ডাক্তারের বিলম্বে আগমন
- জসিম উদ্দিন
- ১৭ মার্চ ২০২২, ২০:৩৫
লেখাটি মানুষের দৈহিক রোগ শোক নিয়ে নয়। ডাক্তারের অবহেলা কিংবা ভুল ব্যবস্থাপত্র নিয়েও নয়। তবে এ লেখার সাথে চিকিৎসার একটি সম্পর্ক রয়েছে। সেটি সমাজ ও রাষ্ট্র নামক দেহের রোগের চিকিৎসা। এর চিকিৎসা করাতে হলে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বাইরে থেকে মিডিয়াকে ডাক্তারের ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। বিগত বছরগুলোতে আমাদের রাষ্ট্রে কত শত অসুখ হয়েছে তার কোনো হিসেব নেই। চিকিৎসক হিসেবে যাদের ব্যবস্থাপত্র দেয়ার কথা তাদের উপযুক্ত ভ‚মিকায় দেখা যায়নি। অনেক ক্ষেত্রে এসব অসুখ বাড়ানোর জন্য তারাই উল্টো ইন্ধন যুগিয়েছে। কেউ কেউ ভুল চিকিৎসাও দিয়েছে। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় কিংবা কৌশলে কথিত এই চিকিৎসকদের বিলম্বে আগমন ছিল চোখের পড়ার মতো। এতে করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কারো লাভ হয়নি।
গত ৭ই মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা থেকে খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর নামের ফরিদপুরের একজন ব্যক্তি গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও মুদ্রাপাচারের গুরুতর অভিযোগে মামলা রয়েছে। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাকে আটকের পর ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা পুলিশ আয়োজন করে একটি সংবাদ সম্মেলন। সেখান থেকে তার রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে পুলিশ। তাতে প্রতীয়মান হচ্ছে মোহতেশাম এক দুই বছর নয়, এক যুগ ধরে তিনি এসব অপরাধ করছেন। এমন আরো বহু অপরাধী প্রায়ই আমরা দেখে থাকি, যেমন: সাহেদ, সাবরিনা, পাপিয়া এ ধরনের নাম তাদের। দীর্ঘ দিন বিনা প্রতিরোধে বড় বড় অপরাধ তারা করে। পাকড়াও হওয়ার পর প্রশ্ন জাগে, জাতির বিরুদ্ধে জঘন্যসব অপরাধ এত দিন সবার চোখের সামনে কিভাবে তারা করে যেতে পারলেন?
বিশেষ করে প্রশ্ন জাগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তখন কোথায় ছিল? রাষ্ট্র নিযুক্ত গোয়েন্দা সংস্থার কাজটা আসলে কী? আরো প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশে বিপুল বিস্তার লাভ করা সংবাদ মাধ্যম নিয়েও। সত্য প্রকাশে তারা নিজেদের ঢোল অনেক বড় করে পেটায়। ধরে নিলাম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাকে না হয় ঘুষ-বাণিজ্যের এ সময় পোষ মানিয়ে নেয়া গেছে; কিন্তু আমাদের স্বাধীন সংবাদমাধ্যম কেন নিশ্চুপ ছিল? বিগত বছরগুলোতে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মুদ্রা পাচার চক্রের শত শত অভিযুক্তের নাম সামনে এসেছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একটি সাধারণ প্রবণতা আমরা দেখতে পেয়েছি, একজন অপরাধী যখন তার ষোলোকলা পূর্ণ করে, তার পরেই কেবল তাকে ধরা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে একটি বিশেষ বাছাই প্রক্রিয়াও দেখা যায়। সবাইকে কিন্তু ধরা হয় না। দেশে কোনো একটি অপরাধ যদি এক হাজার লোক করে থাকে তা হলে তার মধ্যে থেকে এক দু’জনকে ধরা হয়। অন্যরা পার পেয়ে যাচ্ছে।
এবার ধৃত ব্যক্তিকে সবাই মিলে ‘কাবাব’ বানায়। যত দোষ একাই এই ব্যক্তির! অন্য বাংলাদেশী আমরা সবাই ধোয়া তুলসী পাতা। প্রথম চোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধ দমনে কতটা সক্রিয় তার কৃতিত্ব তারা জাহির করে। তাকে নিয়ে তারা সংবাদমাধ্যমে একটা ট্রায়াল করে ফেলে।
এরপরের ধোলাই করে সংবাদমাধ্যম। এই সময় তারা ‘স্বাধীনতার’ পূর্ণ ক্ষমতা প্রদর্শন করে। একবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ট্রায়াল, আবার মিডিয়ার ট্রায়াল; দুটোর পর ওই ব্যক্তির সুনাম ধুলায় লুটায়। জাতির মধ্যে থেকে কারো কোনো ধরনের চেতনা দেখা যায় না এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য। অন্য দিকে কেউ সামান্য কৌত‚হল দেখায় না সাধু হয়ে থাকা বাকি ৯৯৯ জন অপরাধীকে নিয়ে। জাতির বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনে তারা কিছুমাত্র কসুর না করলেও তাদের সম্মান রক্ষায় সবাই যেন একাট্টা।
ধৃত ব্যক্তিটির বিরুদ্ধে মিডিয়া এমন অভিযোগ অনায়াসে প্রচার করে যা যাচাই বাছাই করারও প্রয়োজন মনে করা হয় না। জাতির একমাত্র শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বানিয়ে দেয়া হয় দানব। এটাই কি আমাদের দুর্নীতি, অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স? না এটি আমাদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা?
ফরিদপুরের মোহতেশামকে আমরা নিরপরাধ বলছি এমন নয়। আমরা বলতে চাই একটি অপরাধ যখন সংঘটিত হবে তখনই তার প্রতিকার করতে হবে। এ কাজটি আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী তাদের সহযোগিতার জন্য নিযুক্ত গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ উদ্যোগে অসম্ভব নয়। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এই ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে সাংবাদিকদের সেটা সামনে নিয়ে আসার কথা।
মোহতেশামের বিরুদ্ধে মিডিয়ায় বড় করে উপস্থাপিত হওয়া অপরাধচিত্রটি আমরা একটু দেখে নিই। একটি প্রধান দৈনিক ৯ মার্চ এ খবরটির তাদের প্রথম পাতায় সবার উপরে শিরোনাম করেছে, ‘ফরিদপুরের সব দরপত্র থেকে কমিশন পেতেন মোহতেশাম।’ বিস্তারিত বিবরণে আবার সাব হেড দিয়েছে, ‘খন্দকার মোহতেশামের যত কাণ্ড।’ এখানে দেখা গেল, তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকে নেতিবাচকভাবে রঙ লাগানোর চেষ্টা করা হলো। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যে পত্রিকাটি লিখল, ‘২০০৯ সালের মাঝামাঝি থেকে ফরিদপুরে, ভাই খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছায়া হিসেবে আবিভর্‚ত হন খন্দকার মোহতেশাম। তিনি খন্দকার মোশাররফের অলিখিত প্রতিনিধি হিসেবে ফরিদপুরের সব কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ করেন এবং আওয়ামী লীগে তার প্রভাব বিস্তার শুরু করেন।’ সারা দেশে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি ফরিদপুর থেকে আলাদা কিছু নয়। দলীয়করণ, আত্তীকরণ দেশের সব জায়গায় সমানে চলছে। সংবাদমাধ্যম ঠিক সময়ে এমন অগণতান্ত্রিক দলীয় আচরণের বিষয়ে জোরালো লেখাজোখা করলে শুধু মোহতেশাম নয়, সম্ভবত সারা দেশে এমন একদলীয় অরাজকতা তৈরি করা সম্ভব হতো না।
সাংবাদিকতার নামে মোহতেশাম কিভাবে হেয় হলেন রিপোর্টটি দেখুন। দলীয় ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে, মোহতেশামের মূল ব্যবসা ছিল মুরগি পালন ও ডিম বিক্রি। এ জন্য তিনি ফরিদপুরে ‘মুরগি বাবর’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ঢাকায় সম্ভবত ‘মুরগি মিলন’ নামে একজন সন্ত্রাসী ছিলেন। মুরগির খামার করা, মুরগি পালন ও ডিম বিক্রির জন্য তার নামটি কুখ্যাত ‘মুরগি মিলন’ হয়নি। তিনি একসময় মুরগির সরবরাহকারী ছিলেন। তাতেও অসুবিধার কিছু ছিল না। যে কেউ একটি ব্যবসা করতে পারেন। মূলত নির্মম কায়দায় খুন সন্ত্রাস করায় ‘মুরগি’ শব্দটি তার নামের সাথে গালি হিসেবে লেপ্টে গিয়েছিল। মুরগির খামার করে কিংবা এগুলো বেচাবিক্রি করে মোহতেশাম কোনোভাবে খারাপ কিছু করেননি। এলাকায় মানুষেরা তাকে যে কোনো নামে ডাকতেও পারে। মিডিয়া যদি সেটার পুনরুল্লেখ করে সেটি সাংবাদিকতার ভাষায় ‘কুৎসা রটানো’ হয়ে যায়। মিডিয়া এ কাজে সহযোগী হতে পারে না। এমন কাজই আমাদের মিডিয়া অহরহ করে চলেছে। একটি পত্রিকা নয়, আমাদের টোটাল সংবাদমাধ্যমের একই প্রবণতা আমরা লক্ষ করছি।
তার বিরুদ্ধে আরো অপরাধের বিবরণ প্রকাশ করা হলো। এগুলো তিনি গত বছর বা কয়েক মাস আগে করেছেন এমন নয়। বলা হচ্ছে, তিনি ফরিদপুরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিস, সড়ক বিভাগসহ সরকারি প্রতিটি ঠিকাদারির কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাকে অর্থের ১৫ শতাংশ দিতে হতো বলে তিনি ‘মিস্টার ১৫ শতাংশ’ হিসেবে পরিচিতি পান। পত্রিকার ভাষ্যে পাওয়া যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের অনেকে মোহতেশামকে বাজে স্বভাবের এবং একজন অপরাধী হিসেবে দেখছেন। অভিযোগকারীরা সবাই দলটির ফরিদপুর শাখার লোক। আবার তারা প্রভাবশালী। আমাদের রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিটি দেখুন, মোহতেশাম অপরাধটি যখন করেছেন পুলিশ, দলীয় লোক ও মিডিয়া সবাই চুপ। এখন সবাই একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। এটি একটি ভালো সমাজ ও রাষ্ট্রের লক্ষণ নয়। এগুলো আমাদের জাতীয় চরিত্রে সুবিধাবাদিতা ও দুর্বলতা। সবাই মিলে আমরা আসলে অপরাধের সহযোগী। এর মধ্য থেকে কেউ একজন কোনো কারণে ভাগ্যের ফেরে ছিটকে পড়লে তার বিরুদ্ধে সবাই মিলে একসাথে কামান দাগাচ্ছি।
পত্রিকাটির খবরের শুরুতে মোহতেশামের বিএনপি পরিচিতিকে বড় করে তুলে ধরা হয়েছে। এমন টোনে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিএনপি’ করা দোষের কিছু। এমন একটি দল থেকে এসে আসলে সে আওয়ামী লীগের চরিত্র নষ্ট করছে! পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে একসময় মোহতেশাম বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। অন্য দিকে খন্দকার পরিবারের পরিচিতিটা সেখানে গুরুত্বপূর্ণভাবে আসেনি। মোহতেশাম এক সময়ের আওয়ামী লীগের প্রতাপশালী মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের ভাই। সাবেক এই মন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই।
সুযোগ পেলে বিরোধী দল বিএনপিকে একচোট নেয়া আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংবাদমাধ্যমের একটি রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলটি বিগত এক যুগে রাষ্ট্রীয় অগণতান্ত্রিক আচরণের শিকার হয়ে এখন ধরাশায়ী অবস্থায় রয়েছে। আমরা দেখেছি, দলটির অন্যতম প্রধান নেতা তারেক রহমান নিয়ে মিডিয়ার প্রচারণার কৌশল। খালেদা জিয়ার অবর্তমানে দলটির মূল নেতা তিনি। হিসাব করলে দেশের মানুষের বৃহত্তম অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। তাকে ও হাওয়া ভবনকে জড়িয়ে যতটা নেতিবাচক খবর এ দেশের মিডিয়া রচনা করেছে, তার কিছু অংশ যদি বর্তমান জমানার অনিয়ম, লুটপাট, দুর্নীতি নিয়ে খবর দিত জনগণের জন্য কিছুটা হলেও নিস্তার মিলত। পত্রিকাগুলো তারেক রহমানের সাধারণ ছবি ছাপে না। তার কার্টুন ছাপা হয়। তাতে কার্টুনিস্টরা কতটা তাকে অপছন্দনীয় করা যায় তারই চেষ্টা চালান। কিছু দিন আগেও লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের অর্থের উৎস নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। অথচ আমাদের সামনে দিয়ে হাতি চলে যাচ্ছে, সে দিকে মিডিয়ার নজর নেই। প্রতি বছর গড়ে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে।
একটি শক্তিশালী বিরোধী রাজনৈতিক দল কতটা গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ এখন টের পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ ভোটের অধিকার হারিয়েছে। রাষ্ট্রীয় যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার স্বেচ্ছাচারী। সরকারকে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। বিরোধী দল শক্তিশালী থাকলে এভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে একতরফা সরকার চালানো সম্ভব হতো না। বাধ্য হয়ে জনগণের চাহিদার প্রতি তাদের সাড়া দিতে হতো। ‘মরা বিএনপিকে’ মিডিয়া আরো মারার পেছনে কার স্বার্থ, আমরা জানি না।
বাংলাদেশী মিডিয়া অপেশাদার ও পক্ষপাতমূলক। জঙ্গিবিরোধী প্রপাগান্ডায় তাদের অংশগ্রহণ ছিল দৃষ্টিকটু। সেটি ছিল আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা প্রকল্প। ওই সময় তারা এ দেশের ইসলামী রাজনীতিকে দমিয়ে দেয়ার জন্য সরকারের সহযোগী হয়েছে। তখন নিরপরাধ বহু মানুষ অসহায় হয়ে গিয়েছিল মিডিয়ার কারণে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চালানো ওই সব অভিযান নিয়ে সংশয় রহস্য শুরু থেকে ছিল। মিডিয়া খবর প্রচারের পরিবর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে খোলামেলা। এতে আমাদের রাষ্ট্রীয় সংহতি নষ্ট হয়েছে, জাতীয় ভিত্তি দুর্বল হয়েছে এবং দেশ বিপদে পড়েছে। এখনো সম্ভবত তারা তাদের এ ভুল নীতি স্বীকার করবে না। গত রোববার রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশী সংবাদ মাধ্যমগুলোর উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। তাতে তিনি বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট খবর প্রকাশ করছে বলে তার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সম্ভবত এবার মানুষের বুঝতে অসুবিধা হবে না যে, বাংলাদেশের গণমাধ্যম নিজেদের ভিত্তিভ‚মির ওপর দাঁড়ায়নি। এটি মূলত নানাভাবে প্রভাবিত হচ্ছে এবং ভুল বুঝের উপর দাঁড়িয়ে বড়াই করছে। রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মন্টিটস্কি স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট ও বিদ্বেষমূলক খবর প্রকাশ করছে। তার ছায়া পড়েছে বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে।’
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমেরিকার লড়াইটা কার বিরুদ্ধে ছিল, এ দেশের মিডিয়া সেটি বুঝতে পারেনি। তারা বাংলাদেশের মোল্লা মৌলভীদেরই জঙ্গি হিসেবে দেখেছে। ফলে ক্ষতি হয়েছে নিজের দেশের লোকদেরই। রাশিয়া বা অন্য কোনো দেশ এতে তখন আক্রান্ত হয়নি। এই যুদ্ধের অংশীদার মধ্যপ্রাচ্যের শাসকরাও ছিল। ফলে কেউ বাংলাদেশী মিডিয়াকে তখন বলেনি, এ বোগাস প্রচারণা থামান। এখন রাশিয়ান দূতাবাস আমাদের সংবাদমাধ্যমের অপেশাদারিত্বের দিকে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিলো। আমাদের অভ্যন্তরীণ যে গোলযোগ চলছে সংবাদমাধ্যম সেটিকে যদি শনাক্ত করতে পারে, জাতি লাভবান হবে। বিশেষত দুর্নীতি লুটপাট ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে মিডিয়া ভ‚মিকা রাখতে পারে। আমরা বলতে চাই, প্রতিটি অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে মিডিয়া বিলম্বে নয়, তাৎক্ষণিক সাড়া দেবে। তারা কেবল খবর দেয়ার দায়িত্বটি পেশাদারিত্ব ও সততার সাথে পালন করবে তাতে জাতি লাভবান হবে।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা