২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভারতীয় মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার

ভারতীয় মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার - ছবি : সংগ্রহ

ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক সন্ত্রাসের শিকার। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ডামাডোলে তাদের ওপর হিন্দুত্ববাদী নির্যাতন আড়াল হয়ে যাচ্ছে। এমনকি ভারতীয় আদালত এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছেন। কর্নাটকের আদালত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় হিজাববিরোধী অবস্থানকে পরোক্ষভাবে বৈধতা দিয়েছেন। তাদের আদালত মুসলমানদের ‘ফরজ-ওয়াজিব’ সম্পর্কেও ফতোয়া দিচ্ছেন। হিজাব-সংক্রান্ত মামলায় কর্নাটকের হাইকোর্ট রায় দিয়ে বলেছেন, ‘হিজাব ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়’। অর্থাৎ মোদির ভারতে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাদের আদালত অন্য ধর্মের বিধিবিধান নির্ধারণ করে দিচ্ছেন। উচ্চ আদালতের এই রায়ের ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্তদের আপিল শুনতেও অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ফলে কর্নাটকের হিজাব অনুসরণ করা ছাত্রীরা প্রি-ইউনিভার্সিটি কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পেরে তাদের শিক্ষাজীবন বিপর্যস্ত হতে যাচ্ছে।

পিউ রিসার্চ সেন্টার সম্প্রতি একটি জরিপভিত্তিক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বিষয়ে। সেখানে দেখা গেছে, ৬৪ শতাংশ হিন্দু মনে করে, ‘সত্যিকারের ভারতীয়’ হতে গেলে হিন্দু হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর ভারতের হিন্দুরা আরো একধাপ এগিয়ে মনে করে, হিন্দিভাষীও হওয়া জরুরি ‘সত্যিকারের ভারতীয়’ হতে হলে। অন্য দিকে প্রতি পাঁচজনের একজন মুসলমান মনে করেন, তারা ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকেন। অথচ ভারতের ৯৫ শতাংশ মুসলমান ভারতীয় নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করে থাকেন (প্রথম আলো, ১১ আগস্ট ২০২১)।

বিজেপি শাসনে ভারতের মুসলিমবিদ্বেষ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তা ক্রিকেট অঙ্গনকেও কলুষিত করে ফেলেছে। সাম্প্রতিক টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে লজ্জাকর পরাজয়ের পর উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী ভারতের খেলোয়াড় মোহাম্মদ শামিকে দায়ী করে। মুসলমান হওয়ার কারণে ১১ জন খেলোয়াড়ের সামগ্রিক ব্যর্থতাকে তারা একমাত্র মোহাম্মদ শামির ওপর চাপিয়ে দিতে একটুও দ্বিধাবোধ করেনি। এমনকি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের চিত্তাকর্ষক বোলিং ও ব্যাটিংয়ের সময় আনন্দ প্রকাশ করার অপরাধেও ভারতের কিছু মুসলিম ছাত্রকে পুলিশ লাঠিপেটা করতে দেখা যায়।

এ দিকে হিন্দু-মুসলিম বিয়ে নিয়েও কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা ভয়ঙ্কর বিতর্ক উত্থাপন করেছে। সেখানে কখনো কখনো হিন্দু-মুসলিম আন্তঃধর্মীয় বিয়ের রেওয়াজ রয়েছে। ইসলাম ধর্মের মহিলাদের বিয়ে-তালাকের সহজ শর্তাবলি, স্বামী-স্ত্রীর সুষম অধিকার, পরস্পরের চারিত্রিক পরিশুদ্ধির ধর্মীয় তাগাদা, স্ত্রীর নিরাপত্তাবিধানের নিশ্চয়তা ইত্যাদিতে আকৃষ্ট হয়ে অনেক হিন্দু নারী মুসলমান যুবকদের বিয়ে করে থাকেন। তবে ইসলাম ধর্মের বাধ্যবাধকতার কারণে অন্য ধর্মের পাত্র বা পাত্রীকে ধর্মান্তরিত হতে হয়।

ফলে হিন্দু মেয়েরা সাধারণত স্বপ্রণোদিতভাবে ধর্মান্তরিত হয়েই মুসলমান যুবকদের বিয়ে করছেন। এই প্রক্রিয়াকে হিন্দুত্ববাদীরা ‘লাভ জিহাদ’ আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে। ফলে ২০১৮ সাল থেকে ছয়টি বিজেপি-শাসিত রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক কোনো হিন্দু নারীর আদালতে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হওয়ার সাক্ষ্যও গ্রহণযোগ্য হবে না (আকার প্যাটেল, প্রথম আলো, ২৮ জানুয়ারি ২০২২)।
গত সেপ্টেম্বরে আসামে ৩৫ শতাংশ মুসলমানের রাজ্য আসামে ‘দ্য আসাম ক্যাটেল প্রিজারভেশন বিল-২০২১’ নামে গো-সুরক্ষা আইন পাস করা হয়েছে (প্রথম আলো, ১৫ আগস্ট ২০২১)। এতে অমুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গো-মাংস কেনাবেচা, জবাই বা ভক্ষণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে আখলাকুর রহমান (৫০) নামে এক খামারকর্মীকে তার বাড়িতে গো-মাংস রান্নার অভিযোগে একদল গোরক্ষকগোষ্ঠী নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে অবশ্য তদন্তে দেখা যায়, সেটি গরুর গোশত ছিল না; ছিল ছাগলের গোশত। এরপর ঝাড়খন্ড রাজ্যে গাড়িতে করে গোশত বহনের অপরাধে জনৈক আলিমুদ্দিনকে (৫৫) গোরক্ষাগোষ্ঠী পুড়িয়ে হত্যা করে। উত্তর ভারতের ফরিদাবাদে ‘গোখাদক’ বলে চিহ্নিত করে ১৬ বছরের এক মুসলিম কিশোরকে পরিবারের সামনেই পিটিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। অথচ ভারত গরুর গোশত রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

পৃথিবীর মোট গরুর গোশত রফতানির ১৬ শতাংশই ভারত থেকে করা হয়। ২০১৯ সালে এই রফতানির পরিমাণ ছিল ১.৬ মিলিয়ন টন (ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, নয়া দিগন্ত-১৬ আগস্ট ২০২১)। ফলে শশী থারুর লিখেছেন “ওহ ইঔচ- ৎঁষবফ ওহফরধ, রঃ রং ংধভবৎ ঃড় নব ধ পড়ি ঃযধহ ধ গঁংষরস.” (ডেইলি স্টার-২৩ নভেম্বর ২০২১)। ইতোমধ্যে গত বছরের জুলাই মাসে ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মিরে ঈদুল আজহার সময় পশু কোরবানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রাণিকল্যাণ আইনের আওতায় গরু-বাছুর, উট ও অন্যান্য প্রাণীকে অবৈধভাবে হত্যা-জবাই বন্ধ করতে আদেশ দেয়া হয়েছে (নয়া দিগন্ত-১৭ জুলাই ২০২১)। এরই মধ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিহার প্রদেশে গরুর গোশত খাওয়ায় মোহাম্মদ খলিল আলম নামে এক যুবককে উগ্রবাদী গোরক্ষক গোষ্ঠী পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে লাশ বুড়িগণ্ডক নদীর তীরে পুঁতে রেখেছে বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে (নয়া দিগন্ত-২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২)।

২০২০ সালের মার্চের প্রথম দিকে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদে ‘তাবলিগ জামাতের’ একটি অভ্যন্তরীণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে দেশ-বিদেশের প্রায় ৯ হাজার মুসলমান যোগদান করেছিলেন। সময়টি বিশ্বের ‘করোনা’ মহামারীর প্রথম ঢেউ আগমনের সময় হওয়ায় হিন্দুত্ববাদীরা সমগ্র ভারতীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ‘করোনা’ সংক্রমণের জন্য দায়ী করে। অথচ ভারতের বায়োটেকনোলজি বিভাগের জুলাই ২০২০ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপ ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ ঘটেছে। আর ভারতে প্রথম করোনাভাইরাস চিহ্নিত হয়েছিল চীনের উহানফেরত কেরালা রাজ্যের এক ছাত্রের শরীরে। অথচ বিজেপি নেতারা এবং অন্যান্য মৌলবাদী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা ‘তাবলিগ জামাতের’ এই সম্মেলনকে মুসলমানদের ‘করোনা জিহাদ’, ‘করোনা সন্ত্রাস’, ‘তালেবানি ক্রাইম’ ইত্যাদি বলে গালিগালাজ করে। এমনকি ‘তাবলিগ জামাতের’ ওই লোকদেরকে হত্যা করার দাবি তোলা হয়েছিল। এরপর ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হানা দেয়া সত্ত্বেও ২০২১ সালের এপ্রিলে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দিওয়ালি উদযাপন করা হয় বিশাল আয়োজন করে, যেখানে লাখো ভক্ত যোগদান করেছিলেন। ফলে দেখা গেছে, করোনার ভয়াবহতায় শত শত করোনাক্রান্ত লাশ যমুনা নদীতে ভাসিয়ে দিতে হয়েছিল অথবা বালুচরের মধ্যে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল।

গত অক্টোবরে বাংলাদেশে একটি ষড়যন্ত্রমূলক গুজবকে কেন্দ্র করে দুর্গাপূজার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুর হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতের ত্রিপুরায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে ছয়টি মসজিদ এবং ডজনেরও বেশি মুসলমানের বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর করা হলো। বাংলাদেশ সরকার তাৎক্ষণিকভাবে এ দেশের দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও ত্রিপুরার কট্টরপন্থী বিভিন্ন সংগঠন রাজ্যব্যাপী মুসলমানদের স্থাপনাগুলোর ওপর ব্যাপক হামলা চালায়। আর কোনো কোনো বিজেপি নেতা বাংলাদেশে আক্রমণের হুমকিও দিয়েছিলেন।

যুগ যুগ ধরে দিল্লিøর নিকটস্থ হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগাঁওয়ে প্রতি শুক্রবার মুসলমানরা উন্মুক্ত স্থানে জুমার নামাজ আদায় করতেন। ওই এলাকায় ১০ লাখ মানুষের মধ্যে পাঁচ লাখই হলো মুসলমান জনগোষ্ঠী। সেখানে ৪২টি মন্দির এবং ১৮টি গুরুদুয়ারার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়া হলেও মসজিদের জন্য মাত্র একটি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে ১০৮টি উন্মুক্ত স্থান থেকে কমিয়ে মাত্র ২০টিতে নামাজ আদায়ের জন্য অনুমতি দেয়া হয়। উন্মুক্ত স্থানে জুমার নামাজ আদায় করাকে হিন্দুত্ববাদীরা ‘ল্যান্ড জিহাদ’ নামে আখ্যা দিয়েছে (বিবিসি, নয়া দিগন্ত-১৮ ডিসেম্বর ২০২১)।

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের কেন্দ্রীয় ড. হরিসিং গৌড় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি খালি কক্ষে হিজাবধারী একজন মুসলিম ছাত্রী নামাজ আদায় করার অপরাধে (!) তদন্তের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। তার এই নামাজ আদায়ের ঘটনা তদন্তের জন্য ‘হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’ নামের একটি উগ্রবাদী সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি তুলে স্মারকলিপি দিয়েছে (নয়া দিগন্ত-২৮ মার্চ ২০২২)। এ দিকে ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ তার প্রকাশিত একটি বইয়ে ‘হিন্দুত্ববাদের’ সাথে ‘আইএস’ মতাদর্শের তুলনা করায় কট্টরবাদীরা তার বাড়িতে হামলা চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে।

ভারতে হিন্দু উগ্রবাদের ঘৃণা এতই বিষাক্ত হয়ে পড়েছে যে, তারা গত ১ জানুয়ারি ‘বুল্লি বাই’ নামের একটি অনলাইন অ্যাপ আপলোড করে সেখানে শতাধিক মুসলমান নারীর ছবি দিয়ে তাদের ‘রক্ষিতা হিসেবে নিলামে বিক্রির’ প্রচারণা চালিয়েছে। ওই পেজে প্রখ্যাত মুসলমান অভিনেত্রী, সাংবাদিক, অধিকারকর্মীর ছবি রয়েছে। এমনকি নোবেল বিজয়ী মালালাকেও সেখানে ‘নিলামে বিক্রি’র কথা বলা হয়েছে। এর আগেও ওই গোষ্ঠীটি ‘সুল্লি ডিলস’ নামের একটি অ্যাপ আপলোড দিয়েছিল। শুধু মুসলমান নারীদের অপমান করার মানসেই এই ভার্চুয়াল নিলামের মহড়া করা হয়েছিল।
গত ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দিন ধরে দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নামে পঞ্চাশেরও অধিক মুসলমান হত্যা করা হয়। নরেন্দ্র মোদির কুখ্যাত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত মুসলমান জনগোষ্ঠীর ওপর ‘বিজেপি’ এবং ‘আরএসএস’-এর সন্ত্রাসীরা দেশী ও স্বয়ংক্রিয় মারণাস্ত্র দিয়ে বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়ে এই হত্যাযজ্ঞ সম্পন্ন করে সেটিকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বলে চালাতে চেষ্টা করে। আর দিল্লির বিশাল পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নীরবে সেই হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য ‘উপভোগ’ করেছে মাত্র।

গত ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর ২০২১-এ ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের হরিদ্বার শহরে ‘ধর্মসংসদ’ নামে একটি ধর্মীয় সম্মেলনে ধর্মগুরু জ্যোতি নরসিংহানন্দ হিন্দু সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান মুসলমানদের গণহত্যা করার জন্য। সেখানে বক্তারা বলেন, ‘মোবাইল কেনার আগে আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে হবে’। যদিও সেই ধর্মগুরুকে ভারত সরকার গ্রেফতার করেছে তবুও জেনোসাইড ওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর গ্রেগরি স্ট্যান্টন বলেন, ‘‘গণহত্যা একটি ঘটনা নয়; বরং একটি প্রক্রিয়া এবং ভারতের আসাম রাজ্য ও অধিকৃত কাশ্মিরে গণহত্যার প্রাথমিক ‘লক্ষণ ও প্রক্রিয়া’ রয়েছে। সুতরাং আমরা সতর্ক করছি, ভারতে গণহত্যা খুব দ্রুতই ঘটতে পারে’’ (নয়া দিগন্ত-১৭ জানুয়ারি ২০২২)।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক

Email : [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement