২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্র চর্চা অপরাধ!

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় -

গত ৪ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১১ জন ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতর থেকে প্রকাশ করা হয়। ওই ১১ শিক্ষার্থীর অপরাধের বিষয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও গঠন করা হলো। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে বস্তুনিষ্ঠ অবস্থান নিয়ে সচেতন মহলে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে গণতন্ত্রের শিক্ষা ও চর্চায় মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান কী, তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহনশীলতা, নিরপেক্ষতা, তোষামোদি এবং সর্বোপরি অভিভাবক হিসেবে বিমাতাসুলভ আচরণের চিত্র পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে।

গত ২৪ মার্চ ভোরে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার একটি মেস থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষার্থীকে ঘুমন্ত অবস্থায় আটক করে পুলিশ। প্রথমে স্বীকার না করলেও পরে ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় আটক দেখানো হয় এবং তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের জেলে পাঠানো হয়। মামলায় বলা হয়, এসব শিক্ষার্থী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে আয়োজিত মিছিলে অংশ নিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেয় এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে রাষ্ট্রীয় ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করে ও দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর কাজে লিপ্ত ছিল। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন- এসব শিক্ষার্থীর একজনও কোনো ধরনের মিছিলে অংশ নেয়নি। এর পরই দেখা যায়, পুলিশ ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় তাদের আসামি করে। কিন্তু অভিভাবকরা দাবি করেন ওই সময় করোনা মহামারির কারণে ওই শিক্ষার্থীদের কেউ ঢাকাতেই ছিলেন না। এমনকি তাদের কেউ কেউ নিজ নিজ জেলা শহরে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন (নয়া দিগন্ত : ১৩/০৪/২০২২)। এ দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই নাহিদুল ইসলাম বলেন, এসব শিক্ষার্থীকে ‘ইসলামী ছাত্রশিবিরের’ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মিকদাত হোসেনের বাসা থেকে আটক করা হয়। কিন্তু অভিভাবকরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ছাত্রাবাস না থাকায় তাদের সন্তানরা মেসে থেকে পড়ালেখা করছেন।

পুলিশের এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রদের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত করাসহ দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো ও বিভিন্ন স্থানে সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আরো একটু আগ বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করা হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নানা অপতৎপরতার অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা সরকারবিরোধী (প্রথম আলো : ০৫/০৪/২০২২)।

ওই ঘটনার পর বোঝা যায়, পুলিশের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাচাই না করেই শাস্তি দেয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। তারা শুধু পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতেই এমন বিমাতাসুলভ পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের দেশে আগের কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানোর প্রবণতা চালু রয়েছে, তা কে না জানে? সরকারবিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা বা দমন করার লক্ষ্যে এমন তৎপরতায় গণতন্ত্র চর্চার পাদপীঠের কর্তৃপক্ষ কিভাবে অন্ধ সমর্থন দিতে পারে? অথচ আমাদের বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রধান নিয়ামক ছিল তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দুর্বার সরকারবিরোধী অবস্থান। তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের সেই মহান ছাত্রনেতাদের গণতন্ত্র চর্চায় বাধা দিয়ে সরকারবিরোধী অবস্থানকে থামিয়ে দিতেন তবে কি তারা গণতন্ত্রের শিক্ষাগুলো নিতে পারতেন? তারা কি দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য সেই সোনালি অবদানগুলো রাখতে পারতেন? এরপর স্বৈরাচারী এরশাদের সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি ছাত্রছাত্রীদের গণতন্ত্র চর্চায় বাদ সাধতেন তবে কি দেশকে গণতন্ত্রের ট্র্যাকে আনা সম্ভব হতো? কাজেই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইতিহাস হলো, অবাধ গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাস। অবাধে এই গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ ছিল বলেই ছাত্রসমাজ দেশের দুর্যোগময় মুহূর্তে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। এই চর্চা অব্যাহত থাকলে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতেও প্রয়োজনের সময় সঠিক অবদানটি রাখতে পারবে। কাজেই আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি দেশ গঠনের এই অনুশীলন বন্ধ করে দেয়া হয় তবে দেশের পুরো রাজনীতিই বন্ধ্যা হয়ে পড়বে। আর বাংলাদেশের ইতিহাসে মূলত ছাত্র রাজনীতি একটি বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে। বিরোধী ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দেয়ার মানেই রাজনীতি ও গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত করা। বিশ্ববিদ্যালয় হলো স্বাধীন মতপ্রকাশের অনুশীলনের স্থান। এখানে শিক্ষার্থীরা স্বাধীন মতামত প্রকাশ করবে। শিক্ষকরা সেই মতকে পরিশীলিত করে দেবেন, সেই মতামতে জ্ঞানের জোগান দিয়ে ছাত্রদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলবেন, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ষাট থেকে আশির দশক পর্যন্ত করেছে। কিন্তু পরে শিক্ষকরা জড়িয়ে পড়েন জাতীয় রাজনীতিতে। তাদের অনেকে নানান স্বার্থ ও প্রাপ্তির আশায় বিভিন্ন দলের তোষামোদি এবং লেজুড়বৃত্তিতে নেমে পড়লেন। তখন থেকেই সেখানে ছাত্রদের অবাধ গণতন্ত্র চর্চা ও শিক্ষায় ছেদ পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয়ে পড়ে ক্ষমতাসীন দলগুলোর ছাত্র সংগঠনগুলোর একক আধিপত্য চর্চার ময়দান। মুক্ত, সহনশীল ও কল্যাণমুখী রাজনৈতিক চর্চার জায়গায় স্থান করে নিলো টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, হল দখল, সিট বাণিজ্য, গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতি ইত্যাদি। ফলে বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির স্থানে আমরা দেখলাম অস্ত্র ও শক্তির মহড়া, আধিপত্য কায়েমের অনুশীলন স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যার বলি হয়েছে প্রায় ১৫১ জন শিক্ষার্থী (ডেইলি স্টার : ০৯/১০/২০১৯)।

প্রশ্ন আসতে পারে, সরকারের বিরোধিতা করা কি অপরাধ? আমাদের দেশের কোনো আইনেই তো নেই যে, সরকারের বিরোধিতা করলে অপরাধ হবে। সরকারের বিরোধিতা যদি না করা যায় তবে তো আর রাজনীতিই থাকে না! ছাত্ররা যদি সরকারবিরোধী মিছিলে অংশ নিয়েই থাকে তবে তা তো ছিল দেশের মানুষের জন্য, দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে। এটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিভাবে বুঝতে পারলেন যে তা ছিল দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে? দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে মিছিল করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়? জনগণের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়? এতে কি আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে? অত্যন্ত আফসোস হয় এসব কর্তৃপক্ষের ব্যাপারে! এখানে শিক্ষক ও পুলিশের আচরণ একাকার হয়ে পড়েছে। পুলিশ একটি নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে, একধরনের বাধ্যবাধকতার মধ্যে সরকারি আদেশ পালন করে থাকে। জ্ঞানচর্চা বা গণতন্ত্র অনুশীলন কাজ নয়, তাদের কাজ হলো সরকারের আদেশ পালন করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তো জ্ঞান-বিজ্ঞান আহরণ ও বিতরণ নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন। অথচ এখানে তারাই পুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন!

‘ভিসি’ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেখানে ছাত্রদের অভিভাবক হওয়ার কথা এখানে তারা কী ভূমিকা রাখলেন? ছাত্ররা ভুল করে থাকলে তাদের শোধরানোর দায়িত্ব ‘ভিসি’ বা কর্তৃপক্ষের। এসব ছাত্র আসলেই কি দেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত ছিল? বরং তদন্ত না করেই সাময়িকভাবে বরখাস্ত! এটি কি প্রকৃত অভিভাবকদের কাজ হলো? তারা শুধুই কি একটি মাত্র ছাত্র সংগঠনের অভিভাবক হওয়ার জন্য ওই পদে? তাদের এ ধরনের আচরণ জাতির জন্য কল্যাণকর কিছু বয়ে আনতে পারবে না।

এসব ছাত্রের বিরুদ্ধে ‘ইসলামী ছাত্রশিবির’ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও আনা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, ‘ছাত্রশিবির’ কি কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন? দেশে কি এমন কোনো আইন রয়েছে যে, ‘ছাত্রশিবির’ করলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে? এরা তো এ দেশেরই সন্তান। গণতন্ত্র আছে বলতে হলে ‘ছাত্রশিবির’ও তো তাদের মতো করে আন্দোলন করার অধিকার রাখে। অথচ প্রায়ই খবরে দেখা যায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘শিবির’ সন্দেহ কোনো কোনো ছাত্রকে ধরে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই সন্দেহভাজন ‘শিবির কর্মী’কে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। এ কেমন গণতন্ত্র আমরা চর্চা করছি? সন্দেহভাজন ‘ছাত্রশিবির’ কর্মী বেদম মার খেল, তার পর পিতৃতুল্য প্রক্টর এসে তাকে পুলিশে সোপর্দ করলেন! এরই পরিণতিতে আমরা দেখেছি বুয়েটে মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে কিভাবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিবির কর্মী সন্দেহে সারারাত পিটিয়ে হত্যা করে ফেলেছে।

দেশের সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ অবাধ জ্ঞান ও মুক্তচিন্তার চর্চায় এমন দেউলিয়াপনা কেন প্রদর্শন করছেন? তারা কি বাধ্য হয়ে করছেন, নাকি নিজ থেকেই আনুকূল্যের আশায় আত্মসমর্পণ করছেন, এই প্রশ্ন আজ অমূলক নয়। অথচ একটি ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মী অজস্র অপরাধ ঘটানোর পরও অপরাধীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে অপরাধী হচ্ছেন না। বরং তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও কোমল অভিভাবকত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তারই ফলে আমরা দেখতে পাই, ছাত্র নেতারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে উন্নয়ন প্রকল্পের ‘আংশিক চাঁদা’ চাচ্ছেন; হলে সিট বরাদ্দের ব্যাপারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষরা ছাত্রনেতাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি ও ঠিকাদারির দাবিতে সেসব নেতাকর্মী ভিসিকে আটকে রেখেছেন ইত্যাদি। অবশ্য এগুলো নতুন কোনো খবর নয়, প্রতিদিনের সংবাদপত্র খুললেই চোখে পড়ে; ছিঁচকে ছিনতাই থেকে শুরু করে ধর্ষণ ও খুনের মতো অজস্র অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে সেই ছাত্র সংগঠনের সোনার ছেলেরা! শিক্ষককে মারধর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি নিয়ে নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি ইত্যাদি সবই হচ্ছে। এমনকি রোজাদার এক রিকশাওয়ালাকে চাঁদা না দেয়ার অপরাধে বেদম প্রহারের ঘটনাও ঘটিয়েছে সেই সংগঠনের কর্মীরা। রিকশাচালক মার খেতে খেতে আত্মরক্ষার জন্য চিৎকার করে বলছিলেন, ‘আমি রোজাদার, আমাকে মারবেন না!’ সর্বশেষ, ঢাকা নিউমার্কেট এলাকায় দোকানকর্মীদের সাথে সংঘর্ষের সূত্রপাত থেকে শুরু করে কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী নাহিদ হোসেনকে ফুটপাথে কুপিয়ে হত্যায় জড়িত ছিল সেই ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানা যায়। এমনকি সেই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া তিনজনকে ওই সংগঠনের নেতাকর্মী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে (প্রথম আলো : ২৫/০৪/২০২২)।

আমাদের প্রশ্ন থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে, সেগুলো কি অপরাধ নয়? সেসব অপরাধে কয়জনকে সাময়িক বহিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন? আপনাদের কাছে করজোড় অনুরোধ থাকবে; দয়া করে ঠুনকো স্বার্থের জন্য একদেশদর্শী না হয়ে বরং সম্মানবোধ, সাহসিকতা, জ্ঞান, মুক্তচিন্তা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে অপরাধী চিহ্নিত করুন এবং দেশ ও জাতি গঠনে ইতিবাচক অবদান রাখুন। এই দরিদ্র জাতি অনেক কষ্ট করে আপনাদের বেতনভাতার অর্থ জোগান দিচ্ছে এই আশায় যে, আপনারা তাদের সন্তানদের সঠিক জ্ঞান দান করে মানুষ করে গড়ে তুলবেন। হ
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক

Email : [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement