ধার করে ঘি খায়, অভাব বলে আয় আয়
- ড. আবদুল লতিফ মাসুম
- ১৩ জুলাই ২০২২, ২০:৩৫
প্রবাদ আছে, ‘ধার করে ঘি খায়, অভাব বলে আয় আয়’। কথাটির তাৎপর্য এরকম যে, আয় অনুযায়ী ব্যয় না করলে বরং বিলাসিতার জন্য ধার করলে অতি শিগগিরই তাকে অভাব-অনটনের সম্মুখীন হতে হবে। ব্যক্তির বেলায় যেমন এটি সত্য, ঠিক তেমনি রাষ্ট্রের বেলায়ও এটি সত্য প্রমাণিত হতে পারে। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল উন্নয়নের মহাসড়কে আরোহণে আকুল-ব্যাকুল। একটি জাতির জন্য সংযতভাবে বাস্তব পরিকল্পনামাফিক যে উন্নয়ন অগ্রগতি সাধিত হওয়ার কথা তা তাদের ব্যাকরণে নেই।
তারা সড়কে, বন্দরে, স্থাপনায় ও সেবা খাতে তাদের উন্নয়নের প্রাচুর্য দেখাতে চায়। উন্নয়নের অনুষঙ্গ হিসেবে দুর্নীতি, অপব্যয় ও অপচয়ের অভিযোগ আকাশছোঁয়া। অপরিকল্পিতভাবে সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে এখন দেশকে বিপাকে ফেলেছেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিং সারা দেশে একরকম বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।
দেশের জনজীবনে কষ্টের সাথে সাথে এর প্রভাব পড়েছে শিল্প-কারখানায়, ব্যবসায়-বাণিজ্যে এবং সামগ্রিক জনজীবনে। অথচ ২০২১-২২ সালের বাজেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে। এ জন্য ব্যয় বরাদ্দ আছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত না করা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ঘাটতির কোনো পরিবর্তন হবে না। কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৬০ শতাংশ গ্যাসনির্ভর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষমতাসীন সরকারের অবাস্তব ও অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর হওয়ার কারণে এ বিপর্যয় ঘটেছে। তারা আরো বলেন, আমদানি করা তরল গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ফলে এ বিপর্যয় ঘটেছে।
তথ্যাভিজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, এক হাজার ৬০০ ইউনিট গ্যাস চাহিদার পরিবর্তে এখন এর সরবরাহের পরিমাণ হচ্ছে ৯০০ ইউনিট। সরণযোগ্য, ২০১৮ সাল থেকে আমদানি করা তরল গ্যাসের ওপর বিদ্যুৎ উৎপাদন নির্ভরশীল রয়েছে। সে সময়ে প্রতিটি ইউনিট গ্যাসের দাম ছিল চার ডলার। এখন বেড়ে হয়েছে ৪১ ডলার। সরকার বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ দাম বেড়েছে। আর এ দামে যদি গ্যাস আমদানি করা হয়, তাহলে অচিরেই সামগ্রিক অর্থনীতিতে ধস নামবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দেশ এখন এক হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি নিয়ে চলছে। সাম্প্রতিক হিসাব মোতাবেক, ১২ হাজার ৯৪৮ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে উৎপাদিত হচ্ছে ১১ হাজার ৫৪৮ মেগাওয়াট। ১৫২টি গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ২৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ আয়াজ হোসেন বলেন, সরকার বর্তমান অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারত যদি ২০১৬ সালে উপাদিত গ্যাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করত। ২০১৮ সাল থেকে গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি চলে আসছে। অথচ সরকার এর মধ্যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ তীব্র বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে ব্যবসায়-বাণিজ্য বিশেষত শিল্প-কারখানায় উৎপাদনের ক্ষেত্রে উদ্বিগ্নতার সৃষ্টি হয়েছে।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল মতলুব আহমেদ তীব্র বিদ্যুৎ ঘাটতি প্রসঙ্গে বলেন, এর ফলে উৎপাদন ব্যাহত হবে ও উৎপাদিত পণ্যের মূল্য অনেক বেড়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। এফসিবিসিআই ইতোমধ্যে দোকানপাট ও ব্যবসায়-বাণিজ্য রাত ৮টা পর্যন্ত বহাল রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে।
এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন কলকারখানায় উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার স্বার্থে পাওয়ার রেশনিংয়ের দাবি জানিয়েছেন। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জ্বালানি উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নাজুক অবস্থায় রয়েছে। সরকার বিশেষ মহলকে সুবিধা দিতে গ্যাস আমদানির সিদ্ধান্তের কারণে এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অসম্ভব ব্যয়বহুল তেলচালিত ও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সময়সীমা বাড়ানোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, কৃত্রিমভাবে এর মাধ্যমে দুই লাখ পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এ ধরনের অব্যবহৃত বিদ্যুতায়নে সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে। সরকারবান্ধব ৩৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এসব সুবিধা ভাগ করে নিয়েছে। এর বাইরে আরো ১২টি কোম্পানি আট হাজার ৭৩০ কোটি টাকা নানা কারণ দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে। এ অর্থবছরে এ ধরনের ব্যয় বৃদ্ধি দ্বিগুণ হবে বলে ওই উপদেষ্টা আশঙ্কা করেন।
অথচ এ অবস্থার বিপরীতে ছিল সরকারের নেতা-নেত্রীদের বক্তৃতা-বিবৃতি। তারা বেশ ঘটা করে গত মার্চ মাসে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বহির্বিশ্বে উন্নয়নের ফোয়ারা দেখানোর জন্য তারা যে ভোজবাজি করেছেন- গোটা জাতিকে অন্ধকারে থেকে তার মূল্য দিতে হচ্ছে।
ঢাকা শহরে লোডশেডিং চলছে। দেশের অন্যত্র সাত-আট বার বিদ্যুৎ চলে যায়। সেখানে কত ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে সেটিই প্রশ্ন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও অপখরচের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের আমলে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো গত ১০ বছরে শ্বেতহস্তীতে পরিণত হয়েছে। এ জন্য সরকারকে হাজার হাজার কোটি টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে। এ সরকারের আমলে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র যেন অর্থ লোপাটের এক সহজ উপায়ে পরিণত হয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এ খাতে যন্ত্রপাতি আমদানির নামে অর্থপাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। সরকারের অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত অর্থনৈতিক নীতির কারণে এমনটি হয়েছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার সাথে এর সম্পৃক্ততা রয়েছে।
শুধু লোডশেডিং নয়, উৎপাদন ও যাপিত জীবনের প্রতি খাতে এর প্রভাব পড়বে। এমনিতেই অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্যের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে আছে। বিভিন্ন দেশ করোনাকালীন যে নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির পরিচয় দিয়েছে, আমাদের ক্ষেত্রে বরং উল্টোটি ঘটেছে। ধার করে ঘি খেতে গিয়ে এখন বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, মে মাসে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪২ বিলিয়ন ডলার।
কিন্তু প্রকৃত মজুদের পরিমাণ হচ্ছে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মতো। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ থেকে সাত বিলিয়ন ডলার পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের অধীনে রফতানিকারকদের ঋণ দিয়েছে। বাস্তবে এত টাকা সরকারের হাতে নেই। এ রিজার্ভ থেকে বিদেশে পাচার হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশে রিজার্ভের বড় উৎস প্রবাসী আয়। কোরবানি ঈদের আগে প্রবাসী আয় কিছুটা বাড়লেও এখন তা ঘাটতির দিকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ১৩ শতাংশ প্রবাসী আয় কমেছে মে মাসে। এ সময়ে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার প্রবাসীদের আয় হিসেবে দেশে এসেছে। এপ্রিলে এসেছিল ২০১ কোটি ২০ লাখ ডলার। ২০২১ সালের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২১৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ সব তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের। প্রণোদনার শর্ত শিথিল করেও আয় বাড়াতে পারছে না সরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমে যাওয়া ও প্রবাসী আয়ে টান পড়ায় দেশে ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই সরকার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কথা বলে সঙ্কট সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে। সরকার এখন ভয়ানক অর্থসঙ্কটে রয়েছে। যদি সরকার জ্বালানি উচ্চ মূল্য দিয়ে গ্যাস আমদানি করে, তাহলে রিজার্ভের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাবে। আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সেটি আরেকটি উল্লম্ফনের কারণ হবে। সরকার ইউক্রেন যুদ্ধকে একটি কারণ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ সঙ্কটের শুরু ১০ বছর আগে। যখন এরা সাধ্যাতীত অনেক উচ্চভিলাসী প্রকল্প গ্রহণ করে। বিদ্যুৎ খাত হচ্ছে এই উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনার উদাহরণ। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘটাতে হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রকল্পটি আরো সময় নিয়ে সংযমের সাথে বাস্তবায়ন করলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না। ওদিকে খাতাপত্রে সঞ্চালন ও বিতরণ সক্ষমতার বেশি উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে আমরা বসে আছি।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৩৪৮ মেগাওয়াট। ক্যাপটিভ পাওয়ার বিবেচনায় নিলে উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৫০.৭৫ শতাংশ বা ১১ হাজার ৩৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্যাসচালিত কেন্দ্রে উৎপাদিত হয়। ৭ শতাংশ বিদ্যুৎ আসে কয়লানির্ভর কেন্দ্র থেকে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত হয় ২২৯ মেগাওয়াট। আর এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। জ্বালানি তেলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আসে ৩৬.২ শতাংশ বা সাত হাজার ৮২২ মেগাওয়াট। ৮৬.৭ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনই গ্যাস ও জ্বালানি তেলনির্ভর। সরকার পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করতে না পারায় ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২৭টি। এখন সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১৫২টি। জ্বালানির অভাবে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট কমে গেছে। অতিমাত্রায় গ্যাসনির্ভর বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ স্থাপনের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পেট্রোবাংলার হিসাব অনুসারে, দেশে প্রতিদিন গ্যাসের ৩৭০ কোটি ঘনফুটের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা হতো। দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে আসে ২২০-২৩০ ঘনফুট। ৭০-৮০ ঘনফুট আমদানি করা হয় এনএলজি হিসেবে। কিন্তু বর্তমানে ২৭০-২৮০ ঘনফুটের বেশি সরকার দিতে পারছে না। এই গ্যাস আবার শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হয়। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ড. মারুফ মল্লিক এসব তথ্য দিয়ে বলেন, বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে। তিনি মনে করেন, উচ্চমূল্যের জ্বালানি আমদানি করার মতো অবস্থায় সরকার নেই। তাই জ্বালানি আমদানিতে ভাটা পড়েছে। সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি দিতে পারছে না।
অথচ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে ৭০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। অপখরচ, পাচার ও অপরিকল্পিত উচ্চাভিলাসী উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রভাব কিছুটা বিদ্যুৎ খাতের ওপর পড়েছে। সবারই প্রশ্ন- সরকার তথাকথিত উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গিয়ে যে দুর্নীতি, অপচয় ও অপব্যয় করেছে, তা এখন সাধারণ নাগরিকের জন্য অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গোটা দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। উত্তর কি দক্ষিণে কোনো জেলায়ই সুখকর অবস্থা নেই। ইতোমধ্যে সরকারপ্রধানের মন্তব্যে সরকারের অসহায়ত্ব প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণগুলোর দাম অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক দেশে এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। সরকার আর ভর্তুকি দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। সরকার বিদেশে লোডশেডিংয়ের উদাহরণ দিয়ে জনসাধারণকে সান্ত্বনা দিতে চাচ্ছে।
সরকার আশা প্রকাশ করছে, এ বছরের মধ্যে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ভারত থেকে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট আমদানি করা বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। তার মানে খুব শিগগিরই বিদ্যুৎ সঙ্কটের সুরাহা হচ্ছে না। এর মধ্যে আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা শোনা যাচ্ছে।
সরকারের অপরিপক্বতা, অপপরিকল্পনা ও অপরিণামদর্শিতার ফল কেন জনগণকে বহন করতে হবে? ধার করে যারা ঘি খেয়েছেন এবং নিজেদের মধ্যে তা বিতরণ করেছেন, তাদেরই তো দায় বহনের কথা। মানুষের সহ্যশক্তি বা স্বাভাবিক ক্ষমতার বেশি হলে একটি অস্বাভাবিক অবস্থা সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব নয়।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা