মূল্যবোধ মাপছে দুষ্ট লোকেরা
- জসিম উদ্দিন
- ০৯ নভেম্বর ২০২২, ২০:০৫
জাতির বিবেকের প্যারামিটার আউলিয়ে গেছে কিনা বহুদিন ধরে সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকটা ব্রাহ্মণের সেই গল্পের মতো। বেচারা শেষ পর্যন্ত কেনা পাঁঠাকে কুকুর সাব্যস্ত করে ফেলে দেয়। দুষ্টের দল সেই পাঁঠাকে মজা করে খেয়েছে। আমাদের জাতীয় কর্তৃত্ববানরা সেই ব্রাহ্মণের অবস্থানে নয়। তারা রয়েছে দুষ্টদের ভূমিকায়। কুকুরকে বুকে জড়িয়ে ধরে তারা জাতির সামনে প্রমাণ করতে চায় তা মূলত পাঁঠা। এমনটা প্রমাণ করতে পারলে হয়তো তাদের জন্য আরো বেশি দুধ কলা মিলবে; শাসক হিসেবে তাদের অবস্থান চিরস্থায়ী হবে। যারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তারা বুঝতে পারছেন জাতির বিবেকের প্যারামিটার আসলে আউলিয়ে যাচ্ছে না; পরিকল্পিতভাবে ধসিয়ে দেয়া হচ্ছে।
মানুষের ক্ষেত্রে একটি তত্ত্ব প্রচলিত রয়েছে। ‘সব মানুষকে সব সময় বোকা বানিয়ে রাখা যায় না’। যতই মোটা মাথা হোক এক সময় তারা সত্য উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়। আমাদের জাতীয় মূল্যবোধের জায়গাগুলোকে দীর্ঘদিন ধরে আঘাত করা হচ্ছে। দুষ্কৃতি ও মিথ্যাকে আমাদের সুন্দর সুকীর্তি হিসেবে গ্রহণ করে নেয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অবস্থানে থেকে শীর্ষ পর্যায় থেকে এই প্রচারণা চলছে। আমাদের শেখানো হচ্ছে, ঘুষ খাওয়া খারাপ কিছু নয়। আর নিজেদের জাতীয় চেতনা রক্ষার দরকার নেই। পানি পাওয়ার দরকার নেই, সীমান্ত হত্যা নিয়ে মাথা ঘামানো অপ্রয়োজনীয়। একটু আধটু ধর্ষণ এমনকি নিজেদের মেয়েদের গণিকাবৃত্তি করানোও খুব একটা সমস্যার নয়।’ এই সব কথা তারা সরাসরি বলছে না। তবে তাদের ইশারা ইঙ্গিতে এমনটি বুঝে নিতে খুব কষ্ট হয় না।
প্রতিবেশী দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের তীব্র বঞ্চনা থেকে বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, পদ্মার পানি পাওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে। সারা দেশের মানুষ যখন এমন একটি প্রাপ্তির জন্য মুখিয়ে আছে তখন শোনা গেল দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে ইস্যুটি আলোচনার টেবিলে উত্থাপন করাও যায়নি। ওই সময় আমাদের বরং ফেনী নদীর পানি তাদের দেয়ার চুক্তি করতে হয়েছে। ওই রাতেই তার সহপাঠী ছাত্রলীগের সদস্যরা তাকে রাতভর পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই হত্যার মধ্যে একটা বিশেষ বার্তাও ছিল। তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে শুধু মারা হয়নি। এই নিষ্ঠুরতা ঘটিয়ে বোঝানো হয়েছে, প্রতিবেশীর ব্যাপারে কোনো সমালোচনা করা যাবে না। এমনকি প্রতিবেশীরা নিজ দেশের স্বার্থ লঙ্ঘন করলেও, সেটা করা যাবে না।
আবরার ফাহাদ এখন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের নতুন চেতনা। যারা এ অঞ্চলে স্বকীয় ও স্বাধীন সার্বভৌম একটি বাংলাদেশ চান তারা নিশ্চই আবরারকে নিয়ে আলোচনা করবেন। গণঅধিকার পরিষদের ছাত্ররা ৭ অক্টোবর ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যালির আয়োজন করে। ছাত্রলীগ হামলা চালিয়ে ওই কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়। ছাত্রলীগ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বাধীন অস্তিত্বের চেতনার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। সে কারণে তারা ফাহাদকে স্মরণ করতেও দিবে না। ওইদিন ঘটনা শুধু ১৩ ছাত্রকে মেরে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেয়ার মধ্যে সীমিত ছিল না। এই ছাত্ররা যখন চিকিৎসা নিতে গিয়েছে সেখানেও পুনরায় হামলা চালিয়েছে। এবার আবারও মার খেয়েছে আহতরা, সাথে তাদের যারা দেখতে এসেছিল তারাও।
এর পরের ঘটনা থেকে আমরা অনুমান করতে পারব, জাতির বিবেক কিভাবে দিশা হারিয়ে উল্টো রওয়ানা করেছে। ছাত্র অধিকার পরিষদ এ ঘটনার জন্য পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি। তাদের সে সুযোগ দেয়া হয়নি। কিন্তু হামলাকারী ছাত্রলীগ গণ অধিকারের বিরুদ্ধে দুটো মামলা করে। পুলিশ যত্নের সাথে মামলা ফাইল করে গণ অধিকারের বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতিসহ ২৪ জনকে কোর্টে চালান করতে মোটেও বিলম্ব করেনি। আদালতও অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এ দিকে ছাত্র অধিকার পরিষদ থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে বিচারিক আদালতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করে। আদালত তাদের আবেদনের মধ্যে কোনো ‘সারবত্তা’ খুঁজে পাননি। তাই মামলা সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে খারিজ হয়ে গেছে।
সন্ত্রাসীদের হাতে মার খাওয়া পক্ষের ওপর পুনরায় রাষ্ট্রীয় পীড়ন এ দেশে বিগত এক যুগের আগে থেকে ভয়াবহভাবে শুরু হয়। এর প্রয়োগ হয়েছে শুরুতে জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে। তারা প্রথমে একদফা ক্ষমতাসীন দলের মারধরের শিকার হয়েছে। আবার ক্ষমতাসীনরাই করেছে মামলা। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ওপর পুনঃহামলে পড়েছে। কোনো প্রকারে রেহাই দেয়নি। অনেক ক্ষেত্রে মামলা কিংবা লিখিত অভিযোগের দরকার হয়নি। এই প্রক্রিয়ায় বিনা বিচারে আটক, রিমান্ডে গুরুতর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী। সরকার ‘জামায়াত শিবিরকে শায়েস্তা’ করছে এই খুশিতে অনেকে একে আবার বৈধতা দিয়েছে। দেখা গেল, একই প্রকারের নির্যাতন নেমে এসেছে পরে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ওপরও। শেষে এ থেকে সমাজের কোনো অংশ রেহাই পায়নি। খোদ আওয়ামী লীগের এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে এই নির্মম নীতির বাস্তবায়ন করেছে। ২০২১ সালে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা ৬৭, কারা হেফাজতে মৃত্যু ৭৮ ও গুমের শিকার হয়েছেন ছয়জন। বর্তমান সরকারের আমলে ছয়শর বেশি গুমের অভিযোগ আছে। জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদ ৭৬ জনের খোঁজ জানতে চেয়েছে। পঙ্গু খোঁড়া হয়ে সারা জীবনের জন্য অচল হয়ে যাওয়া লোকের সংখ্যা এর চেয়ে আরো বহু বেশি। এর সাথে যুক্ত হবে গণহারে পুলিশি হয়রানি। বহু লোক কেবল মাত্র পার্টির সদস্য হওয়ার কারণে বারবার জেলে গেছেন। এ থেকে বাঁচতে অনেকে পুলিশসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়েছে নিয়মিত চাঁদা। এতে ফতুর হয়ে গেছে বহু পরিবার, সে খবর কে রাখে? এই অরাজকতা কিছুটা রাশ টানা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর। বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত বাহিনী র্যাব একটি বিচারবহির্ভূত হত্যাও তারপর ঘটায়নি। এই সময় তাদের বিরুদ্ধে গুমেরও কোনো অভিযোগ নেই।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রত্যেকটি সরকারি কর্তৃপক্ষের কাজ হল অন্যায় অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে, ব্যবস্থা গ্রহণ। দেখা গেল, তারা সবাই মিলে ব্যবস্থা নিচ্ছে অন্যায় অনিয়মের শিকার জনগণের ওপর। জাতির বিবেক নামক অন্যান্য কর্তৃপক্ষগুলোর মূল্যবোধ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে ইডেন কেলেঙ্কারির পর সেটা উদাম হয়ে ধরা পড়েছে। কলেজের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অভিযোগ আনছেন, তার সহকর্মী ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা ছাত্রীদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করাচ্ছেন। তার ভাষ্য মতে, সুন্দরী ছাত্রীদের জোরপূর্বক যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করছেন তারা। কথা মতো রাজি না হলে তাদের ওপর নেমে আসছে নির্যাতন, এমনকি তাদের কাছ থেকে এ সুযোগে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। ‘তারা’ ছাত্রীদের আপত্তিকর ছবি তুলে রাখতেন। সেগুলো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে নির্ধারিত ব্যক্তিদের সাথে একান্তে দেখা করতে পাঠাতেন। সব মিলিয়ে ছাত্রলীগের নেতারা ইডেনকে একটি গণিকালয় বানিয়ে রমরমা ব্যবসা খুলে বসেছেন।
অভিযোগকারী এই নেত্রী জানাচ্ছেন, দলের স্বার্থ বিবেচনা করে তিনি বা তার সাথে থাকা নেতারা এগুলো আগে প্রকাশ্যে আনেননি। এখন তারা এসব প্রকাশ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। বোঝা গেল অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বা অভিভাবক মুরব্বি আওয়ামী লীগ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং এর দ্বারা প্রকাশ হয়ে গেল, সুন্দরীদের সম্ভাব্য খদ্দের কারা হতে পারেন। যা হোক, প্রকাশ্যে অভিযোগ উত্থাপন করার পরও ছাত্রলীগ চরম অনৈতিক, ইডেনের নেত্রীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নিয়ে বরং যারা এসবের প্রতিবাদের জন্য দলের ভেতর থেকে এগিয়ে এসেছেন তাদের বহিষ্কার করে, স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তাদের অবস্থান কোন দিকে থাকবে।
ইডেন একটি ঐতিহ্যবাহী, দেশের সর্ববৃহৎ মহিলা কলেজ। এসব নিয়ে যখন সারা দেশ তোলপাড় তখন এই কলেজের প্রিন্সিপালসহ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া মেলেনি। বিলম্বে যতটুকু সাড়া পাওয়া গেল তা-ও ছাত্রলীগ, পুলিশ ও বিচারব্যবস্থার লাইনে। তারা এক ছাত্রীকে আটক করে রীতিমতো জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ওই ছাত্রী এক সংবাদ সম্মেলন করে ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রীদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ছাত্রীদের আরো নানামাত্রিক নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও সিট বাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রথম সাধারণ ছাত্রী হিসেবে মুখ খুলেছিলেন। অধ্যক্ষ সুপ্রিয় ভট্টাচার্য তাকে হয়রানি ও নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করলেও হয়রানি যে করা হয়েছে সেটা স্পষ্ট। সে-ও গণঅধিকার পরিষদের নেত্রী অত্যন্ত সাহসী মেয়ে। এ ধরনের ঘটনা ফাঁস করার পর তাকে নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। এই ছাত্রীর নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ দলবেঁধে তার ওপর উল্টো মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সে ব্যাপারে একেবারে নিশ্চুপ। আবার ছাত্রলীগ নেত্রীদের বিরুদ্ধে ওঠা জঘন্য অভিযোগ থেকে তাদের রেহাই দিতে তৎপর। চার শিক্ষককে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় সেখানে। বিষয় হচ্ছে, ‘অনৈতিক কাজে’ ছাত্রীদের বাধ্য করা হয়নি। তদন্ত কমিটি দ্রুততার সাথে প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানাচ্ছে, ইডেনে শিক্ষার্থীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। সারা দেশে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে জঘন্য সব কর্মকাণ্ড সংঘটনের অভিযোগ উঠছে। সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ, ছাগল চুরি, গরু চুরিসহ হেন কোনো অপরাধ নেই, তারা করছে না। দলটির এক প্রথম সারির নেত্রী সম্প্রতি গরু চুরির অভিযোগে কারাগারে গেছেন। তিনি গরু চুরির একটি সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তাই ইডেন কলেজে অনৈতিক কাজের অভিযোগের ব্যাপারে একটি নিরপেক্ষ নির্ভরযোগ্য তদন্ত করাই ছিল অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। কারণ এতে ২৫ হাজারের বেশি ছাত্রী অধ্যয়ন করে। একটি নামকরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সারা দেশ থেকে ছাত্রীরা পড়তে আসে। এখন কলেজের ছাত্রীদের ব্যাপারে একটি বদনাম রটানো থাকবে। চাকরি ও বিয়ের ক্ষেত্রে তারা বিড়ম্বনায় পড়বে। এছাড়া নতুন করে কোনো অভিভাবক কলেজটিতে তার আদরের সন্তানকে পাঠাতে কুণ্ঠা বোধ করবেন। তেমনি সেঞ্চুরি উদযাপনকারী ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জসিম উদ্দিন মানিকের কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ বদনাম বয়ে বেড়াচ্ছে।
সরকারি কর্তৃপক্ষে যে সরাসরি অপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন দুদকের চাকরিচ্যুত শরিফ উদ্দিন তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তিনি বড় বড় কয়েকটি দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সাহসী কিছু তদন্ত ও অভিযোগ গঠন করেছিলেন। দুদক তাকে শুধু চাকরিচ্যুত করেই ক্ষান্ত হয়নি, তার পেছনেও লেগেছে, যাতে কোথাও জীবিকা উপার্জনের সুযোগ সে না পায়। অন্তত শরীফ এমনতর অভিযোগ করছেন। বুড়ো মা নিয়ে পরিবারসহ শরীফ জীবিকার তাগিদে শেষ পর্যন্ত একটি মুদি দোকানের ক্যাশিয়ার হয়েছেন। ব্রাহ্মণের কিছু জ্ঞান গরিমা থাকার পরও দুষ্ট লোকের অপকৌশলের কাছে সে পরাস্ত হয়েছে। আমাদের দেশের সব কর্তৃপক্ষই কি দুষ্ট লোকদের অধীনে চলে গেল না? সরকারি দলের নেতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, দুর্নীতি নির্মূলের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দুদক, এরাইতো দেশের কর্তৃপক্ষ। এরাতো জাতিকে এক প্রকারের পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে হাজির করেছে। সর্বনাশের বাকি এর পরে আর কী আছে?
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা