৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

সুফি তত্ত্বের সমাজ দর্শন এবং সৈয়দ আহমদুল হক

লেখক : ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ - ফাইল ছবি

বর্তমান সময় ও সমাজে সর্বত্র জড়বাদের জয়জয়কার। সর্বত্র এর পরিব্যাপ্তি। দেশসেবা, সমাজসেবা, সংসার ও অন্যের সেবার মূলে এখন নানাবিধ স্বার্থ নিহিত। প্রযুক্তি প্রসারের সুবাদে বৈশ্বিক ও মুক্ত অর্থনীতির আঙিনায় পুঁজিবাদের পৃষ্ঠপোষকতায় দৈহিক উপভোগ যেন মানবের চরম ও পরম লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। আধ্যাত্মিকতার অনাবিল আনন্দ এবং খোদাপ্রেমে অর্জিত মনের অপার ঐশ্বর্য, জড়বাদের জাগতিক স্বার্থচিন্তার কাছে অপাঙ্ক্তেয় ও অপ্রাসঙ্গিক প্রতীয়মান হচ্ছে। অথচ যে পরমাত্মা থেকে নিজ নিজ মানবাত্মার আবির্ভাব ও বিচরণ সেই পরমাত্মার জ্ঞান লাভ, সেই পরমাত্মার প্রেমে মশগুল বা বিভোর হয়ে প্রেমময়ে আত্মসমর্পণের মধ্যে মানবজীবনের চরম লক্ষ্য ও পরম সার্থকতা।

পরমাত্মা জ্ঞানের তিনটি মার্গ- জ্ঞানমার্গ, কর্মমার্গ এবং প্রেমমার্গ। দার্শনিক জ্ঞান দ্বারা ঐশী জ্ঞান, কর্মপুরুষ সুকর্মসাধনার দ্বারা এবং প্রেমিক আত্মজ্ঞান বিসর্জন দিয়ে প্রেমময়ে আত্মসমর্পণ করে। প্রেমময়ের সন্তুষ্টি সাধন যার জীবনের একমাত্র ব্রত তার প্রেম স্বজন, স্বশ্রেণী এমনকি মানবজাতির প্রেমের পরিধি পেরিয়ে সমগ্র বিশ্বে বিস্তৃত। সে মাশুক। প্রত্যেক সৃষ্ট বস্তুর প্রতি সমভাবে আকৃষ্ট হয় সে, মানুষ, কীট, পতঙ্গ সব কিছুর সাথে একাত্মবোধ করে, নির্জীবের মধ্যেও অস্তিত্ব অনুভ‚ত হয়; সে কোনো কিছুর মধ্যে পার্থক্য বোধ করে না, জড় ও অজড়ে প্রেমময়ের কৃপা বা এহ্ছান লক্ষ করে সে সর্বত্র তার পরিবেষ্টন অনুভব করে। ভূমণ্ডল পেরিয়ে নভো ও পাতালমণ্ডলে এমনকি পরলোকেও তার প্রেম প্রলম্বিত হয়। এ অবস্থায় তার নিজের আমিত্বের জ্ঞান লোপ পায়, আত্মহারা হয়ে সেখানে শুধু প্রেমময়ের জ্ঞান এবং তার অস্তিত্বকেই অনুভব করে।

দেহ ও আত্মার সমন্বয়ে একজন মানুষ। দেহ পার্থিব, রূহ বা আত্মা স্বর্গীয়। দেহ মাটির তৈরি আর আত্মা পরমাত্মা থেকে আগত। দেহ অস্থায়ী, দুনিয়ায় আসার আগে অর্থাৎ জন্মের আগে সে ছিল না এবং মৃত্যুর সাথে এই দেহের অবসান ঘটে। অন্য দিকে আত্মা স্থায়ী। জন্মের আগে এবং মৃত্যুর পরও আত্মা বর্তমান।

মর্ত্যজাত দেহের মধ্যে যে আত্মার অধিবাস সে স্বর্গজাত (অর্থাৎ মূল) আত্মারই প্রতিবিম্ব, মর্ত্যজাত রুহ নামে পরিচিত। দেহ খাঁচার ভেতর এই অচিন পাখির বাস। দেহ পিঞ্জিরার মধ্যে সে নিত্য আসা যাওয়া করে। স্বর্গজাত মূল রূহের সাথে তার যোগাযোগ, মুরলী বাঁশির সুর তাকে টানে মূলের প্রতি। কিন্তু দৈহিক কামনা-বাসনা, প্রবৃত্তির দাসত্বের কারণে মর্ত্যজাত রূহে পড়ে কলঙ্কের বিভিন্ন দাগ, ফলে মরিচা ধরা সে আর্শিতে স্বর্গজাত রূহের প্রতিবিম্ব পড়ে না। পরমাত্মার সাথে মিলনের সুযোগে ঘটে বিপত্তি।

হেডকোয়ার্টারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে মাঠকর্মীরা যেমন দিশেহারা হয়ে পড়েন, পাপের কলঙ্কে মরিচা ধরা মর্ত্যজাত রূহের অবস্থা দেহ পিঞ্জিরায় তেমন অবস্থায় আপতিত হয়।

ধর্ম আর কর্মের মধ্যে সংযোগ-সমন্বয় সুফি তত্ত্বের সারকথা। চিন্তা থেকে কাজের উৎপত্তি। যেমন ভাবনা তেমনি তার বাস্তবায়ন। মনের মধ্যে বাস করে এক কর্মবিধায়ক; তার আবাস অবগাহনের সুতা গাঁথা আরেক সূত্রে। ভাববাদীরা যাকে বলে, আদিবাস তার আরশে মোয়ালায়, সেখানে সে থাকে প্রভু নিরঞ্জনের নিরন্তর তত্বাবধানে। আর এ দিকে তার ছায়া ‘(মানবদেহের) খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ হয়ে বারবার আসা যাওয়া করে- তার পায়ে বেড়ি দেয়ার প্রয়াস চললেও তাকে বাঁধা যায় না। কেননা তার মূল সুখ বাঁধা আছে আরশে মোয়ালায়। তার প্রতিফলন ঘটে, আট কুঠরি নয় দরজার মধ্যে, অচিন এই পাখিটির পিঞ্জিরায়। মুরুলী বাঁশির সুর শুনে সে শুধু লাফায়। নিত্য যোগাযোগ তার সাথে। কিন্তু সে যোগাযোগের অবকাঠামো অনুধাবনে সবার সম্বিৎ সমান যায় না। আয়নায় মরিচা ধরলে প্রতিফলন পরিস্ফুট হয় না- আয়না পরিষ্কার থাকা চাই, রাখা চাই। মরমি সাধকেরা তাদের আয়না পরিষ্কার রাখতে তৎপর। আর ১০ জনের চেয়ে তাদের যোগাযোগের জ্যোতি ও গতিমাত্রা অনেক বেশি।

সুফি সাধনা হলো নিজের আত্মাকে কলুষতামুক্ত করে এর স্বচ্ছ শার্শিতে স্বর্গজাত রুহের প্রতিফলন নিশ্চিত করে পরমাত্মার সাথে সম্মিলন ও সাক্ষাৎ লাভের আকাক্সক্ষায় বিভোর হওয়া। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সা: বলেছেন, ‘মানবদেহে একটি বিশেষ অঙ্গ আছে যা সুস্থ থাকলে সমগ্র দেহ পরিশুদ্ধ থাকে, আর অসুস্থ থাকলে সমগ্র দেহ অপরিশুদ্ধ হয়ে যায়। জেনে রাখো, এটি হলো কলব বা হৃদয়।’ কলবকে কলুষমুক্ত করে, স্বর্গজাত রূহের সাথে সার্বক্ষণিক যোগসূত্র বজায় রেখে পরমাত্মার মহব্বত বা এশক বা প্রেম লাভ করা সম্ভব।

আল্লাহর জিকরে, সুতী স্মরণে, গভীর ধ্যানে বা চিন্তাচেতনায় কলব কলুষমুক্ত হয়, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায়। সার্বক্ষণিক আল্লাহর জিকর বা স্মরণের মাধ্যমে কলবকে কলুষমুক্ত করে প্রেমময়ের প্রেমার্জন সুফির নিত্যসাধনা। একজন সুফির নিত্য প্রার্থনা প্রেমময়ের কাছে, ‘ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুব, ছাব্বিত কালবি আলা দিনিক।’ বস্তুত আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনই হলো সুফি দর্শনের মর্ম কথা; যেমনটি হজরত ইমাম গাজালী র: বলেছেন, ‘মন্দ সবকিছু থেকে আত্মাকে পবিত্র করে সর্বদা আল্লাহর আরাধনায় নিমজ্জিত থাকা এবং সম্পূর্ণরূপে আল্লাহতে নিমগ্ন হওয়ার নামই সুফিবাদ।’

সুফিবাদকে ইসলামী পরিভাষায় তাসাউফ বলা হয়- যার অর্থ আধ্যাত্মিক তত্ত্বজ্ঞান। তোয়া সোয়াদ ওয়াও ফা-এই চার অক্ষরের সমন্বয়ে সৃজিত তাসাউফ শব্দটির ব্যবহারিক ও ব্যুৎপত্তিগত ব্যাখ্যা বুজুর্গ বা বিজ্ঞজনেরা দিয়ে থাকেন এভাবে- তোয়া হলো তওবার প্রতীক। কৃত অপরাধের জন্য নিঃশর্ত মার্জনা প্রার্থনা এবং পুনরায় অপরাধ না করার জন্য দৃঢ়চিত্ত সংকল্প বা প্রতিজ্ঞা করা। খোদার নৈকট্য লাভের জন্য, খোদার প্রেম বা রহমত লাভের জন্য প্রথমেই চাই নিজেকে নিষ্কলুষ ও নির্ভার করা এবং অনুশোচনার মাধ্যমে মার্জনা লাভ। ছোয়াদ হলো ছাফা বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতার প্রতীক। সুফি সাধকেরা খোদার এশক বা মহব্বত কামালিয়াতের জন্য নিজেকে সর্বতোভাবে পূত পবিত্র ‘সত্যম শিবম সুন্দর’-এর অবয়ব নির্মাণ ও নিবেদন করেন নিজেকে। সেখানে না থাকে দ্বিধা সংশয় সন্দেহের কোনো ধুলোবালি। সবই ঝাড়া মোছা। ওয়াও দিয়ে গঠিত ‘বেলায়েত’ শব্দটির অর্থ হলো, বন্ধুত্ব অর্জন।

সুফি সাধনার প্রধান প্রয়াস বা অকিঞ্চন আকাক্সক্ষাই হলো খোদার বন্ধুত্ব লাভ। ‘দ্যুলোকে ভুলোকে সবারে ছাড়িয়া তোমারই চরণে পড়ি লুটাইয়া’, কেননা একমাত্র তোমাকেই চাই; তোমাকে পেলে সবকিছু যে পাওয়া হবে আমার। আর এই চরম ও পরম প্রাপ্তির জন্য নিজেকে প্রভু নিরঞ্জনে নিবেদনে নিষ্ঠাবান হতে হয়। হতে হয় সম্পূর্ণ দিওয়ানা- ফানাফিল্লাহ, ফা দিয়ে যে শব্দের গঠন।

সুফি সাধনা কোনো একক ধর্মের বিষয় নয়। তাসাউফ সব ধর্মের মূল নীতিকে ধারণ করেছে। খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ (১৮৭৩-১৯৬৫) তাসাউফের চিরকালীনতা ও সার্বজনীনতার স্বরূপ প্রসঙ্গে বলেছেন- ‘তাছাওয়াফ কার্য-নীতির নাম, বাক্যনীতির নাম নহে। সব ধর্মের ক্রমিক সংস্কার হইয়াছে, কিন্তু তাছাওয়াফ আদিকাল হইতে বর্তমান পর্যন্ত অপরিবর্তিত রহিয়াছে। লোকের ভ্রান্ত ধারণা যে, ছুফি সংসার পরিত্যাগ করিয়া, সন্ন্যাসব্রত অবলম্বন করিতে তৎপর, প্রকৃতপক্ষে তাহা নহে। ছুফির শিক্ষা-এই সংসারের মধ্যে অবস্থিতি করো, কিন্তু সংসারকীট সাজিও না, তোমার সমগ্র চিন্তাশক্তি আত্মার উন্নতি পথে আত্মনিয়োগ করো, তবেই জাগতিক কর্তব্য প্রকৃতপক্ষে প্রতিপালিত হইবে।’

সুফি সাধনার চারটি স্তর হচ্ছে- শরিয়ত, তরিকত, মারেফাত এবং হকিকত। ইসলামী বিধিবিধানের সঠিক অনুসরণের মাধ্যমে বাহ্যিক পরিশুদ্ধি লাভ করাকে বলে শরিয়ত। তরিকত বলতে বোঝায় পাকা মুসল্লি, সংযমী, মিতাচারী এবং অসৎ কাজ থেকে সাবধানী হওয়ার মাধ্যমে নিজের আত্মার সাথে এক হয়ে যাওয়া। মারেফাত হচ্ছে অতীন্দ্রিয় দিব্যজ্ঞান অর্জন অর্থাৎ অভিভুত ও বিহ্বল অবস্থায় খোদার নৈকট্য লাভ করা। আর হকিকত হচ্ছে চূড়ান্ত সত্যের পর্যায়ে পৌঁছে খোদার রাহে নিজেকে বিলীন করে দেয়া।

মরমি-ভাব দার্শনিক, আধ্যাত্মবাদী চিন্তাচেতনায় নিমগ্ন নিবেদিত ইনসান আল কামিল, উদার ও মুক্তবুদ্ধি ধর্মপরায়ণতার প্রাণপুরুষ, মানবতাবাদী আদর্শের প্রবক্তা, মওলানা রুমীর অনুরক্ত ভক্ত- ব্যাখ্যাতা ও গবেষক, বাংলার রুমী, সৈয়দ আহমাদুল হক (১৯১৮-২০১১) ছিলেন একজন উদারনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং একটি সার্বজনীন প্রেম ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা বোধ বিশ্বাসের আধার। বার আউলিয়ার পুণ্যভ‚মি চট্টগ্রামের সাধক, ঐশী প্রেমে দারুণ ধনবান এই মহান আধ্যাত্মিক পুরুষ। সমূহ সংকট সন্ধিক্ষণে, দুনিয়াদারির ফেরেবে পড়ে বিপর্যস্ত বেচাইন বেহাল অবস্থায়, মনের মাঝে আচমকা উঁকি দেয়া সংশয় সন্দেহের দোলাচলে, সঙ্কোচ বিহবলতার অবয়বে তার কাছে মিলত মধুর সমাধান, আশার বাণী, সাহসের সাম্পান, উচ্চকিত আত্মবিশ্বাসের দাওয়াই, ঐশী প্রেমের তোহফা।

তার তিরানব্বই বছরের বর্ণিল জীবনের প্রথম পঁচিশ বছর (১৯১৮-১৯৪৩) কেটেছে শৈশব ও শিক্ষা লাভে, সুদীর্ঘ সাঁইত্রিশ বছর (১৯৪৩-১৯৮০) ব্যয় করেছেন কর্ম বা চাকরি সূত্রে, আর শেষের একত্রিশ বছর (১৯৮০-২০১১) মরমি সাধনায়, সাহিত্য সন্দর্শনে, রুমীর মসনবীর মসনদে। বাংলাদেশে রুমী চর্চার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য, প্রযত্ন প্রদানের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘রুমী সোসাইটি’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত গবেষণা অভিসন্দর্ভে পরীক্ষা পর্যালোচনায় এটা সপ্রমাণিত পাওয়া গেছে যে, বাংলাদেশে রুমী চর্চার শুরু ইতঃবিক্ষিপ্তভাবে অনেক আগে শুরু হলেও এর প্রায়োগিক ও বিস্তারিত অবয়ব শনাক্তকরণ সম্ভব হয় ছৈয়দ আহমদুল হকের হাতে। এই বিশাল বাংলায় সুফিবাদের সগৌরব উপস্থিতি দীর্ঘকালের। কখনো প্রকাশ্য, কখনো প্রচ্ছন্ন, কখনো প্রগলভ, কখনো প্রতীকে প্রত্যয়ে মরমি ভাবধারা বাউল কবির কণ্ঠে, সাঁইজীর আখড়ায় আপাত শ্রুত বলে মনে হলেও সেই প্রাচীন উপনিষদ কালেও তাদের ধ্যান ও দর্শনের মধ্যে সুফিতত্ত্বের যোগসূত্র সন্ধান মিলবে। ভলগা থেকে গঙ্গায় যে স্রোতধারা শত সহস্র বছরের বহমান, তার মধ্যে যাতায়াত ঘটেছে এই দর্শন আচারী আবহের। পারস্যের কবি মওলানা জালালউদ্দিন রুমীর অমিয় বাণী বাংলার পথে প্রান্তরে চারণ কবির কণ্ঠে শুধু নয়; নিভৃতচারী সাধক, কর্মবীর আর মুখরিত মানুষের মুখে মুখেও ফিরেছে। আমাদের জীবনমানে, ধ্যান ও জ্ঞানে, প্রত্যয় ও প্রত্যাশায়, চাওয়া-পাওয়ার প্রান্তরে মরমি ধ্যানধারণার অন্যতম সাধকের ভূমিকায় ছিলেন সৈয়দ আহমদুল হক।

রুমী চর্চায় তার নিজের আধ্যাত্মিকতা, অধ্যয়ন অধ্যবসায় আচার আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকেননি- তিনি বাংলা ভাষায় রুমীর রচনাবলিকে সরল সরস প্রাঞ্জল অনুবাদ ভাবানুবাদের মাধ্যমে জনপ্রিয় করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। সুফি সাধনা মূলত মুক্তবুদ্ধি সনাতন ধর্মচর্চা- ধর্মের সাথে কর্মের সংযোগ সমন্বয় সাধনের যে আদর্শ ধমীঁয় গোঁড়ামি রহিত ও মানবিক মূল্যবোধের আদর্শে উজ্জীবিত- মানুষের মনুষ্যত্বের উদ্বোধন আহ্বান- নিজেকে চেনার যে কোশেশ এসবই সুফি সাধনার অন্তর্নিহিত বাণী। এ কারণে সুফি সাধকরা যুগে যুগে মুক্তবুদ্ধি মানুষ, সার্বিক সাংস্কৃতিক বিকাশ ও সম্প্রদায়গত ভেদবুদ্ধি বিভাজন রহিত উদার উন্মুক্ত মনোভাব মনোভঙ্গির বিকাশকে প্রাধান্য দিয়েছে।

লেখক : সাবেক সচিব, এনবিআর-এর সাবেক চেয়ারম্যান


আরো সংবাদ



premium cement
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল-আরোহী নিহত পাকুন্দিয়ায় অটো-বাইকেরচাপায় নারী নিহত ফ্রান্সে গরুর ডিম খাওয়ার পরামর্শদাতা এআই চ্যাটবট বন্ধ ঘোষণা বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুজ্জীবিত করতে টাস্কফোর্সের পরামর্শ প্রতিবেদন বিশ্ব ইজতেমায় লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির জমায়েত নোয়াখালীতে জামায়াত ইসলামীর মিডিয়া সমাবেশ অনুষ্ঠিত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের সঙ্কট মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ সানজিদার চিকিৎসা টাকার অভাবে থমকে আছে দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ১৬ কিশোর-কিশোরী

সকল