২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আরেকটি জীবন পরে নিশ্চিত রয়েছে

-

পৃথিবীর সব মানুষের সব কার্যক্রম আর শিল্প কারখানা মিলে, বছরে ৫০০ এক্সাজুল শক্তি ব্যবহার করে। এই পরিমাণ শক্তি পৃথিবী সূর্য থেকে প্রতি ৯০ মিনিটে গ্রহণ করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের একটি প্রকাশনায় ২০১০ সালে এটি প্রকাশিত হয়। সহজ করে বললে, সারা বছর পৃথিবীবাসী যে শক্তি ক্ষয় করে সূর্য মাত্র ৯০ মিনিটে সেটা আমাদের দেয়। এ তথ্যটি ইয়ুভাল নোয়াহ হারারি তার ‘স্যাপিয়েন্স মানবজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ বইতে উল্লেখ করেছেন। জীবাশ্ম জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে বর্ধমান জ্বালানির উৎস কোথায় পাওয়া যাবে, এমন আশঙ্কার বিপরীতে তিনি সূর্যের দেয়া বিনামূল্যের শক্তি নিয়ে আরো আলোচনা করেছেন। জাতিসঙ্ঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং আরো কিছু গবেষণা প্রতিবেদন থেকে তিনি এ ব্যাপারে কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছেন। সূর্যের সীমাহীন শক্তি বিতরণের ক্ষমতাকে তিনি ‘শক্তির এক মহাসাগর’ বলেছেন।

শক্তির একক ‘জুল’ বলতে কী বোঝায় তার একটি উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। একটি আপেলকে এক মিটার উঁচুতে তুলতে যে শক্তি ক্ষয় হয় তাকে এক জুল বলে। আর এক এক্সাজুল হলো এক বিলিয়ন জুলের এক বিলিয়ন গুণ। এক বিলিয়ন মানে এক শ’ কোটি। এবার সূর্য নামক জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডটির আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকার ফল আরেকটু ব্যাখ্যা করে বুঝে নেই। হারারি তার বইতে এ তথ্য উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, সূর্যের শক্তির ক্ষুদ্র একটা অংশ পৃথিবীতে পৌঁছায়। তার পরও এর বার্ষিক পরিমাণ ৩৭,৬৬,৮০০ এক্সাজুল। আর বছরজুড়ে সব উদ্ভিদ মিলে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় মাত্র ৩,০০০ এক্সাজুল শক্তি সূর্য থেকে গ্রহণ করে। অন্য দিকে সূর্য এক দিনেই পৃথিবীতে ১০,৩২০ এক্সাজুল পরিমাণ শক্তি প্রেরণ করে। সেই হিসাবে পুরো উদ্ভিদজগৎ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার জন্য বছরে যে পরিমাণ শক্তি নেয় সূর্য এক দিনেই তার ৩ দশমিক ৪৪ গুণ এক্সাজুল শক্তি পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে। কী বিপুল শক্তি প্রতিদিন পৃথিবীতে আছড়ে পড়ছে ধারণারও অতীত। নোয়াহ হারারি বলতে চেয়েছেন, জ্বালানির উৎস হিসেবে সূর্য কখনো শেষ হওয়ার নয়। এই শক্তির বিপুল ব্যবহারের সম্ভাবনা তিনি দেখছেন। তার মতে, এজন্য দরকার প্রযুক্তির উদ্ভাবন।

সূর্যের উদাহরণটি আমরা সামনে আনলাম ‘প্রকৃতিকে’ বোঝার জন্য। আমাদের চার পাশে বিপুল বস্তুজগৎ রয়েছে তা নিয়ে আমাদের ভাবনা খুব সামান্য। জড় অসাড় হিসেবে এগুলোর দিকে আমাদের দৃষ্টি যায় না। ঝুলে থাকা সীমাহীন আকাশে সূর্য সবচেয়ে বড় অস্তিত্ব। এর কার্যক্রম এক সেকেন্ডের জন্যও অনাদিকাল থেকে কখনো বন্ধ হয়নি। কিংবা এটি তার কক্ষপথে বিচরণকালে একবারও ভুল করেনি। পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব শতভাগ এর ওপর নির্ভর করছে। বস্তুনিচয়ের মধ্যে আরো রয়েছে সমতলভাবে বিছানো ভূভাগ, তার মধ্যে রয়েছে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল, জালের মতো বিছানো ঝরনা, নদী, জলপ্রপাত, তিন ভাগে বিস্তৃত সাগর মহাসাগরের বিপুল জলরাশি, অনড় অটল অতিকায় পাহাড় পর্বত। বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত বাতাস ও বৃষ্টি। পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে মানুষ নিজেকে এসবের মধ্যে পায়। কিন্তু এসবের উৎপত্তি কোথা থেকে হলো, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারে না। অথচ বস্তুজগতের কেন্দ্রে রয়েছে মানুষ।

মানুষের সৃষ্টি ও বিকাশ নিয়ে সবচেয়ে বড় গবেষণাটি ডারউইনের। তিনি অনুমান করেছেন এক কোষী সরল প্রাণী থেকে মানুষের উৎপত্তি। লাখ লাখ বছর বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষ এক জটিল উচ্চ বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। বিবর্তনের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় বানর শিম্পাঞ্জি হয়ে কিভাবে মানুষ হলো সেটা প্রমাণের জন্য প্রাণীদের বিবর্তিত হাড়গোড় উপস্থাপন করেছেন। তারপরে এই ধারার বিজ্ঞানীরা একে তথ্য প্রমাণ দিয়ে আরো সমৃদ্ধ করেছেন। এ প্রকল্পটি শেষ পর্যন্ত বিবর্তনবাদীদের নিজেদের মন ভরাতে পারেনি। বহু দ্বিধাদ্বন্দ্বের পাশাপাশি তাদের কাছে এ উত্তরটিও নেই যে, প্রথম কোষটি কোথা হতে এলো? কিংবা যে পানিতে এর অস্তিত্বের প্রথম আগমন হলো সেই পানি কোথা থেকে এলো? প্রথম কারণটি কী বা কে? এই প্রশ্নের উত্তরে সবাই চুপ। মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়েও বিজ্ঞানীদের প্রকল্পগুলো একই জায়গায় গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে। মহা এক বিস্ফোরণ থেকে জগতের উৎপত্তি নিয়ে তাদের অনেকের মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলেও সেই কারণটি কিভাবে ঘটল, তা নিয়ে আর কিছুই তারা বলতে পারেন না।

অনেক মানুষই ধারণা করেছেন, জগতের ওপর তারা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। অন্তত পৃথিবীতে তারা সর্বেসর্বা। প্রাণীদের মধ্যে থেকে একটি প্রজাতিও মানুষের প্রতি সামান্যতম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি। পৃথিবীর সব উৎকৃষ্ট জায়গা দখল করে মানুষ শহর নগর নির্মাণ করেছে। পুরোপুরি নিজেদের প্রভুত্ব বিস্তার করেছে। তাদের কাছে অন্যসব প্রাণীও বশীভূত। শক্তিশালী বাঘ সিংহ কিংবা বিশাল দেহের হাঙ্গর তিমি হাতি মানুষের কাছে সামান্য দাবি দাওয়া পেশ করার যোগ্যতা অধিকার কিছুই রাখে না। এসব প্রাণীকে রীতিমতো চিড়িয়াখানায় বন্দী করে মানুষ দর্শনীয় বস্তু বানিয়ে বিনোদন নিচ্ছে। অপর দিকে অন্য কোনো প্রাণী চিন্তাও করতে পারে না তারা মানুষকে খাঁচায় বন্দী করে নিজেদের জন্য প্রদশর্নী করে রাখবে। বস্তুজগতের কেন্দ্রে থাকা মানুষের জন্য বিব্রতকর হচ্ছে তাদের চার পাশে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো বস্তুগুলোর উৎপত্তি ও শেষ লক্ষ্য না জানা, এমনকি নিজের উৎপত্তি নিয়ে নিশ্চিত করে জানতে না পারা।

বিপরীত একটা দিক রয়েছে। সেটা হচ্ছে,মানুষের কাছে থাকা আসমানি কিতাব। মানুষ ও মহাবিশ্বের সৃষ্টি নিয়ে এই কিতাব নিশ্চিত তথ্য দেয়। শুধু তাই নয়, উল্লেখযোগ্য সব অস্তিত্ব নিয়ে জোরালো আলোচনা করে। এ কিতাবগুলোর একটি ধারাবাহিকতা রয়েছে। আবার প্রত্যেকটি কিতাব তার পূর্ববর্তী কিতাবকে সত্যায়িত করে। আগের কিতাব ও তার বাহককে প্রমাণসহ স্বীকৃতি দেয়। কুরআন স্পষ্ট করে বলছে তার আগের দুটো পুস্তক তাওরাত ও ইঞ্জিলের কথা। আরো রয়েছে যবুর ও অন্যান্য সহিফার কথা। এমনকি সনাতনী বইগুলো, যেখানে স্রষ্টার অনেক কথাই বোঝা যায়। মানবজাতির ইতিহাস ও আসমানি কিতাবের ইতিহাস সমান্তরাল। কুরআন এসবের স্বীকৃতি দিয়ে সেগুলোর বর্তমান স্ট্যাটাসের বিষয়টিও শনাক্ত করে। তাই কুরআন থেকে মহাবিশ্বের বস্তুনিচয়ের অস্তিত্ব ও মানুষ সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য গ্রহণ করা যেতে পারে।

সূর্যের কার্যকারিতা পৃথিবীবাসীর ওপর কতটা বিস্তৃত আর শক্তিশালী প্রথমে সেটা বলে এসেছি। সূরা আম্বিয়ার ৩৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ নিশ্চিত করেছেন, সূর্য চন্দ্র তিনি সৃষ্টি করেছেন। এ দুটো তার নির্ধারিত কক্ষপথে সাঁতার কেটে চলেছে।’ সৃষ্টি নিয়ে কুরআনে এমনভাবে বলা হয়েছে যাতে দাবি করা হয়েছে সমগ্র মহাজগতের স্রষ্টা আল্লাহ। সূরা ক্বাফের ৩৮ নম্বর আয়াতে তিনি বলেছেন, আমি আকাশসমূহ ও জমিন এবং এ দুয়ের মাঝে যা কিছু আছে সব কিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছি, কোনো ধরনের ক্লান্তি আমাকে স্পর্শ করেনি। আবার আলাদা করে কুরআনে অন্যান্য জড় অস্তিত্বগুলো সৃষ্টি ও তার কার্যকারিতা প্রবহমান রাখার দাবি তিনি করেছেন। পৃথিবীর উপরিভাগকে বিছিয়ে দিয়েছেন যাতে চলাচল ও বসতির উপযুক্ত হয়। বৃষ্টি বর্ষিয়ে বের করছেন সব ধরনের উদ্ভিদ সম্ভার। পানি চক্রকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। সমুদ্র থেকে বাষ্প হয়ে জলকণা উপরে ওঠে। তা বাতাসের বিভিন্ন প্রবাহ বয়ে নিয়ে যায়। সৃষ্টি হয় বিভিন্ন স্তরের মেঘ। তার ফাঁক থেকে তৈরি জলকণা বৃষ্টি হয়ে ঝরে। ঝরনা, নদ-নদী হয়ে তা আবার সাগরে গিয়ে মিশে। পানিচক্র এভাবে পৃথিবীকে জীবন দিয়ে রেখেছে। প্রকৃতি নিয়ে খুলে খুলে বর্ণনা করেছেন আল্লাহ। আর প্রশ্ন করেছেন, আছে কি কেউ বা অন্য কোনো উপাস্য এ আয়োজন করতে পারে?

মানুষের ব্যাপারে বলেছেন প্রথমে একজন তৈরি করছেন। আসমানি কিতাবগুলো আদম নামে তাকে শনাক্ত করে। তার থেকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার বিপরীত লিঙ্গের জোড়া। এরপর এ দু’ থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন নারী পুরুষ সমগ্র বিশ্বে। (সূরা নিসা, আয়াত-১) এর সাথে ফেরেশতা ও জিন নামের প্রায় মানুষের সমপর্যায়ের প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন আরো দুটো অস্তিত্বের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। আমরা যেহেতু এদের দেখি না তাদের ব্যাপারে কিছু বলছি না। আবার তিনি মানুষের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সৃষ্টি ও এর বিস্ময়কর কার্যকারিতা নিয়ে বলেছেন। যেমন- সূরা মোমেনুনে বলেছেন মানুষের জন্য শ্রবণ, দৃষ্টি ও অন্তর সৃষ্টি করেছেন।’

মানুষ যে বস্তুনিচয় দেখছে আল্লাহ তার সবই একক কৃতিত্বে সৃষ্টি করছেন বলে কুরআন নিশ্চিত করে বলছে। এ কথাগুলোকে রিপিট করে তার দাবিকে আরো জোরালোও করেছেন। চার পাশে থাকা বস্তুনিচয়ের ব্যাপারে মানবজাতি এ কথাগুলোর বিকল্প কিছু কোনোকালে দেখতে পায়নি। অর্থাৎ এ ব্যাপারে অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না যারা একই দাবি করছেন। কুরআনে মানুষকে তিনি এ বিষয়টি বহুভাবে বুঝিয়েছেন। ক্ষমতা কর্তৃত্বে আল্লাহর সমান বা কাছাকাছি কোনো শক্তির আধার যদি মহাবিশ্বে অন্য কারো থাকত তাহলে কী হতো, যুক্তি দেখিয়ে আম্বিয়ার ২২ নম্বর আয়াতে বলছেন, ‘জগতে (আকাশ জমিন) যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য থাকত তাহলে উভয়ে ধ্বংস হয়ে যেত।’ বস্তুনিচয়ের সবগুলোর স্রষ্টা তিনি, এ দাবির পাশাপাশি এগুলো প্রতিপালন করে যাচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। এগুলোকে একবার সৃষ্টি করে দিয়ে তিনি উদাসীন হয়ে গেছেন, এমন নয়। এগুলোর প্রতি মুহূর্তের কার্যক্রমে তার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ইতিহাস বলছে, চন্দ্র সূর্যসহ সব বড় অস্তিত্ব সূচনালগ্ন থেকে বিরামহীনভাবে নির্ভুল তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

কেন এমন একটা চমৎকার জগৎ সৃষ্টি তিনি করেছেন সেটা সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক ও গুরুত্বপূর্ণ। বাকারার ৩০ নম্বর আয়াতে বলেছেন, আমরা বস্তুজগতে প্রতিনিধি নিযুক্ত করতে যাচ্ছি। সূরা মুলকের ২ নম্বর আয়াতে বলেছেন, আমরা পরীক্ষা করতে চাই কর্মে তোমাদের মধ্যে উত্তম কে। এই পরীক্ষার একটা সময়সীমা রয়েছে। তাই একটি ভয়াবহ বড় দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে একদিন এ মহা আয়োজন শেষ হয়ে যাবে। সেদিন শুরু হবে হিসাবের পালা। পাল্লায় মাপা হবে প্রত্যেকের বিশ্বাস অনুযায়ী কর্মকে। যারা উত্তীর্ণ হবেন, পাবেন অকল্পনীয় বিস্ময়কর আনন্দদায়ক এক জীবন। ব্যর্থ হওয়ার পরিণাম ভয়াবহ। আগুন ছাড়া বিকল্প অন্য কোনো কিছুই আল্লাহ রাখেননি।

আসমানি কিতাবের কথা আমরা যদি বিশ্বাস করি তাহলে একটি পূর্ণ জ্ঞান আমাদের থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো দ্বিধা সন্দেহ ধাঁধা থাকবে না। মানুষের ত্রুটিপূর্ণ অসম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণগুলোর ওপর আমাদের নির্ভর করতে হবে না। বিশেষ করে বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণগুলো প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। আগের গবেষণাকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছে পরের গবেষণা। পরিস্থিতি যাচ্ছে সম্পূর্ণ পাল্টে। প্রকল্পের পরিচালকরা সবসময় নিজের ত্রুটি বিচ্যুতি ও ভ্রান্তি নিয়ে তটস্থ। কেউ কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। অপর দিকে আদমের কাছে থাকা জ্ঞানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সূর্য যেমন তার কার্যকারিতায় পরিবর্তন আনেনি। আদমকে প্রথমে প্রেরণ করে তাকে যেসব বাণী আল্লাহ পাঠিয়েছেন সেগুলোই ধারাবাহিকভাবে আবার অন্য নবীদের কাছে পাঠিয়েছেন। এগুলোর মূল বক্তব্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। কেবল পরিবর্তিত স্থান কাল ব্যক্তির নাম সংযুক্ত করেছেন। সর্বশেষ পুস্তকটি শুরুই হয়েছে, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই’ বলে। রমজানের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান এই সন্দেহহীন নির্ভুল কিতাবটি পরম যত্নে হাতে তুলে নিন।

jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement