২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

অস্ত্রটি মুসলমানদের রক্ষায় প্রয়োগ করুন

-

২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে বিজেপি ভারতে সুপরিকল্পিতভাবে প্রধানত সংখ্যালঘু মুসলমানদের পদ্ধতিগতভাবে ভারত থেকে উচ্ছেদ করার অভিযান চালাচ্ছে। একই কর্মসূচি আরো আগে থেকে ভারতে বিচ্ছিন্নভাবে চলেছে। কোথাও প্রশাসনের একটি অংশ কোথাও বা বিজেপির উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী তা বাস্তবায়ন করছিল। নতুন করে এটি গো-রক্ষার নামে, হিন্দু দেবতাদের মূর্তি বা ঐতিহ্য রক্ষার নামে চালু করেছে বিজেপি। এর মাধ্যমে মুসলমানদের ক্ষমতাহীন, অধিকারহীন করে শেষ পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন চলছে। দীর্ঘসময় ধরে প্রকাশ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধ চললেও মুসলমান ভাইয়েরা সারা বিশ্ব থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো তো দূরের কথা, বরং ভারতে বিজেপি সরকারকে তারা হৃষ্টপুষ্ট করে চলেছে। হজরত মোহাম্মদ সা:-এর অবমাননার পর ব্যতিক্রম ঘটল। কাতারের নেতৃত্বে প্রথমে মধ্যপ্রাচ্য, পরে প্রায় সমগ্র বিশ্বের মুসলমানরা কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। এই সাময়িক প্রতিক্রিয়া চতুর নরেন্দ্র মোদির নতুন কোনো ফন্দির আড়ালে একসময় হারিয়ে যাবে। চলমান মুসলমান উচ্ছেদ অভিযানও আবার তারা আগের মতো চালিয়ে যেতে পারবে।

বিজেপির আমলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব অপরাধে বাধা দেয়ার সক্ষমতা ছিল মুসলিম দেশগুলোর। অথচ ওইসব সাম্প্রদায়িক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে মোদি সরকার কোনো ধরনের বাধার মুখে পড়েনি। ওইসব ঘটনায়, সময় মতো প্রতিবাদ করলে আজ কটূক্তি বা অবমাননার পুনরাবৃত্তি হতো না। সংশ্লিষ্ট প্রবাদটি হচ্ছে- সময়ের একফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়। মুসলমানদের এখনকার কড়া অবস্থানকে ভারত হয়তো কিছুটা সমীহ করবে। তবে ২০১৪ সাল থেকে ক্রমাগত ক্ষতির শিকার হতে হতে মুসলমানরা ইতোমধ্যে দেশটিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তাদের নাগরিক অধিকার সেখানে ব্যাপকভাবে খর্ব করে সঙ্কুচিত করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ১৬ জুলাই ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই বছরের প্রথম ছয় মাসে গো-রক্ষকদের হাতে ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গরু জবাই, গোশত সংরক্ষণ ও ব্যবসার অভিযোগ এনে গো-রক্ষকরা প্রকাশ্যে পিটিয়ে যেখানে-সেখানে মানুষ হত্যা করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার সরকার এ ব্যাপারে নীরব। বিজেপির নেতারা এর সমর্থনে প্রকাশ্যে উগ্র বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এর মধ্যেই আবার ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে গরু রক্ষায় সরকার প্রায়ই নানা রকম আদেশ-নিষেধ জারি করে চলেছেন। ২০১৭ সালের আগে পর্যন্ত ভারত বছরে প্রায় দুই মিলিয়ন টন গরুর গোশত রফতানি করে বিশ্ববাজারে প্রথম স্থানে ছিল, এখনো দেশটি দ্বিতীয় প্রধান গরুর গোশত রফতানিকারক। জনসংখ্যার বড় একটি অংশের জীবিকা গরু পালন ও এর ব্যবসায় নির্ভর। হিন্দু-মুসলমান সবাই এতে জড়িত হলেও গো-রক্ষকদের সন্ত্রাসে সারা ভারতের মুসলমানরা ভয় ও শঙ্কার মধ্যে দিন কাটায়। এজন্য শুধু মুসলমানদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়। উত্তর প্রদেশের ‘লাভ জিহাদ’ একই ধরনের একটি অশোভন উগ্র উদ্যোগ। এর মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের নারীদের ধর্মান্তরকরণ ঠেকানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সংসদে তিনি আইনও পাস করেছেন। আর রয়েছে ‘জয় শ্রীরাম’ প্রকল্প, যাকে তাকে বলানো হচ্ছে। কথা না শুনলে গণপিটুনি নাটক।

বাবরি মসজিদ রামের জন্মস্থান- এই ধুয়া তুলে বিজেপি ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। এ নিয়ে দাঙ্গা বাধিয়ে নির্বিচারে মুসলমান হত্যা করার পরও তাদের নেতাদের কিছুই হয়নি। পরে আদালতও রায় দিয়ে তাদের কর্মকাণ্ড সমর্থন করেছে। উপাসনালয় উচ্ছেদ করার কর্মসূচি এখন সারা ভারতে জোরকদমে এগিয়ে চলেছে। সাথে যুক্ত হয়েছে তাজমহলসহ ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও জনপদের নাম পরিবর্তন ও মুসলমান উচ্ছেদের কর্মসূচি। দারুণ এক কৌশল আবিষ্কার করেছেন বিজেপির উগ্র শাখার নেতারা। তারা প্রথমে হিন্দু সম্প্রদায়ের দেব-দেবীর সংশ্লিষ্টতার একটা গল্প জোগাড় করে। সেটি সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেন। তারপর আদালতে মামলা ঠুকে দিচ্ছেন। যেসব বিচারক আপাদমস্তক সাম্প্রদায়িক কিংবা বিজেপির আশীর্বাদ পেতে চান তারা চাহিদা মতো রায় বা আদেশ ও পর্যবেক্ষণ দিয়ে দিচ্ছেন এসব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, স্থান ও মসজিদ পরে যাতে একসময় উচ্ছেদ করা যায়। রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে চলা অতিমাত্রার সাম্প্রদায়িক ঘটনা মোদির দুই আমলে বিরামহীন চলছে। কোনো মুসলিম দেশ কিংবা দেশগুলোর কোনো জোট বা সংগঠন এগুলো নিয়ে কার্যকর প্রতিবাদ জানায়নি। ফলে বিজেপির উগ্র সংগঠনগুলোর উৎসাহ দিন দিন বেড়েছে।

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বিজেপি সরকারের আরেকটি সাম্প্রদায়িক উদ্যোগ। প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেবে এর মাধ্যমে। শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের নাগরিকত্ব দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে এ আইনে। এর সাথে সাথে তারা আরেকটি আইন ‘জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকে’ সচল করে। এ আইন দিয়ে তারা ভারতের ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়। এতে করে স্পষ্ট হয়ে যায়, বিজেপি সরকার মূলত মুসলমানদের টার্গেট করেছে। তাদের উচ্ছেদ করার বৃহত্তর কর্মসূচি নিয়ে তারা অগ্রসর হচ্ছে। আসামে এটি বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া বহুদূর এগিয়ে যায়। আইন বাস্তবায়ন করার আগে মুসলমান ও বাংলাদেশকে নিয়ে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করে উইপোকার সাথে তুলনা করে। নজিরবিহীন এক পরিস্থিতি তৈরি করে তারা এ অঞ্চলের মুসলমানদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে দেয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় দিল্লিতে তখন ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকে বিজেপি সুকৌশলে দাঙ্গায় পরিণত করে। মুসলমানদের হত্যা করার প্রকাশ্যে উসকানি দেয় সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও এমপিরাও। প্রথমে বিক্ষোভে সশস্ত্র হামলা করে মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়। তারপর সেটা গড়ায় মুসলমানদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগে। ওই সময় এক বিচারপতি দাঙ্গা বন্ধে দিল্লি পুলিশকে আদেশ দেন। বিজেপি সরকার সাথে সাথে তাকে শাস্তিমূলক বদলি করে দেয়। অন্যদিকে মুসলমানদের ওপর আক্রমণ, অগ্নিসংযোগে পুলিশও উগ্র ধর্মীয় লোকদের সাথে যোগ দেয়। এ ঘটনায় ৪৯ জনকে হত্যা ও ২০০ জন আহত হওয়ার খবর মিডিয়া প্রচার করলেও প্রকৃত হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি ছিল অনেক বেশি। বিজেপির অভিযুক্ত নেতাদের কারো বিচার হয়নি, তাদের ওপর একটি আঁচড়ও পড়েনি।

শেষ নবীর অবমাননায় মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষুদ্র দেশ কাতার সবচেয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তালকে তারা পররাষ্ট্র দফতরে তলব করে। নূপুর শর্মা ও নবীন কুমারের সাম্প্রদায়িক মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এ জন্য তারা ভারত সরকারের প্রকাশ্যে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া ও নিন্দা প্রকাশের আশা করে। আরেকটু আগ বাড়িয়ে তারা দূতের কাছে জানতে চান, কেন অপরাধীদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। এ জন্য মানবাধিকার সুরক্ষার বিপদ তৈরির কথাও উল্লেখ করেন। দেশটি আরো এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যা ভারতের জন্য সত্যিই লজ্জার ও সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তাকে অবধারিত করেছে। ওই সময় কাতারে সফররত ভারতে উপরাষ্ট্রপতির পূর্বনির্ধারিত আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজ বাতিল করা হয়। আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতীয়দের কাছে কোনো টিকিট বিক্রি না করার হুমকি দিয়েছে কাতার। উপসাগরীয় চারটিসহ মোট ৯টি মুসলিম দেশ ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে একই ধরনের শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে, ভারতীয় নাগরিকদের ছাঁটাই করছে তারা। ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এই প্রথম মোদি সরকারের সময়ে এ ঘটনার জন্য নিন্দা জানাল। তারা এখানে থামেনি, ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জাতিসঙ্ঘকে আহ্বান জানিয়েছে। পাকিস্তান ওআইসির সাথে মিলে ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে জাতিসঙ্ঘে শক্ত অভিযোগ উত্থাপন করার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। মুসলমান দেশ ও দেশগুলোর বৈশ্বিক সংস্থা ওআইসি শেষ নবীকে অবমাননা করার জন্য এমন কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভারত সরকার যা কল্পনাও করতে পারেনি। ফলে দেশটি কিছু পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন মনে করেছে। তারা কটূক্তিকারী প্রধান দুই হোতার দল থেকে সদস্যপদ খারিজ করেছে, এতটুকুই। মনে হচ্ছে, এতে সারা বিশ্বের মুসলমানদের ক্ষোভ প্রশমিত হবে না। বিজেপি সরকারকে আরো কঠোর কিছু করে দেখাতে হবে। না হলে এ দেশগুলোর হাতে থাকা টুলগুলো এবার ব্যবহার করা হবে।

মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলোর কাছে আছে দুটো অস্ত্র। এসব দেশে কর্মরত ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো এবং ভারতের বিপুল বাণিজ্যের ওপর হাত দিতে পারার ক্ষমতা। উপসাগরীয় অঞ্চলে ৮৯ লাখ ভারতীয় প্রবাসী রয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে, দেশগুলো থেকে ২০২০ সালে প্রবাসী আয় হয়েছে ৮৩ বিলিয়ন ডলার। ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, চলতি অর্থবছরে ১৫৪ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হয়েছে উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে। যুক্তরাষ্ট্র্র ও চীনের পরই এ অঞ্চলে ভারত সবচেয়ে বড় বাণিজ্য ভাগীদার। উপসাগরীয় দেশগুলো ভারতের বিরুদ্ধে এ দুটো অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে। এতে কাজ হবে বলেও অনেক বিশেষজ্ঞ মত ব্যক্ত করেছেন।

প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রয়োগের সময় মাত্রাজ্ঞানের ব্যবহার করতে হয়। মাত্রাগত হেরফেরের ফলে অভীষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনের বদলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সবচেয়ে দুর্বল ঘাঁটি ধ্বংস করার জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্রটি প্রয়োগ করে ফেলতে নেই। ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের বেড়ে যাওয়া দুর্গতির বিষয়টি মুসলমান দেশগুলো এতদিন এড়িয়ে গেছে। ঘরবাড়ি ও ধর্মীয় উপাসনালয় উচ্ছেদ, পিটিয়ে হত্যা করা, ঘৃণা ছড়িয়ে দিয়ে নাগরিকের সমান মর্যাদা কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে মুসলমানদের সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকারও তারা হারিয়েছেন। যারাই প্রতিবাদ করতে গিয়েছে, প্রাণ হারিয়েছেন। আসামে কিছু দিন আগে বাড়িঘর উচ্ছেদের প্রতিবাদ করায় পুলিশ দু’জনকে সরাসরি বুকে গুলি করে হত্যা করে। মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর মুসলমানদের ওপর বুটের জোড়া আঘাত করা হয়েছে। লাশের ওপর নৃত্য করা হয়েছে। পুলিশ ও বিজেপির কর্মীরা গলাগলি করে এসব করছে। বিশ্বের মুসলমানরা তাদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলোর প্রয়োগ তো দূরের কথা, এ সময় সামান্য প্রতিবাদও করেনি।

শেষ নবীর প্রতি পুরো মুসলিম দুনিয়ার আবেগ জড়িত। কটূক্তি প্রতিকার পেতে রাস্তায় নেমেছে তারা। বিজেপি সরকার হয়তো তাদের বিরুদ্ধে একটি আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। এরপর সবচেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখানো কাতারসহ অন্য কিছু মুসলিম দেশকে বোঝাতে পারে যে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এতে চারদিকে আবার সুনসান নীরবতা নেমে আসতে পারে। কিন্তু মুসলমানদের অধিকারহীন ও দুর্বল করে দিয়ে উচ্ছেদ করার যে ধারবাহিক প্রক্রিয়া চলছে, সেটা ভারত চালিয়ে যাবে, ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে যা ঘটে চলেছে।

ঠাণ্ডা মাথায় বিজেপির নেয়া মুসলমানবিরোধী নীতি বন্ধ করতে হলে বৈশ্বিক মুসলমানদেরও ঠাণ্ডা মাথায় এগোতে হবে, যাতে তারা গণপিটুনি দিয়ে কাউকে হত্যা করার সাহস না পায়। অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নামলে তাদের গুলি করে হত্যা না করে। বুলডোজার দিয়ে কারো বাড়িঘর উচ্ছেদ করা থেকে বিরত থাকে। ওআইসির নেতৃত্বে জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে তারা ভারতের সাথে এসব ব্যাপারে একটি টোটাল দেনদরবারে আসতে পারে। কাশ্মিরের মুসলমান নির্যাতনসহ সারা ভারতের নাগরিক অধিকারকে তারা একটি প্যাকেজের আওতায় আনতে পারে। অন্যথায় ধূর্ত বিজেপি নেতৃত্ব মলম লাগিয়ে পরিস্থিতি উৎরে যাবে। তাই সবচেয়ে বড় অস্ত্রটি প্রয়োগ করতে হবে দেশটির সব মুসলমানের শতভাগ নাগরিক অধিকার আদায়ের জন্য।

jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement