১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ফল আমদানি কি আদৌ অত্যাবশ্যক!

ফল আমদানি কি আদৌ অত্যাবশ্যক! - ছবি : সংগৃহীত

আমাদের দেশে অতীতের ধারাবাহিকতায় প্রাকৃতিকভাবে যেসব ফল উৎপন্ন হয় এর প্রায় সবই মৌসুমি। দেশীয় ফলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আম, জাম, গোলাপজাম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, ডাব বা নারিকেল, পেয়ারা, কমলা, মাল্টা, বরই, আনারস, তরমুজ, ফুটি বা বাঙ্গি, আতাফল, শরিফা, ডালিম, করমচা, জামরুল, গাব, ডেউয়া, বেল, কতবেল, জাম্বুরা, সফেদা, আমলকী, তাল, লিচু, লেবু, চালতা, তেঁতুল, কাজুবাদাম, আমড়া, জলপাই, বেথুন ও লটকন। এর মধ্যে কমলা ছাড়া অন্য সবগুলোর উৎপাদন দেশের চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত। তা ছাড়া এগুলোর চাহিদা বৃদ্ধি ও রফতানির সম্ভাব্যতা বিবেচনায় যেকোনো সময় উৎপাদনের পরিধি বাড়ানো সম্ভব। পাকা পেঁপের চাহিদা থাকা সত্তে¡ও দেশের সাধারণ জনমানুষের জন্য এটি সহজলভ্য ও মূল্যসাশ্রয়ী নয়। পেঁপে সারা বছর উৎপন্ন হয়। এর উৎপাদন বৃদ্ধি মোটেও কষ্টসাধ্য নয়। আমাদের কৃষক পেঁপের উৎপাদন বাড়িয়ে এটিকে পাকা ফল হিসেবে বিক্রি করলে তা তাদের স্বাবলম্বী হতে ইতিবাচক অবদান রাখবে। পেঁপে ছাড়াও বছরব্যাপী যেসব ফল উৎপন্ন হয়; তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কলা, পেঁয়ারা ও ডাব বা নারিকেল। পেঁপে, কলা ও পেয়ারা এই তিনটি ফল স্বাস্থ্য উপযোগী পুষ্টিগুণে ভরপুর। দেশের স্বনামধন্য অনেক চিকিৎসকের অভিমত, এ তিন ফলের যেকোনো একটি অথবা পর্যায়ক্রমিকভাবে নির্ধারিত সময়ে এগুলো নিয়মিত খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকলে রোগব্যাধির প্রকোপ অনেকাংশে লাঘব সম্ভব।

পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলের জনমানুষের স্বাস্থ্য উপযোগী ফল অঞ্চলবিশেষে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। প্রক্রিয়াজাত ও শুকনো ফল ছাড়া বেশির ভাগ ফলই পচনশীল। অতীতে যোগাযোগব্যবস্থা অনুন্নত থাকায় এক অঞ্চলের উৎপাদিত ফল অন্য এলাকায় ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পাঠানোর অবকাশ ছিল না। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে এবং পচনরোধে রাসায়নিকের ব্যবহারে এক অঞ্চল থেকে অন্য এলাকায় এবং এক দেশ থেকে অন্য দেশে ফল ব্যাপক হারে রফতানি হচ্ছে। বিদেশী ফল হিসেবে পরিচিত স্ট্রবেরি, ড্রাগন ফ্রুট, রাম্বুটান, আনার, আপেল, আঙ্গুর, সৌদি খেজুর প্রভৃতি অতীতে আমাদের দেশে উৎপন্ন হতো না। বর্তমানে সয়েল ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে এসব ফল সফলভাবে দেশেই প্রচুর আবাদ হচ্ছে। আমাদের দেশের প্রচলিত ফল এবং উপরোল্লিখিত বিদেশী ফলগুলোর ব্যাপক আবাদ সত্ত্বেও প্রতি বছর আমাদের দেশে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর, আনার, নাশপাতি, খেজুর প্রভৃতি। আমাদের দেশের উৎপাদিত ফলের জোগান পর্যাপ্ত হওয়ায় এবং আমদানি করা ফল দেশে উৎপাদন সম্ভব বিধায় এগুলো আমদানির পেছনে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে এটি আমাদের জন্য বিলাসিতা। এ বিলাসিতা পরিহার একান্তভাবে কাম্য এবং তা কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে সুফল বয়ে আনবে।

স্ট্রবেরি দক্ষিণ আমেরিকার ফল যদিও সর্বপ্রথম ইউরোপের ফ্রান্সে ফল হিসেবে স্ট্রবেরির চাষ শুরু হয়। দক্ষিণ আমিকার চিলি, আর্জেন্টিনা, গোয়াতেমালা, ব্রাজিল, মেক্সিকো প্রভৃতি দেশে এটি ব্যাপকভাবে উৎপন্ন হয় এবং এর একটি বড় অংশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়। আজ হতে প্রায় ৩০ বছর আগে দেশের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বিদেশ থেকে আমদানি করা স্ট্রবেরি দুষ্পাপ্য ফল হিসেবে চড়া মূল্যে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। কৃষিবিদদের সফল গবেষণায় প্রায় দুই দশক ধরে বর্তমানে আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফলটির আবাদ হচ্ছে। উৎপাদন আশাব্যঞ্জক হওয়ায় ফলটির ক্রয়মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এবং বর্তমানে এটির আমদানির প্রয়োজনীয়তা লোপ পেয়েছে।

ড্রাগন ফ্রুট মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এ দু’টি দেশে ব্যাপকভাবে উৎপন্ন হয়। স্ট্রবেরির মতো অতীতে দেশে মালয়েশিয়া থেকে ড্রাগন ফ্রুট আমদানি করা হতো। ড্রাগন ফ্রুটের ক্ষেত্রেও আমাদের কৃষিবিদরা সফলভাবে উৎপাদনে সক্ষম হওয়ায় বর্তমানে এটি দেশের সর্বত্র আবাদ হচ্ছে এবং জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমদানি করা ফল হিসেবে এটি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাইরে ছিল। বর্তমানে ব্যাপক উৎপাদনে এটি সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্য ২৫০-৩৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যায়। ফলের দোকান ছাড়াও রাস্তাঘাটে ফল বিক্রেতাদের এটি ভ্যানে ও টুকরিতে ভরে বিক্রি করতে দেখা যায়। এটিও এখন আর আমদানি করতে হয় না।

রাম্বুটান চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি দেশে প্রচুর উৎপন্ন হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে রাম্বুটানের চাষ শুরু হয়েছে যদিও স্ট্রবেরি বা ড্রাগটন ফ্রুটের মতো এটির এখনো প্রসার ঘটেনি। তুলনামূলক এটির বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় দেশের কৃষকদের মধ্যে এটি চাষে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেভাবে এটি চাষের বিস্তৃতি ঘটছে তাতে অচিরে আশা করা যায় এটিও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী হিসেবে আবির্ভূত হবে।

বিদেশী খেজুর যেটি সৌদি খেজুর হিসেবে আমাদের দেশে সমোধিক পরিচিত। এটি মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশসহ ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান, মিসর, চীন প্রভৃতি দেশে উৎপন্ন হয় এবং প্রতিটি দেশ এটি স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর রফতানি করে থাকে। একদা আমাদের দেশের মানুষের কাছে ফলটি এ দেশে উৎপন্ন সম্ভব এটি ধারণাতীত ছিল। কিন্তু আমাদের কৃষক ও উদ্যোক্তারাও এটি চাষে সফলতা পেয়ে দেশের মানুষের কাছে কাঁচা খেজুর হিসেবে বিক্রি করে নিজেরা যেমন লাভবান হচ্ছেন; তেমনি ভোক্তাদের কাছে কাঁচা হিসেবে এটির স্বাদ আস্বাদনের বিরল সুযোগ সৃষ্টি করে চলেছেন। মুসলিম জন-অধ্যুষিত দেশ হিসেবে রমজানে আমাদের দেশে শুকনো খেজুরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং এর শতভাগ আমদানির মাধ্যমে মিটানো হয়। রমজানে ইফতারির সময় প্রতিটি রোজাদার খেজুর খেয়ে ইফতার শুরু করে থাকেন। সৌদি খেজুরও দেশে ব্যাপকভাবে চাষ হলে এটি আমাদের স্থানীয় চাহিদা পূরণে সক্ষম; তবে আমাদের ভূমি স্বল্পতায় অন্য ফসল বা ফলের আবাদের বিঘ্ন করে এটির চাষ বাড়ানো হলে দেশীয় ফসল বা ফলের উৎপাদন ব্যাহত হবে।

আপেল, আঙ্গুর, নাশপাতি, আনার প্রভৃতি বর্তমানে ব্যাপকভাবে আমদানিতে দেশের এমন কোনো ফলের দোকান বা হাটবাজার নেই যেখানে এ ফলগুলো সহজলভ্য নয়। এগুলোর ওপর শূন্য অথবা নামমাত্র আমদানি শুল্কে কোনোটি দেশীয় ফলের তুলনায় বেশি মূল্যের নয়। এ ফলগুলোর আবাদও দেশে সম্ভব এবং বর্তমানে যে সীমিত পরিসরে আবাদ হচ্ছে না তাও নয়। আনার চাষের ক্ষেত্রে আমাদের কৃষক ও উদ্যোক্তারা আশানুরূপ সফল হয়েছেন। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আনারের প্রতি কেজির দাম ৩০০-৩৫০ টাকার মধ্যে হওয়ায় আমদানি করা আনারের সাথে প্রতিযোগী মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আশা করা যায়, উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে স্ট্রবেরি বা ড্রাগন ফ্রুটের মতো ভবিষ্যতে এটিরও আমদানির আবশ্যকতা থাকবে না। আপেল, আঙ্গুর, নাশপাতি প্রভৃতি বর্তমানে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে দেশে আবাদ হয়। যেসব কৃষক ও উদ্যোক্তা এগুলোর আবাদ করছেন তারা সফলও হয়েছেন। কিন্তু ভ‚মি স্বল্পতায় এ ফলগুলোর ব্যাপক চাষ আমাদের স্থানীয় ফল ও ফসলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাই আমাদের স্থানীয় যেসব ফল সহজলভ্য ও মূল্যসাশ্রয়ী এবং ভৌগোলিক কারণে স্বাস্থ্য উপযোগী; সেগুলোর দিকে বেশি নজর দেয়া বাঞ্ছনীয়।

দেশীয় ফলের মধ্যে আম, কাঁঠাল, তরমুজ, আনারস প্রভৃতি দেশের সর্বত্র উৎপন্ন হয়। এগুলোর উৎপাদন আমাদের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করে স্বল্প পরিসরে রফতানি হচ্ছে। দেশে অনাবাদি, পতিত, সড়ক ও বাঁধের উভয় পাশের ভূমি, সড়ক বিভাজনের মাটি আবৃত্ত ভ‚মি প্রভৃতিতে ক্ষেত্র বিবেচনায় এ ফলগুলো চাষ করা হলে এগুলোর উৎপাদনের ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটবে, যা প্রকারান্তরে বিদেশী ফলের আমদানি অথবা এ দেশে উৎপাদন নিরুৎসাহে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এটি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফল। এটির কোনো কিছু ফেলনা নয়। কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করে আমাদের গৃহিণীরা বর্ষা মৌসুমে যখন সবজি ও তরিতরকারির উচ্চমূল্য থাকে তখন বিভিন্ন রান্নায় এটি ব্যবহার করে পারিবারিক নিত্যবাজারের ব্যয়ে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি আমাদের গবেষকরা কাঁঠালের বিচি থেকে ভোজ্যতেল বা ঘি উৎপাদনের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন। গবেষণালব্ধ ফলে দেখা যায় এক কেজি কাঁঠালের বিচি থেকে আধা কেজি ভোজ্যতেল বা ঘি পাওয়া যায়। বর্তমানে প্রতি বছর আমাদের বিপুল ভোজ্যতেল বিশেষত সয়াবিন, পাম অয়েল ও সরিষার তেল আমদানি করতে হয়। নব উদ্ভাবিত প্রক্রিয়ায় কাঁঠাল চাষের প্রসার ঘটালে ভোজ্যতেল আমদানিতে চাপ কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে।

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে দেখা যায় সড়ক বিভাজনের মাটি আবৃত্ত ভূমিতে খেজুরগাছ লাগিয়ে শোভাবর্ধনের পাশাপাশি খেজুর উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভ‚মিকা রেখে চলেছে। কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল হিসেবে আমরা নিজেদের সড়কের মধ্যবর্তী অনাবৃত্ত ভূমিতে মাঝারি আকৃতির ও সড়কের দু’পাশে বড় আকৃতির কাঁঠালগাছ ও সমরূপ অন্যান্য দেশীয় ফলের গাছ রোপণ করে ফল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারি।

দেশীয় খেজুরগাছ থেকে আমরা খেজুর ও রস আহরণ করে থাকি। পিঠা ও পায়েস তৈরিতে এ রসের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। খেজুরগাছের রস দিয়ে তিন ধরনের গুড় যথা পাটালি, ঝোলা ও দানাগুড় প্রস্তুত করা হয়। ম্যাপল কানাডার জাতীয় গাছ। ম্যাপল গাছের রস দিয়ে প্রস্তুতকৃত ম্যাপল সিরাপ খাবার ও ওষুধের উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশ প্রতি বছর বিপুল ম্যাপল সিরাপ আমদানি করে। আমাদের ঝোলাগুড়কে আমরা ম্যাপল সিরাপের মতো ডেইট (খেজুর) সিরাপ নামকরণে ব্যবহারে উদ্যোগী হলে এক দিকে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে অন্য দিকে দেশীয় উদ্যোক্তার সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থান হবে।

দেশের উৎপাদিত ফল আমাদের আবহাওয়া ও স্বাস্থ্য উপযোগী। সচরাচর আমাদের দেশে যেসব ফল উৎপাদিত হয় এগুলোর তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। আমরা বিভিন্ন বিদেশী ফলের আবাদে উৎসাহী না হয়ে দেশীয় ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং এগুলোর বহুমুখী ব্যবহার করতে পারলে প্রতি বছর বিদেশী ফল আমদানির পেছনে যে কষ্টার্জিত ১০ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার করি তার প্রয়োজন পড়বে না। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার যে সঙ্কট চলছে তা উত্তরণে এ বিষয়ে আগে সিদ্ধান্ত নেয়া হলে সঙ্কট হয়তো এত গভীরতর হতো না। তাই কালবিলম্ব না করে বিদেশী ফল আমদানি বন্ধ করে দেশীয় ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ক্ষেত্রমতো বিদেশী ফল দেশে উৎপাদন করে আমরা নিজেদের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণে কার্যকরভাবে উদ্যোগী হই, এটিই হোক আমাদের বর্তমান সময়ের চাওয়া।

লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
E-mail : [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement
অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের দুর্বল হওয়া ভারতের জন্য কতটা উদ্বেগের তিন জেলায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় ‘উদ্বিগ্ন’ জাতিসঙ্ঘ দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসন কি অনিবার্য? লক্ষ্মীপুরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নারী নিহত আবারো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করেছে : জামায়াত আমির ছবির প্রিমিয়ার শোতে নারীর মৃত্যু, নায়ক গ্রেফতার ভারতের সাথে রাজনৈতিক মেঘ কেটে গেছে : উপদেষ্টা রিজওয়ানা সিরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার আহ্বান : ব্লিঙ্কেন

সকল