ভাঙতে হবে তেলের সিন্ডিকেট
- ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
- ১৫ মে ২০২২, ২১:১১, আপডেট: ১৬ মে ২০২২, ০৬:০৩
সচিবালয়ে ব্যবসায়ী, মিলারসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরের সাথে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের ভালোবেসে বিশ্বাস করেছিলাম যে আপনারা দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তাদের বিশ্বাস করা ছিল আমার ব্যর্থতা। এভাবে বলা আমার ঠিক হয়নি।’ সয়াবিন তেল নিয়ে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা কারসাজি করেছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কারচুপিতে বাজারে সয়াবিন তেলের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। দামও বেড়েছে। তবে বাজারে সয়াবিন তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাজারে সয়াবিন তেলের সঙ্কট কেন তৈরি হলো, আমরা তা খুঁজে পেয়েছি। এই কারচুপি বড় গ্রুপের কেউ করেনি। করেছে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। যারা কারসাজি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। ডিলারশিপ বাতিল করতে মালিকদের বলেছি’ (নয়া দিগন্ত, ঢাকা, ১০ মে, ২০২২; প্রথম আলো, ঢাকা, ১০ মে, ২০২২)।
ঈদের ছুটি শেষে বাণিজ্যসচিবের সাথে বৈঠকের পর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মিল মালিকরা। এক লাফে ভোজ্যতেলের এত দাম বাড়ার ঘটনা সম্ভবত দেশে এবারই প্রথম। খোলা সয়াবিন তেলের ৪৪ আর বোতলজাতের দাম লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খুচরাপর্যায়ে বিক্রি হবে ১৯৮ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম হবে ৯৮৫ টাকা, যেটি বর্তমানে ৭৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা এবং খোলা পাম তেল প্রতি লিটার ১৭২ টাকায় বিক্রি হবে। বর্তমানে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা ও পাম তেল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞমহল মনে করেন, মন্ত্রী ব্যর্থতা স্বীকার করলেও বড় গ্রæপকে দায়মুক্তি দিয়েছেন। বড় গ্রæপের সাথে ডিলারদের রয়েছে আঁতাত। তারাই তেল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। এখন কয়টা ডিলারশিপ বাতিল হয় দেখার বিষয়। অনুরোধ বা উপরোধে কাজ হবে বলে মনে হয় না। এখনই চিরুনি অভিযানে নামতে হবে। বাংলাদেশে ১১টি বড় প্রতিষ্ঠান ভোজ্যতেল আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান সক্রিয়। এরা ছাড়া আর কেউ আমদানি করতে পারে না। এ সঙ্কট মোকাবেলায় আরো বিভিন্ন গ্রæপকে তেল আমদানির লাইসেন্স দেয়া দরকার। তিন মাস আগের আমদানি করা বিপুল তেল গুদামে মজুদ করে রাখা হয়েছে। সিন্ডিকেট করে সাপ্লাই চেইন বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। খুচরা ও পাইকারি দোকানে ও গুদামে ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করছেন। গুদামজাত তেল এমনকি বাথরুম ও মাটির নিচ থেকেও উদ্ধার করা হচ্ছে। কিন্তু নেপথ্যে যারা আছে বলে অভিযোগ সেই আমদানিকারক ও ডিলাররা কিন্তু থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ ধরনের অভিযান জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পরিচালনা করা গেলে অতি মুনাফা লাভের অসাধু প্রবৃত্তি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। দেশের ভোজ্যতেলের ৯০ ভাগই আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশে দাম বাড়বে, সেটি স্বাভাবিক। সমন্বয়ক সংস্থা হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন কিন্তু কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে ভোক্তাদের জিম্মি করে রাখা ফৌজদারি অপরাধ।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন জানতে চান, ‘এখন যে সয়াবিন তেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে, তা তিন মাস আগে আনা হয়েছে। তখন তো আর প্রতি টন এক হাজার ৭০০ ডলার ছিল না, তা হলে দাম কেন বাড়বে?’ তিনি বলেন, বাংলাদেশে সয়াবিন তেল আমদানি পাঁচ-ছয়টি প্রতিষ্ঠানের একটি সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। তাদের বাইরে কেউ আমদানি করতে পারে না। আর তারা তাদের ডিলারদের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। এখন যে তেল গত তিন মাসে আনা হলো, সরকার তার হিসাব নিলেই ধরা পড়ে যাবে তেল কোথায় আছে। সরকারের ব্যবসায়ী-তোষণ নীতির কারণে সেটি করা হচ্ছে না। বাংলাদেশে সয়াবিন তেল আমদানি করা হয় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল থেকে। এখন বাজারে যে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে, তা আমদানি করা হয় গত ডিসেম্বরে। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টনের দাম ছিল এক হাজার ৪১১ ডলার। অন্যান্য খরচ ধরে সেই তেল প্রতি লিটার এখন ১৫২ টাকায় বিক্রি সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি দামে (ডয়চে ভেলে)। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ হয়ে থাকে রাজধানীজুড়ে। কিন্তু এ বাজারেও তেলের সঙ্কট দেখা গেছে। কোন দোকানে সয়াবিন তেল নেই। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে সয়াবিন তেল সঙ্কটের জন্য দায়ী মিল মালিকরা। তেলের দাম বাড়ানোই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু দাম বাড়ানো হলেও এখনো বাজারে তেল সরবরাহ করেননি তারা। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে মজুদ করেন। আর পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আমদানিকারকরা দাম বাড়াতে সরবরাহ বন্ধ রাখেন। এভাবে একে অপরকে দুষছেন। মাঝখানে বেড়ে চলেছে সাধারণ ক্রেতাদের ভোগান্তি।
অভিযান পরিচালনা, সয়াবিন তেলের ওপর শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট প্রত্যাহার এবং তেল বিক্রিতে পাকা রসিদের নিয়ম চালু করেও সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। পর্যাপ্ত তেল রয়েছে দেশে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ মুহূর্তে দেশে ভোজ্যতেলের কোনো ঘাটতি নেই; বরং সয়াবিন ও পাম তেল চাহিদার চেয়ে বেশি মজুদ রয়েছে আমদানিকারক ও পরিশোধন কোম্পানিগুলোর গুদাম, কারখানায় এবং তাদের পরিবেশকদের হাতে। দেশে সয়াবিন, পাম তেলসহ সব ধরনের ভোজ্যতেলের দৈনিক সরবরাহ দরকার প্রায় সাত হাজার টন, কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি কারখানা পর্যায় থেকে সরবরাহ দিচ্ছে দৈনিক তিন-চার হাজার টনের মতো। বন্দরেও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে সয়াবিন ও পাম তেল। এর বাইরে বন্দরে ভেড়ার অপেক্ষায় সমুদ্রপথে রয়েছে আরো কয়েকটি তেলবাহী জাহাজ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে যে পরিমাণ অপরিশোধিত তেল আমদানি হয়েছে, তা দিয়ে কমপক্ষে আরো দুই মাস চলার কথা (এনবি নিউজ বাংলা২৪ ডটকম)। দুই কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল নিয়ে গত ৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে একটি জাহাজ।
অসাধু ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি, ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম অয়েল রফতানি বন্ধ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাত দেখিয়ে খোলাবাজার থেকে তেল গায়েব করে ফেলেছে। অতিরিক্ত দাম দিলে গুদাম বা বাসা থেকে বের করে দিচ্ছে। মিল মালিক ও ডিলারদের গুদামে অভিযান চালালে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে সহজে। গুপ্ত গুদাম অন্বেষণে সরকার গোয়েন্দাদের কাজে লাগাতে পারে। গত ১০ মে ঈশ্বরদী বাজারের শ্যামল স্টোরের গুদামে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার লিটার খোলা ড্রামজাত সয়াবিন তেল, এক হাজার ২৪৪ লিটার বোতলজাত ও সাত হাজার লিটার সরিষার মজুদ তেল উদ্ধার করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ঈদের আগে থেকে এসব ভোজ্যতেল সংগ্রহ করে নিজের গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করেছিলেন শ্যামল স্টোরের মালিক শ্যামল চন্দ্র পাল।
গত ৯ ও ১০ মে এই দুই দিনে সাত জেলায় অভিযান চালিয়ে এক লাখ ৭৯ হাজার ৬৬ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় এক ব্যবসায়ীর গুদামে মজুদ করা ৪০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া গেছে। ওই ব্যবসায়ীকে জরিমানার পর তিন দিনের মধ্যে ওই তেল খোলাবাজারে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অবৈধভাবে তেল মজুদের দায়ে গতকাল আট জেলার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তিন লাখ ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গত ৬ মে খাগড়াছড়ির রামগড়ের সোনাইপুল বাজারের মেসার্স খাঁন ট্রেডার্সের মালিক ফজলুল করিমের চারটি গুদামে অভিযান চালিয়ে ৫৭ হাজার লিটার সয়াবিন জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত ৯ মে ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের কর্মকর্তারা চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বাজারে সিরাজ সওদাগরের দোকানের গুদাম থেকে ‘অবৈধভাবে’ মজুদ করা ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেন। কিন্তু দোকানে তেল ছিল না। এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডে একটি কবুতরের ফার্ম থেকে পাঁচ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় কবিরপুরে শংকর কুমার কুণ্ডুর ও রাজ কুণ্ডুর গুদামে অভিযান পরিচালনা করে ৬৪ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। এগুলো খণ্ডচিত্র মাত্র। পুরো দেশের শহর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বাজারে একইভাবে বিপুল তেল মজুদ করে রাখা হয়েছে। তবে সরষেয় ভ‚ত থাকলে তাড়াবে কে?
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। ২০২১ সালে ২৭ লাখ ৭১ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে। সে হিসাবে তেলের মজুদ ও সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। তার পরও বাজারে এখন সয়াবিন তেল স্বাভাবিক মাত্রায় পাওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি তেলের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ডয়চে ভেলে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, যারা আমদানিকারক, তারা তাদের নির্দিষ্ট ডিলারদের দিয়ে সয়াবিন তেল অবৈধভাবে মজুদ করে এ সঙ্কট তৈরি করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, সব রিফাইনারি কোম্পানির কাছে ভোজ্যতেল বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তারা গত তিন মাসে কী পরিমাণ আমদানি করেছে, কত পরিমাণ পরিশোধন করেছে, তা কাস্টমস পেপারসহ চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তারা কত পরিমাণের ডিও বা এসও দিয়েছে, কত ডেলিভারি করেছে এবং কত মজুদ আছে, সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেলে তেল নিয়ে তেলেসমাতি কারা করছে, তা ধরা পড়বে। তথ্য পাওয়ার পর প্রতিটি রিফাইনারিতে ভোক্তা অধিকার অভিযান চালাবে। বিবিসি বাংলাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেছেন, ‘প্রতিদিন যদি পাঁচ হাজার টন ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে, তাতে লিটারে ১০ টাকা করে বাড়লে মোট অঙ্কটা অনেক বড় হয়। এভাবে আনুমানিক একটি পরিসংখ্যান আমরা দিয়েছি।’ তার মানে টাকা লোপাটের অঙ্কটা আরো বড়। বাজার নিয়ন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত সেই অঙ্ক বাড়তেই থাকবে। যদিও সেটি পাঁচ হাজার কোটি টাকা না হয়ে যায় সেই লক্ষ্যেই নাকি কাজ করছে অধিদফতর (দৈনিক বণিক বার্তা, ঢাকা, ৯ মার্চ; প্রথম আলো, ১২ মার্চ, ২০২২)।
সরকার জনস্বার্থে আন্তরিকতার পরিচয় দিলে এখনই সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে পারে। এ ছাড়া টিসিবির লোকবল বৃদ্ধি করে প্রতিটি জেলা উপজেলায় নিত্য ব্যবহার্য পণ্যসামগ্রী ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারে। ট্র্রাকে করে বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলতে হবে। সরকার টিসিবির মাধ্যমে জুন মাসে এক কোটি পরিবারে ন্যায্য দামে সয়াবিন তেল বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এটিকে স্বাগত জানাই। তবে ১৮ কোটি লোকের দেশে এ সংখ্যাটি প্রয়োজনের চেয়ে নিতান্ত অপ্রতুল। কিছু দিন পরপর পেঁয়াজ, চিনি ও নিত্যপণ্যসামগ্রী নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে তোলে অতি মুনাফার লোভে। ভোক্তাশ্রেণী তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে। টিসিবিকে শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে এসব সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।
লেখক : শিক্ষক ও গবেষক
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা