রেলের কালো বিড়াল তাড়াবে কে
- ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
- ৩১ জুলাই ২০২২, ২০:০৬
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ২০১২ সালে রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর ঘোষণা দিয়েছিলেন- রেলের কালো বিড়াল খুঁজে বের করবেন। মাত্র সাড়ে চার মাসের মাথায় বিড়াল কেলেঙ্কারি মাথায় নিয়ে তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন। রেলের ব্লাকহোলে হারিয়ে যায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের রাজনৈতিক জীবন।
রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার, পূর্বাঞ্চল রেলের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা ও ঢাকা রেলের নিরাপত্তা কমান্ড্যান্ট এনামুল হক রেলমন্ত্রীর জিগাতলার বাসায় যাওয়ার পথে পিলখানা বিজিবি সদর দফতর গেটে ৭০ লাখ টাকার বস্তাসহ আটক হন। কিছু দিন এ ব্যাপারে মিডিয়া সরব থাকলেও ধীরে ধীরে কালো বিড়ালের কথা মানুষ ভুলে যায়। ইতোমধ্যে বিড়াল আন্ডাবাচ্চা দিয়ে রেলওয়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে কোটরে কোটরে বিস্তার লাভ করে। শুঁটকির গন্ধ পাওয়ায় কালো বিড়াল ঘাপটি মেরে বসে আছে। বাংলাদেশে অর্থনীতির একটি সম্ভাবনাময় খাত রেলওয়ে। কিন্তু এক শ্রেণীর কালো বিড়াল এটাকে খাঁমচে ধরায় রুগ্নশিল্পে পরিণত হয়েছে।
রেলের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিউদ্দিন রনি নামের এক শিক্ষার্থী অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় কালো বিড়াল প্রসঙ্গটি ফের সামনে আসে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। রনির ছয় দফা দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। এতে দ্বিমতের সুযোগ নেই। ১. টিকিট ব্যবস্থাপনায় হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, হয়রানির ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে; ২. যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকিটের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে; ৩. অনলাইন কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করতে হবে। অনলাইন বা অফলাইনে সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে; ৪. যাত্রীচাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে রেলের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে; ৫. রেলের টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ দায়িত্বশীলদের সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে আনতে হবে এবং রেলের সেবার মান বাড়াতে হবে; ৬. রেলে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
রেল কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ২১ জুলাই হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বলেন, রেলে এত অব্যবস্থাপনা কেন থাকবে? কেন টিকিটে কালোবাজারি হবে? কেন মানুষ ট্রেনের ছাদে যাবে? আপনারা কি রেলকে গ্রাস করতে চাইছেন? এ অবস্থা চলতে পারে না। আদালত আরো বলেন, রেল আমাদের জাতীয় সম্পদ। সেই সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের দেয়া হয়েছে। কিন্তু আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে ওঠে। ট্রেন থেকে পড়ে তো দুর্ঘটনাও হতে পারে। আর আপনারা নিশ্চিন্তে ঘুমান। এটি হতে পারে না। আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন। আইনে নিষিদ্ধ থাকলেও রেল কর্মকর্তারা ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহনের অনুমতি দেন। এই যাত্রীরা তো আর বিনা পয়সায় ভ্রমণ করেন না।
যাত্রীদের এই অর্থের ভাগ রেল কর্মকর্তারা পান বলেই ট্রেনের ছাদে যাত্রী ভ্রমণ করেন। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, আজ থেকে রেলের ছাদে যাত্রী ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হলো। যদি যাত্রী ভ্রমণ করে তাহলে এর পরিণতি কী হবে সেটি ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারছেন না। ‘কোনো ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠলে, তা থামাতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ (ঢাকা পোস্ট, বাংলা ডেইলি স্টার নেট, ২১ জুলাই, ২০২২)। আদালতের এ পর্যবেক্ষণে সাধারণ মানুষের মনের কথারই প্রতিধ্বনি অনুরণিত হয়েছে।
চরম অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর লোকসান গুনছে। শুধু তাই নয়, আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে। এক টাকা আয় করতে রেলের ব্যয় ছয় টাকা। একটি পরিসংখ্যান দিলে বিষয়টি খোলাসা হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেল আয় করেছে এক হাজার ১৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ব্যয় করতে হয়েছে ছয় হাজার ২৫ কোটি টাকা। আগের দুই অর্থবছরের চিত্রও প্রায় অভিন্ন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকা আয় করতে রেল ব্যয় করে পাঁচ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। তার আগের অর্থবছরে এক হাজার ৩৯২ কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয় ছয় হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা।
তিন বছরে তিন হাজার ৫৪২ কোটি টাকা আয় হলেও পরিচালন ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ১৫ হাজার ১৪১ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে রেলকে। এর বাইরে প্রকল্প ব্যয় তো আছেই। রেলে ৩৯ উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে এক লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পগুলো সমাপ্ত হলে রেলের ব্যয়ের অঙ্ক বাড়বে তিনগুণের বেশি। জনগণের করের টাকায় প্রতি বছর বিপুল অঙ্কের টাকা লোকসান দিয়ে রেলকে কতদিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে; তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ রোলিং স্টক, জীর্ণ কারখানা, লোকবল-সঙ্কট, সময়ানুবর্তিতার অভাব, টিকিট কেনায় দুর্ভোগ, ছারপোকাময় আসন হচ্ছে রেলওয়ের বৈশিষ্ট্য। (যুগান্তর, ২৩ জানুয়ারি, ২০২২; প্রথম আলো, ৫ নভেম্বর, ২০১৯)
ধারাবাহিক এ অব্যবস্থাপনা ও লোকসানে রেলের অনিয়ম-দুর্নীতিকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। রেলের প্রায় ছয় হাজার একর বেদখল জমি উদ্ধারে কার্যত কোনো উদ্যোগ নেই। রেলের কর্মচারীরা রেলের জায়গায় ঘর বানিয়ে দিব্যি ভাড়া দিচ্ছেন।
মানুষ স্বচ্ছন্দ, নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণে রেলকে অগ্রাধিকার দেয়। কর্তৃপক্ষ যাত্রীচাপ কাজে লাগিয়ে রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে ব্যর্থ হয়েছে। জরাজীর্ণ রেলপথ, রেল ব্রিজ, ইঞ্জিন-কোচ, সিগন্যাল ব্যবস্থা সংস্কার ও সক্রিয় করা গেলে লোকসান কমিয়ে আনা সম্ভব হতো। সবাই কিন্তু লোভনীয় বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যস্ত। আন্তঃনগর ট্রেনে এসি চেয়ার ও এসি বার্থের চাহিদা ব্যাপক। যাত্রীরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসব কম্পার্টমেন্টে ভ্রমণ করতে আগ্রহী। কিন্তু পর্যাপ্ত এসি বার্থ কম্পার্টমেন্ট না থাকায় চাহিদা বেড়ে যায়। এ সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী চড়া দামে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করেন। বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিট পরিদর্শকসহ রেলওয়ের রানিং স্টাফ নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা আদায়ের ঘটনা নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক শ্রেণীর রেল কর্মচারীর বিরুদ্ধে রেলইঞ্জিন থেকে তেল চুরির অভিযোগ পুরনো। যাত্রী ও মালবাহী বিভিন্ন ট্রেন থেকে ১৬৭ জনের একটি সিন্ডিকেট বছরে ১০০ কোটি টাকার তেল চুরি করে খোলাবাজারে পাচার করে দেয়। প্রতিদিন তেল চুরি হচ্ছে ৪০ হাজার লিটার, বছরে গড়ে প্রায় দেড় কোটি লিটার। সবচেয়ে বেশি তেল চুরি হচ্ছে চট্টগ্রাম, পাকশী ও ময়মনসিংহ রেল বিভাগে। ৫৩টি চুরির চিহ্নিত স্থান হয়েছে। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১০ জুলাই রাতে স্টেশন এলাকা থেকে ৫০০ লিটার ইঞ্জিনের তেলসহ সাতজনকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। আটকদের পাঁচজনই রেলওয়ের কর্মচারী।
২০২০ সালের ১৭ মে রেলওয়ে নিরাপত্তা গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের হাতে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ের জ্বালানি তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের তেল চুরি করে বিক্রির সময় লোকোমোটিভের চালক, সহকারী চালক ও ২১০ লিটার চোরাই তেলের ক্রেতাসহ তিনজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
বর্তমানে ২৫৯টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। মালবাহী ট্রেন চলছে ৩৮টি। প্রতিটি যাত্রীবাহী ট্রেন ন্যূনতম ১৬-২০টি কোচ নিয়ে চলার কথা। কিন্তু বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেন গড়ে সাত থেকে ১৪টি বগি নিয়ে চলছে। শুধু চলমান আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে আরো প্রায় ৭৩০টি কোচ সংযুক্ত করা সম্ভব।
এতে প্রতিদিন প্রায় ৭৩ হাজার যাত্রী বেশি পরিবহন করা সম্ভব। এতে আন্তঃনগর ট্রেন থেকে দিনে তিন কোটি ৬৫ লাখ টাকা অতিরিক্ত আয় করা যায়। বাকি ২৫৫টি মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেন তিন থেকে সাতটি কোচ নিয়ে চলাচল করছে। এসব ট্রেনে গড়ে ছয়টি করে কোচ সংযুক্ত করলে এক হাজার ৫৩৯টি অতিরিক্ত কোচ সংযুক্ত করা যায়। (আমাদের সময় ডটকম, ২৩ জানুয়ারি-২০২২) চাঁদাবাজি ও দুর্ঘটনার ভয় নেই বলে পণ্যদ্রব্য পরিবহনে সড়কপথের চেয়ে ট্রেনে খরচ অনেক কম। যাত্রীবাহী ট্রেনের চেয়ে পণ্যবাহী ট্রেনের আয় চারগুণ বেশি। অথচ স্টেশনগুলোতে কনটেইনার রাখার জায়গাই সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে।
লোকসান কাটিয়ে লাভে ফিরতে বাংলাদেশ রেলওয়েকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো- যাত্রীসেবা, অনবোর্ড সেবা, ক্যাটারিং সেবার মান বাড়ানোসহ যাত্রীদের টিকিটপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, পণ্যবাহী ও কনটেইনার ট্রেন পরিচালনায় গুরুত্ব দেয়া, কমিউটার ট্রেনকে আরো জনবান্ধব করে তোলা ও বেদখলে থাকা জমি উদ্ধার করে সেগুলোর বাণিজ্যিক ব্যবহার করা। এসব পরামর্শ কেবল কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ। যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনায় বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির একাধিক খাত চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। খাতগুলো হলো- সম্পত্তি ইজারা ও হস্তান্তর, অবৈধ স্থাপনা তৈরি, কেনাকাটা, ভূমি অধিগ্রহণ, যন্ত্রাংশ নিলাম, টিকিট বিক্রি, ট্রেন ইজারা, ক্যাটারিং ইত্যাদি। (দৈনিক বণিক বার্তা, ৯ মে, ২০২২) বিভিন্ন উন্নয়নকর্মে দলীয় লোকদের টেন্ডারবাজি রেলের জন্য বাড়তি মাথাব্যথা।
রাশিয়া, জার্মানি, জাপান, চীন, ভারত, কানাডা, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ দীর্ঘতম পথে ট্রেনে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। এসব দেশে রেল বেশ লাভজনক প্রতিষ্ঠান। ইচ্ছা করলে বাংলাদেশ সেসব দেশ থেকে শিক্ষা নিতে পারে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে দিল্লি অভিমুখী রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো দ্রুতগামী একটি ট্রেন ৫০ বছরেও বাংলাদেশ চালু করতে পারেনি। ২০২১ সালে ভারতীয় রেলওয়ের আয় ২৫.৫ বিলিয়ন রুপি। একই সময় পণ্য পরিবহন করেছে ১২৩২.৬৪ মিলিয়ন টন। ভারতে ১২ হাজার ৬১৭টি ট্রেন দৈনিক দুই কোটি ৩০ লাখ যাত্রী পরিবহন করে।
দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরিবেশবান্ধব, জ্বালানিসাশ্রয়ী ও নিরাপদ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রেলের গুরুত্ব খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের কর্মসংস্থান, অর্থোপার্জন এবং শিল্প ও কৃষিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থায় রেলের গুরুত্ব অস্বীকার করা যাবে না। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেলকে আধুনিকায়ন ও জনপ্রিয় করে তোলা অত্যন্ত জরুরি। একটি দুষ্টচক্র রেলকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা সময়ের দাবি। নইলে রেল মুখ থুবড়ে পড়বে। কালো বিড়াল তাড়াতে না পারলে রেল লাইনচ্যুত হয়ে যাবে। কিন্তু তাড়াবে কে? বিড়ালের গলায় ঘণ্টি বাঁধবে কে? এটিই বিলিয়ন ডলার প্রশ্ন? সর্ষেতে ভূত থাকলে মন্ত্রে কাজ হয় না।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গবেষক
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা