করোনায় শিখন ঘাটতি
- ড. এ কে এম মাকসুদুল হক
- ১১ জুন ২০২২, ২০:৪৬
গত দুই বছরের (২০২০-২১) করোনায় সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থা। তবে কোভিড-১৯ আপাতত চলে যাওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষাবিদরা বুঝতে পারছেন যে, গোটা বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থা যেন ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে। আমাদের বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। শিক্ষায় এই ক্ষতি প্রকৃতপক্ষেই সর্বগ্রাসী হয়ে পড়েছে। বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (১৪ হাজার প্রাথমিক এবং ২০ হাজার কিন্ডারগার্টেন) আর্থিকভাবে পঙ্গু হয়ে বন্ধ হয়েছে, অসংখ্য শিক্ষক (প্রায় ৮৩ হাজার) পেশা বদলে শ্রমিক থেকে শুরু করে অন্যান্য নানাবিধ পেশায় যুক্ত হয়েছেন (ডেইলি স্টার : ১২ এপ্রিল ২০২২)। সেই সাথে ঝরে পড়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থী। প্রাথমিকে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী কমছে বলে জানা যায় (প্রথম আলো : ১৬ মে ২০২২)। তারা হয়তো আর কোনো দিন শিক্ষাঙ্গনে ফিরতে পারবে না। এদের অনেকেই সংসারের হাল ধরার জন্য মা-বাবার সাথে আয়রোজগারের কাজে নেমে পড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেয়ে শিক্ষার্থীরা। অসংখ্য ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। এমনকি আত্মহননের ঘটনাও ঘটিয়েছে বহু শিক্ষার্থী। তবে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জীবন আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। কিন্তু তাদের শিখনে অপূরণীয় ঘাটতি দেখা দিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। এই চিত্র খুবই পরিষ্কার। যে শিক্ষার্থী ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিল সে মোটামুটি জাম্প করেই বর্তমানে নবম শ্রেণীতে উঠে পড়ছে। এরকম প্রতিটি শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অবস্থা। এ কলামে করোনায় শিক্ষার্থীদের কী কী শিখন ঘাটতি দেখা দিচ্ছে তার একটি তালিকা তুলে ধরার পাশাপাশি সেসব ঘাটতি পূরণের জন্য কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
১. সর্বপ্রথম যে ঘাটতি লক্ষ করা যাচ্ছে তা হলো- দীর্ঘ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পঠন-শিখন বা পড়ালেখায় অনীহা সৃষ্টি হয়েছে : এত ভয়াবহ মহামারী পরিস্থিতিতে এমনটি হতেই পারে। কিন্তু এর থেকে পরিত্রাণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এর থেকে তাদেরকে বের করে আনতে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে দলগতভাবে পাঠ অনুশীলন করাতে হবে। এ অনীহা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে তাদের হাতে-কলমে পাঠের অনুশীলনীগুলো করিয়ে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ছোটখাটো পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সাথে শ্রেণিভিত্তিক অল্প পরিসরে শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা নিলে শিক্ষার্থীদের মাঝে ধীরে ধীরে পড়ালেখায় মনোযোগের সৃষ্টি হতে পারে।
২. শিক্ষার্থীদের বয়স অনুপাতে বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নে অসামঞ্জস্য দেখা দিচ্ছে : এ ক্ষতিটা হয়েছে বিশেষ করে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের। কারণ এ সময়টাতেই শিশুদের শিখন ক্ষমতা সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় বিষয়ভিত্তিক মৌলিক পাঠগুলো বিশেষ করে আগের বা পেছনের দুই শ্রেণীর ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়ে ধারণা দিতে পারলে এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের মাঝে পরীক্ষাভীতির সৃষ্টি হয়েছে : দীর্ঘ দিন পরীক্ষা না দিয়ে বা অনলাইনে পরীক্ষায় অভ্যস্ত হওয়ায় শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে পরীক্ষা প্রদানের প্রতি একটি ভীতি জন্মেছে। এর প্রতিকারের জন্য প্রাথমিকভাবে শ্রেণিকক্ষে সংক্ষিপ্ত ও স্মার্ট সিলেবাস দিয়ে তা ভালোভাবে আয়ত্ত করানোর পর পরীক্ষা গ্রহণ করলে এই পরীক্ষাভীতি অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
৪. করোনাকালে অ্যাসাইনমেন্ট করা বা অনলাইনে হোমওয়ার্ক করায় শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখে দেখে লেখার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে : এই দুর্বলতা দূরীকরণে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ, রচনা, ভাবসম্প্রসারণ ইত্যাদি বিষয় প্রতিযোগিতামূলকভাবে শ্রেণিকক্ষে করালে এই ‘দেখে লেখার প্রবণতা’ হ্রাস পেতে পারে।
৫. অপেক্ষাকৃত জটিল বিষয় বুঝতে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে : এ জন্য শিখনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের প্রথমে সহজ ও পরে অপেক্ষাকৃত কঠিন বিষয়ে পাঠ দান করলে তাদের মাঝে কঠিন বিষয় বোঝার ব্যাপারে আস্থা ফিরে আসবে। তা ছাড়া কোনো বিষয় বুঝতে না পারলে তিরস্কার না করে বরং কোমলতার সাথে আদর-স্নেহ করে বোঝাতে হবে প্রতিটি ক্ষেত্রে। আর পাঠ্য অধ্যায় শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের বিষয় জ্ঞান যাচাই করে তাদের পূর্ব ধারণা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৬. ফিজিক্যাল ক্লাস দীর্ঘ দিন না হওয়ায় পঠনের অধ্যায়গুলোর পরের অনুশীলনী সমাধান না করার অভ্যাসে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে : এ জন্য শ্রেণিকক্ষে প্রতিটি অধ্যায়ের পঠন শেষ করে ছোট ছোট পুরস্কার ঘোষণা করে অনুশীলনী করালে তাদের উৎসাহ অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে।
৭. দীর্ঘ দিন পড়ালেখায় অনভ্যস্ত হয়ে পড়ার কারণে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রয়োজনীয় পাঠ মুখস্থ করতে অনীহা সৃষ্টি হয়েছে : এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট প্রশ্নোত্তর মুখস্থ করিয়ে তাদের মাঝে প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার ও প্রশংসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ বিষয়ে সারপ্রাইজ টেস্ট বা স্পট টেস্টের প্রচলন ফলদায়ক হতে পারে।
৮. অনেকের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকতে অনিচ্ছা পরিলক্ষিত হচ্ছে : শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকা নিশ্চিত করতে হলে শ্রেণিকক্ষটাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। শ্রেণিভিত্তিক ইনডোর কম্পিটিশন, শিক্ষণীয় গল্প বলা ও বলানো, দলগত কাজ দেয়া এবং আদর্শ শিক্ষামূলক শর্টফিল্ম প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে আনন্দের সাথে উপস্থিত থাকতে আগ্রহান্বিত হবে।
৯. শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশের মাঝে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে হতাশা পরিলক্ষিত হয় : এই হতাশা কাটিয়ে ওঠার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। সহশিক্ষা কার্যক্রম জোরালো করা, শ্রেণিকক্ষে তাদের সাথে কোমল আচরণ করা ও ছোটখাটো কাজে প্রশংসা করার প্রক্রিয়া তাদের হতাশা কাটাতে সাহায্য করবে। পঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব কার্যক্রম চালানো যেতে পারে। এ ছাড়া প্রতি দুই-তিন মাস অন্তর অভিভাবক দিবস উদযাপন করে শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে অভিভাবকদের মতবিনিময় করার আয়োজন এবং শ্রেণিভিত্তিক গরিব বা দুস্থদের সাহায্য করার কর্মসূচি গ্রহণ করলে শিক্ষার্থীদের হতাশা অনেকাংশে কেটে যেতে পারে।
১০. মহামারীর সময় আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের বৃহৎ অংশ অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম থেকে পুরোপুরিই বঞ্চিত ছিল : শিক্ষাঙ্গনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ অংশটি। তাদেরকে চিহ্নিত করে আলাদাভাবে অতিরিক্ত পাঠদানের মাধ্যমে অগ্রসর করে নিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে তাদের ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের মৌলিক পঠনের ব্যবস্থা করে পেছনের বাদ পড়া পাঠ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১১. তাদের বেশির ভাগেরই হাতের লেখা খুবই অসুন্দর ও ধীরগতিসম্পন্ন হয়ে পড়েছে : এ জন্য তাদের মধ্যে হাতে লেখার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা দরকার। তা ছাড়া হ্যান্ডরাইটিং ক্লাব পরিচালনা ও বাড়ির কাজে হাতের লেখা অন্তর্ভুক্ত করলে দ্রুতই শিক্ষার্থীদের হাতের লেখার উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা করা যায়।
১২. গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়ে উদ্বেগজনক দুর্বলতা ঘটেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে : এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ক্লাস অথবা বিশেষ মেধা উন্নয়নমূলক কোচিং ব্যবস্থা নিয়ে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দুর্বলতা বা ঘাটতি পূরণ করতে হবে।
১৩. সৃজনশীল লেখায় দুর্বলতা সৃষ্টি হয়েছে : এ জন্য পঠিত অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি করে তার উত্তর লেখার পদ্ধতি শেখানো এবং বারবার অনুশীলন করানোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। ভালো লিখতে পারলে একটু প্রেইজ করা, একটি চকলেট উপহার দেয়া ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর লেখায় আগ্রহ বাড়তে পারে।
১৪. পুরো সিলেবাস কিভাবে শেষ করবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে অনেকের মাঝে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে : এ ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত ও স্মার্ট সিলেবাস দিয়ে পড়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সময় দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে। এভাবে পুরো সিলেবাসকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে পঠন-শিখনে নিলে এই সিলেবাসভীতি দূরীকরণ সম্ভব হবে।
১৫. করোনায় শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি হয়েছে তা হলো- তাদের মৌলিক বিষয়ে জ্ঞানে দুর্বলতা সৃষ্টি হওয়া : গত দুই বছর কোনো রকম পড়ালেখা না করে বা অল্পবিস্তর পড়া সম্পন্ন করেই পরপর দুই শ্রেণী অতিক্রম করে বর্তমান শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে উঠে এসেছে। ফলে তাদের প্রতিটি পঠন বিষয়ে মৌলিক জ্ঞানে দুর্বলতা রয়ে গেছে। এ জন্য প্রথমেই ছোট আকারে পরীক্ষা নিয়ে দুর্বল শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে ফেলতে হবে। এরপর বিষয়ভিত্তিক মৌলিক শিখনের পাঠ বেছে আলাদা করে তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিট তৈরি করে বিতরণ করে দিতে হবে। আর অভিভাবকদের সাথে সমন্বয় করে মৌলিক পাঠগুলো শিখনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৬. কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের শারীরিক বৃদ্ধির সাথে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সামঞ্জস্য তৈরি হয়নি : এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ভিত্তিক মৌলিক শিখনে জোর দিতে হবে। শ্রেণীর সব শিক্ষার্থীকে ভারসাম্যপূর্ণ ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত করে দলগত পাঠের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে। আর শ্রেণিভিত্তিক পাঠ্যসূচির গল্প অবলম্বনে নাটিকার আয়োজন করতে পারলে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশটি সুষম হতে পারে।
১৭. কোভিড পরিস্থিতির কারণে অনেকেরই শিখন ক্ষমতা ধীরগতিসম্পন্ন হয়ে পড়েছে অর্থাৎ তারা স্লো লার্নার হয়ে পড়েছে : এ অবস্থা উতরানোর জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠ্যসূচির শিখন বিষয়ে ভালোভাবে বুঝিয়ে পড়ানোর পর পরীক্ষা নিয়ে পুরস্কার দেয়া এবং প্রশংসা করার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা যেতে পারে। সেই সাথে সবল শিক্ষার্থীকেই দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে দুর্বলদের শিখনে সহযোগিতা করার জন্য।
১৮. করোনাকালে দীর্ঘ দিন তারা ঘরে বসে অনলাইনে পরীক্ষা দেয়ায় দেখে লেখার সুযোগ পেয়েছে, ফলে তাদের মধ্যে নকলপ্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে : এই প্রবণতা দূর করার জন্য ক্লাসে ছোট ছোট পড়া দিয়ে ক্লাস টেস্ট নিতে হবে যেন তারা আবার না দেখে লেখার অভ্যাসটা রপ্ত করে ফেলতে পারে। তা ছাড়া নকল করার কুফল ও খারাপ দিকগুলো বর্ণনা করে এটা যে, একটা অন্যায় ও ঘৃণ্য কাজ তা বুঝিয়ে দিতে হবে।
১৯. দীর্ঘ দিন পর শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে আসায় এখানে বেশিক্ষণ থাকতে অনীহা প্রকাশ করছে : কাজেই শ্রেণিকক্ষে তাদেরকে বেশিক্ষণ থাকার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য ক্লাস পিরিয়ডের ছোট্ট একটি অংশে গল্প বলা বা বলানো এবং হালকা ইনডোর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে।
২০. শিক্ষার্থীদের মাঝে শ্রেণিকক্ষে শিখনে উৎসাহের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে : এ বিষয়ে প্রতিকারের জন্য ক্লাসের ভালো ছাত্রদের নেতৃত্বে ছোট ছোট গ্রুপ করে পাঠ্যবিষয়ে দলগত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে। তা ছাড়া ক্লাস টেস্ট নিয়ে গিফট ও অনুপ্রেরণামূলক কমপ্লিমেন্টস দেয়ার প্রক্রিয়া চালু করলে শিক্ষার্থীদের শিখনে উৎসাহ সৃষ্টি হবে।
শিক্ষার্থীদের করোনায় সৃষ্ট দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য উপরে কিছু গাইডলাইন শিক্ষকদের চিন্তার খোরাক হিসেবে উপস্থাপন করা হলো। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নিজস্ব আর্ট বা শৈল্পিক পদ্ধতি খুবই কার্যকর হবে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য। কারণ তারাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করছেন। কাজেই তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতালব্ধ কৌশলই হবে সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ। আসলে করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষাঙ্গনের ক্ষয়ক্ষতি পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা খুবই দুরূহ এবং অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে শিক্ষকরা যদি সেলফ মোটিভেটেড হয়ে নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসেন তা হলে তারা নিজ নিজ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ঘাটতিগুলো অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হবেন। এ জন্য প্রয়োজন ডেডিকেশন, কমিটমেন্ট, আন্তরিকতা ও কঠোর পরিশ্রম। আমাদের দেশের শিক্ষক সমাজের সেই আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা রয়েছে। তবে তাদেরকে এ বিষয়ে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারলে তারা অবশ্যই জাতিকে এই ক্রান্তিকাল থেকে তুলে এনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখাতে সক্ষম হবেন ইনশা আল্লাহ।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
Email: [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা