২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্রদীপের বিচারও সম্ভব হলো

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ পদে পদে অধিকার হারা, অসহায়, বঞ্চিত। বিশেষ করে বিচার প্রশাসনের অবস্থা লেজেগোবরে। রাষ্ট্রে বড় বড় অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। অপরাধের হোতারাই আবার সমাজে বুক চিতিয়ে চলেন। তাদের ব্যাপারে আইন আদালত ‘মিঁউ মিঁউ’ করে। অন্য দিকে একই প্রশাসনকে অত্যন্ত শক্তিশালী দেখা যায় জনসাধারণের প্রান্তিক গোষ্ঠীর ওপর। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর আবার শক্তি প্রয়োগের বাড়তি মাত্রা দেখা যায়।

বিএনপির বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা এক লাখ ১০ হাজার। এতে ৩৬ লাখের বেশি আসামি। মনে হতে পারে এ দলটি চালায় চোর বাটপাড় সন্ত্রাসী লুটেরারা। অথচ বিগত দেড় যুগ ধরে এই দেশে বহু বড় অপরাধ হয়েছে; এগুলোর কোনোটির সাথে তাদের সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগই ছিল না।

সরকারি বাহিনীর নির্যাতনের স্টিমরোলারে দীর্ঘ দেড় যুগ বিরোধীরা অপরাধ করা তো দূরের কথা, ঘর থেকেই বের হতে পারেনি। কোনো রকমে পালিয়ে এলাকা ছেড়ে তাদের বাঁচতে হয়েছে। অন্য দিকে জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থ লুট, খুন ও সন্ত্রাসের ঘটনাগুলো এ সময়ে ঘটেছে। এ সময়ের সংঘটিত বড় অপরাধগুলো কারা করল? সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জাতির জন্য জরুরি। এখন কোনো একটি বড় অপরাধ সংঘটিত হলে প্রথমেই মানুষের মনে দ্বিধা জাগে, এর বিচার হবে কি হবে না। মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যার পরও মানুষ ধারণা করে, এর বিচার হবে না। নিম্ন আদালতে বিচারকের রায় ঘোষণার পর সিনহার বোনের মন্তব্যে সেই সন্দিহান ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো একটি প্রভাবশালী পক্ষ বাধা দিয়ে কিংবা বাগড়া দিয়ে বসে এমনটি আমরা প্রায় দেখি। প্রদীপদের ক্ষেত্রেও সেই শঙ্কা থেকে এখনো মুক্ত হওয়া যাচ্ছে না।

অনেকে মন্তব্য করছেন সিনহা সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার হওয়ায় বিচারটা পাওয়া গেল। গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাবে নাগরিকের সম্মিলিত শক্তির কাছেই অসুরের পতন হয়েছে। ঘটনার পর অনেক আলামত স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছিল। এ নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয়েছিল সরকার। দুর্ভাগ্য হচ্ছে ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ্যে জনসম্মুখে প্রকাশ পায়নি। তবে ওসি প্রদীপের খুঁটির জোরটি বারবার প্রকাশ পেয়ে গিয়েছিল। তিনি ক্ষমতা চক্রের একেবারে উপরের দিকে লোকদের সাথে লিয়াজোঁ করতেন। এমনকি একটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগের বিষয়টিও ফাঁস হয়ে যায়। সরকারি প্রশাসনে প্রদীপদের প্রভাব স্পষ্ট অনুমান করা গেছে। রিমান্ডে নিয়ে বেপরোয়া নির্যাতন চালিয়ে অনেককে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। একবার রিমান্ডে গেলেই অনেকে আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি। রাজনৈতিক বন্দীদের ডান্ডাবেড়ি পরাতে আমরা দেখেছি। তাদের প্রতি অবমাননা ও লাঞ্ছনাকর আচরণ করা হয়েছে; অথচ প্রদীপরা ভয়াবহ সব অপরাধ করেও অনেকটাই ভিআইপি মুডে ছিলেন। তাদের জন্য জেলখানার বাইরে অব্যাহত যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেয়ার খবর ফাঁস হয়েছে। উচ্চপদস্থ লোকদের সাথে যোগাযোগ করার অডিও ভিডিও রেকর্ড প্রকাশ্যে এসেছে।

এই বিচারের রায়ের দুই দিন আগে দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছে, ‘টেকনাফের ওসি থাকাকালে ২২ মাসে ১৪৪টি বন্দুকযুদ্ধ ঘটিয়েছে প্রদীপ কুমার দাশ। ওই সব বন্দুকযুদ্ধে ২০৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে।’ সিনহা হত্যার বিচার হওয়ার পর সবার দৃষ্টি দুই শতাধিক হত্যার বিচারের দিকে। স্থানীয় মানুষের দাবি, এরা সবাই নিরীহ মানুষ ছিল। সময়মতো নিহতদের স্বজনরা মুখ খুলতে পারেনি। কেবল সিনহার প্রাণ হরণের পর তারা ক্ষোভ প্রকাশের সুযোগ পেয়েছেন।

প্রকাশ্যে এসে তারা জানাচ্ছেন, কেন কিভাবে তাদের স্বজনদের হত্যা করা হলো। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই সিনহা হত্যা ঘটলেও সেটা জনসমক্ষে প্রকাশ পায়নি কয়েক দিন। ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হয়েছে প্রথমে। পরে চারদিক থেকে চাপে পড়ে ঘটনার দায় শিকার করার পাশাপাশি সামরিক বাহিনী ও পুলিশ প্রধান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এর বিচার হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

আইনের শাসন কায়েম থাকলে অপরাধের বিচার স্বাভাবিক পদ্ধতিতে হয়। যে কেউ অপরাধ করলে সাক্ষীসাবুদ সাপেক্ষে তার শাস্তি হয়। আইনে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে। যতটুকু অপরাধ ততটুকু শাস্তি। আমাদের দেশের এই অবস্থা থাকেনি। ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষের ইচ্ছার ওপর শাস্তিপ্রাপ্তি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। সে জন্যই বাহিনীপ্রধানদের ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারপ্রাপ্তির অঙ্গীকার করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সেই বিচারের রায় হয়েছে। কিন্তু এই প্রশ্ন আরো জোরালো হয়ে উঠল, বিচার কি সবার জন্য সমান নয়? টেকনাফে প্রদীপের হাতে প্রাণ হারানো ২০৪টি হত্যাকাণ্ডের শিকার মানুষের পরিবাররা কি বিচার পাওয়ার যোগ্য নয়? তারও আগে তিনি আরো যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। রাষ্ট্র কি তাদের বিচার পাওয়ার সমানাধিকারের মর্যাদা স্বীকার করে না?

মাদক দমনের কথা বলে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানুষ হত্যার ঘটনাগুলো ঘটেছে। ‘মাদক চোরাচালানের রুট’ হিসেবে টেকনাফ পরিচিত। ক্ষমতাসীন দলের একেবারে শীর্ষ নেতারা এর সাথে জড়িত। প্রদীপ যখন বিপুল বিক্রমে ‘ক্রসফায়ার’ চালাচ্ছিল ওই এলাকায় তখন মাদক চোরাচালান কমে যায়নি। বরং ওই সময়েই সবচেয়ে বেশি মাদক চোরাচালান হয়েছে। এতে স্পষ্ট বোঝা যায় মাদক দমনে ওই সব ‘ক্রসফায়ার’ ঘটেনি। তাদের সাথে মাদক ব্যবসার কোনো সম্পর্ক নেই; বরং মাদক চোরাকারবারিরা প্রশাসনের সহায়তায় সেটি অব্যাহত রেখেছিল। তা হলে ২০৪ জন মানুষের পরিচয় কী? ভুক্তভোগীদের পরিবারগুলো জানাচ্ছে, চাঁদা আদায়ের জন্য প্রদীপ বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। যারা সময়মতো অর্থ দিয়েছেন, তার হাত থেকে বাঁচতে পেরেছেন। সাধারণভাবে একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার নাগরিকদের গণপ্রাণহানি নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কথা। অনাকাক্সিক্ষত একটি মৃত্যু ঘটলেও তার সঠিক তদন্তে আন্তরিক উদ্যোগ নিত। আমরা দেখেছি, টেকনাফের আগেও প্রদীপ অন্যান্য জায়গায় মানুষ হত্যা করেছে। সেগুলোর বিচারও কারো কাছে পাত্তা পায়নি।

প্রদীপ গ্রেফতার হওয়ার পর মানুষ সাহস পেয়ে রাস্তায় নেমে আসে। স্বজনদের প্রাণহানির বিচার চেয়ে দফায় দফায় তারা বিক্ষোভ করেছেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানুষের এতটা বিক্ষোভের আরো কারণ রয়েছে। বহু মানুষের ওপর তিনি নানাভাবে নির্মম নির্যাতন করেছেন। বহু ধর্ষণের ঘটনাও ঘটিয়েছেন। বাড়ি দখল করে বালাখানা বানিয়েছেন। এরাই প্রদীপের বিচারে খুশি। তাই তো বিচারের আগে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে, ভুক্তভোগী শত শত পরিবার সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছে। কেউ রোজা রাখছেন, কেউ অতিরিক্ত নামাজ পড়ছেন যাতে প্রদীপের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে স্থানীয়দের এমন অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশের খবর প্রকাশ পাচ্ছে কয়েক দিন ধরে। এসব খবর স্থানীয় প্রতিনিধিরা গুরুত্বের সাথে কাভার করছেন। ঢাকার মিডিয়া সেগুলো শেষের পাতায় কিংবা ভেতরের পাতায় ছোট করে যায়গা দিচ্ছে। মানুষের বাড়তি প্রতিক্রিয়ার বাড়তি মর্যাদা মিডিয়ায় সেভাবে দেখা গেল না।

সংঘটিত অপরাধের কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় ভুক্তভোগীরা রায়কে ঘিরে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। উত্তেজিত জনতা প্রদীপের গাড়ি লক্ষ করে ঢিল ছুড়েছেন। বিচারের উদ্যোগ নেয়ার সাহস তারা সময়মতো দেখাতে পারেনি। তারই ধূমায়িত কষ্ট ক্ষোভ দুঃখ সুযোগ পেয়ে বেরিয়ে আসছে। একজন স্থানীয় সাংবাদিক প্রদীপের অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ে খবর প্রকাশ করে মহাবিপদে পড়েছিলেন। এটি আরেক আশ্চর্যের বিষয়। কক্সবাজারের ডিসি রয়েছেন, এসপি রয়েছেন, ক্ষমতাসীন দলের এমপি মন্ত্রী রয়েছেন। কেউ এ সাংবাদিককে প্রদীপের বিরুদ্ধে গিয়ে আশ্রয় দিতে পারেননি। এ ধরনের রাষ্ট্রব্যবস্থাকে কী বলা যেতে পারে, যেখানে আইন আদালত প্রশাসন রাজনীতি সবই আছে কিন্তু অন্তরাল থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে গেল একজন নিম্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তার কাছে। এটিকে কি একটি ‘মাফিয়া সাম্রাজ্য’ বলা যায়? আমরা জানি না।

সিনহাকে হত্যার পর পুলিশ বাদি হয়ে তিনটি মামলা করে। সরকারি কাজে বাধা দান ও মাদক আইনে মামলা তিনটি করা হয়। পুলিশ প্রশাসনে কাজের মধ্যে অস্বচ্ছতা আমরা দেখতে পাই। এগুলো এমন মামলা যে, সুযোগ পেলেই করা হচ্ছে। এ ধরনের মামলা করার জন্য পুলিশকে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। একেবারে ব্লাঙ্ক চেক হিসেবে তারা এটিকে অবাধে ব্যবহার করছে। ক্ষমতাসীনরা পুলিশকে দিয়ে এর অপব্যবহার করে থাকেন। অন্য দিকে পুলিশ নিজে এ ধরনের মামলা করে নিজেরা স্বার্থ হাসিল করে। এমন সব মানুষের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ আনে কল্পনা করা যায় না। তাদের সাথে গাঁজা আফিম কিংবা আরো নিম্নমানের মাদক পাওয়া যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়। যা হোক, সিনহা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এসব মামলা উল্টো দিকে ঘুরে গেল।

সিনহা হত্যা মামলার আরেকটি কৌতূহলোদ্দীপক ঘটনা ছিল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের নেতা রানা দাশগুপ্তের ওসি প্রদীপের আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হওয়া। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউটর। এটি এখনো একটি রাষ্ট্রীয় পদ; অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল সমমর্যাদার। তিনি এখনো চলতি সরকারি দায়িত্বে রয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা রানা দাশগুপ্তের সরাসরি একজন ঘৃণিত আসামির পক্ষে অবস্থান নেয়ার প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন। একটি সংবাদ সম্মেলন করে সরকারি এ লাভজনক পদ থেকে তাকে ইস্তফা দেয়ার জন্য তারা আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সেটি না করেই প্রদীপের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন।

‘সংখ্যালঘু’ ইস্যুটি নিয়ে কিছু কথা বলতে হয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন রয়েছে। এ দেশে থেকে নিয়মিত বিরতিতে সংখ্যালঘুরা তাদের সম্পত্তি ব্যবসা হারান। অনেকে দেশ ছেড়ে চলে যান। এগুলোর পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের হাত। রানা দাশগুপ্ত বহু দিন সংখ্যালঘুদের নেতা। অসহায় হিন্দুরা যখন ক্ষমতাসীনদের দ্বারা নির্যাতিত কিংবা বঞ্চিত হন এমন একটি হিন্দু পরিবারের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন রানা দাশগুপ্ত, তার প্রমাণ পাওয়া যাবে কি? রানা দাশগুপ্তরা সাধারণত সংখ্যালঘু পরিচিতির সুবিধাটি গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা বাগিয়ে নেয়ার জন্য এটি ব্যবহার করেন। এর দ্বারা তারা নিজেদের সম্পত্তি ও সুনাম বাড়িয়ে নেন।
প্রদীপের ফ্রাঙ্কেনস্টাইন হয়ে ওঠার পেছনেও তার ‘সংখ্যালঘু’ পরিচিতি ব্যবহার হয়েছে। তার আত্মীয়স্বজনের আরো অনেকে পুলিশে কাজ করেন। তারা একে অপরের দ্বারা যেমন সুবিধা নেন তেমনি সুবিধা নেন রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার। পুলিশ প্রশাসনের একেবারে শীর্ষ জায়গা থেকে আশকারা পেতেন, যার পেছনে ভিত্তি ছিল তার সংখ্যালঘু পরিচিতি। এর জোরে তিনিও শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি বানিয়েছেন। ওই সব সম্পদ ক্রোক করা হয়নি। এ কারণেই তিনি রানা দাশগুপ্তের মতো ‘উঁচু রেটের আইনজীবী’ ভাড়া করতে পেরেছেন।

অন্য দিকে অনেকে নিজেরা একটি সাম্প্রদায়িক অবস্থান গ্রহণ করেও অন্যদের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে যা তা বলতে পারেন। এমনকি বাংলাদেশের বড় মিডিয়াগুলো তাদের প্রচার প্রসার লাভের বিপুল সুযোগ করে দেয়। বাংলাদেশের প্রধান একটি দৈনিক কয়েক মাসের ব্যবধানে দু’বার রানা দাশগুপ্তের ঢাউস সাক্ষাৎকার ছেপেছে। মনের সুখে যা বলেছেন সব ছাপিয়ে দেয়া হয়েছে ওই পত্রিকায়। অথচ যাদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর ভাষায় বলেছেন তারা ওই পত্রিকায় কিছু বলার সুযোগ পান না।

মনে রাখতে হবে, সংখ্যালঘু কিংবা নির্যাতিত যে কারো অধিকার আদায়ের পথে প্রদীপ ও রানা দাশগুপ্তরা একধরনের বাধা। এরা মূলত সমাজের সেই এলিট অংশটি যারা সংখ্যালঘু ইস্যুকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে নেন। এদের অযাচিত কর্মের নেতিবাচক অংশটি বোঝা হয়ে ওঠে সংখ্যালঘুদের ওপর। অন্য দিকে তারা এর ব্যবহার করে বরাবর ধনী আর সম্মানী হয়ে উঠছেন।
jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement