২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

উৎসবের আমেজ নয়, সংযম চাই

- ছবি : নয়া দিগন্ত

মানুষের জন্য আকর্ষণীয় করা হয়েছে কামনা-বাসনার-তৃপ্তি নারী ও সন্তানদের থেকে এবং রাশি রাশি সোনা রুপার স্ত‚প আর চিহ্নিত ঘোড়া ও গৃহপালিত পশু এবং বিশাল শস্যক্ষেত। এগুলো এই পৃথিবীর জীবনের সামান্য আয়োজন। আর আল্লাহর কাছে আছে ফিরে যাওয়ার বিস্ময়কর ঠিকানা। বলো (হে বার্তাবাহক) আমি কী খবর দেবো, এর চেয়ে উত্তম আরো কিছুর তাদের জন্য? যারা ভয় করে সৃষ্টিকর্তার অসন্তুষ্টি, তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে সুন্দরতম বনভ‚মি যার সারা অঞ্চলে বয়ে চলে ঝরনা-নদী-জলপ্রপাত। অনন্তকাল বসবাস করবে তারা সেখানেই, সাথে নিষ্কলঙ্ক স্ত্রীরা আর আল্লাহর সন্তুষ্টি। আল্লাহ সদা দৃষ্টিমান তার বান্দার প্রতি (সূরা : আলে ইমরান, আয়াত ১৪, ১৫)।

বর্ণিত কুরআনের আয়াতে মানুষের স্বভাব প্রকৃতি স্পষ্ট হয়ে যায়। একজন মানুষ নিজেকে খুঁজে খুঁজে দেখলে তার মধ্যে নিজেই সে এসব প্রবণতা দেখতে পাবে। সবাই উত্তম সঙ্গী খুঁজে নিতে চান। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দুর্বলতা সহজাত হিসেবে জীবনভর মানুষের থাকে। নারী-পুরুষঘটিত ছোটবড় দুর্ঘটনা থেকে সমাজে প্রতিনিয়ত বড় বড় অন্যায় ঘটে চলেছে। অতীতকালে কোনো এক নারীকে নিয়ে যুদ্ধও নাকি হয়েছে। সোনা-রুপাসহ সাজসজ্জার প্রতি মানুষের আকর্ষণ দুর্নিবার। কে না চায় তার কাছে মূল্যবান অলঙ্কারের একটা ঈর্ষণীয় মজুদ থাকুক! তার জন্য শ্রম সাধনা করা এবং অর্থ ও সময় ব্যয় করতে মানুষ কার্পণ্য করে না। ঘোড়া আকর্ষণীয় প্রাণী। বিশ্বজুড়ে উত্তম ঘোড়া সংগ্রহ, পালন, প্রদর্শন ও প্রতিযোগিতার আয়োজন এখনো চলমান। সাধারণভাবে ‘চিহ্নিত ঘোড়া’ অর্থাৎ এখনকার ব্র্যান্ডেড কার বা গাড়ি। কারো কারো ক্ষেত্রে উড়োজাহাজও এ পর্যায়ের।

দামি ব্র্যান্ডের আসবাবপত্র কাপড় চোপড় শৌখিন দ্রব্য কার না প্রিয়! গ্রামীণ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ গৃহপালিত পশু। পশুর পাল কার কত বড় তার ওপর গ্রামীণ সমাজের সম্মান মর্যাদা নির্ধারিত হয়; সাথে কার কতবড় শস্যক্ষেত ও বাগান এবং সেগুলো থেকে কী পরিমাণ উপার্জন করে সে; এর সাথে বর্তমান সময়ের অর্জিত ক্যারিয়ারও যুক্ত হয়ে যায়। কেউ কেউ গান নাচ সিনেমা নাটক তথা অভিনয় এবং নান্দনিক শিল্পকে জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে নেন, কেউ ব্যবসা বাণিজ্য করে কতবড় হওয়া যায় নেয় সে প্রয়াস; কারো শখ পুলিশ বা সেনা কর্মকর্তা হওয়া, কেউ চান ডাক্তার, কেউবা প্রকৌশলী হতে। একজন আধুনিক মানুষের সামগ্রিক জীবনের সারাংশ করলে মূলত এগুলোই পাওয়া যাবে। উপরের আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ বলেছেন, এসবকে আকর্ষণীয় করে দেয়া হয়েছে; অর্থাৎ সুতীব্র সে আকর্ষণ এড়িয়ে যাওয়া রীতিমতো মহামানবীয় ব্যাপার।

পৃথিবীর এ জীবনের পরিবর্তে আল্লাহর কাছে আছে সুন্দরতম বনভ‚মি। তিনি বলছেন, তার প্রতিনিধিত্বের যোগ্যতা অর্জনে সফল মানুষেরা সেখানে ফিরে যাবে। সেখানকার বিস্তারিত বিবরণ তিনি কুরআনে খুলে খুলে বলেছেন। ঘন তরু পল্লবে ছাওয়া বন-বনানীর ফাঁকে ফাঁকে বয়ে চলা ঝরনা-নদী-জলপ্রপাত আর ঝুলে ঝুলে থাকা হাতের নাগালে যত রকমের ফল এবং নিষ্কলঙ্ক সঙ্গিনী, আর সাতমহলা প্রাসাদ তাদের জন্য। যোগ্য মানুষদের পৃথিবীতে উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তাকে যেমন নিয়মিত বেতনের পাশাপাশি আরো অনেক সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। সেসব তাকে এ জন্যই দেয়া হয় যে, সে এগুলো পাওয়ার যোগ্য। একজন দক্ষ কর্মঠ সুযোগ্য প্রধান নির্বাহীকে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে রীতিমতো কাড়াকাড়ি চলে। সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিয়ে তাকে কোম্পানিতে রাখার চেষ্টা করে মালিক। দুনিয়ার জীবনের উল্লিখিত এসব উপকরণকে আল্লাহ বলেছেন ‘সামান্য’ যদিও মানুষ তার সব শক্তি সামর্থ্য নিয়োগ করে এগুলোই অর্জন করতে চায়।

অদেখা অনন্ত জীবনের বিশ্বাস অর্জনের পথে এগিয়ে চলা মানুষের জন্য, এ পৃথিবীর জীবনটা, একটা দ্বান্দ্বিক অবস্থান। আল্লাহ নিজেই বলেছেন, আকর্ষণীয় করে দেয়া হয়েছে পৃথিবীর উপাদানগুলো। মানুষ সেটাকে তীব্র আকর্ষণীয় হিসেবেই পাচ্ছে। আল্লাহ সাথে সাথে এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, এগুলো পৃথিবীর জীবনের ‘সামান্য আয়োজন’। তাঁর কাছে আছে এর চাইতে উত্তম। সারমর্ম করলে দাঁড়ায়, উপস্থিত দুনিয়ার লোভ লালসা কামনা বাসনা তথা সুখ শান্তির ভোগে একটা সীমারেখা থাকতেই হবে। সেই সীমারেখা বা মান মাত্রাটা বোঝা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবী আজ ভারসাম্যহীন হয়ে যাওয়ার মূল কারণ সর্বক্ষেত্রে এই সীমালঙ্ঘন। এখান থেকে নিস্তারের পথ কী? মানুষ সেটা খোঁজার ক্ষেত্রে খুব তৎপর, এমনটা দেখা যাচ্ছে না। আমরা যারা মুসলিম বলে দাবি করছি তারা যদি এ পথটা চিনে নিয়ে সে পথে চলতাম, তাহলে পৃথিবীর বিশাল একটা অংশে শান্তি ও জীবনের প্রকৃত বাস্তবতা নেমে আসার কথা। বাস্তবে মুসলিম দেশগুলোকে শান্ত সুস্থির বলার কোনো উপায় নেই।

চাওয়া ও পাওয়ার মধ্যে একজন মানুষ সীমা ও ভারসাম্য খুঁজে নিতে পারে সংযম শিক্ষার মাধ্যমে। রমজান বা সিয়াম সাধনার উদ্দেশ্যই হলো সেটা। পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মে উপবাসের রেওয়াজ আছে। বহু মানুষ রয়েছে যারা জাগতিক উত্তেজনা থেকে নিজেকে দমিয়ে রাখার জন্য এমনিতেই দিনভর না খেয়ে থাকেন। এই রেওয়াজ পালনে মানুষের মধ্যে বহু বৈচিত্র্য দেখা যায়। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার দেয়া ব্যবস্থাপত্রে বলা হয়েছে, তোমরা খাও, পান করো, পূর্বদিগন্তে কৃষ্ণরেখার ওপরে শুভ্র রেখা ফুটে ওঠা পর্যন্ত; অতপর পূর্ণ করো রোজা রাত পর্যন্ত (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৭)। বোঝা যাচ্ছে, পানাহার তথা যাবতীয় ইন্দ্রিয়ভোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। খাদ্য মানুষের প্রবৃত্তির উত্তেজনার উসকানিকে অনেকটাই ইন্ধন জোগায়। সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ পূর্ণ পালন করলে রমজানে আমাদের খাদ্য গ্রহণ প্রবণতা কমে যাওয়ার কথা। অর্থাৎ সাধারণত আমরা তিন বেলা খাই। এই মাসে সেটা কমে এসে দুই বেলা হয়ে যাওয়ার কথা। যদি তাই হতো তাহলে এ মাসে জাতীয় খাদ্যের সামগ্রিক চাহিদা কমে যাওয়ার কথা; আর জাতীয়ভাবে আমাদের রয়েছে খাদ্য ঘাটতি। এই মাসের বেঁচে যাওয়া এক বেলার খাদ্য বছরের অন্য সময়ের চাহিদা পূরণ করতে পারত। অসহায় দরিদ্র মানুষ হিসাব মতে, এই বাড়তি খাদ্য থেকেই সারা বছর তার জোগান পেতে পারতেন।

দানের প্রসঙ্গটি এখানে উল্লেখ করা যায়। মানুষের ধারণা, রমজানে দান কবুল হয়। সেই প্রেরণা থেকে এ সময় সবাই একটু উদারহস্তও হয়ে থাকে। বাকারার ২৬১ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যারা নিজেদের সম্পদ আল্লাহর পথে খরচ করেন, তাদের উদাহরণ হচ্ছে : একটি বীজের মতো, তা থেকে বের হলো সাতটি শীষ এবং তার প্রতিটি শীষে রয়েছে একশ’ করে দানা; আল্লাহ বহুগুণ বৃদ্ধি করেন তার জন্য- যে চায়; জানার ক্ষেত্রে আল্লাহ সর্বব্যাপী।’

দেখা যাচ্ছে, মাত্র একটি দানা সাতশ’ হয়ে যাবে। এ সূরার পরের আয়াতগুলোতে দানের স্ট্যান্ডার্ড চমৎকারভাবে বলা হয়েছে। সেই মান মাত্রা অনুযায়ী দান করতে পারলে সাতশ’ গুণ প্রাপ্তি বাস্তবতা। বছরের সবসময়ও এমন দানই গ্রহণযোগ্য। নিজেকে প্রবৃত্তির তাড়না থেকে মুক্ত করার লড়াইয়ের অনুশীলন হিসেবে মাহে রমজানের আগমন। অথচ আমাদের চলমান কর্মকাণ্ডের সাথে রমজানের প্রকৃত চেতনার মিল খুব কমই পাওয়া যায়।

আমাদের দেশে রমজান মানে, নিশ্চিতভাবে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে। ভোক্তা ও পণ্যের বিক্রেতা উভয়ের দিক থেকে উচ্চ তাড়না এর জন্য দায়ী। ভোক্তা মনে করে, তাকে এ সময় কিছু উপাদেয় খাদ্য অবশ্যই খেতে হবে। অন্য দিকে বিক্রেতারা মনে করে, বছরের একটি মাত্র মাস কিছু বাড়তি আয় করে নিতে না পারলে হবে না। এর ওপর রয়েছে অসাধু সিন্ডিকেট; তারা মানুষের লালসার হাহাকারকে কাজে লাগায়। এ সময় সব পণ্যের দাম তাই বাড়ে। বেগুন, পেঁয়াজসহ কিছু পণ্যের দাম এতটাই বাড়ে, যা বিস্ময়কর।

খাবার নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়। রাজধানী ঢাকায় বিশেষ ইফতারির বাজার গড়ে উঠেছে। সারা দেশেও এমন বাজারের বিস্তৃতি ঘটেছে। আগমন ঘটেছে কত বাহারি খাদ্যের। শাহি জিলাপি, শাহি পরোটা। ‘শাহি’ সামনে লেগেছে আরো কত খাবারের! তৈরি হচ্ছে এক কেজি দেড় কেজি ওজনের জিলাপি। সুতি কাবাব, জালি কাবাব। এভাবে ‘কাবাব’ লেগেছে বহু খাদ্যের নামের সাথে। ‘মুরগি আচারি’ আছে, আস্ত খাসি সম্ভবত এখনো আসেনি। তবে অচিরেই সেটাও এসে যেতে পারে। উপাদেয় খাবার খেতে কোনো অসুবিধা নেই। স্বাদ একটা শিল্পের ব্যাপার। তবে যে সময়টাতে রসনাকে নিয়ন্ত্রণ করার হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নেয়ার সতর্ক অনুশীলন চর্চার সময়, সেই সময় এর লাগামহীন চর্চা কতটা শোভন সেই প্রশ্ন এসে যায়।

আত্মসংযম চেতনা পথ হারিয়ে ফেলে ঈদকে সামনে রেখে। আমরা রমজানের কৃচ্ছের কথা পুরোপুরি ভুলে যাই আসন্ন ঈদের আনন্দ কল্পনায়। ফলে সিয়াম পালনের চেয়ে এটা খাদ্য উৎসব এবং আগত ঈদ উদযাপনের মাস হয়ে দাঁড়ায়। এ নিয়ে কিছু পরিসংখ্যান সামনে রাখলে আমরা চেতনা ফিরে পেতে পারি। করোনার আগের বছরের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে প্রায় ২৫ লাখ দোকানে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বিক্রি হয়। রমজানে দিনে সেটি তিন গুণ বেড়ে ৯ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। ঈদকে কেন্দ্র করে ওই বছর মোট ভোগ্যপণ্য বিক্রি হলো দুই লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার। এ হিসাব বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির। এ সময় শুধু পোশাকের দোকানে কেনাকাটা হয়েছে ৮০ হাজার কোটি টাকার।

একটু যদি নিবিড়ভাবে লক্ষ করি তাহলে দেখতে পাবো, আমাদের দেশের মুসলিম জীবনেও সব কিছু উৎসবে পরিণত হচ্ছে। এতে আমাদের জাতীয় দিবস, সাংস্কৃতিক উপলক্ষ হিসেবে নির্ধারিত দিনগুলো, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ধর্ম ও উপজাতীয়দের বিভিন্ন উৎসবের প্রকৃতি একই দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এখানে প্রধানত কেনাকাটা, নানারকমের আকর্ষণীয় পোশাক পরে ঘোরাঘুরি ও হরেক রকমের খাদ্য গ্রহণের আমেজ প্রধান হয়ে উঠছে। আমরা এসব কথা কাউকে হেয় বা ছোট করার উদ্দেশ্যে বলছি না। বলছি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ক্রমে পরিবর্তিত হয়ে বিশ্বাসের জায়গাটি যে শূন্য হয়ে যাচ্ছে সেইটার কথা। উত্তম কাপড়-চোপড় কেনাকাটা হতে পারে। আনন্দও হতে পারে। সেগুলোর জন্য কোন সময়টাকে আমরা নির্ধারণ করব, সেটি আজ ভেবে দেখার সময় এসেছে।

রমজানের ইতিহাস থেকে জানা যায়, এটি স্বয়ং স্রষ্টার পক্ষ দেয়া তার অন্যতম সৃষ্টি, মানবজাতির প্রতিটি ব্যক্তিসত্তার আত্মনিয়ন্ত্রণের একটা অনুশীলন। এ সময় মানুষ পৃথিবীর আকর্ষণ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করা উচিত। আগেকার উপবাসের বিধান আরো কঠিন ছিল বলেই প্রতীয়মান হয়। বাকারার ১৮৭ আয়াতে আল্লাহ জানিয়ে দিচ্ছেন, আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সা:-এর সাথীরা স্ত্রী মিলনসংক্রান্ত নিয়মটি রক্ষা করতে পারছিলেন না। সেই আয়াতেই রমজানের রাতে স্ত্রী মিলনকে বৈধ করে দেয়া হয়েছে। তারও আগে থেকে এটি যে একটি কঠিন ব্যাপার ছিল সেটি বোঝা যাচ্ছে সূরা মরিয়মের ২৬ নম্বর আয়াতে। ঈসা আ: ও তাঁর পূর্ববতী সময়ে সিয়াম পালন অবস্থায় মানুষেরা দিনের বেলায় কথাবার্তাও বন্ধ রাখত। খাওয়া দাওয়া ও যৌনতার পাশাপাশি তারা অপ্রয়োজনীয় সব ব্যাপারই এ সময় বন্ধ রাখতেন।

বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ নিজেদের মুসলিম পরিচয় দেয়। বছরের একটি মাস তারা সবাই যদি সিয়ামের প্রকৃত চেতনা ধারণ করত তাহলে পুরো জাতি শুদ্ধতার পথে হাঁটতে পারত। আমাদের সমাজে ছড়িয়ে পড়া লোভ লালসা হিংসা বিদ্বেষ অনেকটাই সীমিত হয়ে যেত। সেটি না হয়ে এই মাসে উল্টো প্রতিযোগিতায় নামছি উদরপূর্তি ও জাগতিক সমৃদ্ধি প্রদর্শনের জন্য। অন্যায় অনাচার দুর্নীতি খুন সন্ত্রাসের এক জনপদ হয়ে উঠছে আজ আমাদের এই দেশ। নিয়ম শৃঙ্খলার বালাই নেই কোথাও। তার ওপর রয়েছে দরিদ্র ভুখা নাঙ্গা মানুষের মিছিল।
jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement