অর্থ কিভাবে অনর্থের মূল হয়ে যায়
- গোলাম মাওলা রনি
- ০৯ জুন ২০২২, ২০:৪৫
ইচ্ছে ছিল নিজের জীবনের কাহিনী দিয়ে আজকের নিবন্ধ শুরু করব। কিন্তু পরে মনে হলো আমার পরিবর্তে কাসেম সাহেবের কাহিনী বললে পাঠকদের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য এবং আকর্ষণীয় মনে হবে। কারণ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমি যেভাবে নিজের পাঁচালি বর্ণনা করেছি তাতে কারো কারো কাছে যদি এমনতরো মনে হয় যে- আমাদের কি কোনো কাজ নেই যে, রনি সাহেবের মতো একজন অতি সাধারণ মানুষের জীবন কাহিনী শুনে মূল্যবান সময় অপচয় করতে হবে। এ কারণেই আমি নিজের পরিবর্তে আজ আপনাদের কাসেম সাহেবের গল্প বলব। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় যে, আজকের শিরোনামের সঙ্গে কাসেম সাহেবের কী সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্কের ভেতরে কী এমন হেতু রয়েছে যা কি না নয়া দিগন্তের মতো একটি উঁচুমানের জাতীয় দৈনিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসের প্রধান উপসম্পাদকীয়র বিষয় হতে পারে।
আপনার মনে যদি উল্লিখিত প্রশ্নের উদ্রেক হয় তাহলে প্রথমেই বলতে চাই যে, একটি অনভিজ্ঞ এবং দূরদৃষ্টিহীন আমলাতন্ত্রের হাতে যদি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির পরিচালনা এবং বিলিবণ্টনের ব্যবস্থা থাকে এবং একটি রাজনৈতিক দলের যেসব নেতা যারা সারাজীবন নিজের আয়ে উনুনে রান্নার পাতিল সময় মতো চাপাতে পারেননি এবং এই কারণে যারা সমাজ সংসারে হাভাতে হাবুল হিসেবে প্রিয়জনের নিয়ত নিগ্রহের শিকার হয়েছেন সেসব লোকের ওপর যদি জাতীয় অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব কিছুর নেতৃত্ব ন্যস্ত করা হয় তবে কী ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে তা কাসেম সাহেবের মতো দক্ষ-অভিজ্ঞ ও সফল লোকের মুখে না শোনা পর্যন্ত অর্থ কিভাবে অনর্থের মূল হয় তা হৃদয়ঙ্গম করতে পারবেন না।
কাসেম সাহেবের গল্প বলার আগে দেশের সামগ্রিক বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থা ডলার সঙ্কট, খাদ্যের নিয়ন্ত্রহীন মজুদ-সরবরাহ ও বাজার ব্যবস্থা, জাতীয় উন্নয়নের কান ঝালাপালা করা গানা-বাজনা, অভাবী মানুষের আর্তচিৎকারসহ মানুষের মনের বহুবিদ ভয়-বেদনা-আতঙ্ক ও ক্ষোভ নিয়ে সংক্ষেপে কিছু বলা আবশ্যক। আমাদের দেশের কতগুলো মেগা প্রকল্পের অবিশ্বাস্য ব্যয়, নজিরবিহীন দুর্নীতি এবং সেসব প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকার যেসব কথা বলছে তার সঙ্গে জনগণের সাধারণ চিন্তাচেতনা এবং দেশ-বিদেশের কোনো বিশেষজ্ঞের মতামতের সামান্য মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের দেশের বালিশ কেলেঙ্কারি, পর্দা কেলেঙ্কারি এবং কলাগাছ কেলেঙ্কারিকে যদি দুর্নীতির নস্যি হিসেবে বিবেচনা করি তবে দুর্নীতির রাক্ষসেরা নস্যি সেবনের পরে রাহুগ্রাসে যে কী পরিমাণ অর্থ গলাদকরণ করেছে তা কল্পনা করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
আমাদের দেশ থেকে গত ১২ বছর কত লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে তা গণনা করতে গিয়ে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি এবং আইডিবির মতো আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হয়রান হয়ে যাচ্ছে। এ দেশের দুর্নীতির অর্থের প্রবাহ দুর্নীতিবাজদের স্বর্গরাজ্য সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকসমূহ হাবুডুবু খাচ্ছে। এ ছাড়া মোনাকো, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তুরস্ক প্রভৃতি পর্যটননির্ভর দেশগুলোতে বাংলাদেশী-দুর্নীতিবাজরা যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তা সেসব দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কানাডা ইতোমধ্যে তাদের দেশে বাংলাদেশীদের বাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং, কাতার, মরিশাস, সাইপ্রাস, গ্রিসসহ পূর্ব ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজদের সম্পর্কে সরকারি প্রশাসন, বিচার বিভাগ, বিমানবন্দরসহ গোয়েন্দা দফতরগুলোতে রেড অ্যালার্ট দিয়ে রেখেছে।
উল্লিখিত অবস্থার কারণে আমাদের দেশের অর্থনীতিতে কালো টাকার যে আধিপত্য ছিল তা বন্ধ হয়ে পুরো অর্থব্যবস্থায় এক ধরনের শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে এবং যারা এতকাল নির্বিঘ্নে কুকর্ম করে যাচ্ছিল তাদের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক এবং অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। টাকা-ডলার যেভাবে পরস্পরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাতায়াত করত তা এখন বুমেরাং হয়ে পড়েছে। ঋণের টাকায় ঘি-মাখন খাওয়া এবং হাওলাতের টাকা থেকে চুরি চামারি-কমিশন খাবার যে মধুমাস ছিল সেখানে চৈত্র মাসের তাপদাহ শুরু হয়েছে। ঋণের অর্থ ফেরত দেয়ার সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই ঈশান কোণে কালো মেঘের গর্জন শোনা যাচ্ছে।
জাতীয় অর্থনীতিতে কালনাগিণীর মরণ কামড় শুরু হয়েছে সে দিন, যে দিন সাধারণ একটি সরকারি চাকরির জন্য ওপেন টেন্ডার দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছ থেকে ঘুষ আদায় করা হয়েছে। হাজার হাজার সরকারি কর্মচারী তার কর্মজীবনের শুরু থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ধান্দা থাকে ঘুষের টাকা উসুল করাসহ পরবর্তী পদন্নোতি এবং ভালো কোনো সুবিধা আদায়ের জন্য মোটা অঙ্কের ঘুষ প্রদানের জন্য সঞ্চয় গড়ে তোলা। সাথে যুক্ত করে নেয় ভোগ-বিলাস, বাড়ি-গাড়ি-নারীসহ আরো হাজার উপকরণ লাভের খরচাপাতি। পুলিশের একজন ওসি কিংবা প্রশাসনের এসিল্যান্ড পর্যায়ের কর্মচারীরা কিভাবে গুলশান বনানীতে ফ্লাট ক্রয় করে, দামি গাড়িতে চড়ে বেড়ায় এবং ঘনঘন বিদেশ যায় তা তদারক করার মতো কোনো সুনামধারী রাষ্ট্রীয় সংস্থা না থাকার জন্য অর্থনীতির প্রতিটি বাঁকে মরণব্যাধি ক্যান্সার কিভাবে দানা বেঁধেছে তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবেন।
আমাদের অর্থনীতির হঠাৎ গজিয়ে ওঠা সম্প্রদায় এবং তাদের বিলাসবসন নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু অর্থনীতির চোর-ডাকাতদের উত্থান ও পতনের সাথে যে বিরাট একটি সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিষয় রয়েছে তা কাসেম সাহেবের সঙ্গে আলাপ করলেই বুঝবেন। ভদ্রলোক তিন পুরুষের ব্যবসার হাল ধরে আছেন এবং আমাদের সমাজে ধনী বলতে যা বুঝায় অর্থাৎ একজন সত্যিকার ধনী ব্যক্তির মধ্যে যেসব ইতিবাচক গুণাবলি থাকা দরকার তার প্রায় সবকিছুই তার মধ্যে বিদ্যমান। তিনি যে ব্যবসাটি পরিচালনা করেন তা তিনি শিখেছেন তার প্রয়াত বাবার নিকট এবং তার বাবা শিখেছিলেন কাসেম সাহেবের দাদার কাছ থেকে।
তিন পুরুষ ধরে তারা শুধু ব্যবসাবাণিজ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করছেন না বরং পারিবারিক আদব-কায়দা, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ এবং টাকা খরচসহ নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও সব সময় পুরনো নীতি অনুসরণ করেন। আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কাসেম সাহেব তার বাবা-দাদাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী ব্যবহার করেন। ফলে নতুন টাকাওয়ালাদের মতো তার শরীর মন ও আচরণ থেকে দুর্গন্ধ বের হয় না। তিনি যেভাবে তার পিতার কাছ থেকে জীবন সম্পর্কে পাঠ নিয়েছিলেন ঠিক একইভাবে তিনি তার নিজের পরিবারকেও এতদিন ধরে শিক্ষা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তিনি যতই বার্ধক্যের দিকে এগোচ্ছিলেন এবং তার সন্তানেরা যতই যৌবন ও তারুণ্যের মধ্যগগনের দিকে ধাবিত হচ্ছিল এতই তার ঐতিহ্যবাহী পরিবারটি জাতীয় জীবনের কলুষতা দ্বারা কলঙ্কিত হচ্ছিল।
কাসেম সাহেব মনে করেন, বিদ্যা অর্জন মানবজীবনের সবচেয়ে কঠিনতম অধ্যায় এবং ধন অর্জন হলো তারপরের কঠিনতম ধাপ। বিদ্যা এবং ধন প্রায়ই একত্রে থাকতে চায় না। ফলে বিদ্বান ব্যক্তি যদি ধনশালী হতে পারেন তবে তাকে চরম সফলতা বলা যেতে পারে। তবে এই সফলতাকে বলা হবে ফলহীন বিশাল বৃক্ষ যদি বিদ্যা ও ধনের সঙ্গে উত্তম চরিত্র, নীতি-নৈতিকতা, বিনয় ও ভদ্রতা যোগ করা না হয়। যদি বিদ্বান অহঙ্কারী হয়, ধনীরা চরিত্রহীন হয় এবং বিদ্বান ও ধনীর সংমিশ্রণে যদি অহংবোধ, মিথ্যাচার এবং কর্কস ব্যবহারযুক্ত হয় তাহলে এই শ্রেণীর মানুষের অত্যাচারে সমাজ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। সুতরাং বিদ্যা ও ধনের সংমিশ্রণ যখন জীবনে ঘটে তখন ব্যক্তি যদি নিয়মানুবর্তিতা, সততা, নিষ্ঠা, ধর্মবোধ, মিতব্যয়িতা, পরোপকারিতা, কৃতজ্ঞতা, ভদ্রতা এবং কোমল স্বভাব নিজের জন্য ফরজে আইনে পরিণত করতে না পারেন তবে ধন ও বিদ্যা অতি অল্প সময়ের মধ্যে তার জন্য প্রাণ সংহারী বিষে পরিণত হয় এবং সেই বিষে তিনিসহ তার আপনজনের আত্মার মৃত্যু ঘটে।
কাসেম সাহেবের ছেলেমেয়েরা শৈশবে এবং কৈশোরে তার পিতার কথাবার্তা এবং আচার আচরণকে বেদবাক্য হিসেবে মান্য করত। কিন্তু তারা যখন বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছাল তখন তাদের ধারণা হলো পিতার মধ্যে কিঞ্চিৎ পাগলামো রয়েছে। কারণ বাংলাদেশে বসে তাদের পিতা যখন মুকেশ আম্বানীর বাবা ধীরুভাই আম্বানী কিংবা রতন টাটার বাবা জেআরডি টাটা কিভাবে ছেলে-সন্তানকে শাসন করেছেন এবং কৃপণতা দেখিয়ে পরিবারে কৃত্রিম দারিদ্র্য বজায় রেখেছেন তা যে বর্তমান যুগে চলে না তা কাসেম সাহেবের মুখের ওপর না বললেও মনের মধ্যে ধীরে ধীরে পিতার বিরুদ্ধে বিষ জমা করতে থাকে এবং এক সময় তাদের মনে হতে থাকে তাদের পিতা বদ্ধ উন্মাদে পরিণত হয়েছেন। কারণ পিতা নিজে দামি গাড়িতে চড়ে বেড়ান কিন্তু ছেলেমেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেন না। ফলে তারা রাগ করে গাড়িতে না চড়ে রিকশায় ঘুরাফেরা করে।
ছেলেমেয়েরা দেখে যে, প্রতিবেশীদের মধ্যে ছোট ছোট সরকারি চাকরিজীবীর ছেলেরা দামি গাড়ি চালিয়ে বন্ধুবান্ধবীদের নিয়ে লং ড্রাইভে যায়। পাঁচতারকা হোটেলে গিয়ে ফুর্তি করে এবং মন চাইলে রাতও কাটিয়ে আসে এবং এসব কর্ম নিয়ে নিন্দিত না হয়ে বরং দুর্নীতিবাজ পিতা-মাতা দ্বারা প্রশংসিত হয়। তারা গৃহ অভ্যন্তরে সপরিবারে মদ্যপান ও ধূমপান করে এবং মাঝে মধ্যে বন্ধু বা বান্ধবীকে বাসায় এনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দরজা বন্ধ করে রাখে। এসব দৃশ্যের বিপরীতে কাসেম সাহেব যখন ছেলেমেয়েদের নামাজের তাগিদ দেন এবং সীমিত হাত খরচ দেয়ার পর যখন সেই টাকা কোথায় কিভাবে খরচ হয়েছে তা কড়ায় গণ্ডায় হিসাব নেন তখন তারা মনে করে ক্ষ্যাপাটে বুড়োর কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তারা আমাজনের জঙ্গলে গিয়ে আদিম কায়দায় বাস করবে তবুও বুড়োর বকবকানি শুনবে না।
কাসেম সাহেব তার সন্তানদের মনোভাব বুঝতে পারেন। কিন্তু তিনি তার প্রমাণিত সাফল্যের জীবন বিধান থেকে এক সুতো বিচ্যুত হয়ে সন্তানদের কথায় সায় দিতে নারাজ। তার চূড়ান্ত বক্তব্য হলো, আমার তিন পুরুষের অর্জিত সুনাম সুখ্যাতি এবং অর্থবৃত্তের উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্য অবশ্যই ধার্মিক, পরিশ্রমী এবং পেশাদার হতে হবে। অন্যথায় তিনি সব কিছু আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামে দান করে যাবেন। কারণ তার সন্তানেরা যদি অকর্মন্য হয় তবে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি সন্তানদের জন্য নির্ঘাত পতন ডেকে আনবে এবং লোকজন সন্তানদের ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে গালমন্দ করবে। এ জন্য তিনি মনে করেন- পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য সরাসরি ম্যানেজমেন্ট টিমে অন্তর্ভুক্ত না হয়ে ভারতের টাটা, রিলায়েন্স, বোম্বে ডায়িং আদানি, হিন্দুজা কিংবা বাংলাদেশের ইস্পাহানি গ্রুপ যে নিয়ম অনুসরণ করে তেমনটি করা না হলে পারিবারিক করপোরেট হাউজগুলো ভবিষ্যতে টিকবে না।
কাসেম সাহেবের বক্তব্য এবং মনোভাব আপনি কতটা সমর্থন করবেন বলতে পারব না এবং তার সন্তানরা শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তাও আমি জানি না। তবে কাসেম সাহেব যে মনোভাব ধারণ করেন এবং লালন করেন তা যদি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তিরা করতেন তবে রাজনীতির উত্তরাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস কেউ করত না। অতীতকালে একেকটি রাজবংশ শত শত বছর রাজত্ব করে পৃথিবীতে যে অনন্য নজির স্থাপন করেছে তার মূলে ছিল সিংহাসনে আসীন ব্যক্তির শিক্ষা দীক্ষা-নীতি নৈতিকতা ও সততার বিষয়ে আপসহীন মনোভাব। ফলে রাজার মৃত্যুর পর তার যোগ্য সন্তানটিকে সিংহাসনে বসতে একটুও বেগ পেতে হয়নি এবং সিংহাসনে বসার পর পিতা কিংবা পিতামহের নীতি-আদর্শ নিয়ম-কানুন মেনে তিনি যখন রাজ্য পরিচালনা করেছেন তখন জমিনের বুকে এক নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা