২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হলে

-

‘নির্বাচন’ নিয়ে বাঙালি জাতির টানাপড়েন অনেক দিনের। ১৯৭০-৭১ সালে ছয় দফা পরবর্তীতে স্বাধিকার আন্দোলনের সমর্থনেই এ দেশের জনগণ ভোট দিয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিল। পাকিস্তানি শাসকদল সে নির্বাচনের ফলাফল মোতাবেক ক্ষমতা হস্তান্তর না করার প্রতিবাদে শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা আন্দোলন। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারছে কি এখন নির্বাচন?

বর্তমান ক্ষমতাসীনদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে গিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে। অন্যদিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ভেস্তে যাচ্ছে। ১৯৭০-৭১ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে সমগ্র পাকিস্তানের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। কিন্তু জনগণের রায় সেদিন পাকিস্তানি ক্ষমতাসীনরা মেনে নেয়নি। নির্বাচনে জনগণের রায় মেনে না নেয়াটাই একটি রোগ। জাতির কাঁধে তখন চেপে বসেছিল একটি রোগ, যা এখনো অব্যাহত থেকে দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। বর্তমান ডিজিটাল সরকার নির্বাচনপদ্ধতি কূটকৌশল করে পরিবর্তন করছে। ভোটারবিহীন একটি নির্বাচনী সংস্কৃতি এই সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ করা একটি জাতিকে দেখিয়ে দিয়েছে এই সরকার যে, কিভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সাথে প্রহসন করেও ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়।

স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল একাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত। পঁচাত্তরের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে আইন পাস করে বাকশাল অর্থাৎ একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে বটে, কিন্তু ১৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের কারণে বাকশালী নির্বাচনী ব্যবস্থা দেখার সুযোগ জনগণের হয়নি। তবে জনগণ মনে করে, বাকশাল যেহেতু একদলীয় শাসন সেহেতু শাসকদলের ইচ্ছার বাইরে নির্বাচনে কারো কনটেস্ট করা তো দূরের কথা প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকার কথা নয়। এমনি অবস্থায় পরপর দুইবার দেশে সামরিক আইন জারি হয়। জিয়াউর রহমান সংবিধানে সংশোধনীর মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেন, কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পূর্ণমাত্রায় রূপায়িত না হওয়ার কারণে কেন্দ্র দখলের নির্বাচনী সংস্কৃতি গড়ে উঠে। এ সংস্কৃতি গড়ে ওঠার পেছনে মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে টাকা, লোভনীয় পোস্টিং ও প্রমোশনের নেশায় মত্ত পুলিশ প্রশাসন ও মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে ভোটারদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না হওয়ায় ছোট দলগুলোর উদ্যোগেই শুরু হয় ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে ইচ্ছা তাকে দেবো’ শিরোনামের স্লোগান। এ স্লোগানে জামায়াতে ইসলামী ও বাম দলের পূর্ণ সমর্থনসহ তারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিল। আন্দোলনের ফলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের রূপরেখা প্রণীত হয় এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে দেশের বৃহৎ দুটি দল অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে পৃথক পৃথক সময়ে মন্ত্রিসভা গঠন করে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার কারণে পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন নগ্নভাবে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ নিতে পারেনি। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বোঝা গিয়েছিল যে, সেনাসমর্থিত মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর সব কলকাঠি নেড়েছিল। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিরোধীদেরই অহেতুক পকেটে টাকা পাওয়ার অভিযোগে পুলিশ রাস্তাঘাটে গ্রেফতার করেছে। টাকার পরিমাণ এতই নগণ্য ছিল যে, যা সাধারণত একজন মুটেমজুর বা খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত মানুষের পকেটে থাকা অস্বাভাবিক নয়। পকেটে টাকা পাওয়ার বিষয়টি ছিল একটি অজুহাত মাত্র, উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগ বিরোধী প্রার্থীকে নাজেহাল করা।

অপরাধ দমনের জন্য যেসব কঠিন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে তার সবগুলো আইন বাস্তবায়নের জন্য আইন করেই পুলিশকে প্রসিকিউশনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ফলে দিন দিন বাংলাদেশে ‘পুলিশ’ ক্ষমতা প্রয়োগে একটি অপ্রতিরোধ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। জনসমর্থন যা-ই থাকুক না কেন, মাঠের দখল থাকছে সরকার সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে, কারণ পুলিশ থাকে সরকারি দলের পক্ষে। নির্বাচন কমিশন আইন করে নির্বাচনী ব্যয় কাগজে-কলমে কমিয়ে দিয়ে একটি ভালো উদ্যোগ প্রদর্শন করলেও অলিখিত টাকা খরচের জোয়ার তো আর থেমে থাকছে না। যার বাজেট যত বড় তার নির্বাচনী প্রসার ঘটে তত বেশি। ওই বাজেটে পুলিশ-প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের জন্যও একটি অঙ্ক সংরক্ষিত রাখতে হয়, নতুবা নির্বাচনের চার-পাঁচ দিন আগে থেকেই পুলিশি অ্যাকশন কাকে বলে তা প্রার্থী হাড়ে হাড়ে টের পেতে থাকে। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অভিজ্ঞ সব প্রার্থীই বিষয়টি জানলেও পুলিশের পরবর্তী অ্যাকশনের ভয়ে মুখ খোলেন অতি সংগোপনে।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন করে নিরঙ্কুশ ক্ষমতাসীন হয়ে জাতীয় সংসদে ২০১১ সালে প্রণীত ১৪ নং আইনের ২১ ধারা বলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের পরিচ্ছেদটি সংবিধান থেকে বিলুপ্ত করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যতীত নির্বাচনে যাবে না প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ২০১৪ সালে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলেও শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি জোট ২০১৮-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও আওয়ামী আমলাতান্ত্রিক মেকানিজমের কাছে তারা টিকতে পারেনি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার বাইরে কোনো প্রার্থী নির্বাচনে জয়লাভ করার সুযোগ নেই। এখনো নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের প্রধান নিয়ামক হচ্ছে পুলিশ এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রক অর্থাৎ সিনিয়র ডিঙ্গিয়ে প্রোমোশন ও লোভনীয় পোস্টিং দেয়ার ক্ষমতা একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকে। তাকে রাজিখুশি রাখাই হচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসনের একমাত্র দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তা-ই হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো দাম আপাতত নেই।

সংবিধানে প্রণীত আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ দানের কথা থাকলেও স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এবারই সরকার একটি আইন প্রণয়ন করেছে যা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন করেনি। যে সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে, অনুরূপ সার্চ কমিটি ইতঃপূর্বেও করা হয়েছিল।

বিগত সার্চ কমিটিতে বিচার বিভাগ থেকে যাকে নেয়া হয়েছিল তিনিই এবার সার্চ কমিটির সভাপতি, যার সম্পর্কে বিরোধীদল তার পারিবারিক ইতিহাস তুলে ধরে সরকার ঘরানার লোক হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন, তবে তিনি আস্থার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন বলে মিডিয়াতে প্রকাশ করলেও বিষয়টির সম্পর্কে জনগণ এখনো অন্ধকারে রয়েছে। সার্চ কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক নির্বাচন কমিশনার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নমিনেশন প্রার্থী ছিলেন, অন্য একজন নারী কমিশনার যার স্বামীর সভাপতিত্বে গঠিত কমিটি প্রধানমন্ত্রীকে ‘দেশরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল। এমনিভাবে সার্চ কমিটি গঠন পক্ষপাতিত্বের প্রশ্নে গোড়া থেকেই কঠিন আস্থাহীনতায় পড়েছে। ফলে এ কমিটি অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি গঠিত নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য কসরত করে যাচ্ছে।

নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নির্বাচন কমিশনে যারাই নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছে তারাই তাদের মেরুদণ্ড সোজা রাখতে পারেনি। পাবলিক অফিস পরিচালনার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও মেরুদণ্ড শক্ত আছে এমন ব্যক্তি, বাংলাদেশের আমলাতন্ত্রে যার অনেক ঘাটতি রয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশনকে একটি আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা গেছে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা যায়নি।

নির্বাচন নামক প্রহসনে জনগণের সহস্র কোটি টাকা গচ্চা যায়। ব্যালট পেপার ছাপানো ও প্রার্থী যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যেই নির্বাচন সীমাবদ্ধ নয়। প্রার্থী ও সমর্থকদের নির্ভয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশগ্রহণের স্বাধীনতা ও ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেয়ার নিশ্চয়তা থাকতে হবে। সে নিশ্চয়তা দেয়ার একমাত্র মালিক-মোক্তার হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকারের মদদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে সরকারবিরোধী প্রার্থীকে ব্যাপক অত্যাচার-নির্যাতন করে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে সরকারি প্রার্থীকে জয়ী করার সব রাস্তা প্রশস্ত করে দেয়। প্রবাদ রয়েছে, ‘বাঘে ছুঁলে এক ঘা, আর পুলিশে ধরলে ১৮ ঘা’। নির্বাচনে পুলিশ দায়িত্ব নিয়েই সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে নগ্নভাবে উঠে পড়ে লাগে।

১৬ জানুয়ারি ২০২২ অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের হেফাজতের মামলায় গ্রেফতার করে নির্বাচন পরিমণ্ডলে জেলা পুলিশ একটি ত্রাস সৃষ্টি করে। নির্বাচনের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বলিষ্ঠ সমর্থকদের গ্রেফতার করে সরকারি দলের প্রার্থীকে জয়লাভের পথ সুগম করেছে। একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা প্রধান। সরকার পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রক তাই সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা মোটেই সম্ভব নয়। ফলে সার্চ কমিটির প্রস্তাবে যে নির্বাচন কমিশনই গঠিত হোক না কেন, একটি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। বিকল্প ব্যবস্থার সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত জনগণের মনোনীত প্রার্থী নয় বরং সরকারের কাঙ্ক্ষিত প্রার্থীই বিজয়ী হতে থাকবে।

স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট নয়। কারণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপরে কমিশনের কোনো প্রকার নিয়ন্ত্রণ নেই। নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো সভায় নির্বাচন কমিশন মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে একটি ‘ভাব’ দেখায় বটে। পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকার একটি বাহানামূলক সতর্কবাণী দেয়া হয়। সেটা কখনো বাস্তবায়িত হয় না। সরকারপ্রধান যা চাইবে, পুলিশ এর বাইরে যাবে না, আগেই বলেছি প্রমোশন ও সুবিধাজনক পোস্টিং সরকারের হাতে।

নবগঠিত নির্বাচন কমিশন শুরুতে হোঁচট খেয়েছে। হাবিবুল আউয়াল কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার আগে পেশাজীবী সংগঠনের সাথে আলোচনার সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় শিক্ষকসমাজের প্রতিনিধিদের সাথে ১৩ মার্চ আলোচনায় বসেন। সে আলোচনায় নুরুল হুদা কমিশনের অপকর্মের কথা উঠে আসে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াহিয়া আখতার বলেছেন যে, ‘ভোটের বাক্সের নাশতার সময় হচ্ছে সকালবেলা। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাশতার বদলে সাহরি খেয়েছে।’

অধ্যাপক ইয়াহিয়ার বক্তব্য মতে, দিনের ভোট রাতে হওয়ারই প্রমাণ পাওয়া যায়। নবাগত সিইসির ডাকে ৩০ জন আমন্ত্রিত অথিতির মধ্যে ১৭ জন উপস্থিত হওয়াই প্রমাণ করে, শিক্ষকসমাজ সিইসির ওপর কতটুকু আস্থাশীল? বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতার কারণে নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার কথা এ দেশবাসী বিশ্বাস করে না।

লেখক : রাজনীতিক, কলামিস্ট ও আইনজীবী
(অ্যাপিলেট ডিভিশন)
E-mail : [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement