২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিদ্যুৎ : দায়মুক্তির কারণেই নির্লজ্জতা

বিদ্যুৎ : দায়মুক্তির কারণেই নির্লজ্জতা - ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী প্রকল্পগুলো নেয়া হয় দু’টি খাতে। একটি সড়ক যোগাযোগ, আরেকটি বিদ্যুৎ। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু ও বিদ্যুৎ খাতে রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র সম্ভবত সবচেয়ে বড় দু’টি একক প্রকল্প। যেমন আয়তনে তেমনি ব্যয়ের সংশ্লিষ্টতায়। আর উভয় খাতেই দেশজুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সেগুলোর কোনোটিই প্রাক্কলিত সময়ে বা অর্থব্যয়ে সম্পন্ন হয়নি। প্রতিটি প্রকল্পে যেমন বারবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, তেমনি ব্যয়ও বিপুলভাবে বাড়ানো হয়েছে। জনগণের অর্থের কতটা সদ্ব্যবহার হয়েছে বা কতটা অপচয় হয়েছে সে হিসাব কেউ রাখেনি। জবাবদিহির কোনো ব্যবস্থা এ সরকারের শাসনামলে রাখা হয়নি।

একটি নির্মাণ প্রকল্প বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকায় প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা ও যাতায়াতকারী মানুষের দুর্ভোগ যত চরমেই পৌঁছাক না কেন, সেগুলো বিবেচনায় নেয়ারও কোনো গরজ কারো ছিল না। ছিল না বললে ভুল হবে। এখনো নেই। মেট্রোরেল প্রকল্পের কারণে বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় সারা দিন ধরে যানজট লেগে থাকার ঘটনা রাজধানীবাসী নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। ভুলে যাননি ক্রেন দিয়ে নেয়ার সময় গার্ডার পড়ে গাড়ি থেঁতলে গিয়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও। কিন্তু তার পরও সেখানে তেমন কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এসব নির্মাণকাজে পরিবেশগত যেসব সতর্কতা নিতে হয় তারও কোনো বালাই নেই। ফলে বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকা বিশে^র শীর্ষ অবস্থানে উঠে গেছে। ঢাকাবাসীকে একটি বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারের মধ্যে সারাক্ষণ অবস্থান করতে হচ্ছে। এর ফলে রোগব্যাধি ইত্যাদি বাড়ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কারো কোনো দায় আছে এমনটি মনে করার মতো আলামতও দেখা যায় না।

যাই হোক, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে এবং তা চলতে থাকবে আরো বেশ অনেকদিন তাতে সন্দেহ নেই। আপত্তিরও কোনো কারণ নেই। কিন্তু কখনো কখনো আপত্তিরও কারণ ঘটে। আপত্তির কারণ তখনই ঘটে যখন উন্নয়নকারী কর্তৃপক্ষের বক্তব্য স্বাভাবিক যুক্তির সীমার বাইরে চলে যায়। সম্প্রতি বিদ্যুৎ খাতের কর্মকুশলতা নিয়ে এমনই আপত্তির কারণ ঘটতে যাচ্ছে।

উন্নয়নের বয়ান দিতে গিয়ে সরকারের শব্দভাণ্ডারের কোনো অভাব হয়নি। বাংলাদেশ উন্নয়নের ট্রেনে উঠে গেছে, অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে উন্নয়নের ট্রেন, বাংলাদেশ এখন সিঙ্গাপুর বা কানাডার সমপর্যায়ে উঠে গেছে- এমন নানা গালভরা কথা শুনে মানুষ বিশ্বাস করেছে, আশ্বস্ত হয়েছে। তারা ইউরোপ আমেরিকা না হোক অন্তত মালয়েশিয়া, উত্তর কোরিয়ার মতো উন্নত একটি দেশের নাগরিক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে, যেখানে হতদরিদ্র মানুষ থাকবে না, খালি পেটে কোনো শিশুকে রাতে ঘুমাতে যেতে হবে না, কোনো বালককে টাকার অভাবে লেখাপড়া ছেড়ে মজুর খাটতে হবে না। যেখানে সব কিছুর জন্য মানুষকে বিদেশী সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে হবে না, বাজেট প্রণয়নের জন্য সরকারকে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থার কাছে হাত পাততে হবে না। অন্তত খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে সম্পদের কোনো ঘাটতি থাকবে না। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রেখে মুক্ত বিশ্বের সাথে সমান তালে পা মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ। এমন স্বপ্ন থেকেই ক্ষমতাসীনদের ‘কম গণতন্ত্র, বেশি উন্নয়ন’-এর স্লোগান শুনেও মানুষ টুঁ শব্দ করেনি।

গত ১৪ বছরে সরকারের কোনো কাজেরই তুমুল বিরোধিতা বা প্রতিবাদ বিক্ষোভে নামেনি মানুষ যদিও দ্রব্যমূল্য, ইউটিলিটি সার্ভিসের উপর্যুপরি ও অযৌক্তিক দাম বাড়ানো, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, গুম-খুনের মতো মানবাধিকার ইস্যু ইত্যাদি অসংখ্য গুরুতর বিষয় মানুষকে চরমভাবে ভুগিয়েছে। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দিয়েছে। এটিকে ক্ষমতাসীনদের প্রতি জনসমর্থন মনে করার কোনো কারণ নেই। জনসমর্থনই যদি থাকত তাহলে নির্বাচনে বিনাভোটে অথবা রাতের ভোটে জিততে হতো না। মানুষ মিছিল করে গিয়ে ভোট দিয়ে আসত। সেটি কখনোই হয়নি।

জনগণ চুপ থেকেছে মূলত দু’টি কারণে। প্রথমত সরকার সৃষ্ট ভীতিকর পরিস্থিতির জন্য। মুখ খুললেই বিপদের শঙ্কা থেকে। দ্বিতীয়ত, উন্নয়নের কিছু দৃশ্যমান নমুনা মানুষের চোখের সামনে তুলে ধরেছে সরকার। সেটি বেশ কিছু ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প নেয়ায় দৃশ্যমান হয়। এটিই ছিল সরকারের টার্গেট। মানুষকে উন্নয়নের কিছু দৃশ্যমান নমুনা দেখিয়ে আশান্বিত করে তোলা। সে ক্ষেত্রে খুবই সফল হয়েছেন ক্ষমতাসীনরা। কিন্তু জনগণের মধ্যে এই আশাবাদের সঞ্চার করে সরকার কী করেছে?

সরকার যা করেছে সেটি অসততার নামান্তর। তারা বিশাল বিশাল প্রকল্প নিয়েছে নিজেদের এবং দলীয় সুবিধাভোগীদের লাভবান করার উদ্দেশ্যে। দ্রুত বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার নামে কুইক রেন্টাল বা ভাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে বেশির ভাগ নিজেদের দলীয় ব্যবসায়ীদের দিয়ে। সে সব ভাড়ার কেন্দ্র মূলত কোনো কাজে আসেনি। এগুলো থেকে সরকার বিদ্যুৎ কিনেছে সামান্যই। বেশির ভাগ কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদনই করেনি। তারা কোনো বিধিবদ্ধ নীতি ছাড়াই বিভিন্ন কোম্পানি থেকে যেমন ইচ্ছা দরে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করেছে। ইউনিট প্রতি সাত টাকা থেকে শুরু করে ২২ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামে বিদ্যুৎ কিনেছে সরকার। এর বাইরে ক্যাপাসিটি চার্জ বা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া হিসাবে ১৪ বছরে কোম্পানিগুলোকে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা দিয়েছে। এই ক্যাপাসিটি চার্জ এখনো দেয়া হচ্ছে, যদিও কোনো কেন্দ্রই বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে না। সম্প্রতি প্রায় সারা দেশে জাতীয় গ্রিডে যে বিপর্যয় ঘটে সে সময় ভাড়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু করা যায়নি। অথচ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ অত্যধিক বেশি দামে বিক্রি, ক্যাপাসিটি চার্জ, আমদানিতে শুল্ক ছাড়, সহজ সুদে ব্যাংক ঋণসুবিধা, জমি ক্রয়ে সুবিধা- এরকম হাজারটা সুবিধা তারা সরকারের কাছ থেকে পেয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে সর্বত্র। একান্ত আড্ডায় বা অফিস আদালতে নিজেদের মধ্যে আলাপকালে মানুষ বিস্ময় প্রকাশ করছে যে, একটি দেশে কীভাবে এমন নীতি নেয়া যায় যেটি জনগণের কোনো কল্যাণেই লাগবে না! শুধু ঘরোয়া আলোচনা পর্যায়েই নয়, কিছু কিছু মিডিয়াও এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

একটি দৈনিকে একজন বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞ স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে- বহু বেসরকারি ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র মিথ্যা সক্ষমতার বিপরীতে অলস থেকে রাষ্ট্রের বাজেট বরাদ্দ হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব কেন্দ্রের অনেকগুলো উৎপাদনে যেতেই অক্ষম। মালিকরা সরকারের প্রভাবশালী মহলের সাথে আঁতাত করে দুর্বৃত্তপ্রক্রিয়ায় ভাড়াভিত্তিক ভুয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা দেখাচ্ছেন, যা দেশের স্বাভাবিক ও জরুরি প্রয়োজনে কোনোই কাজে আসছে না।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে জনগণকে বিদ্যুৎ দেয়া নয়; বরং ক্ষমতাবলয়ের কাছের লোকদের পকেট ভারী করার লক্ষ্যে এসব প্রকল্প নেয়া হয়। শুধু এটুকুই না, ভারতীয় ব্যবসায়ী গ্রুপের কাছ থেকে নেয়া ঋণের টাকায় ভারতের বুকে বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এলএনজি ও এলপিজি টার্মিনাল স্থাপনের সুযোগও দিয়েছে সরকার। ঋণের দায় শোধ করবে বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জ্বালানি টার্মিনাল থাকবে ভারতে। সেখান থেকে সব সময় এবং সব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বিদ্যুতের অব্যাহত সরবরাহ পাবে এমন নিশ্চয়তা আছে কি?

এই যে জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের বিপুল অপচয় হয়ে গেল, এর জন্য কিন্তু কাউকে দায়ী করা যাবে না। শুরুতেই সরকার আইন করে নিয়েছে, বিদ্যুৎ খাতের কোনো বিষয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’ হলো বিদ্যুৎ খাতে যা কিছু করা হবে তাকে দায়মুক্তি দেয়া। এ খাতে কোনো সঙ্কট হলে বা কারো ব্যর্থতার কারণে জনদুর্ভোগ হলেও দায়ী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা যাবে না বা প্রশ্ন করা যাবে না। ২০১০ সালে দুই বছরের জন্য আইনটি প্রণয়ন করার পর দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং এখন তা ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এর আগেও দেশে এ ধরনের দায়মুক্তির আইন করা হয়েছে এবং সেগুলো এই যুক্তিতে বাতিল করা হয়েছে যে, সংবিধানের মূল চেতনার সাথে এগুলো সাংঘর্ষিক। একই যুক্তিতে বিদ্যুৎ খাতে দায়মুক্তির এই আইনও যে টিকবে না তা সরকারের চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না। সুতরাং তাদেরই সবার আগে এই আইন বাতিল করে জবাবদিহির আওতায় থাকার কথা। কিন্তু যা ঘটা স্বাভাবিক তার অনেক কিছুই ঘটে না।

দেশে কিছু দিন ধরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সঙ্কট এবং এর ফলে মানুষের দুর্ভোগ চলছে। সরকার এক ঘণ্টা করে ঘোষণা দিয়ে লোডশেডিং চাপিয়ে দিলেও সেটি ক্রমেই দুই ঘণ্টা এবং এখন পাঁচ-ছয় ঘণ্টায় পৌঁছে যাচ্ছে। শিল্পকারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শ্রমিক ছাঁটাই হতে শুরু করেছে। মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের সবচেয়ে বড় খাত যে তৈরী পোশাক, এরও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে লোডশেডিংয়ের কারণে। এমনই এক সময়ে মানুষ যখন সরকারের পক্ষ থেকে সমাধানের আশা করছে তখন সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা বললেন, জনগণকে ধৈর্য ধরতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী গত রোববার বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সমাধানে ধৈর্য ধরা ছাড়া কোনো উপায় নেই’। দেশে গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কটের জন্য জ্বালানি তেলের সঙ্কট দায়ী বলে মনে করেন জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী। তার মতে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। সে পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন তিনি।

জ্বালানি উপদেষ্টা আইনত এ কথা বলতে পারেন না। প্রথম কারণ, তার পরামর্শেই বিদ্যুৎ খাতের সমস্ত কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে। জ্বালানি তেলের জন্য যদি বিদ্যুৎ খাতে বিপর্যয় দেখা দিয়ে থাকে সেটিও তারই ব্যর্থতা। তিনি কেন এমন পরামর্শ দেননি যাতে সঙ্কট দেখা দেয়ার মতো পরিস্থিতির উদ্ভব হবে না।

দ্বিতীয়ত, গত ১৪ বছরে জনগণের যে পরিমাণ অর্থ তারা ব্যয় করেছেন তাতে সারা দেশে বিদ্যুতের অব্যাহত সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ রফতানি করে অর্থ আয় হওয়ার কথা। সেখানে দেশের মানুষই ন্যূনতম বিদ্যুৎ পাবে না, এটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

তৃতীয়ত, সাম্প্রতিক গ্রিড বিপর্যয়ের সময় এটি প্রমাণিত যে, বিদ্যুতের সুষ্ঠু উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বর্তমান সরকার করে উঠতে পারেনি। এর দায় সার্বিকভাবে এড়াতে পারেন না জ্বালানি উপদেষ্টা। এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনার অভাব বা ভুল যাই থাকুক না কেন, তার দায় শতভাগই উপদেষ্টার।

কিন্তু এতবড় ব্যর্থ একজন জ্বালানি উপদেষ্টাও যে বিন্দুমাত্র লজ্জিত বা অনুতপ্ত না হয়ে প্রকাশ্য সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বলতে পারেন, ‘দেশবাসীর ধৈর্য ধরার কোনো বিকল্প নেই’, এটি অবিশ্বাস্য। এটি শুধু অগ্রহণযোগ্য নয়, অমার্জনীয়ও। কিন্তু তিনি জানেন, তার পক্ষে আইনগত দায়মুক্তি নেয়াই আছে। সুতরাং নির্লজ্জ হতে সমস্যা নেই।

[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement