সাহিত্যে ইতিবাচকতা : একটি বইয়ের প্রসঙ্গে
- মুজতাহিদ ফারুকী
- ০১ মার্চ ২০২২, ২০:১৯
জনপ্রিয় লেখক, ঔপন্যাসিক ডা: মোহিত কামাল তার একটি বই নিজে থেকে উপহার দিলেন একুশের বইমেলায়। বই উপহার পেতে সব সময়ই ভালো লাগে। ‘দেহতরীর মনমাঝি’ নামের বইটি সম্প্রতি পড়া হলো।
ডা: মোহিত কামালের গল্প উপন্যাস শিশুতোষ রচনা ও গবেষণাগ্রন্থ মিলিয়ে বইয়ের সংখ্যা সম্ভবত ৬০ পেরিয়েছে। কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক উল্লেখযোগ্য পুরস্কার। বলা যায়, তিনি রীতিমতো কীর্তিমান যশস্বী লেখক। তার সাথে চেনাজানা বহু বছরের। বইমেলায়ই প্রকাশকের স্টলে পরিচয়। মোহিতের বই প্রথম প্রকাশ হলে মেলার স্টলে বসেই পাতা উল্টেছি। কাজটা সব সময় করি। আড্ডার ফাঁকে নতুন কোনো বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টে লেখকের কব্জির জোরটা বুঝে নেয়ার চেষ্টা। ভালো লাগলে সেটি পড়ে লেখকের মন ও মনের কথা বোঝারও চেষ্টা করি। দেখেছি মোহিতের বই দেদার বিক্রি হচ্ছে। লেখকের অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য পাঠকের আগ্রহ দেখেছি। যেমনটা মুগ্ধ বিস্ময়ে দেখতাম হুমায়ূন আহমেদের নতুন বই সংগ্রহে মেলার স্টলে হাজারও তরুণ-তরুণীর মরিয়া চেষ্টা।
এর আগে মোহিত কামালের একটিও উপন্যাস বা অন্য কোনো বই পড়া হয়নি। কেন পড়া হয়নি? সহজ করে যদি বলি, তার লেখা টানেনি। তাই তিনি যখন ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ পান তখন বিস্ময় জাগে। কী আছে মোহিত কামালের বইতে? যে বইটি পড়া হলো সেটি সামনে রেখে বলি। অনন্য একটি বিষয় আছে তার লেখায়। অন্য কোনো লেখকের গল্প-উপন্যাসে এটি পাওয়া যাবে না। সে বিষয়ে যাবার আগে একটু ভূমিকা দিয়ে নিই।
মোহিত কামাল মনোবিদ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। মানুষের মনের নানা জটিল-কুটিল অন্ধিসন্ধি, আলো-অন্ধকার, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া তার জানা। সেগুলো মানুষের মধ্যে বাস্তবজীবনে কিভাবে কাজ করে সেটি তিনি হাতে কলমেই বিস্তারিত জানার সুযোগ পান রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে। কিন্তু যে লেখক মনোচিকিৎসক নন, তিনি কাছের বা দূরের মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে, তাদের জীবনযাত্রা, আচার-আচরণ, চলন-বলন, চিন্তা-ভাবনার নিবিড় পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বইপুস্তক পড়ে সারা জীবন ধরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। তারই ভিত্তিতে মন-এর একটা ছবি সাজিয়ে নেন নিজের মনে। মোহিত সেই অভিজ্ঞতা সহজে পেয়ে যান পেশার সুবাদে। মানবচরিত্র বুঝে নিতে এটি তার বাড়তি সুযোগ। তবে সেই অভিজ্ঞতা লেখক কিভাবে তার লেখায় প্রয়োগ করবেন সেটাই মূল বিষয়।
উপন্যাস জিনিসটিই প্রধানত মনস্তাত্ত্বিক জটিলতানির্ভর। লেখকের কাজ হলো মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা, দ্বন্দ্ব ও টানাপড়েনের ভেতর দিয়ে মূলত মানুষের মনের স্বরূপ উন্মোচন করা। এজন্যই বাংলায় সামাজিক, রাজনৈতিক, রোমান্টিক, ঐতিহাসিক উপন্যাস থাকলেও আলাদা করে মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস বলে কোনো ক্যাটাগরি নেই। সামাজিক উপন্যাসে সমাজ নিয়ন্ত্রণ করে চরিত্রকে, ঐতিহাসিক উপন্যাসে ইতিহাস নিয়ন্ত্রণ করে উপন্যাসের চরিত্র ও পরিণতিকে, তেমনি কিছু উপন্যাস সমাজ ও বাইরের পট থেকে চরিত্রগুলোকে মানব মনের গোপন রহস্যের দিকে টেনে নিয়ে যায়। সামাজিক সঙ্ঘাতের চেয়ে ব্যক্তি সঙ্ঘাত উপন্যাসে চরম দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে। আবর্ত সৃষ্টি করে মানব সম্পর্কের ভেতরে। এগুলো মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস। কিন্তু এজন্য আলাদা শ্রেণি চিহ্নিত করার প্রয়োজন পড়ে না।
কারণ, ঔপন্যাসিকের লক্ষ্য হলো ঘটনার ঘনঘটায় চরিত্রগুলোর মানসিক জটিলতা বা দ্বন্দ্বের রূপ তুলে ধরা। সুতরাং সব উপন্যাসই মনস্তাত্ত্বিক। বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণ, মানিক হয়ে পরবর্তী যে উপন্যাসের ধারা তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট। লেখক কখনোই তার চরিত্রের মানসিক সঙ্কট নিরাময়ের লক্ষ্য নিয়ে উপন্যাস লেখেন না। এটি তার কাজই নয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চরিত্রের মধ্যে সম্ভাব্য মানসিক জটিলতা ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে মনের নিগূঢ় রহস্যের উপলব্ধি ও তার উদঘাটন পর্যন্তই লেখকের কাজ। যেমনটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘সাহিত্যের আধুনিক পর্যায়ের পদ্ধতি হলো ঘটনা পরম্পরায় বিবরণ দেয়া নয়, বিশ্লেষণ করে চরিত্রের আঁতের কথা বের করে দেখানো।’ এ প্রসঙ্গে মনে করতে পারি বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় বা বনফুলের লেখা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্প ‘মানুষের মন’। প্রিয়জনের প্রতি স্নেহ কিভাবে মানুষকে তার নিজের সারা জীবনের শিক্ষা-দীক্ষা, চিন্তা-ভাবনা, ধর্ম-আদর্শ সবকিছু থেকে সমূলে উৎখাত করে দিতে পারে গল্পটি সেই কথা বলে। আর সেখানেই লেখকের দায়িত্ব খতম। পাঠক বুঝে নেবেন, বাস্তবজীবনে একইরকম পরিস্থিতিতে তার কী করণীয়, কোন আচরণ শোভন, কোন দায় তার কাছে প্রত্যাশিত। এভাবেই সাহিত্য, গল্প-উপন্যাস, নাটক মানুষকে পথ দেখায়।
ডা: মোহিত কামাল এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তিনি মনোবিজ্ঞান ও মনোরোগবিজ্ঞান (সাইকোলজি ও সাইকিয়াট্রি) নামের দুটি বিদ্যাকে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলোর আচরণ ব্যাখ্যায় ব্যবহার করেন। মানুষের আচরণ তিনি বিচার করেন মনোবিজ্ঞানের আবিষ্কৃত তত্ত্ব ও সূত্রের ভিত্তিতে। সঙ্কটের সমাধান বা নিরাময়ও বাতলে দেন ওই মনোরোগবিজ্ঞানের সুনির্দিষ্ট সূত্র ব্যবহার করে। আলোচিত বইটিতে দেখছি চরিত্রের ওপর মনোবিজ্ঞানের তত্ত্বের প্রয়োগ। কোনো ঘটনা বা বাইরের উদ্দীপকের প্রতি মন কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এবং সেই প্রতিক্রিয়া কতটা যথার্থ বা অযথার্থ সেই ডায়াগনসিস করেন মোহিত কামাল এবং সম্ভাব্য ব্যবস্থাপত্র দেন। তিনি নিজে যেটিকে বলেন, ‘বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে সামাজিক বিভিন্ন সঙ্কট চিহ্নিত করার পাশাপাশি তা থেকে উত্তরণের একটা পথ খোঁজার চেষ্টা।’ (নিজের একটি উপন্যাস প্রসঙ্গে ২০২১ সালে বলেছিলেন মিডিয়াকে) এটি অনেকটা বিজ্ঞান ও ইতিহাস সামনে রেখে তার ভিত্তিতে ধর্ম ও মানুষের ধর্মীয় আচরণের ব্যাখ্যা দেয়ার সাম্প্রতিক প্রয়াসের অনুরূপ। সেদিক থেকে আমার মনে হয়েছে মোহিতের ‘দেহতরীর মনমাঝি’ আরিফ আজাদের লেখা ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ গ্রন্থের সমগোত্রীয়। ওই বইতে ছোট ছোট গল্পের আকারে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ের যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেগুলোকে আমরা ছোটগল্প বলতে পারি না।
এবার আসি ‘দেহতরীর মনমাঝি’তে অনন্য কী আছে সে প্রসঙ্গে। সেটি হলো লেখকের এক অসাধারণ ইতিবাচক মনোভঙ্গি। এই মানসপ্রবণতা পাঠক হিসাবে আমাদের মুগ্ধ করে। আমাদের সমাজে তরুণ-তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক অভিভাবকের কাছে প্রায়শ গ্রহণযোগ্য না হওয়ার নানা কারণ থাকে। মোহিত বেছে নিয়েছেন বয়সের অসামঞ্জস্য থেকে সৃষ্ট জটিলতা। এক্ষেত্রে প্রেমিকের চেয়ে প্রেমিকার বয়স তিন বছর বেশি। আমরা যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী তাদের কাছে এটি কোনো সমস্যা নয়। ৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দে আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ সা: তাঁর চেয়ে ১৫ বছরের বড়, বিবি খাদিজাকে বিয়ে করেছিলেন।
যাই হোক, মোহিতের উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নিলয়ের বাবা মেয়ের বয়স বেশি বলে এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। তিনি মেয়ের বাবার সঙ্গে দেখা করে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এক পর্যায়ে ছেলে নিখোঁজ হলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে মেয়ের পরিবারকে হেনস্তা করেন। নিলয়ের নিখোঁজ হওয়া ও তাকে খুঁজে পাওয়ার মধ্য দিয়ে বইটি শেষ হয়। দেখা যাচ্ছে, নিলয় প্রেমে বাধা পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। অতীত জীবনের কোনো ঘটনাই তার মনে থাকে না। মনোবিজ্ঞান বলে, এমনটি সম্ভব। আবার যে কারণে মনের ভারসাম্য বিনষ্ট হলো সেই কারণটি সরে গেলে সেরে ওঠাও সম্ভব। বাংলা সাহিত্য ও ছায়াছবিতে বহুল ব্যবহৃত এই অনুষঙ্গটি মোহিত কামাল ব্যবহার করেছেন। আর কাজটি তিনি করেছেন সহৃদয় এক চিকিৎসকের আন্তরিকতা নিয়ে।
পুরো উপন্যাসে লেখক একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রতিটি ঘটনা দেখার এবং ব্যাখ্যা করার সচেতন প্রয়াস পেয়েছেন। সঙ্কটের শুরুতে বাবা তার মেয়ে তনিমাকে বলছেন, ‘সবার যাপিত জীবনে শৃঙ্খলা থাকলে কোনো টেনশন ছাড়াই পরিবারের সুখ টিকে থাকে।’ এক পর্যায়ে বাবা তনিমাকে নিয়ে সপরিবারে বেড়াতে যান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে, তনিমার মনের যাতনা উপশমে এটি হলো যথার্থ থেরাপি। বোটে চড়ে যমুনা নদীতে ঘোরার সময় বাবা তনিমাকে বলছেন, মুখ নিচু করে থেকো না। ‘উপরে তাকাও। দেখো নীল আকাশ। পানির আওয়াজ শোনো। দেখো, কত সুন্দর চারপাশ।’ মেয়ে মাথা তুলে দেখে। বুঝতে পারে, ‘কী মমতার সংসার ওদের। কী ভালোবাসার সংসার! ওদের কথা ভাববে না? স্বার্থপরের মতো কেবলই ভাববে নিজের আবেগের কথা!’
এই পর্যায়ে লেখক বলছেন, ভাবনার স্রোত ঘুরে গেছে। ওই স্রোত এখন ছুটছে চেনা পথে, আলোর পথে, অচেনা নতুন গলিতে। ওই গলিতে কেবল নিলয় নয়, আছে সবাই। আছেন বাবা, মা, ছোটভাই। অর্থাৎ শুধু প্রেমিকের কথা ভাবলেই চলবে না। পরিবারকে গুরুত্ব দিতে হবে। এভাবে যদি মন নিয়ন্ত্রণ করা যেত তাহলে মানুষ আর প্রেমের জন্য বাবা-মা, পরিবার-পরিজন, ধর্মকর্ম এমনকি রাজ্যপাট পর্যন্ত ছেড়ে যেত না। সমাজে কোনো সমস্যাও থাকত না। মনোবিদেরও আদৌ দরকার থাকত বলে মনে হয় না। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম ও আদর্শ ইত্যাদি প্রতিটি উপাদানের বেঁধে দেয়া নিয়মেই মানুষ চলত।
লেখকের এই ঔচিত্যবোধের প্রকাশ উপন্যাসের সর্বত্র। তিনি যখন পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরেন, মনে হয় বাংলাদেশের নয়, কোনো স্বপ্নলোকের পুলিশ ফেরেশতার মতো সদাচরণ করছে মানুষের সঙ্গে। এই ইতিবাচক মনোভাবকে অনন্য বলছি কেন? এ কারণে যে, শুরু থেকেই আমাদের ঔপন্যাসিকরা আধুনিক হওয়ার তাগিদ থেকে বারবার সমাজ ভাঙার প্রয়াস পেয়েছেন। আধুনিক হতে হলে কুসংস্কার ভাঙতে হবে। সামাজিক কুপ্রথা ভাঙতে হবে। ভাঙতে হবে সব রকমের কূপমণ্ডূকতা। হতে হবে বিজ্ঞানমনস্ক। এই বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে নর-নারীর রোমান্টিক সম্পর্কের সূত্র ধরে। নারী হয়ে উঠেছে সমাজকে আঘাত করার প্রধান হাতিয়ার। বঙ্কিমের মতো যে রক্ষণশীল গোঁড়া মানুষ, তারও উপন্যাসে দেখা গেল ইংরেজ সাহেবের প্রেমে পড়ে গ্রামের সাধারণ গৃহবধূ পর্যন্ত সমাজ সংসার সব তুচ্ছ করে ছুটে যাচ্ছে। পাশ্চাত্যের প্রভাব সেই থেকে আজ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের ঘাড় থেকে নামেনি। কী বাহ্যিক কাঠামোতে, কী অন্তর্গত উপকরণে। আর এই অবিরাম ভাঙার খেলায় সমাজের কতটা উপকার হয়েছে তার হিসাব কেউ নেয়নি। তবে আমরা দেখছি, সামাজিক সঙ্কট কমেনি বরং নানা ডালপালা ছড়িয়ে বিপুল মহীরুহ হয়ে উঠেছে।
আল মাহমুদের কবিতা মনে পড়ে :
‘সবাই বলে ভাঙ্গো ভাঙো, কেউ কি কিছু ভাঙে?
ষাটের দশক বগল বাজায়, বউ নিয়ে যায় লাঙে।’
শরৎচন্দ্রের মতো কেউ কেউ সমাজভাঙার বিপরীত মন্ত্রও শুনিয়েছেন। সমাজকে আঘাত না করে এর মধ্যে সুন্দর স্বাভাবিক যা কিছু তার স্বীকৃতির কথা বলেছেন। তবে তা সম্ভবত খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। মোহিত কামাল রক্ষণশীল নন। একজন আধুনিক মানুষ। তার লক্ষ্য জীবনকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখা। মানুষের মানসিক স্থৈর্য অটুট রাখা, যেমন থাকে একজন চিকিৎসকের। এই বিবেচনায় ‘দেহতরীর মনমাঝি’ ভালো লাগে। উপন্যাস হিসেবে যেমনই হোক, এর স্বাস্থ্যসেবকের ভূমিকার জন্য বইটি অনন্য। ডা: মোহিতের লেখা যত বেশি পাঠকের কাছে পৌঁছবে, যত বেশি পঠিত হবে জাতির মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ততই মঙ্গল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা