০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

পোল্যান্ড রাশিয়ার আরেক মাথাব্যথা

পোল্যান্ড রাশিয়ার আরেক মাথাব্যথা - ফাইল ছবি

ইউক্রেন ও পোল্যান্ড একটি কনফেডারেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়া মনে করে এই কনফেডারেশন তার বিরুদ্ধে একটি সামরিক জোট। উভয় দেশ যেসব কথাবার্তা বলছে তাতে দেখা যায়, দু’টি দেশ কনফেডারেশনকে ‘জনমের বন্ধনে’ পরিণত করতে চায়। পোল্যান্ড ইউক্রেনে এখনো কোনো অভিযান শুরু করেনি, তবে রাশিয়া পোল্যান্ড সীমান্তে সেনা সমাবেশ করেছে।

নেতারা আশা করেছিলেন, পোলিশ ও ইউক্রেনীয়রা ‘একসাথে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভ্রাতৃত্ববোধ, সহযোগিতা ও সত্যিকারের সংহতির ওপর ভিত্তি করে একটি ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।’ জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমাদের জাতিগুলো ভাই ভাই। আমাদের দেশগুলো বোন, আমরা আত্মীয় ও আমাদের মধ্যে কোনো সীমানা বা বাধা থাকা উচিত নয়।’

পোল্যান্ডের সংবিধান দিবসে ৩ মে ডুডা বলেন, ‘আমি আশা করি, ইউক্রেন পোল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের একটি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ রাষ্ট্র হবে।’ জেলেনস্কি আরো বলেন, ‘তাদের ও আমাদের মধ্যে কোনো সীমানা থাকবে না; এই মাটিতে আমরা একসাথে বাস করব, আমরা সুখ ও শক্তি পুনরুদ্ধার করব।’ ইউক্রেন যে এখন মৃত্যুর গহ্বরে পড়েছে সেটিই জেলেনস্কির এই আর্তনাদে প্রমাণিত হচ্ছে।

সমালোচকরা বলছেন, এটি পোল্যান্ড ও ইউক্রেনকে তুরস্ক এবং আজারবাইজানের মতো ‘এক জাতি-দুই রাষ্ট্র’-এর মতো থাকবে। আরো বলা হচ্ছে, ‘একটি স্বাধীন ইউক্রেন ছাড়া, কোনো স্বাধীন পোল্যান্ড হতে পারে না।’ ডুডা, এই কনফেডারেশনে ইউক্রেনের পোলিশ ‘বড় ভাই’ হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ডুডা তার জনগণের জন্য পোপ দ্বিতীয় জন পলের কথা উদ্ধৃত করেছেন, যাতে কনফেডারেশনের ধর্মীয় ও ভাগ্যবাদী মাত্রা শক্তিশালী হয়।

রাশিয়া সম্পর্কে অনেক কথা বলার পর, ডুডা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি ইউক্রেন পূর্ণ অর্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে বিশ্রাম নেবেন না। এরপর তিনি একটি নতুন সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক প্রতিবেশী সম্পর্ক-চুক্তির ধারণা ঘোষণা করেন।

ডুডা ওয়ারশ ও কিয়েভের মধ্যে একটি উচ্চগতির স্ট্যান্ডার্ড রেলপথের প্রস্তাব দিয়ে, সড়কের মতো অন্যান্য সংযোগ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নতির পরিকল্পনার কথা বলেছেন। এটি স্পষ্ট নয়, এই সব কিছুর জন্য কত হাজার কোটি ডলার ব্যয় হতে পারে, তবে তিনি বিশ্বাস করেন, পোলিশ-ইউক্রেনীয় সীমান্তকে একত্রিত করা দরকার, বিভক্ত করা নয়।

পোলিশ নেতার চূড়ান্ত প্রস্তাবটি হলো ইউক্রেনকে ওয়ারশ-নেতৃত্বাধীন থ্রি-সিজ, তিন সাগর ইনিশিয়েটিভে যোগদান করতে হবে যা মূলত মধ্য ও পূর্ব ইউরোপজুড়ে (সিইই) তার দেশের পরিকল্পিত ‘প্রভাবের গোলক’ হিসেবে কাজ করবে। ডুডা যা কিছু প্রস্তাব করেছিলেন তা মূলত ইউক্রেনকে কনফেডারেশনের মাধ্যমে কার্যত পোলিশ আধিপত্যের অধীনে আনার লক্ষ্যে চালিত। তিনি ও জেলেনস্কি কেবল অনানুষ্ঠানিকভাবে এই বন্ধন তৈরিতে সম্মত হয়েছিলেন। এর মধ্যে স্পষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যেমন- পোল্যান্ড ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য অর্থ প্রদান করবে না এবং কোনো দেশের নাগরিকরা সম্ভবত অন্যটিতে রাজনৈতিক কাজকর্ম করতে পারবে না। তবে এটি স্পষ্ট যে, তারা একটি কনফেডারেট রাষ্ট্রে একীভূত হওয়ার পথে রয়েছে।

তাদের লোকেরা ‘শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও সামাজিক গ্যারান্টি’ গ্রহণ করার সময় একে অপরের অঞ্চলে অবাধে যাতায়াত, বসবাস ও কাজ করতে পারবে। শেনজেন জোনের জনগণ এসব সুবিধা ভোগ করে আসছে। যদিও ইইউতে এই দু’টিকে পরিচালনা করার জন্য এখনো কোনো সুপারন্যাশনাল বডি তৈরি হয়নি, তবে এটি আসলেই প্রয়োজন হয় না কারণ পোল্যান্ড স্থানীয় আইনগুলো কী-কেমন তা নিয়ে চিন্তা করে না এবং যতক্ষণ না কিয়েভ ওয়ারশের কাছে তার প্রতিরক্ষা, অর্থনৈতিক ও বিদেশী নীতিগুলো আত্মসমর্পণ করে ততক্ষণ পর্যন্ত তার আইন প্রয়োগকারী-বিচারিক বিষয়গুলো মাইক্রোম্যানেজিং করতে আগ্রহী নয়।

বিশাল কৌশলগত প্রেক্ষাপট এমন যে পোল্যান্ড ও ইউক্রেনের অনানুষ্ঠানিক একত্রীকরণের মাধ্যমে যে ডি ফ্যাক্টো কনফেডারেশনের সৃষ্টি হয়েছিল এটি শান্তিরক্ষী সামরিক বাহিনী প্রেরণের রূপলাভ করেছে। পশ্চিম ইউক্রেনে একটি রেড লাইন অঙ্কিত হয়েছে, যাতে সেই দিকে রাশিয়ার সামরিক অগ্রাভিযান বন্ধ করা যায়। তবে বিষয়টি অত সহজ নয়।

পোল্যান্ড ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য দ্বিতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে। পোলিশ প্রধানমন্ত্রীর মতে, ওয়ারশ কর্তৃক কিয়েভকে সরবরাহ করা অস্ত্রের মূল্য ১.৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে গত আট বছরে সরবরাহ করা অন্যান্য অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত নয়।

ট্যাংকগুলো ইউক্রেনের প্রচেষ্টায় একটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছে যাতে রাশিয়ার অগ্রাভিযান, দখলদারিত্ব ও কিয়েভের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো দখল করার প্রচেষ্টা বন্ধ হয়ে যায়। টি-৭২ যুদ্ধ ট্যাংক ছাড়াও, পিওরুন ম্যানপ্যাড হলো ইউক্রেনকে দেয়া পোল্যান্ডের সবচেয়ে পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত অস্ত্র। মানপ্যাডগুলো এসইউ-২৫ ও সু-৩৪ বা কেএ-৫২ এবং এমআই-২৪ হেলিকপ্টারের মতো বেশ কয়েকটি রাশিয়ান বিমান ভূপাতিত করতে সফল হয়েছে বলে জানা যায়।

ইউক্রেনের প্রতি পোলিশ সরকারের সমর্থন মস্কোতে একটি বড় বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে, পুতিনের শীর্ষ সহযোগীরা পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। পুতিনের রাজনৈতিক দলের এক শীর্ষ সদস্য, ক্রেমলিনের সহযোগী ওলেগ মোরোজোভ বলেছেন, পোল্যান্ডকে ‘ইউক্রেনের পর সিংহাসনচ্যুতির জন্য প্রথম সারিতে রাখতে হবে। মোরোজভের এই মন্তব্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনকে ‘বিতাড়িত’ করার লক্ষ্যে কাজ করার প্রতিধ্বনি বলে মনে হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে এইসব মন্তব্য আরো উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। পোল্যান্ড ন্যাটোর ৩০টি সদস্য দেশের মধ্যে একটি, যার অর্থ হচ্ছে পোলান্ডকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার রাশিয়ার সম্ভাব্য প্রচেষ্টা ন্যাটোর সম্মিলিত প্রতিক্রিয়ার সূচনা করবে। পুতিন ভবিষ্যতে পোল্যান্ডে হামলা চালাতে পারেন কি না সে বিষয়ে তেমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে পোল্যান্ডের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাভেল জেবলনস্কি বলেছেন, পুতিন যে পোল্যান্ডে হামলা চালাতে চান, এটি একপ্রকার নিশ্চিত।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ডুডা ওয়াশিংটন সফরের সময় পোল্যান্ডে স্থায়ী সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের জন্য ট্রাম্পকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তখন থেকেই পোল্যান্ডে তিন হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। সে সংখ্যা ইদানীং বেড়েছে। রাশিয়ার গোয়েন্দা তথ্য মতে, সেখানে পাঁচ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা রয়েছে।

পূর্ব ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী সামরিক উপস্থিতি ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে আরো উত্তেজনায় ইন্ধন জোগাবে। পোল্যান্ড ২০১৯ সালে হাঙ্গেরি ও চেক প্রজাতন্ত্রের সাথে ন্যাটোতে যোগ দেয়। তখন রাশিয়ান সীমান্তের তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্রও পশ্চিমা সামরিক জোটে যোগ দেয়। ট্রাম্প পোলিশ নাগরিকদের ভিসা মওকুফের কর্মসূচিতেও সম্মতি দিয়েছিলেন।

তবে, পোল্যান্ড-ইউক্রেন সা¤প্রতিক কনফেডারেশন স্বল্পস্থায়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ওয়ারশ হঠাৎ বুঝতে পেরেছে যে, অনির্দিষ্টকালের জন্য কিয়েভ ও তার শরণার্থীদের অর্থায়ন করা এক দুরূহ বিষয়। মে মাসের শেষের দিকে মিডিয়ায় বক্তব্যের সময় ডুডা ও জেলেনস্কি সব কিছু রঙিন চিত্রের মতো নিখুঁত মনে করেছিলেন। কনফেডারেশন কাগজ-কলমে ভালো বলে মনে হলেও পোল্যান্ড দ্রুত বুঝতে পারে যে, তাদের বাজেট এমন উচ্চাভিলাষী ভূ-রাজনৈতিক প্রকল্প বহন করতে পারবে না।

পোল্যান্ড দাবি করেছিল, ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য জাতিসঙ্ঘের দফতরটি তাদের দেশে থাকা উচিত। ইউক্রেনের শহরগুলো এখন মনুষ্যবিহীন, ভুতুড়ে। বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, আর যুদ্ধ দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ডুডা মনে করেছিলেন, জাতিসঙ্ঘের এমন পদক্ষেপ তার দেশকে আর্থিকভাবে লাভবান করবে।

তারা আশা করেছিল, ব্রাসেলস তার প্রতিশ্রুত শরণার্থী সহায়তা বাবদ ১৫০ মিলিয়ন ইউরো অর্থায়ন করবে, যা এখনো হয়নি। শরণার্থীদের ঢল সামলাতে পোল্যান্ড আরো বিলিয়ন বিলিয়ন সহায়তা দাবি করছে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। ইইউ পোল্যান্ডকে কোভিড পুনরুদ্ধার কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ইউরো অনুদান ও ঋণ অনুমোদন করেছে, তবে বিচার বিভাগের সংস্কার না হওয়ায় এই সহায়তাটি আটকে আছে।

সম্প্রতি উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, পোল্যান্ড সেখানে শান্তিরক্ষী পাঠানোর অজুহাতে পশ্চিম ইউক্রেনে সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে। গত জুলাই মাসের শেষের দিকে রাশিয়ার বিদেশী গুপ্তচর প্রধান সের্গেই নারিশকিন এটি মিডিয়ায় ছবিসহ প্রকাশ করেন। চলতি আগস্ট মাসে পোল্যান্ড মহড়ার নামে বড় আকারের সামরিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

পোল্যান্ড কেন ইউক্রেনে সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, এর ফলে পশ্চিম ইউক্রেনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ছাতার এক রেড লাইন তৈরি হবে যা পোলিশ বাহিনীকে রক্ষা করবে। দ্বিতীয়ত, ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী শিগগিরই ভেঙে পড়তে পারে, এ ক্ষেত্রে পোল্যান্ড সীমান্ত অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার অজুহাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং তৃতীয়ত, এই পরিস্থিতিতে আরেকটি বিশাল শরণার্থী ঢল বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে। ইউক্রেনীয় শরণার্থীর ভারে পোল্যান্ড এমনিতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পোল্যান্ডে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও প্যারা মিলিটারিকে মার্কিন বাহিনী নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

এই পরিস্থিতি সম্পর্কে পর্যবেক্ষকদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো- এটি ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন প্রক্সিযুদ্ধকে পোল্যান্ড রাশিয়া বা ন্যাটো রাশিয়া যুদ্ধে পরিণত করতে পারে। মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্নেল ডগলাস ম্যাকগ্রেগর এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন।

সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ পোল্যান্ডের সংবিধান দিবসে পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডাকে বলেছেন, ইউক্রেনের সাথে তার দেশের সীমান্ত শিগগিরই আর আগের মতো নাও হতে পারে। এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে যুক্তরাষ্ট্র, পোল্যান্ড, ইউক্রেন বনাম রাশিয়ার যুদ্ধ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। এ বিষয়টি পুতিন সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পেরে গ্যাস, তেল, খাদ্য সম্পূর্ণ বন্ধ করে পূর্বদিকে ফিরছে। চীন ও উত্তর কোরিয়া সেনাবাহিনী দিয়ে রাশিয়াকে সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, বৈরী লাফঝাপ পোল্যান্ডকে রাশিয়ার হুমকির উৎস বানিয়েছে। পোল্যান্ড ইইউকে নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করার আহ্বান জানিয়েছে এবং পশ্চিমা ন্যাটো জোটকে ইউক্রেনে আরো বেশি অস্ত্র সরবরাহের অনুরোধ করেছে কারণ এটি তার পূর্ব দিকে রাশিয়ান বাহিনীকে প্রতিহত করার ব্যূহ তৈরিতে শক্তি জোগাবে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement