ডলারের আধিপত্য বনাম ইউরো-ইউয়ান
- মুসা আল হাফিজ
- ১৩ জুন ২০২২, ২০:০৭
মার্কিন ডলারের বৈশ্বিক আধিপত্য এবং অনাগত দিনে এর ভ‚মিকা নিয়ে ঔৎসুক্য বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে বিষয়টি আলোচিত। এ প্রসঙ্গে আলোচনা তুলেছে বিবিসি বাংলাও। ১৯ এপ্রিল ২০২২ মার্কিন ডলার কিভাবে বিশ্ব-অর্থনীতিতে আধিপত্য করছে, এর ভবিষ্যৎ কী শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি। থাইল্যান্ডে বেড়াতে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে প্রতিবেদনের শুরু। অনলাইনে হোটেল বুকিং করতে চাইলে আপনাকে ডলারে পেমেন্ট করতে হবে। চাইলে ডলারের বাইরে অন্য মুদ্রায়ও পেমেন্ট করা যাবে; কিন্তু ডলারে মূল্য পরিশোধ সহজ এবং সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য।
ব্যক্তিপ্রশ্নে যেমন ডলার হাজির হয় নিয়মিতই, তেমনি রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে। এক দেশ কোনো কিছু আমদানি করবে অন্য দেশ থেকে, মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে প্রধানত ডলারের মাধ্যমে। কিছু রফতানি করবে দেশটি, মূল্য বুঝে নিতে হয় ডলারের মাধ্যমে। এভাবে পৃথিবীতে যত লেনদেন হয় তার ৮০ ভাগেরও বেশি হয় আমেরিকান ডলারের মাধ্যমে। বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে আমেরিকান ডলারের মাধ্যমে। অতএব বিবিসি প্রশ্ন করছে, এটা কি হতেই হবে? এর কি কোনো বিকল্প নেই? আমেরিকান ডলারের বিপরীতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান কিংবা রাশিয়ার মুদ্রা রুবল কি বিকল্প হতে পারবে?
আন্তর্জাতিক লেনদেন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণে মার্কিন ডলারের এই আধিপত্য চলে আসছে বহু দশক ধরে। ডলারের জয়যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি? মিসরের সুয়েজ খালের পাশে গ্রেট বিটার হ্রদে নোঙর করা ইউএসএস কুইন্সি নামের জাহাজে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট এবং সৌদি বাদশাহ ইবনে সৌদ উপস্থিত ছিলেন? সৌদি তেলে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকার এবং ডলারের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে দেশটিকে সামরিক সহায়তা দেয়ার অঙ্গীকার করেন রুজভেল্ট? শুরু হয় পেট্রোডলারের যুগ।
এর মধ্যে অনেকবারই সৌদি-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা ছড়িয়েছে; কিন্তু এই চুক্তির বরখেলাপ করেনি কোনো পক্ষই? পরবর্তী দশকগুলোতে তেলের চাহিদা যতই বেড়েছে, মার্কিন ডলারের চাহিদাও বেড়েছে তরতর করে? বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যম হয়ে ওঠে মার্কিন ডলার? সৌদি আরবের সহায়তায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একক মুদ্রা হিসেবে ডলারকে প্রতিষ্ঠিত করে বিশ্বময় অর্থনীতির পাশাপাশি ভূ-রাজনীতিতেও ছড়ি ঘুরিয়ে চলছে যুক্তরাষ্ট্র। চালাচ্ছে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। এই যে ২০ বছর যুদ্ধ শেষে তালেবানের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে আফগানিস্তান ত্যাগ করল আমেরিকা, তারপর কী করল? আফগানিস্তানের ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ রিজার্ভ আটকে রাখল। আফগানিস্তান বলছে, এটি তাদের সম্পদ আত্মসাৎ।
এই যে রাশিয়ার ৩০০ বিলিয়ন ডলার পরিমাণের রিজার্ভ আটকে দিলো আমেরিকা! আন্তর্জাতিক মুদ্রা লেনদেনের প্লাটফর্ম ‘সুইফট’ থেকে তাকে নিষিদ্ধ করল, ফলে দেশটি অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল আমদানি-রফতানির প্রক্রিয়া থেকে, এগুলো আমেরিকার মনোপলির ফসল।
এ মনোপলি অন্যান্য দেশ ও জাতির অর্থনীতিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে উন্মোচিত অবস্থায় রেখে দিয়েছে, যা থেকে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক সুবিধাও নিচ্ছে। এটি রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থকে ডলারের একচ্ছত্রতার শিকারে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। এ কারণে বহু দিন ধরে ইউরোপ, রাশিয়া, চীন, ইরানসহ কয়েকটি দেশ একটি বিকল্প মুদ্রা দাঁড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
এর মধ্যে ডলারের অবস্থান দুর্বল হয়েছে বটে! মোট বৈশ্বিক উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রের হিস্যা বিগত দুই দশকে কমেছে বটে, ২০২১ সালের শেষ তিন মাসে বৈশ্বিক মুদ্রার রিজার্ভে মার্কিন ডলারের শেয়ার কমে ৫৯ শতাংশে নেমে আসে। তবুও ডলারের প্রভাব-কর্তৃত্ব রয়েই গেছে। তবে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আরো কিছু মুদ্রা নিজেদের উপস্থিতি জোরালো করতে সচেষ্ট। বৈশ্বিক বাণিজ্যে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও লেনদেনে মুদ্রাগুলো নিজেদের ভ‚মিকা বিস্তৃত করছে। এর মধ্যে আছে ইউরোপের মুদ্রা ইউরো, জাপানের ইয়েন ও ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং। চীনের ইউয়ান এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আসছে। আর আছে রাশিয়ার রুবল। এর পাশাপাশি আরেকটি বিকল্প হলো স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস বা এসডিআর। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এক ঝুড়ি মুদ্রা বোঝাতে এই এসডিআর ইউনিট ব্যবহার করে থাকে।
উদীয়মান বাজারগুলোর জিডিপি কম-বেশি বিশ্বের পুরো জিডিপির অর্ধেক; কিন্তু আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব মুদ্রা কোনো কাজে লাগে না। এই দেশগুলো চায় এ বৈষম্য দূর করতে। তাদের অনেকেই বিকল্প নানা মুদ্রার দিকে হাত বাড়াচ্ছে। এসব মুদ্রা নানাভাবে উঠে আসছে আন্তর্জাতিক ঋণে, ব্যাংকবহির্ভূত ঋণে, বন্ড ইস্যুতে, আন্তর্জাতিক ধার ও ঋণদানে। ফলে কমছে ডলারের ব্যবহার।
সম্প্রতি বৈশ্বিক মুদ্রাব্যবস্থাকে কাঁপিয়ে দেয় সৌদি আরবের এক ঘোষণা, যখন দেশটি বলে চীনের কাছে সে তেল বিক্রি করবে ইউয়ানে। এ ঘোষণা পেট্রোডলারের যুগের অবসানের ভয় ধরিয়ে দেয় আমেরিকায়। অন্যদিকে ২০১৮ সালে আমেরিকার আদেশ অমান্য করে রাশিয়া থেকে ভারত বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরঞ্জাম, এমনকি সার কিনছে রুবলে। ইসরাইলের মতো মার্কিন মিত্রদেশ নিজস্ব মুদ্রার বাইরে শুধু ডলারে আটকে নেই।
তাই বলে এসব মুদ্রার মধ্যে ডলারের সত্যিকার প্রতিদ্ব›দ্বী দেখা যাচ্ছে, এমন ভাবার সুযোগ নেই। সবচেয়ে সম্ভাবনাময় মুদ্রা হলো ইউরো ও ইউয়ান; কিন্তু উভয় মুদ্রার অগ্রগতিতে আছে সমস্যা। বৈশ্বিক লেনদেনের মাত্র ৩ দশমিক ২ শতাংশে এখন ইউয়ান ব্যবহৃত হচ্ছে। মার্কিন ডলার আর ইউরো ব্যবহার হচ্ছে যথাক্রমে ৪০ শতাংশ আর ৩৬ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চীন ইউয়ানকে দেশের বাইরে ছড়াতে দেয়নি। কোনো দেশের একটা ব্যাংকে ঢুকে চাইলেই ইউয়ান অ্যাকাউন্ট খোলা যায় না। ডলারের এই সুবিধাটা আছে। এ ছাড়া ডলারের আরো বেশ কিছু সুবিধা আছে, যা অন্য কোনো মুদ্রায় নেই।
অর্থনীতিবিদ ব্যারি আইখেনগ্রিনের ভাষায়, ইউরোর ওপর রাষ্ট্রের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, অন্য দিকে ইউয়ানের ওপর রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ অনেক বেশি? এর মানে পরিষ্কার। জটিল অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুহূর্তে ইউরোকে সমর্থন দেবে কে? তার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে কোন সরকার? ইউরোর পেছনে একক কোনো সরকার নেই। তার পেছনে নেই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ। অপর দিকে চীনের ইউয়ান সরকারের ইচ্ছাধীন। সরকার যেভাবে ইচ্ছা, তাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। বাজারের গতিপ্রকৃতির ভ‚মিকা এখানে গৌণ। এ ছাড়া চীনা মুদ্রার নাগাল পাওয়াটাও সহজ নয়। ফলে আস্থার সঙ্কট থাকছে উভয় মুদ্রায়। যদিও চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ। ঋণ ও অন্যান্য সুবিধার মাধ্যমে বেইজিং এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ভালোই প্রভাব বিস্তার করেছে। কিন্তু চীনের আইনি ব্যবস্থা ও আদালতের ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা খুবই কম। আর এখানে ডলারের আশঙ্কার জায়গাটা ছোট হয়ে আসছে।
ইউরো নিজেকে ডলারের বিকল্পে দাঁড় করাতে না পারার পেছনে যুক্তরাজ্যের দায় কম নয়। ইইউর সব দেশ ইউরো ব্যবহারে একমত হলেও পাউন্ড ছাড়তে রাজি হয়নি লন্ডন। ব্রিটেন এখানে বাগড়া না দিলে ডলারের বিকল্প হওয়ার পথে ইউরো এগিয়ে যেত বহুদূর। এরপর ইউরোকে বিকল্প হিসেবে দাঁড় করানোর সব চেষ্টাই কোনো-না-কোনোভাবে নষ্ট করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
ইউরো তৈরি হওয়ার পরে ইরাক ডলারের পরিবর্তে ইউরোতে তেল বিক্রি করার ঘোষণা দেয়। গাদ্দাফির লিবিয়াও সে পথে হাঁটছিল। ফলে আমেরিকার ক্রোধের কবলে পড়তে হয় উভয়কে। আগ্রাসনে দেশ দু’টি হয় বিরান আর দুই নেতাকে করা হয় হত্যা। এ পরিস্থিতি দেখে অনেক দেশ আর সাহস করেনি ইউরো কিংবা অন্য কোনো মুদ্রা গ্রহণ করতে।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন কলেজের সহযোগী ডিন অর্থনীতিবিদ আলেকজান্ডার টমিকের মতে, সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা সেসব দেশকে অ্যালার্ম দিয়েছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমাতে চায়। দেশগুলোর সরকার বুঝতে পেরেছে একাকী ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে গেলে তারা হতে পারে পরবর্তী লক্ষ্য। ফলে শক্তিশালী বন্ধু দরকার। পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত ইরানকে টিকিয়ে রেখেছে প্রধানত রাশিয়া-চীন। এর মাধ্যমে তারা সারা পৃথিবীকে বোঝাতে চেয়েছে যে, শক্তিশালী বন্ধু হতে পারে তারা এবং চীন ও রাশিয়া কখনো দুঃসময়ে বন্ধুত্বের হাত ছাড়ে না।
ইউক্রেন যুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার শিকার রাশিয়ার অভিজ্ঞতা পাঠ করতে বিলম্ব করেনি চীন। সে বুঝতে পেরেছে, এমন একটি নিষেধাজ্ঞা তার জন্যেও অপেক্ষা করছে। ফলে রাশিয়ার মতো ভুগতে না চাইলে বিকল্প বৈশ্বিক মুদ্রাব্যবস্থা লাগবেই। বর্তমানে চীনের কাছে থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নেয়া দেশের তালিকায় প্রথমে আছে যুক্তরাষ্ট্র, যার পরিমাণ ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার।
রাশিয়া নিজের অর্থনীতির সুরক্ষায় কাজ করে আসছে নানা মাত্রায়। গত আট বছরে রাশিয়া তার মজুদ স্বর্ণ বাড়িয়েছে তিনগুণ, যার পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার টন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রুবল অচল করার ক্ষমতা থাকলেও স্বর্ণ অচল করা তার জন্য অসম্ভব। ইতোমধ্যে পুতিন ঘোষণা দিয়েছেন, যারা তার পক্ষে, তারা চাইলে যেকোনো কারেন্সির মাধ্যমে রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য করতে পারবে। বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন যারা, তাদের জন্যও রয়েছে লেনদেনের ব্যবস্থা। আর তা কেবল রুবলের মাধ্যমে।
রাশিয়ার এই পরিকল্পনা কাজ দেয় দ্রুত। ইউক্রেন আক্রমণের সময় রুবলের হয়েছিল হালকা দরপতন। সেটি কাটিয়ে ওঠে রাশিয়া। এ যুদ্ধের ওপর ভর করে রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করার আমেরিকার পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়। সাথে সাথে ইউরোপের যে দেশগুলো তেল-গ্যাস ও খাবার রাশিয়া থেকে আমদানি করে, তাদেরকেও সতর্কবার্তা শুনিয়ে দেন পুতিন। তারাও বেশিদূর এগোচ্ছে না। বিশেষত জার্মানি ও ফ্রান্স। সুতরাং চীন রাশিয়া যে তাদের পরিকল্পনায় সফল তা স্পষ্ট। ইউয়ান নিয়ে একটি সম্ভাব্য চুক্তির যে আবহাওয়া বইছে, তা বানান করে বলে দিচ্ছে, ডলারের পাল্টা কিছু খুঁজছে বিশ্ব।
এই যে ঐক্যের সম্ভাবনা, রুশ বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের মতে, সেটি হচ্ছে ইউরেশিয়া ইউনিয়ন। রাশিয়া, চীন তো আছেই, সাথে তুরস্কও থাকবে, এমন জল্পনা ব্যাপক। ইউরেশিয়া ইউনিয়নের মূল লক্ষ্য হবে ডলারের পতন ঘটিয়ে পৃথিবী থেকে আমেরিকার ভয়কে অতীত করে দেয়া।
এমতাবস্থায় টমিক মনে করেন, ইউয়ানকে রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চীনকে দু’টি কাজ করতেই হবে। প্রথমত, ডলারের প্রতি দুনিয়াজুড়ে যে আস্থা তা নষ্ট করতে হবে। এটি তখনই সম্ভব, যখন ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হবে। কিংবা যখন এ বিষয়ক পূর্বাভাসগুলো ভুল প্রমাণিত হবে।
চীনকে দ্বিতীয় যে কাজটি করতে হবে, তা হলো ইউয়ানের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা প্রমাণ করা। না হয় অন্যান্য দেশের আস্থা অর্জন অসম্ভব। কিন্তু এ স্থিতিশীলতার পথে চীনের সমস্যা চীন নিজেই। সে মাঝে মধ্যেই রফতানি বাড়াতে ইউয়ানের অবমূল্যায়ন করে। অন্য দেশগুলো কখনোই এমন অস্থিতিশীল মুদ্রা রিজার্ভ হিসেবে রাখবে না। চীন যদি এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল না হতে পারে, দীর্ঘমেয়াদি অনিশ্চয়তা থেকেই যাবে। ডলারকে বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রা থেকে সরাতে চীন যথেষ্ট প্রস্তুত, টমিক তা মনে করেন না। এ জন্য চীনের অর্থনৈতিক সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে।
তবে টমিক মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি অপ্রত্যাশিত ভুল না করে, তাহলে অন্য দেশগুলোর অনাস্থার কবলে পড়বে না ডলার। ইতোপূর্বে নানা প্রতিক‚লতা ডলারের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউই তার জায়গা দখল করতে পারেনি। কারণ যখন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়, তখনো যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই স্থিতিশীল থাকে। ফলে ডলারের সাম্রাজ্য টিকে থাকে আপন প্রতাপে।
লেখক : কবি, গবেষক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা