২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জাতীয় সরকার কতদূর

জাতীয় সরকার কতদূর - নয়া দিগন্ত

সরকার পতনের আশা ও আশঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছে জনগণ। আশা এই জন্য যে বিগত একযুগ ১২ বছরে সরকার অনেক বদনাম কুড়িয়েছে। আর আশঙ্কা এই কারণে যে কথিত ‘স্বাধীনতার সপক্ষে’র পতন দেখতে চায় না সুবিধাভোগীদের অংশ। কারণ এই সরকারের মাধ্যমে তারা দুটো পয়সার মুখ দেখতে পেয়েছে। বিরোধী দল বলছে যে, দেশটাকে সরকার জাহান্নামে পরিণত করেছে। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন জনগণ ‘বেহেস্তে’ আছেন। জান্নাত ও জাহান্নামের এই বিতর্কে উলুখাগড়া জনগণ।

আসলে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। দীর্ঘায়িত দুঃশাসন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্ব, উন্নয়নের দুর্নীতি, বিসর্জিত নির্বাচন, অবশেষে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ হাঁসফাঁস করছে। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধি এখন আকাশ ছুঁই ছুঁই করছে। জনগণ এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। কিন্তু মুক্তি কোন পথে, সেটি অনিশ্চিত। সরকার পতনের বা পরিবর্তনের যে ফর্মুলা, আমরা জানি তা চার প্রকারের।
প্রথমত স্বাভাবিক নির্বাচনের মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে সরকারের পরিবর্তন। দ্বিতীয়ত গণ-আন্দোলনের মতো প্রক্রিয়ায় সরকারের পতন। তৃতীয়ত সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে সরকারের বিদায়। চতুর্থত অস্বাভাবিক উপায়ে অর্থাৎ সামরিক অভ্যুত্থানের মতো অনাকাক্সিক্ষত পথে সরকারের বিপর্যয়।

বাংলাদেশের বিগত অর্ধ-শতাব্দীর ইতিহাসে প্রায় সব প্রক্রিয়া অনুসৃত হয়েছে। ১. একটি জনগণ সম্পৃক্ত সশস্ত্র বিপ্লব বা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রাথমিক সরকারটি স্থাপিত হয়েছে। ২. অগণতান্ত্রিক পন্থায় বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে সরকারের খোলনলচে বদল হয়েছে। ৩. অস্বাভাবিকভাবে রক্তাক্ত পথে তথাকথিত সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন হয়েছে। ৪. সৈনিকদের বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষণস্থায়ী সরকারের সময় শেষ হয়েছে। ৫.আবার সামরিক শাসন ফিরে এসেছে। ৬.গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ক্ষণস্থায়ী সরকারকে সেনানায়কের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করতে হয়েছে। ৭. সেই সেনানায়ককে অবশেষে গণ-আন্দোলনের মুখে বিদায় নিতে হয়েছে। ৮. প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। ৯. তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দ্বি-দলীয় সরকারব্যবস্থার প্রকাশ ঘটেছে। ১০. সামরিক-বেসামরিক দ্বৈতশাসন; অবশেষে গণতন্ত্রের নামে সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই স্বৈরতন্ত্র ফ্যাসিবাদে রূপ ধারণ করেছে। বিগত প্রায় দেড় দশকের গণতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই অবস্থার পরিবর্তনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো শক্তির মোকাবেলায় গণশক্তির চ্যালেঞ্জ দিতে অপারগ হয়েছে। বিগত ৫০ বছরে অনুসৃত সরকার পতনের প্রক্রিয়ার কোনো না কোনো পর্যায়ে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনটি সমাগত হয়ে উঠবে।

এখন যখন জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের অকল্পনীয় উল্লম্ফন, বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং অবশেষে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঘোড়া যখন সবকিছু তছনছ করে দিচ্ছে তখন আবারও সরকার পরিবর্তনের আশা ও আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচন অনিবার্য পরিবর্তনের বাহন হয়ে উঠেছে। সবার আশা, সব রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ব্যাপারে একাট্টা হয় এবং নির্বাচনকালীন সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয় তাহলে সরকার পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দৃঢ়তার সাথে বলছে, নির্বাচনকালীন সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক ধরনের সরকার ব্যতীত তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বিএনপি সংলাপ ও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

বাম ধারার রাজনৈতিক দলগুলো ‘গণতান্ত্রিক মঞ্চ’ নির্মাণ করেছে। ডান ধারার ছোট ছোট দলগুলো বিএনপির প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করেছে। ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো আগে থেকেই সরকারবিরোধী। এই ধারার প্রধান দলটি নতুন করে নতুন কৌশলে নিজেদের অবস্থান প্রমাণ করতে চাইছে। সাম্প্রতিক কালের পীর ঘরানার দলটি প্রধান ইসলামী দল হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ইতঃপূর্বে তারা স্বকীয় ধারায় রাজনীতি করলেও এখন জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি তাদের ক্রমাগত সমর্থন ও অংশগ্রহণ দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।

সরকারি দলের একসময়ের গৃহপালিত বিরোধী দল বলে কথিত জাতীয় পার্টি এখন জনগণের ভাষায় কথা বলছে। জিএম কাদের দলটিকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ধারায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ১৪ দলের অন্যান্য অংশেও ভিন্ন সুর শ্রুত হয়েছে। সাম্প্রতিক নির্বাচন কমিশন সংলাপে এর আঁচ অনুভূত হয়েছে।

অপর দিকে ক্ষমতাসীন দলের দেশজ এবং বৈদেশিক ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে উঠেছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এমনিতেই তাদের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। শক্তির মাধ্যমে শাসন করার যে অপকৌশল এতদিন ধরে তারা অনুসরণ করছে তা অকেজো হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। সরকার শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে যে জনরব শুরু হয়েছে তা মনস্তাত্তি¡কভাবে আইন ও শৃঙ্খলা বাহিনীতে হতাশার সৃষ্টি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধ এই হতাশাকে দৃঢ় করেছে। পতনের আশঙ্কায় সরকারে যেমন গুঞ্জন চলছে, তেমনি আমলাতন্ত্রও ভয় পেয়েছে। অর্থনীতিবিদগণ হিসাব-নিকাশ করে দেখাচ্ছেন, যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে দেশ চালনা কঠিন হবে। রিজার্ভ ফুরিয়ে গেলে ‘তাদের’ দিনও ফুরিয়ে যাবে।

বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের হিসাব-নিকাশও সুবিধার নয়। সরকার সব কিছুতে ব্যয় সঙ্কোচন করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে বলে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন বেরিয়েছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, এমনকি শাসক দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব সরকার পতনের অনিবার্যতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

২০২৩ সালের নির্বাচন অনিবার্যভাবেই সব ওলট-পালট করে দেবে এটি অনেক রাজনৈতিক দলের আশা। কিন্তু কোনো কোনো রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা অত দিন সময় লাগবে না। তাদের মন্তব্য যেন এরকম যে, ‘আম পেকে গেছে- এখন নাড়া দিলেই পড়ে যাবে।’ বিএনপি বলছে, তারা এখনি নাড়া দিতে রাজি নয়। ধীরে-সুস্থে, ‘বুঝে-সুঝে’ এগুতে চায় তারা। বিরোধী জনগণের আশা ছিল, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে হরতাল আহূত হবে। কিন্তু বিএনপি মহাসমাবেশ করে তাদের শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছে। জনগণের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক তথা নিয়মতান্ত্রিকভাবে তথা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের আশায় দৃঢ় বিএনপি।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বৈদেশিক প্রভাব সবসময়ই সক্রিয় ছিল। হস্তক্ষেপের জন্য যতটা না বিদেশীরা আগ্রহী তার চেয়েও আগ্রহী আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভারত-মার্কিন যৌথ প্রযোজনা ছিল। বাইডেন ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ‘একক প্রযোজনা’ লক্ষ করা যাচ্ছে। ক্রমশ অধিকতর চাপের সম্মুখীন হচ্ছে ক্ষমতাসীন সরকার। সর্বশেষ উদাহরণ, জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কমিশন প্রধানের সফর এবং অসন্তুষ্ট প্রস্থান। ইতোমধ্যে পুলিশ ও র‌্যাবের প্রতি বিধিনিষেধ বাংলাদেশকে বিব্রত করেছে। এই বিধিনিষেধ বিগত সেনাপ্রধানের প্রতিও প্রযোজ্য ছিল।

এখন গোটা সেনাবাহিনীর প্রতি বিধিনিষেধ আরোপের গুজব শোনা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসঙ্ঘ শান্তি বাহিনীতে প্রধান অংশীদার। এ বিষয়ে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার প্রধান দুর্ভাগ্যবশত এমন কোনো সুপারিশ যদি করেন, তাহলে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ বিপন্ন হবে। আর বাংলাদেশে মার্কিন কথিত ‘রেজিম চেঞ্জ’ অনিবার্য হয়ে উঠবে।

এদিকে বৈদেশিক সম্পর্ক সমীকরণে ত্রি-পক্ষীয় সঙ্কটে নিপতিত হতে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত- এই ত্রি-পক্ষীয় টানাপড়েনে বাংলাদেশ চরম দ্বিধাদ্ব›েদ্ব ভুগছে। ক‚টনীতিকরা বলছেন, ‘অতি চালাকের গলায় দড়ি পড়তে পারে।’ ভারত ইতোমধ্যে তিক্ততর হয়ে উঠেছে বলে ক‚টনৈতিক মহল সূত্রে জানা গেছে। সব মিলিয়ে সরকার পরিবর্তন বা জাতীয় সরকার গঠন অত্যাসন্ন হয়ে উঠতে পারে।

কিন্তু হাওয়া থেকে পাওয়া খবর বলছে, নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোনো অবকাশ নেই। আমটি গাছে পেকেছে। নাড়া দিলে পড়ে যাবে, এ কথা সত্য। তবে আমটি সত্যিই যদি পেকে থাকে তাহলে পরে এমনিতেই পড়ে যাবে। গাছ তাকে ধরে রাখতে পারবে না। দেশের অর্থনীতি ক্রমশ যেভাবে দেউলিয়াত্বের পথে এগুচ্ছে, তাতে সরকারের টিকে থাকার আর কোনো সঙ্গতি থাকবে না। গাড়িতে তেল না থাকলে অটোমেটিকভাবে যেমন গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি সরকার অচল হয়ে পড়বে। শ্রীলঙ্কার ঘটনাবলি মনোযোগসহকারে পর্যালোচনা করলে সে কঠিন সত্যই বেরিয়ে আসবে। একজন মরণ পথের মানুষ যেমন বাঁচার জন্য শেষ আকুতি করে ঠিক তেমনি সরকারও বাঁচার জন্য, নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তারা চেষ্টা করবে। একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ব্যক্তিগত পর্যায়ে মন্তব্য করেছেন, যেহেতু ‘তিনি’ বুদ্ধিমতী এবং ভবিষ্যৎ দেখতে সক্ষম সেজন্য ২০২৩ সালের জন্য অপেক্ষা না করে জাতীয় সরকারের আহ্বান জানাতে পারেন। তাতে দুটো লাভ। ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ থাকতে পারবে এবং তাদের নেতাকর্মীর উৎকণ্ঠিত প্রতিশোধের প্রশমন হবে।

এই প্রবীণ নেতা আরো মন্তব্য করেন যে, বিদায়ের আগে অবশ্যই তিনি সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংযোজন করে যাবেন। তিনি দেখেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে তাদের পুনর্বার ক্ষমতায় আসার শেষ রেখাটুকু থাকবে। ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়েছে। আবার ক্ষমতায় আসার প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংযুক্ত হবে। তার কারণ ক্ষমতা এবং ক্ষমতাই তাদের রাজনীতির মাপকাঠি। নীতি আদর্শ ও মূল্যবোধ তাদের কাছে ‘আসলেই মূল্যহীন’। জাতীয় সরকারব্যবস্থাকে দৃশ্যত তারা নাকচ করলেও যখন তারা দেখবেন, এ সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে তারা ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পারবে তখন তারা রাজি হবে। জাতীয় সরকার কথাটির সাম্প্রতিক প্রয়োগ ঘটিয়েছেন সিভিল সোসাইটির প্রবীণ ব্যক্তিত্ব ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি অবশ্য জাতীয় সমস্যাগুলো অনুধাবনে ও সংস্কারে দু’বছর মেয়াদি জাতীয় সরকারের কথা বলেছেন।

তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার এই যে, নির্বাচনের আগে ও পরে জাতীয় সরকার প্রস্তাব সর্বজনীন হয়ে উঠেছে। যদি ক্ষমতাসীন সরকার চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কট দূর করতে না পারে, তাহলে তাদের লোকেরা ‘দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে’ জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার শ্লোগান তুলবে। আর যদি তারা সা¤প্রতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারে তাহলে ‘যথা পূর্বাং তথা পরং’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। অর্থাৎ তারা জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় শিগগিরই রাজি হবে না। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এ বছর হোক অথবা আগামী বছর তারা জাতীয় সরকার গঠনের মাধ্যমেই বিদায় নেবে। তত দিনে অর্থনীতিতে ‘লাল বাত্তি জ্বলবে’। গণ-আন্দোলনের তীব্রতার ওপর জাতীয় সরকারে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নির্ভর করবে। অবস্থা বেসামাল হলে তারা সামাল দিতে পারবে না। তখন তাদের আম ও ছালা দুটোই খোয়াতে হবে। সুতরাং যত শিগগির তারা জাতীয় সরকার গঠন করবে, ততই তাদের মঙ্গল।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement