ফারদিনও কি আবরারের পথে বলি?
- জসিম উদ্দিন
- ১৬ নভেম্বর ২০২২, ১৯:৫৪
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের আরেক মেধাবী ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। ফারদিন নূর নামের এই ছাত্রও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক সচেতন ছিলেন ছাত্রলীগের হাতে খুন হওয়া একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র আবরার ফাহাদের মতোই। আবরারের হত্যার পর ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে বুয়েট থেকে শুধু ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নয়, সব ধরনের ক্ষতিকর রাজনীতি বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রলীগ কয়েকবার প্রচেষ্টা চালিয়ে নতুন করে প্রতিষ্ঠানটিতে তাদের রাজনীতি চালু করতে পারেনি। জানা যাচ্ছে, এই আন্দোলনে ফারদিন এই সময়ে সক্রিয় সাহসী ভ‚মিকা রাখেন।
তিনি আবরার স্মরণে নির্মিত ওয়েব আর্কাইভটি পরিচালনা করতেন। তাই এই হত্যাকে ওই ঘটনার সাথে মিলিয়ে দেখছেন অনেকে। ফারদিনের দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা, নানা কার্যকলাপ দেখলে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট বোঝা যায়। তিনি বুয়েটের ডিবেটিং ক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারি ছিলেন। একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতা অংশ নিতে কিছু দিন পর স্পেনের মাদ্রিদে যাওয়ার কথা ছিল। তিনি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সদস্য। ত্রিলোক বাচিক পাঠশালার প্রশিক্ষক ছিলেন। নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও উদ্যোগের সাথে জড়িত ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি কোচিং সেন্টারের একজন শিক্ষক ছিলেন। তার বন্ধু-বান্ধব, আড্ডার সার্কেল দেখলে সহজে অনুমান করা যায়, তিনি সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যে ছিলেন। সুকুমার কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য গড়ে উঠছিলেন।
ফারদিনের খুনের কারণ জানাতে গিয়ে মিডিয়ায় যেভাবে তার সাথে মাদক গ্রহণের গল্প ছড়িয়ে দেয়া হলো সেটি দুঃখজনক। গোয়েন্দা মাধ্যমের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে- খুন হওয়ার ঠিক আগে তিনি সারা রাত মাদকের সন্ধানে ঘুরেছেন! মাদক বিক্রেতাদের সাথে দরদাম নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় তাকে হত্যা করে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেয়া হয়েছে।’ এ ছাড়া প্রেমের সম্পর্ককেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে সামনে আনা হয়েছে। ঘটনার কারণ যেন আগেই নির্ধারণ করা হলো। মাদক কারবার ব্যর্থ হলে প্রেম, খুনের দ্বিতীয় কারণ হিসেবে যেন ফিট করা যায়। এমনটা অগ্রিম ধারণা করা আমাদের দেশে অবাস্তব কিছু নয়। বহু মামলা ও বিচার নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে, ব্যাপক বিতর্ক উঠেছে। আইনশৃঙ্খলার জন্য নিয়োজিত বিশেষায়িত বাহিনীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠছে।
এই গল্পে বোরকা পরা এক ছাত্রীকে পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেফতার করতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিন্দুমাত্র সময়ক্ষেপণ করেনি। আপাদমস্তক ঢাকা মেয়েদের প্রতি আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতি উৎসাহ। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে জঙ্গিবাদ নাশকতার নামে অগণিত বোরকা পরা মেয়েকে হয়রানি হেনস্থা করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন, এদের কয়জনকে শেষ পর্যন্ত জঙ্গিবাদের সাথে সম্পর্কিত পাওয়া গেছে? বোরকা পরা একটি মেয়েকেও কি পাওয়া গেছে- সে নাশকতা করেছে? সম্ভবত একজনও পাওয়া যায়নি। তার পরও আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই নাটক অব্যাহত রেখেছে। অথচ বহু সম্ভাব্য খুনের আসামি জাতির নাকের ডগায় ঘুরে বেড়ায়, তাদের ধরা হয় না। এমন লোকদের বিত্ত-বৈভবও রয়েছে। কাস্টডির বাইরে থেকে নিজেদের খুন-সন্ত্রাসের বিচার অবাধে প্রভাবিতও করতে পারে। ফারদিনের খুনের সাথে জড়িত সন্দেহভাজন এই নারী সেই অর্থে কোনো ধরনের ক্ষমতা-প্রতিপত্তির মালিক নয়। সে কোথাও পালিয়েও যেতে পারবে না। তাহলে কেন তাকে এতটা গুরুত্ব দিয়ে আটক করে জাতির সামনে প্রদর্শন করে হেনস্থা করা হলো? এমন বহু অন্যায়ের প্রতিকার বহুদিন জাতি পাচ্ছে না।
মা-বাবা জানাচ্ছেন, ফারদিনকে কেউ কোনো দিন ধূমপান করতে দেখেনি। এই ছেলে পরীক্ষার আগের দিন মাদক কিনতে বহুদূরে চনপাড়া যাবে কেন? মাদক আমাদের দেশের প্রায় সব জায়গায় এখন সহজলভ্য। সামান্য কিছু টাকা হলেই এগুলো মেলে। যাই হোক, মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের একজনের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে, ফারদিন হত্যার সাথে মাদকের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তবে কেউ না বললেও এ হত্যার সাথে নারায়ণগঞ্জ সিনড্রোমের সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সারা দেশে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে কুখ্যাতি পাওয়া এ অঞ্চলে নদী-নালা, খাল-বিলে নিয়মিত মানুষের লাশ পাওয়া যায়। এখানে কয়েক বছর আগে ঘটা চাঞ্চল্যকর সেভেন মার্ডারের ঘটনাটিও সবার জানা। অর্থ নিয়ে প্রতিপক্ষকে খুন করে পেটে ইট বেঁধে লাশ পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল। বিস্ময়করভাবে সেই লাশও পানির উপরে ভেসে উঠেছিল। ঘটনা কেউ আড়াল করতে পারেনি। খুনিরা চিহ্নিত হয়েছিল। তাই ফারদিন হত্যার গুরুতর দিকটি হওয়া উচিত চনপাড়া থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে যেখানে লাশটি পাওয়া গেছে এই স্পট। প্রেম বান্ধবী ও মাদকসংক্রান্ত গল্পকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উসকে না দিয়ে সম্ভাব্য সেই খুনিচক্রকে শনাক্ত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যারা তাকে ঘিরে ধরেছিল, সময়মতো হত্যা করে শীতলক্ষ্যায় ভাসিয়ে দিয়েছিল।
চনপাড়ায় আমরা দেখতে পেলাম, এক সন্দেহভাজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এমন হত্যার ঘটনা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফারদিন হত্যার সূত্র ধরে এটি আবার শুরু হয়ে গেল কি না। বিনা বিচারে কোনো খুনির হত্যা কেউ চায় না। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেশবাসী প্রত্যাশা করে না। বড় বড় খুনের মামলায় প্রধান সন্দেহভাজনের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়া একটি সাধারণ প্রবণতা হয়ে গেছে। এরপর ওইসব হত্যাকাণ্ডের আর কোনো সুরাহা করা যায় না। ফারদিনের খুনের দশ দিন পার হয়ে গেছে। এখনো ঘটনাটি রহস্যের জালে আবৃত হচ্ছে। এই আশঙ্কা করা অত্যন্ত স্বাভাবিক যে, এ খুনের ঘটনাটির পেছনে কারা রয়েছে তা আর জানা যাবে না। চনপাড়া নিয়ে গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া চাঞ্চল্যকর খবর হচ্ছে, এটি মাদকচক্রের একটি নিয়ন্ত্রিত এলাকা। সেখানে গড়ে ওঠা মাদক পল্লী অনেকটা পতিতাপল্লীর মতো। কেউ চাইলে সেখানে গিয়ে সুলভমূল্যে মাদক কিনে আবার সেখানেই সন্তর্পণে তা সেবন করে আসতে পারেন। কোনো ধরনের ঝক্কিঝামেলা নেই! ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে এটি সারা যায়।
আরো বিস্ময়কর ঘটনা হচ্ছে, এলাকার মাদক নির্মূলের জন্য গঠিত কমিটি নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করছে মাদক চোরাচালান ও এর রমরমা ব্যবসায়। এই কমিটির আহ্বায়ক যিনি, তিনি এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন বা এর প্রধান হোতা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে এদের পোস্টার পুরো এলাকায় সাঁটানো রয়েছে। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকের বক্তব্য পাওয়া গেল। সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছে, এখানে মাদকের রমরমা ব্যবসায় রয়েছে। আমাদের দেশের পুলিশি ব্যবস্থাটা এবার বুঝুন। সবাই জানেন, সেখানে জাতিবিনাশী এ কাজ চলমান; কিন্তু কেউ এগিয়ে আসছে না অপরাধ নির্মূলে। মাদকের প্রতি আমাদের সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কার্যকারিতা দেখুন। তাহলে মাদক নির্মূলের নামে শতাধিক মানুষকে বিচারবহিভর্‚ত হত্যা কী কারণে করা হয়েছিল? যৌথবাহিনী গঠন করে বিপুল অর্থ খরচের কী দরকার ছিল? একদিকে অর্থ-শক্তি অপচয় করছি, অপর দিকে এই অবৈধ ব্যবসার সুযোগ করে দিচ্ছি। স্থানীয় ইউনিয়ন কাউন্সিল চেয়ারম্যান জানালেন আরো ভয়াবহ খবর। মাদক কারবারিদের ভয়ে তিনি ওই এলাকায় যান না। কখনো সেখানে সভা-সমাবেশ করেন না।
ফারদিনের খুনের কয়েক দিনের মধ্যে আরো বেশ কয়েকটি একই ধরনের রহস্যজনক খুন দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে আছেন সিলেট বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল, বাঘেরহাট স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তনু। এগুলো অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। আমরা দেখতে পেলাম, গুরুতর এসব ঘটনায় খুনিদের ধরা ও ঘটনার তদন্তে সেভাবে কোনো অগ্রগতি নেই। আমাদের আইনশৃঙ্খলা যে নাজুক অবস্থায় রয়েছে এগুলো তার প্রমাণ। বর্তমান সরকারের পুরো সময়জুড়ে এভাবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা লুণ্ঠিত হতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে খুব কমই তাদের পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করেছে। অপর দিকে, আর কিছু ঘটনা রয়েছে যেখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেয়। প্রয়োজনের বাইরে গিয়েও সক্রিয়তা দেখায়।
কিছু দিন আগে এক অবসরপ্রাপ্ত বিতর্কিত বিচারপতি অভিযোগ আনেন- তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি নিজে সংবাদমাধ্যমের অফিসে গিয়ে ওই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেন। তিনি অভিযোগ করছেন, তাকে হামলাকারীরা মেরেছেন অথচ তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন অন্তত সেই সময় দেখা যায়নি। একইভাবে তার দেহরর্ক্ষী ও গাড়ির চালককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, তার গাড়িটিও ভেঙে দেয়া হয়েছে। বাস্তবে এসবের কিছুই তিনি স্পটে দেখাতে পারেননি। ওই ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বিদ্যুৎ গতিতে। তার চেয়ে ত্বরিত গতিতে তাদের পুলিশ আটক করে ছোঁ মেরে নিয়ে গেছে। আদালত তাদের অপরাধের বিচার শুরু করে দিয়েছেন। আইন ও বিচারের কিছু ক্ষেত্রে এমন সুপারসনিক গতি দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
আইন ও বিচারের ক্ষেত্রে গতির যে ভিন্নতা সেটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে ভঙ্গুর করেছে। সরকার পুরো বিচার ও পুলিশ প্রশাসনকে রাজনৈতিক বিবেচনায় সাজিয়েছে। ফলে অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করা হয় না। বিচার করা হয় সরকারের শত্রু কারা সেই বিবেচনা সামনে রেখে। এতে করে সরকার বা আওয়ামী লীগের লোকজন জয়ী হয়ে যাচ্ছেন বা বিশেষভাবে লাভবান হয়ে যাচ্ছেন তা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা নিয়ম-কানুনের বাইরে গিয়ে সুবিধা নিতে পারছেন; শেষ পর্যন্ত সেটি যে, তাদের জন্যও ভালো কিছু হবে না এর লক্ষণও চারদিকে প্রকাশ হয়ে পড়ছে। ফারদিন হত্যার কয়েক দিনের মাথায় দুরন্ত বিপ্লব নামে আওয়ামী লীগের এক নেতারও লাশ পাওয়া গেছে বুড়িগঙ্গায়। তিনি এক সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হন। তিনি কেরানীগঞ্জে একটি কৃষি খামার চালাতেন। তার লাশের ময়নাতদন্তে ডাক্তার জানাচ্ছেন, মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ফারদিনের মতোই একই ধরনের রহস্যজনক মৃত্যু এটি।
ক্ষমতা স্থায়ী করার কৌশল নিয়ে সরকার তার সব নীতি সাজিয়েছে। এতে আবরার ফাহাদের মতো দেশপ্রেমিক মেধাবী তরুণরাও রেহাই পাচ্ছেন না। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন- ছাত্রলীগ তার দেশপ্রেমকে নিজেদের দলের ক্ষমতার জন্য ক্ষতিকর মনে করছে। এ কারণে তারা এ দেশপ্রেমিককে নিষ্ঠুর কায়দায় হত্যা করতে পিছপা হয়নি। এখন দেখা যাচ্ছে, তাদের উত্তরসূরিরাও রহস্যজনক খুনের শিকার হতে শুরু করেছেন। আমরা জানি না, ফারদিনকে কেন খুন করা হয়েছে; কারাই বা তাকে খুন করেছে। এই হত্যার বিচার শুধু তার মা-বাবার জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই প্রশ্নগুলোর উত্তর বের করা আরো বেশি প্রয়োজনীয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় প্রায়োরিটি বিবেচনার, ক্ষতিকর প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় শুধু বিরোধীরা নয়, তাদেরও এর মাশুল গুনতে হবে। সেই সময় খুব দূরে ভাবা বোকামি হবে।
সময়ের দাবি বিচারের দর্শনটি ঠিক করা। এর একমাত্র মানদণ্ড হবে অপরাধ। যিনি অপরাধ করবেন তার বংশ দল ধর্ম বর্ণ বিবেচনা পরিহার করতে হবে। এমনকি তার ধনী-নির্ধন হওয়াকে বিবেচনায় আনা যাবে না। তার পরিবর্তে যিনি যতটুকু অপরাধ করেছেন তাকে ততটুকুই শাস্তি দিতে হবে। এর কম-বেশি করা বা হেরফের করা যে আত্মবিনাশী সেটি আমরা ইতোমধ্যে বুঝে গেছি।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা