২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গণভবন-বঙ্গভবন-মন্ত্রী-এমপিদের মর্যাদা এখন কোথায়

-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন আবাসিক ছাত্র হিসেবে স্যার এ এফ রহমান হলের বাসিন্দা ছিলাম। রুমমেট হিসেবে আমি যাকে পেলাম তার নাম তরিকুল। আইন বিভাগের ছাত্র ছিলাম আর তরিকুল ছিল অর্থনীতি বিভাগের। আমাদের সময়ে আইন এবং অর্থনীতি দুটো বিষয়ই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের পছন্দের তালিকায় একেবারে শীর্ষে। কেবল ভালো ছাত্র অথবা এসএসসি-এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করলেই এই বিষয়গুলোতে চান্স পাওয়া যেত না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের পাশাপাশি মেধা তালিকায় চার শ’ জনের মধ্যে থাকতে হতো। এর বাইরে আইনের জন্য বাংলা ও ইংরেজিতে ভর্তি পরীক্ষায় নির্ধারিত নম্বর এবং অর্থনীতির জন্য সংগিশ্লষ্ট বিষয়ে নির্ধারিত নম্বর পাওয়া আবশ্যক ছিল।

আমার বন্ধু তরিকুল উল্লিখিত শর্তগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়েছিল। সে এসেছিল যশোর জেলার এক অজপাড়াগাঁ থেকে এবং সম্ভবত মফস্বলের কোনো কলেজ থেকে স্টার নম্বরসহ মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছিল। তার কথাবার্তা ছিল একেবারেই গেঁয়ো এবং পোশাক আশাকের শ্রীও তদ্রূপ। সে সারাক্ষণ লেখাপড়া করত আর সময় পেলে শহুরে জীবনে কিরূপ অভ্যস্ত হওয়া যায় এবং কিভাবে দ্রুততম উপায়ে স্মার্ট হওয়া যায় তা নিয়ে আমার সঙ্গে পরামর্শ করত। একদিন হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, তরিকুল আপন মনে কী যেন ভাবছে। আমি জিজ্ঞাসা করতেই সে বলল, দোস্ত আমি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি এবং ঢাকাতে থাকছি এ কথা গ্রামের লোকজন বিশ্বাস করছে না। এখন কী করা যায় বলো তো? সরাসরি তার গ্রামের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলাম- ‘আচ্ছা তুমিই বলো, কিভাবে তোমার গ্রামের পাড়া-প্রতিবেশী এবং আত্মীয়স্বজনকে তোমার ব্যাপারে বিশ্বাস করানো যায়?’ আমার বন্ধু তরিকুল বর্তমানে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের উঁচু পদে চাকরি করছে এবং কর্মস্থলে পদোন্নতিসহ নানা রকম কর্ম-দক্ষতায় বেশ সুনাম করেছে। আজ বহু বছর পর তরিকুলের কথা মনে এলো এই কারণে যে, ঘটনার দিন সে আমাকে এমন অদ্ভুত একটি কথা বলেছিল যার রসঘন মর্মকথা আমি কোনো দিন ভুলতে পারব না। সে যশোরের আঞ্চলিক ভাষায় বলেছিল, দোস্ত! আমি যদি ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে অনেক ছবি তুলি এবং সেই ছবি গ্রামের মানুষকে দেখাই তবে তারা বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে যে, আমি ঢাকা থাকি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। তরিকুলের কথার জবাবে বললাম- তা কোথায় কোথায় ছবি তুলতে চাও? সে বলল- এই ধরো বঙ্গভবনের সামনে, গণভবনের এবং সংসদ ভবনের কাছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল এবং ভাস্কর্যের সামনে। আমি বললাম, তা বেশ! আমার ক্যামেরা আছে- শুধু ফিল্ম কিনলেই হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, তুমি তো ম্যালা কৃপণ। ওসব জায়গায় রিকশা করে যেতে তোমার তো অনেক খরচ হবে। তরিকুল আমার হাত দু’খানি চেপে বলল, দোস্ত! রিকশায় যাওয়া লাগবে না। আমরা টাউন সার্ভিস নীল বাসে করে যাবো। খরচ অনেক কম পড়বে।

তরিকুলের সাথে বিভিন্ন স্পটে গিয়ে ছবি তোলা এবং টাউন সার্ভিস নীল বাসে চড়ার অভিজ্ঞতা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করলে একটি ছোটখাটো উপন্যাস হয়ে যাবে বিধায় আমি আর এই প্রসঙ্গে কথা না বাড়িয়ে বরং আজকের শিরোনাম সম্পর্কে আলোচনা শুরু করি। শিরোনামের বিষয়বস্তুর যথার্থতা বুঝানোর জন্য আশির দশকের প্রথম দিকের ঢাকা শহর এবং গ্রাম থেকে উঠে আসা একজন মেধাবী তরুণের চিন্তাচেতনায় গণভবন-বঙ্গভবন এবং সংসদ ভবনের গুরুত্ব কেমন ছিল তা আমার বন্ধু তরিকুলের কথাবার্তার মাধ্যমে হয়তো কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছেন। ওই সময়টিতে স্বৈরাচারী এরশাদের শাসন ছিল। রাজপথে সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং সারা দেশে এরশাদবিরোধী প্রচার-প্রপাগান্ডা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু তার পরও মানুষ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন না। বরং বঙ্গভবন এবং সংসদ ভবনকে কেন্দ্র করে মানুষের আবেগ-অনুভূতি, শ্রদ্ধা-ভালোবাসা এবং আগ্রহের কোনো কমতি ছিল না। এরশাদ জমানায় যেহেতু রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা কায়েম ছিল সেহেতু প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গণভবন বহু দিন পর আলোচনায় আসে এবং পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সেই মেয়াদের শেষপ্রান্তে এসে মাত্র এক টাকার বিনিময়ে যখন গণভবন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নামে বন্দোবস্তু দেয়ার আইন পাস হয় তখন দ্বিতীয়বারের মতো লাল ইটের তৈরি ভবনটি ফের আলোচনায় আসে।

গণভবন নিয়ে তৃতীয় দফা আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি হয় ২০১৮ সালের শেষের দিকে যখন সম্মিলিত বিরোধী দলের নেতারা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিমন্ত্রণে খানা খেতে ওখানে যান। সে দিন কী আলোচনা হয়েছিল অথবা কারা কারা নিমন্ত্রিত হয়েছিলেন এ বিষয়াদির চেয়ে সেই অনুষ্ঠানে কোন কোন খাবারের আয়োজন ছিল এবং নিমন্ত্রিতরা কে কিভাবে সেই খাদ্য গ্রহণ করেছিলেন সেই দৃশ্যের ভিত্তি ও ফুটেজ গুরুত্বসহকারে প্রচার করা হয়েছিল এবং জনগণ গভীর মনোযোগসহকারে তা দেখেছিলেন বটে। সেই ঘটনার পর গণভবন নিয়ে মাঝে মধ্যে আলোচনা হয় যখন প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর শেষে দেশে ফেরেন এবং তার স্নেহধন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। গণভবনের পক্ষ থেকে সেটিকে ‘সংবাদ সম্মেলন’ বলা হলেও জনগণ সেই সম্মেলনকে কী বলেন তা আমি বলতে পারব না।

গণভবনের পর যদি আমরা বঙ্গভবন নিয়ে আলোচনা করতে চাই তবে প্রথমে যে তথ্যটি প্রকাশ করা দরকার তা হলো এই ভবনটি আদতে অর্থাৎ আদিকালে কী ছিল। ইতিহাসবিদরা বর্ণনা করেন যে, সুলতানি জমানার শেষ দিকে হজরত শাহজালাল দক্ষিণী নামক একজন সুফি সাধক তার সঙ্গী-সাথীসহ তৎকালীন শাসকের গুণ্ডাদের হাতে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তাদের লাশ বর্তমান বঙ্গভবন চত্বরে মাটিচাপা দেয়া হয়। কালের পরিক্রমায় বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে ধর্মপ্রাণ লোকজন সেখানে একটি মাজার গড়ে তোলেন। পরবর্তীকালে ব্রিটিশ জমানায় ঢাকার নবাবদের জমিদারির অধীন বঙ্গভবন এলাকাটিকে একটি প্রমোদ কেন্দ্ররূপে গড়ে তোলেন নবাব আব্দুল গনি। তিনি এখানে একটি বাইজিখানা গড়ে তোলেন এবং নাম দেন দিলকুশা গার্ডেন। পরবর্তীকালে বঙ্গভঙ্গের সময় লর্ড কার্জন এই বাইজি মহলটি অধিগ্রহণ করেন এবং এখানে একটি সরকারি অডিটরিয়াম নির্মাণ করেন যা দরবার হল নামে পরিচিত ছিল। তিনি এখানে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করে অস্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন।

লর্ড কার্জনের পর বাংলা এবং আসাম প্রদেশের লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার জোসেফ ব্যামফিল্ড ফুলার লর্ড কার্জন নির্মিত অডিটরিয়াম বা দরবার হলে সরাকারি দফতর খোলেন এবং নাম দেন গভর্নর হাউজ, যা ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বহাল থাকে। পাকিস্তান জমানায় এই ভবনটি নিয়ে বহু কেলেঙ্কারি হয় এবং সেসব কেলেঙ্কারির মধ্যে ১৯৬১ সালে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় এবং বজ্রপাতে পূর্ববঙ্গের কথিত গভর্নরের সরকারি বাসভবনরূপে পরিচিত আদিকালের কবরস্তান এবং তৎপরবর্তী বাইজি মহলটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চার বছর ধরে মেরামত বা পুনঃনির্মাণের পর ১৯৬৪ সালে এটিকে পুনরায় বাসাযোগ্য করে গড়ে তোলা হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গভবন নিয়ে কী ঘটেছে বা ওই ভবনের মধ্যে কী হয়েছে তা আমরা কমবেশি জানি। সুতরাং এই বিষয়ে বিস্তারিত না বলে বরং সংসদ ভবন নিয়ে আলোচনা শুরু করি। আমাদের সংসদ ভবনটি নির্মাণ শুরু করেন পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান ১৯৬১ সালে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভবনটির নির্মাণকাজ শেষপর্যায়ে এসে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এরশাদ জমানায় এটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় এবং এরশাদের মন্ত্রী-এমপিরা সর্বপ্রথম এই আইকনিক এবং আইয়োনিক ভবনটিতে কার্যক্রম শুরু করেন। এরশাদের অধীনে ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে যারা এমপি হয়েছিলেন এবং তার অনুগ্রহে যারা মন্ত্রী হয়েছিলেন তাদের কার্যক্রম কর্থাবার্তা-আচরণ-অঙ্গভঙ্গি, দুর্নীতি এবং অন্যান্য কুসর্গ বর্তমান জমানায় এসে এমপি-মন্ত্রী শব্দের বাহার কতটা মজবুত করেছে তা বলাই বাহুল্য।

বর্তমানকালে রাজনীতির সাথে রাতের ভোট, ভোটচোর, বিনা ভোট শব্দগুলো যুক্ত হয়ে যেসব তথাকথিত পদ-পদবি এবং প্রতিষ্ঠান অথবা ভবনের রূপমাধুর্য ছড়িয়ে পড়ছে তার ফলে সেই আশির দশকের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেধাবী তরুণ আমার বন্ধু তরিকুলের মতো কেউ বর্তমান জমানায় নিজের আত্মপরিচয় এবং অবস্থানকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য কোনো ভবনকে সাক্ষী হিসেবে দাঁড় করাবেন বলে আমি মনে করি না। একইভাবে মন্ত্রী-এমপি বলতে পৃথিবীর সভ্য দেশে সভ্য মানুষের মন-মানসে যে ধারণা লালিত হয় এবং এই শব্দগুলো নিয়ে মানুষের মধ্যে যে শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে অথবা বিশ্বাস-আস্থা ও নেতৃত্বের প্রশ্নে জনগণ যেভাবে মন্ত্রী-এমপি পদগুলোকে মনের সভ্যতাকে এগিয়ে নেয়ার রকেট হিসেবে বিবেচনা করে সেখানে রাতের ভোটের ‘অটো’ এমপি, ভোট চুরির দ্বারা পয়দা হওয়া এমপি অথবা ভোটারবিহীন নির্বাচন নির্বাচন খেলার মাধ্যমে তৈরি হওয়া এমপিদের জনগণ কিভাবে মর্যাদা দেয় তা যদি বুঝতে চান তবে নিউ মার্কেটের মুরগিপট্টিতে গিয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসতে পারেন।

আমরা আজকের আলোচনার একদম শেষপর্যায়ে চলে এসেছি। লেখা শেষ করার আগে উপসংহারে যে কথা বলতে চাই- ইতিহাস সাক্ষী! একজন স্বনামধন্য অলি আল্লাহকে সঙ্গী-সাথীসহ হত্যা করে যেখানে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে, সে স্থানটি দীর্ঘ দিন পরিত্যক্ত থাকার পর সেখানে মাজার তৈরিতে কোনো সমস্যা হয়নি। আবার একই স্থানে বাইজিখানা, দরবার হল, গভর্নর হাউজ বা বঙ্গভবন তৈরিতে লোকজন কোনো দিন মাথা ঘামায়নি। লোকজন কেবল তখনই মাথা ঘামিয়েছে যখন ওখানে বসে কেউ একজন মোনায়েম খাঁ অথবা খন্দকার মোশতাকের মতো আচরণ করেছে। আবার সেই পাকিস্তান জমানায় আইয়ুববিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন সেই ভবনের বাসিন্দা হিসেবে লোকজন গভর্নর আজম খানকে পেয়েছিল; তখন শ্রদ্ধা-ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতায় বিগলিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু যখন গণভবনের বাসিন্দা ছিলেন তখন ভবনটির গৌরব এবং গুরুত্ব যেভাবে বেড়েছিল তা বাকশাল প্রতিষ্ঠার আগে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থা চালু, রক্ষীবাহিনীর গুম-হত্যা-ক্রসফায়ার, ’৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ ইত্যাদির কারণে কোন পর্যায়ে নেমে গিয়েছিল তা ইতিহাসের পাঠক মাত্রই জানেন। একইভাবে জাতীয় সংসদ ভবনের গুরুত্ব এবং সংসদ সদস্যরূপে বিভিন্ন মেয়াদে আমরা যাদের জানি তাদের মান-মর্যাদা আমরা কিভাবে বিবেচনা করি তা বোধ করি বিস্তারিত ব্যাখ্যা না করলেও সম্মানিত পাঠকবৃন্দের বুঝতে অসুবিধা হবে না।

আমি মনে করি, প্রতিটি মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান বিষয় হলো সময়। সময়কে কাজে লাগানোর জন্য মানুষের যে জিনিসটি সবচেয়ে সহায়ক তা হলো তার নৈতিক চরিত্র। প্রয়োজনীয় শিক্ষা, ধর্মবোধ, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, ন্যায়বিচার এবং সুশৃঙ্খল পরিশ্রম ছাড়া চরিত্র গঠন অসম্ভব। চরিত্রহীন মানুষ যে ভবনের বাসিন্দা হবে যেখানে মানবিক বিপর্যয় এবং খোদায়ি গজব অনিবার্য। অন্য দিকে চরিত্রবান মানুষ যদি বিরানভূমিতেও বসতি স্থাপন করে তবে সেখানে গোলাপ বাগানের সৃষ্টি হয়ে যায়। আর এসব মানুষ যখন এমপি-মন্ত্রীরূপে জমিনে পদচারণা করতে থাকে তখন আল্লাহর তাবৎ সৃষ্টিকুল তাদের সাহায্যকারী শক্তিরূপে কাজ করে এবং তাদের জন্য জমিনের সর্বোচ্চ মান-মর্যাদা নিশ্চিত করে। অন্য দিকে চরিত্রহীনরা যদি উঁচু পদের বাহক এবং ধারক হয়, তবে তাদের দুর্গন্ধ যেকোনো মৃত প্রাণীর গলিত লাশের দুর্গন্ধের চেয়েও প্রকট হয়ে পড়ে।

লেখক : সাবেক এমপি


আরো সংবাদ



premium cement