসেবে বাংলাদেশ সাধারণত শিরোনাম হয় না। ঢাকা গণসমাবেশের খবরটি তাদের ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। দেখা গেল তারা এটিকে ‘লাখ লাখ’ লোকের সমাবেশ হিসেবে উল্লেখ করে জগদ্বাসীর কাছে পৌঁছে দিয়েছে। অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ খবর ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় প্রকাশ হয়েছে। এটি যে বিশ্ববাসীর জন্য খবর তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম চিনতে ভুল করেনি।

একই দিন বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমেও এটি প্রধান খবর। তবে এর উপস্থাপনা আমাদের স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয় আওয়ামী লীগ ও বর্তমান সরকার দৈনিক পত্রিকার খবরে কতটা প্রাধান্য পায়। একটি জাতীয় দৈনিক তিন কলামে এদিন প্রধান শিরোনাম করেছে, বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ আওয়ামী লীগ বলল ভুল সিদ্ধান্ত। গণসমাবেশের একটি ঘোষণাকে আওয়ামী লীগের মূল্যায়নে তারা দিনের প্রধান খবর করেছে। আর জনসভার মূল খবর স্থান পেয়েছে তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে। তারও আগে জায়গা পেয়েছে ওবায়দুল কাদেরের ছবিসহ সাভারে সরকারদলীয় একটি সভা। তার বক্তব্য দেয়ার ছবি দিয়ে খবরটিকে তারা দিনের দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম করেছে। বিবিসি ও আলজাজিরায় গুরুত্ব পাওয়া গোলাপবাগের জনসভার খবরটির এই পত্রিকায় জায়গা হয়েছে তারও পরে। সমাবেশের প্রধান অতিথি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একটি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি দিয়ে সেটা করা হয়েছে। এই পত্রিকার বিচারে বিএনপির গণসমাবেশ তৃতীয় বা চতুর্থ নাম্বার খবর। তারা উপরে ডান পাশে আরেকটি খবর দিয়েছে তা এ খবরটির চেয়ে এক কলাম জায়গা বেশি পেয়েছে। আকার ও উপস্থাপনা দেখে নিশ্চিত করে বলা যাবে না পত্রিকাটি কোন খবরটিকে প্রকৃতপক্ষে তৃতীয় প্রধান খবর করেছে।

সাভারে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জনসভা একটি রুটিন দলীয় কর্মসূচির অংশ। বিএনপির দেশব্যাপী গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সিরিজ একই ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। দুই দলের কর্মসূচি আয়োজন ও প্রস্তুতি নিয়ে রাষ্ট্র সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী অবস্থান গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মসূচি মানুষের অংশগ্রহণের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। বিএনপির প্রত্যেকটি কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বাধা দেয়ার হেন কোনো চেষ্টা বাদ রাখেনি। সড়ক নৌপথ বন্ধ করে দিলেও মানুষ হেঁটে হাজির হয়েছে। বিচারবঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষ, নিম্নবিত্ত অসহায় মানুষ জান বাজি রেখে এসব সভায় উপস্থিত হয়েছে। ভেলায় চড়ে নদী পেরিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভাষা আন্দোলন থেকে ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মুক্তিকামী মানুষের সাথে মিডিয়া সমানতালে ভ‚মিকা রেখে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এবারের যে আত্মত্যাগ সেটাকে দেশের কোনো মিডিয়া মহিমান্বিত করেনি। বঞ্চিতদের আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন করেনি। হয়নি এখনো ফিচার কিংবা বক্স নিউজ। ওবায়দুল কাদের মিডিয়ার কাছ থেকে বেশি আর কী চান।

বিরোধীদের জনসভায় অংশগ্রহণ ঠেকাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সদস্যরা মানুষের নাগরিক অধিকারকে ক্ষুণœ করেছে। জনগণের ওপর ব্যক্তিগত তল্লাশি চালিয়েছে। ফোন ঘেঁটে সে বিএনপি করে কি না সেটা যাচাই করেছে। যদিও এই কাজটি পুলিশও কারণ ছাড়া করতে পারে না। এ কাজ করতে গিয়ে যাদের বিএনপি বলে সন্দেহ হয়েছে তাদের এক অংশকে বেদম মারধর করেছে। লাঞ্ছিত অপমানিত করে সমাবেশ যোগদান হতে বিরত রাখতে চেয়েছে। এসব খবর খুব কম প্রকাশ করেছে পত্রিকা। জনস্বার্থ ও মৌলিক অধিকার প্রশ্নে এসব খবর অত্যন্ত উদ্বেগজনক হলেও তারা এগুলো আড়াল করেছে। মন্তব্য প্রতিবেদন লিখে, সম্পাদকীয় কলাম লিখে বঞ্চিত নির্যাতিতদের প্রতি সমবেদনা জানানোর কাজ মিডিয়া করেনি। ওবায়দুল কাদের কি স্বীকার করবেন সংবাদমাধ্যম জনস্বার্থ রক্ষায় তার দায়িত্ব পালন করেনি?

সব জাতীয় দৈনিক একই দিন অনুষ্ঠিত দুটো সমাবেশ প্রায় সমান মূল্যায়ন করেছে। সাভারের জনসভাকে সবাই প্রথম পাতায় দিয়েছে। পার্থক্য হয়েছে বিএনপির সমাবেশ চার কলাম পেলে আওয়ামী লীগের সমাবেশ তিন কলাম পেয়েছে। উপরে নিচে করে সবাই প্রায় একই ধরনের সমান গুরুত্ব দিয়েছে। ২০০৮ সালের আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরোধীদলীয় পত্রিকা বলতে ‘একটা ধারণা’ চালু ছিল। সরকারের নানামুখী প্রবল চাপে সে ধরনের কিছু দেশে এখন অবশিষ্ট নেই। সব পত্রিকায় সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ছবিসহ নিয়মিত প্রধান শিরোনাম করে। ওবায়দুল কাদের বেশি কাভারেজ দিচ্ছে বলে বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করছেন। সত্যি কথা হচ্ছে, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা বিএনপি মিডিয়ায় জায়গা হারাতে হারাতে প্রায় বিস্মৃতির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।

দলটির প্রধান সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শেষে এক কলাম খবর হয়েছেন। পেছনের পাতায় কিংবা ভিতরের পাতায় জায়গা হয়েছে তার। অন্য দিকে, দলটির খবর ও দলটির নেতারা বাংলাদেশের রাজনীতির মতো মিডিয়া থেকেও হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন। মিডিয়ায় তারা আবার ফিরছেন মিডিয়া তাদের ভালোবাসছে এ কারণে নয়। মূলত জনদাবিতে গণ-উত্থান ঘটছে তারা এর প্রথম সারিতে রয়েছেন। বিএনপির গণসমাবেশের বিপুল মানুষের উপস্থিতির ঠেলায় সেটা ঘটতে পারছে। জনগণের শক্তি বলে যেই ধারণাটি রয়েছে সেটিই এখানে কার্যকর হয়েছে। বিএনপির প্রতি দেশের মিডিয়ার পক্ষপাতিত্ব নেই। এটি মিডিয়ারও অস্তিত্বের প্রশ্ন। এসব কর্মসূচিকে উপেক্ষা করলে তারাও হারিয়ে যাবে। মানুষের এখন খবর জানতে আর অসুবিধা হয় না। ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে গণসাংবাদিকতা। সবাই এখন মাঠে নেমে এসেছে। সবার হাতে আছে ক্যামেরা।

jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement